বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব: ৬

অঘ্রানের অন্ধকারে

তুরির সঙ্গে শাবিনের আবার দেখা হলো পরদিন রাতে। তুরি গিয়েছিল শপিংয়ে। ছোটোখাটো টুকটাক কেনাকাটা। তাতে রাত হয়ে গেল। রিকশা থেকে নামতেই দেখে ওদের অ্যাপার্টমেন্টের সামনে শাবিন দাঁড়িয়ে আছে।
তুরি এগিয়ে এসে বলল, ‘আপনি!’
তুরির সঙ্গে গতকাল কথা বলার পর থেকে শাবিনের মন কেমন যেন অস্থির হয়ে পড়েছে। খানিক বিভোর, খানিক ছটফটে। তুরির দিকে তাকিয়ে ওর আবারও মনে হলো, মানুষ এত সুন্দর হয়! অন্যমনষ্ক হয়ে পড়েছিল শাবিন। তুরির প্রশ্নে চমকাল।
‘আমার কাছে এসেছেন, না অন্য কোনো কাজে?’
শাবিন যতখানি সম্ভব নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে বলল, ‘গতকাল একটা মিথ্যা বলেছিলাম আপনাকে। কেন বলেছিলাম জানি না। তবে বলার পর থেকে খারাপ লাগছে। তাই স্যরি বলতে এসেছি।’
‘মিথ্যেটা কী?’
‘আমার মা আমাকে ‘সাবু’ বলে ডাকেন না। ডাকেন ‘শিব’ বলে।’
‘বাহ্ ভালো তো। শিব হচ্ছেন দেবতা। শিব অর্থ সুন্দর। মঙ্গল, কল্যাণ।’
‘আমার কেমন জানি লাগে।’
‘সে মা ডাকেন ডাকুন। আপনাকে আমি ‘শাবিন’ বলেই ডাকব।’

তুরি তাকায় শাবিনের দিকে। ছেলেটিকে ভালো লাগে। সহজ সরল। ওর দৃষ্টিতে কী যেন আছে। চোখের দিকে তাকালে বুকের ভেতর অচেনা তোলপাড় শুরু হয় নিজের অজান্তে। ওর দৃষ্টি যেন ভেতরটাকে স্পর্শ করে খুব আলতোভাবে নরম করে।
তুরি বলল, ‘কাল আসুন বাসায়। বড়ো’পার সাথে পরিচয় করিয়ে দেব।’

শাবিন পরদিন বিকেলে এলো তুরিদের বাসায়। তুরির বড়ো আপাকে বেশ ভালো লাগল শাবিনের। ভীষণ প্রাণবন্ত। খুব হাসেন। নিপাট ভালোমানুষ। আদুরে ভঙ্গিতে মিষ্টি করে কথা বলেন। দু’এক কথার পর কী সুন্দর ‘তুমি’ করে বললেন, ‘শাবিন ভাই শোনো! আমার ওই আপনি টাপনি কিন্তু আসে না। আমি তোমাকে ‘তুমি’ করে বলব।’
‘আমি খুশি হব। আপনি তো আমারও বড়ো বোন।’ কাতর গলায় শাবিন বলল, ‘আমার কোনো বড়ো বোন নেই।’
‘হয়েছে। আমি তোমার বড়ো বোন।’
শাবিন বড়ো আপার কথা শুনে যত না মুগ্ধ হলো তারচেয়ে বেশি হয়েছে খুশি। বড় আপা ওদের ড্রয়িংরুমে বসিয়ে ভেতরে গেলেন নাস্তা বানাতে। আজ নাকি শাবিনকে আপা এক্সপেরিমেন্টাল স্ন্যাকস টেস্ট করাবেন।

তুরি আর শাবিন বসে আছে। তারা নিজেরা কথা বলছে। যেন কতদিনের পরিচিত। শাবিন নিজের কথা বলে যাচ্ছে। তুরি তুরির। শাবিনের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তুরি অন্যমনষ্ক হয়ে পড়ছে বারবার। তার ভেতরে কোথায় যেন তিরতির করে কেঁপে উঠছে। সেই কাঁপন ধরা দিয়েছে চোখের পাতায়।
তুরি বলল, ‘মাঝেমধ্যে খুব হাঁসফাঁস লাগে। ছুটে বেরিয়ে যেতে ইচ্ছে করে কোথাও। ঠিক বুঝতে পারি না কোথায় যেতে মন চায়। সমুদ্র নাকি পাহাড়ের কাছে। নাকি দূর কোনো নির্জন গ্রামে।’
শাবিন বলল, ‘বেরিয়ে পড়লেই হয়। পথই নিয়ে যাবে কোথাও।’
‘এরকম টুকটাক ভালোলাগা, নিজেদের পছন্দের কথা ভাগাভাগি করে নেয় ওরা।’
কোথাও যাওয়া যে তুরির বারণ। আবার কোন ভুল পিছু টানে! কিছুই দেখা হলো না তার। না সমুদ্র, না পাহাড়। না কোনো এক নির্জন গ্রাম। এসবের কিছুই শাবিনকে বলে না তুরি।
শাবিন জিগ্যেস করল, ‘কেন যাওয়া হয়নি কোথাও?’
তুরি হাসে। ওর সেই মন পাগল করা হাসি। বলল, ‘তারাশঙ্করের ‘কবি’র কথা মনে আছে? নিতাই গান লিখল, ‘আমার কর্মফল, দয়া করে ঘুচাও হরি-জনম করো সফল।’ আমার হয়েছে সেই দশা। সবই আমার কর্মফল।’
‘কবি পড়া হয়নি’, লজ্জা পায় শাবিন কথাটা বলতে গিয়ে।
তুরি অবাক হয়ে বলে, ‘‘কবি’ পড়েননি! বিরাট মিস করেছেন। আচ্ছা ঠিক আছে ‘দৃষ্টিদান’ তো পড়েছেন।’
‘বাউণ্ডুলে টাইপ মানুষ আমি। বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন কেউ কোনোদিন খোঁজ নেইনি আমার। কী পড়ছি, আদৌ পড়ছি কিনা। ইশকুল, কলেজে পড়ার সময় পরীক্ষা দিতাম কিনা, পাশ করেছি কিনা-এসব কেউ কখনো জানেনি। আমাকে নিয়ে কারও কখনো কোনো মাথাব্যথা ছিল না। এখনো নেই।’

তুরি খেয়াল করল শাবিনের চোখভরা অভিমান। তার চোখ থেকে অভিমান ঝরে পড়ছে। তাকে কথাগুলো বলতে পেরে নিশ্চয় শাবিনের ভালো লাগছে।
‘বন্ধুদের সাথে ইশকুলে যেতাম। অনেকদিন দেখেছি আমার শার্টের বোতাম ছেঁড়া। বন্ধুরা দেখিয়ে দিত। কেউ কেউ হাসাহাসি করত।’
‘মা খেয়াল করতেন না?’
শাবিন বুকের ভেতর লম্বা শ্বাস টেনে নিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, ‘চণ্ডালের মতো রাগ বাবার। কথায় কথায় রাগারাগি করত। মা বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত থাকত বাবা যাতে রেগে না যান। আমার দিকে খেয়াল করার সময় ছিল না তার।’
কথাগুলো বলতে গিয়ে গলা ধরে এলো শাবিনের। মুখ ঘুরিয়ে নিল অন্যদিকে। তুরি মাথা নিচু করে বসে আছে বিভোর হয়ে। বুকের ভেতর নিজের অজানিতেই মোচড় দিয়ে ওঠে তুরির। তবে চট করে নিজেকে সামলেও নেয়।
তুরি নিচু গলায় জিগ্যেস করল, ‘আর কলেজে?’
‘তখন পাড়ার বন্ধুদের কাছ থেকে মাস্তান হওয়ার ট্রেনিং নিতে শুরু করেছি। মাস্তান হতে পারলাম না। তাদের সঙ্গে থাকলাম ঠিকই তবে আলাদা হয়ে। ভার্সিটিতেও একই অবস্থা। গতবছর পরীক্ষা ড্রপ দিয়েছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর পড়াশোনা করব না।’
‘এমন ভাবার কোনো মানে নেই। নতুন করে আবার শুরু করা যায় সব। ইচ্ছে করলেই হয়।’
শাবিন নিজের ভেতর শক্তি খুঁজে পাচ্ছে। উচ্ছ্বল চোখে বলল, ‘আপনি একটা কাজ করবেন? আমাকে কয়েকটা বইয়ের নাম লিখে দিন। আমি পড়ব।’
‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্পগুলো পড়ুন।’
‘ওরকম করে বললে হবে না। কাগজে লিখে দিন।’
‘ঠিক আছে। লিখে দিচ্ছি। প্রথমে খুব বেশি না। অল্প কয়েকটা। কমন বাঁধলে সেগুলো পড়ার দরকার নেই।’
তুরি কাগজ কলম এনে তাতে বইয়ের নামের তালিকা তৈরি করতে বসল। একটু চিন্তা করে আবার লেখে।
উদাস হয়ে পড়ে শাবিন। হঠাৎ নিজেকে খুব একা মনে হয়। শূন্য হয়ে আসে চারপাশ। মনে হয় কে যেন নেই। কোনোদিন কি কেউ ছিল যে ওকে নিয়ে ভেবেছে! ওর জন্য অস্থির হয়েছে কখনো! কেন জানি খুব মায়ের কথা মনে পড়ছে। বাবার সামনে মায়ের সেই ভীত মুখ।
শাবিনের দিকে তাকায় তুরি। মুখ ঘুরিয়ে আছে শাবিন অন্যদিকে। তুরি নরম গলায় জিজ্ঞেস করল, ‘বাড়িতে কে কে আছেন?’
‘শুধু মা। আর বাবা কোথায় আছেন জানি না।’
‘বাবা কোথায় আছেন জানেন না, বুঝিনি ব্যাপারটা।’
‘বাবা ইঞ্জিনিয়ার। পাশ করার পর অ্যাকাডেমিক পড়াশোনা কাজে লাগানোর বিশেষ চেষ্টা করেননি। ব্যবসা শুরু করেছিলেন। প্রতিবছর ব্যবসায় লস খেয়েছেন। মাকে টর্চার করতেন নানার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য। মা এনে দিয়েছে। বাবা এখন আমাদের সঙ্গে থাকেন না।’
কষ্ট হয় তুরির। একজন সাদাসিধে মানুষের জীবনটা এমন কেন হবে! চোখে পানি চলে এসেছিল। আটকায়। তুরি বলল, ‘পড়াশোনা করতে কি একেবারেই ইচ্ছে করে না?’
‘কতকিছুই তো ইচ্ছে করে। সব ইচ্ছে কি পূরণ হয়?’
‘আর কী ইচ্ছে হয়?’
‘ইচ্ছে হয় কোনো এক বড়ো পুকুরের পানিতে কারও সঙ্গে পা ডুবিয়ে বসে থাকি।’

বড়ো আপা এসেছেন নাস্তা নিয়ে। হইচই করে বললেন, ‘চুপচাপ খেয়ে যাবে। কোনো মন্তব্য করবে না। ইউটিউব থেকে রেসিপি নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করেছি। আজই প্রথম।’
ঘরের গুমোট পরিবেশ হালকা হয়ে গেল। শাবিন বলল, ‘ভালো লাগলেও বলা যাবে না?’
‘তার কোনো সম্ভাবনা নেই। এটা হয়েছে অক্সিজেনের মতো। নিজে জ্বলে না, অন্যকে জ্বলতে সাহায্য করে। মুখে দিয়ে জ্বলে উঠবে।’
তুরি বলল, ‘যেমনই লাগুক এমন এক্সপ্রেশন দেবেন যেন মনে হয় খেতে খুব ভালো লাগছে।’
বড়ো আপা ওদের দুজনকে স্ন্যাকস দিয়েছে। শাবিন খেয়ে বলল, ‘ওয়াও! দারুণ হয়েছে।’
তুরি হেসে ফেলেছে। সে হাসতে হাসতে বলল, ‘বলেছিলাম শুধু এক্সপ্রেশন দিতে। আপনি দেখি ডায়ালগসহ দিচ্ছেন।’
খাবার সত্যি মজা হয়েছে। শাবিন আনন্দ নিয়ে খাচ্ছে।

(চলবে)

 

পর্ব ৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১: অঘ্রানের অন্ধকারে

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত