বন্ধুত্ব ভাঙলে যেভাবে নিজেকে স্বাভাবিক রাখবেন
যেকোনো ভালো সম্পর্ক ভেঙে গেলে তা শুধু শরীর ও মনের উপরই প্রভাব পড়ে না। যাপিত জীবনের সব ক্ষেত্রেই এর প্রভাব পড়ে। কোনো কিছুই ঠিক মতো হয়ে উঠে না। সেটি হোক প্রেমের সম্পর্ক বা বন্ধুত্বের সম্পর্ক বা স্বজনদের সঙ্গে। তবে বন্ধুত্বের সম্পর্কে যেন আলাদা একটি মাত্রা থাকে। সবচেয়ে বিশ্বাস, আস্থার সম্পর্ক মনে হয় বন্ধুত্বই। যা কাউকে বলা যায় না, তা সবচেয়ে কাছের বন্ধুকেই বলা যায়। নিজের অভাব–অনটন, সামর্থ্য–দুর্বলতা, ভালো লাগা, আগ্রহ—সবকিছু সবচেয়ে বেশি জানে একজন বন্ধু। প্রকৃত যে আমি, সেটা কি বন্ধু ছাড়া আর কেউ জানে?
অর্থ বা সামাজিক অবস্থানের ঊর্ধ্বে থাকে বন্ধুত্বের সম্পর্ক। আবার অনেক সময় সেই বন্ধু্ত্বই ভেঙে যেতে পারে ঠুনকো কোনো কারণেও। এক বেলা যার সাহচর্য না পেলে ঘুম হতো না, তার মুখ দেখাদেখি যখন বন্ধ হয়ে যায়, তখন সবকিছুই উল্টাপাল্টা হয়ে যায়। বন্ধুর সঙ্গে বিচ্ছেদ হলেও কী করে স্বাভাবিক থাকা যায় দেখে নিই তার কয়েকটি টিপস।
* বন্ধুত্ব ভেঙে যাওয়ার পর মন খারাপ হবেই। সেটাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে অনেকে জোর করে ভালো থাকার চেষ্টা করেন। তবে সেটি সঠিক উপায় নয়। এক্ষেত্রে বরং মনকে খারাপ হতে দেওয়াই ভালো। আপনার বন্ধুর কথা মনে করে কান্না পেলে কাঁদুন। মনের ভেতরের অনুভূতি চেপে না রেখে প্রকাশ করায় ভালো। বিচ্ছেদের এ কষ্ট মোকাবিলা করার জন্য তাড়াহুড়ো করার কোনো দরকার নেই।
* আপনি যে কথা কাউকে বলতে পারছেন না, সেটি নিজের গোপন খাতা বা কোনো ডায়েরিতে লিখে রাখুন। নিজের ভেতরের কষ্টগুলো লিখতে চেষ্টা করুন ডায়েরিতে। তবে বর্তমানে মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য নানা রকম মাধ্যম বিদ্যমান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ব্লগে লিখতে পারেন। বন্ধু হারানো অনেকটা গোপন সিন্দুক হারানোর মতোই। শুধু মনের ভাব প্রকাশের বিষয় নয়। গল্প, কবিতা বা অন্য কিছুও লিখতে পারেন।
* নিজেকে ঘরে আবদ্ধ না রেখে চলে যেতে কোনো আড্ডায়। এ সময় মানুষের সঙ্গে গল্প করা বা কথা বললে কষ্টটা অনেকটা কমে লাঘব হয়। অথবা ভালো কোনো বন্ধুর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে পারেন। তার সঙ্গে কথা বলার সময় দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকবেন।
*আবার কোনো আড্ডা বা হৈহুল্লোড়ে একেবারেই যেতে ইচ্ছা না হলে একা একা ঘরে বসে না থেকে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। বই পড়তে বা সিনেমা দেখতে পারেন।
এসএন