শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জানা গেল পুরুষদের নিঃসন্তান থাকার পেছনে আসল কারণ

প্রতীকী ছবি

সারা বিশ্বে প্রজনন হার ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে, যতোটা কমবে বলে অনুমান করা হয়েছিল তার চাইতেও দ্রুত কমছে। চীনে জন্মহার হ্রাস আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণ আমেরিকাজুড়ে একের পর এক দেশে জন্মের হার পূর্বাভাসের তুলনায় অনেক নেমে গিয়েছে। এমনকি মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায়ও জন্মহার প্রত্যাশার চেয়ে বেশ নাটকীয় হারে কমছে।

মানুষ যে শুধু আগের চাইতে কম সন্তান ধারণ করছে তাই নয়, একইসঙ্গে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে অনেকেই এখন আর সন্তান নিচ্ছে না। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরুষরা সন্তান নিতে চাইলেও তাদের সেই সক্ষমতা নেই। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের পুরুষদের।

নরওয়েতে ২০২১ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে পাঁচ শতাংশ পুরুষ সবচেয়ে কম আয় করেন, তাদের মধ্যে সন্তানহীনতার হার অন্তত ৭২ শতাংশ। অন্যদিকে সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ উপার্জনকারীদের মধ্যে সন্তানহীনতার হার মাত্র ১১ শতাংশ—তবে এই ব্যবধান গত ৩০ বছরে প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে।

রবিন হ্যাডলির বয়স যখন ত্রিশের কোটায়, তখন তিনি বাবা হতে প্রবল আগ্রহী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাননি, তবে উত্তর ইংল্যান্ডে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে তিনি টেকনিক্যাল ফটোগ্রাফার হিসেবে চাকরি করতেন। তার বয়স যখন ২০ এর কোটায় তখন তিনি বিয়ে করেছিলেন এবং বিবাহ বিচ্ছেদের আগে তার স্ত্রীর সঙ্গে তিনি একটি সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তিনি বন্ধ্যাত্বে জড়িয়ে পড়ে অর্থ পরিশোধ করতে তিনি এতোটাই হিমশিম খেয়েছেন যে নতুন করে কোন সম্পর্ক গড়ার সামর্থ্য তার ছিল না। অন্যদিকে তার বন্ধু এবং সহকর্মীদের অনেকেই বাবা হয়ে যেতে দেখে তার মধ্যে এক ধরনের শূন্যতার অনুভূতি জন্ম নেয়।

রবিন হ্যাডলি বলছেন, বাচ্চাদের জন্য জন্মদিনের কার্ড বা নতুন বাচ্চাদের জিনিসপত্র দেখেই আমার মনে হতো আমি কারো বাবা নই, এবং আমি বাবা হতে চাই৷ এর সঙ্গে অনেক কষ্ট জুড়ে আছে। নিজের এই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি পুরুষদের সন্তানহীনতার বিষয়ে একটি বই লিখতে অনুপ্রাণিত হন। যখন তিনি বইটি লিখেছিলেন, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে প্রজনন ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে এমন নানা কিছুর সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে - অর্থনীতি, জীববিজ্ঞান, নানা ঘটনা প্রবাহ, যাদের সঙ্গে সম্পর্ক করেছেন।

তিনি লক্ষ্য করেছেন যে বার্ধক্য এবং প্রজনন বিষয়ে তিনি যা কিছু পড়েছেন তার বেশিরভাগেই সন্তানহীন পুরুষদের কথা অনুপস্থিত- জাতীয় পরিসংখ্যানেও তাদের জায়গা হয়নি। আগে দরিদ্র পরিবারের লোকেরা খুব দ্রুত পরিণত হয়ে উঠতেন। তারা আগেভাগেই পড়ালেখা শেষ করে চাকরি করতেন এবং অল্প বয়সে পরিবার শুরু করতেন।

সামাজিক বন্ধ্যত্ব বৃদ্ধি:

সামাজিক বন্ধ্যাত্বের বিভিন্ন কারণ রয়েছে, সন্তান ধারণের জন্য সম্পদের অভাব বা সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা না হওয়া। কিন্তু এর মূলে অন্য কিছু রয়েছে বলে মনে করেন ফিনল্যান্ডের পপুলেশন রিসার্চ ইন্সটিটিউটের একজন সমাজবিজ্ঞানী এবং জনসংখ্যাবিদ আনা রটকির্চ।

তিনি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউরোপ এবং ফিনল্যান্ডে ‘ফার্টিলিটি ইনটেনশন’ বা প্রজননের উদ্দেশ্য নিয়ে গবেষণা করেছেন। আমরা সন্তান ধারণের বিষয়টিকে যেভাবে দেখি তাতে তিনি বড় ধরনের পরিবর্তন দেখেছেন।

এশিয়ার বাইরে, ফিনল্যান্ডে সন্তানহীনতার হার সবচেয়ে বেশি। অথচ ফিনল্যান্ড তাদের কমতে থাকা জন্মহারের সঙ্গে লড়াই করতে ১৯৯০ এবং ২০০০ এর দশকের গোঁড়ার দিকে শিশুবান্ধব নীতি প্রণয়ন করে। যেটি কিনা বিশ্বের অন্যতম শিশুবান্ধব নীতি হিসেবে স্বীকৃত।

এখানে বাবা মায়ের ছুটিতে উদারনীতি নিশ্চিত করা হয়েছে, শিশুর যত্ন যতটা সম্ভব সাশ্রয়ী করা হয়, নারী-পুরুষরা যেন ঘরের কাজে সমানভাবে অংশ নিতে পারে তা নিশ্চিত করা হয়। এরপরও ২০১০ সাল থেকে দেশটিতে শিশু জন্মহার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ হ্রাস পায়।

অধ্যাপক রটকির্চ বলেছেন, বিয়ের মতো, সন্তান ধারণকে একসময় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসাবে দেখা হত। কেউ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরপরই বিয়ে করে দ্রুত সন্তান নিয়ে নিতেন। কিন্তু আজকাল বিষয়টি উল্টে গিয়েছে। এখন সবাই জীবনের অন্যান্য লক্ষ্যগুলো অর্জনের পর সন্তান ধারণের কথা ভাবে।

এই অধ্যাপক ব্যাখ্যা করেন, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ মনে করে যে একটি সন্তান হলে তাদের জীবনে অনিশ্চয়তা যোগ হবে।
ফিনল্যান্ডে, তিনি দেখেছেন যে সবচেয়ে ধনী নারীদের নিজের ইচ্ছার বাইরে সন্তানহীন হওয়া আশঙ্কা কম। অর্থাৎ তাদের ইচ্ছা আছে সন্তান নেওয়ার কিন্তু পারছেন না-এমনটা বেশি হয় না। তারা সন্তানহীন হওয়ার সিদ্ধান্ত নিজ ইচ্ছাতেই নেন।

অন্যদিকে, নিম্ন-আয়ের পুরুষদের অনিচ্ছা স্বত্বেও সন্তানহীন অবস্থাতেই থেকে যাওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। অতীতের সাথে বর্তমানে ঠিক এই জায়গাতেই বড় পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। আগে দরিদ্র পরিবারের লোকেরা খুব দ্রুত পরিণত হয়ে উঠতেন। তারা আগেভাগেই পড়ালেখা শেষ করে চাকরি করতেন এবং অল্প বয়সে পরিবার শুরু করতেন।

পুরুষতন্ত্রের সংকট:

পুরুষদের জন্য, সন্তান নেয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়ার পেছনে আর্থিক অনিশ্চয়তা একটি বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। একে সমাজবিজ্ঞানীরা ‘দ্য সিলেকশন এফেক্ট’ বা ‘বেছে নেওয়ার প্রভাব’ বলে থাকে। যেখানে নারীরা সঙ্গী বেছে নেওয়ার সময় একই সামাজিক শ্রেণীর বা তার চেয়ে উঁচু শ্রেণীর কাউকে খুঁজে থাকেন।

রবিন হ্যাডলি বলছেন, আমি বুঝতে পারি যে, আমি আমার আওতার বাইরে হাতড়ে বেড়াচ্ছিলাম। আমার সম্পর্ক ত্রিশের কঠোয় ভেঙে গিয়েছিল। আমার মনে হয়, আমার এই অবস্থার জন্য ‘বেছে নেয়ার প্রভাব’ একটি বড় কারণ হতে পারে।

প্রায় ৪০ বছর বয়সে তার বর্তমান স্ত্রীর সঙ্গে তার দেখা হয়। এই নারী তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে এবং পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনে সাহায্য করেছেন। সে না থাকলে, আমি এখন যেখানে আছি সেখানে থাকতাম না। যখন তারা সন্তান ধারণের কথা ভাবছিলেন তখন তাদের বয়স চল্লিশের কোঠায় এবং অনেক দেরি হয়ে গেছে।

বিশ্বব্যাপী ৭০ শতাংশ দেশে নারীরা শিক্ষাদীক্ষায় পুরুষদের ছাড়িয়ে যাচ্ছে, যাকে ‘দ্য মেইটিং গ্যাপ বা’ ‘সঙ্গমের ব্যবধান’ বলে অভিহিত করেছেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানী মার্সিয়া ইনহর্ন। ইউরোপে, এখন একটি বড় সংখ্যক পুরুষ আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নিচ্ছেন না। তাদেরই নিঃসন্তান হওয়ার আশঙ্কা বেশি।

এসব সমস্যা থেকে বেড় হওয়ার উপায় কী?

হ্যাডলির মতে, প্রজনন নিয়ে সব ধরনের আলোচনাই হয় শুধুমাত্র নারীকে ঘিরে। এবং জন্মহার বাড়াতে যে নীতিগুলো প্রণয়ন করা হয় সেগুলো ডিজাইন করা হয় অর্ধেক জনগোষ্ঠী অর্থাৎ পুরুষদের বাদ দিয়েই।

রবিন হ্যাডলি বলেছেন, আমাদের আরও ভাল তথ্য দরকার। যতক্ষণ না আমরা পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতার বিষয়টি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবো তার আগ পর্যন্ত এটি তাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কেমন প্রভাব ফেলছে সেটা সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারবো না।

তথ্য উপাত্তের বাইরেও প্রজনন সংক্রান্ত সব আলোচনাতেই পুরুষ অনুপস্থিত। যেখানে কিনা নারীদের প্রজনন নিয়ে সচেতনতা দেখা যাচ্ছে।

নারীদের প্রজনন ক্ষমতা বয়সের সাথে সাথে কমতে থাকে-এটি যে ভাববার বিষয় সেটা নিয়েও সচেতনতা বাড়ছে। কিন্তু পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা নিয়ে এমন কোন আলাপ হয় না। কিন্তু সত্যি হলো নারীদের মতো পুরুষদেরও একটি জৈবিক ঘড়ি আছে, হ্যাডলি বলেছেন, গবেষণার দেখা গিয়েছে যে ৩৫ বছরের পরে শুক্রাণুর কার্যকারিতা কমতে থাকে।

তার মতে, এই অদৃশ্য গোষ্ঠীটিকে (পুরুষ) দৃশ্যমান করা সামাজিক বন্ধ্যাত্ব মোকাবেলার একটি উপায়। আরেকটি হতে পারে অভিভাবকত্বের সংজ্ঞা প্রসারিত করা। যেসব গবেষকরা সন্তানহীনতার বিষয়ে মন্তব্য করেছেন তারা সকলেই একটি বিষয় আগ্রহের সাথে উল্লেখ করেছেন যে সন্তানহীন লোকেরা এখনও শিশু লালন-পালনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিহেভিয়েরাল ইকোলজিস্টরা একে অ্যালোপ্যারেন্টিং বলে থাকে বলে জানিয়েছেন অ্যানা রটকির্চ। অ্যালোপ্যারেন্টিং হল শিশুদের জন্মদাতা বাবা-মা ছাড়া যখন অন্য কেউ তার যত্ন করে। সেটা শিশুর বেবিসিটার, পালক বাবা-মা, দাদা-দাদী হতে পারেন। মানব বিবর্তনের বেশিরভাগ সময়ে একটি শিশুর এমন একাধিক পরিচর্যাকারী ছিল।

ড. হ্যাডলি তার গবেষণায় যে নিঃসন্তান পুরুষের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাদের মধ্যে একজনের সঙ্গে তার স্থানীয় ফুটবল ক্লাবে নিয়মিত দেখা হতো। ওই ব্যক্তি এমন এক পরিবারের কথা বলেছেন যেখানে ছোট দুই ছেলের একটি স্কুল প্রজেক্টের জন্য দাদা-দাদীর প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তাদের দাদা-দাদীর কেউই ছিলেন না। তখন ওই ব্যক্তি তাদের সারোগেট দাদা হিসাবে আবির্ভূত হন এবং ওই ঘটনার কয়েক বছর পরে, ও শিশুরা তাকে ফুটবলে খেলতে দেখে "হাই দাদা" বলে ডাক দেয়।

অধ্যাপক রটকির্চ বলছেন, আমি মনে করি বেশিরভাগ নিঃসন্তান পুরুষেরা আসলে এভাবে শিশুদের যত্ন নিয়ে থাকেন বা যত্ন নিতে পারদর্শী কিন্তু তাদের এই বিষয়টি অদৃশ্য থেকে যাচ্ছে। জন্ম নিবন্ধনে এর প্রতিফলন না থাকলেও এটি সত্যিই জরুরি।

Header Ad

এখনই সন্তান নিতে চাননি কাঞ্চন, শোনেননি শ্রীময়ী

এখনই সন্তান নিতে চাননি কাঞ্চন, শোনেননি শ্রীময়ী। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সময়ে টালিউডের অন্যতম চর্চিত জুটি হচ্ছে কাঞ্চন মল্লিক এবং শ্রীময়ী চট্টরাজ। সদ্যই কন্যাসন্তানের বাবা-মা হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের এ তারকা দম্পতি। মেয়ের নাম রেখেছেন ‘কৃষভি’। কিন্তু এখনই নাকি সন্তান নিতেই চাননি কাঞ্চন। এত তাড়াতাড়ি মা হতে নিষেধ করেছিলেন শ্রীময়ীকে। তবে স্বামীর কোনো বারণই শোনেননি অভিনেত্রী।

গত ২ নভেম্বর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন শ্রীময়ী। এরপর থেকেই মেয়েকে নিয়ে নানান ব্যস্ততায় দিন কাটছে তাদের। কিন্তু তৃতীয় স্ত্রী এত তাড়াতাড়ি সন্তানের মা হোক, সেটা একবারেই চাননি কাঞ্চন! সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন শ্রীময়ী।

ভারতীয় গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, দোল পূর্ণিমার সময়ই জানতে পারি, মা হতে চলেছি আমি। কিন্তু কাঞ্চন চাননি এত অল্প বয়সে মা হই। সে আমাকে বলেছিল ২৭ বছরেই মা হবি? আর একটু সময় নে।

 

ছবি: সংগৃহীত

তিনি আরও বলেন, কিন্তু আমরা একসঙ্গে এত ঘুরেছি। সময় কাটিয়েছি, বাড়িতে একা থেকেছি। তাই আর সময় নষ্ট করতে চাইনি। চেয়েছিলাম যাতে এবার তিনজন একসঙ্গে সময় কাটাতে পারি। ফলে স্বামী নিষেধ করলেও মা হওয়ার সিদ্ধান্তটা আমিই নিয়েছি।

শ্রীময়ীর ভাষ্য, বর্তমানে মেয়েকে নিয়ে রাতে জেগে থাকতে হচ্ছে তাকে। যদিও এতে কোনো কষ্ট নেই তার। তিনি কখনও ক্লান্ত হলে মেয়েকে কোলে নিয়ে বসে থাকেন বাবা। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, ছোট্ট কৃষভিকে ঘিরে মল্লিক বাড়ির আনন্দের সীমা নেই এখন।

মেয়ে দেখতে পুরো বাবার মতোই হয়েছে উল্লেখ করে অভিনেত্রী জানান, গায়ের রং গোলাপি।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি আইনি বিয়ে করেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। এরপর গেল ২ মার্চ সামাজিক রীতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তারা।

Header Ad

যত দ্রুত নির্বাচন, ততই জনগণের কল্যাণ: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারকে তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের তৃতীয় জাতীয় কাউন্সিলে তিনি এ আহ্বান জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র-জনতার মাধ্যমে অন্ততর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। যেখানে স্পষ্ট করে বলা আছে, তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। সেজন্য আমরা তাদের সমর্থন দিচ্ছি। তাদের পাশে আছি।

দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করার তাগিদ দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কেন্দ্রিক যেসব সংস্কারগুলো আছে তা দ্রুত সংস্কার করতে হবে। আইন, প্রশাসন ও বিচারবিভাগের সংস্কারের মাধ্যমে যত দ্রুত নির্বাচনে যাবে বর্তমান সরকার, ততই দেশের মানুষের জন্য কল্যাণ হবে।’

এ সময় নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে থেকে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখারও আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, অতীতে যেভাবে বিএনপি তাদের ইমেজ ধরে রেখেছিল, ঠিক একইভাবে বিএনপিকে আগের মতো করে ইমেজ ধরে রাখতে হবে। জনগণের পাশে থাকতে হবে।

গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল আহ্বান জানান, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি আন্দোলন-সংগ্রাম করছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়। সেখান থেকে যেনো বিএনপি পিছিয়ে না পড়ি।

Header Ad

টিকটকার মুন্নি হত্যা: গণধর্ষণের পর হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ২

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গায় আলোচিত টিকটকার খালেদা আক্তার মুন্নি হত্যা মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা পুলিশ। মুন্নিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম জানান, গত ৯ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়ীয়া গ্রামের খোয়াজ আলী শেখের মেয়ে খালেদা আক্তার মুন্নি (১৮) হাটবোয়ালিয়া বাজারে কেনাকাটার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। সেদিন সন্ধ্যায় তিনি মায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে জানান, কেনাকাটা করতে দেরি হওয়ায় তিনি আলমডাঙ্গায় খালার বাসায় থাকবেন।

পরবর্তীতে, ১৪ নভেম্বর সকালে বোয়ালমারি এলাকায় একটি জঙ্গলের ভেতর থেকে অর্ধগলিত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের সদস্যরা শরীরে থাকা ট্যাটুর মাধ্যমে মরদেহটি মুন্নির বলে শনাক্ত করেন।

মুন্নির মা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করলে জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, বিপিএম, দ্রুত ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেপ্তারে নির্দেশ দেন। তার নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম ও আনিসুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম তদন্তে নামে।

ডিবি পুলিশ ১৫ নভেম্বর রাত আড়াইটায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই আসামিকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন চুয়াডাঙ্গার হাজরা হাটি গ্রামের শেখ পাড়ার টোকন আলীর ছেলে মানিক আলী ওরফে মানিক মুন্সি (২২) এবং একই গ্রামের মইদুল ইসলামের ছেলে পারভেজ মুন্সি ওরফে স্বপন (১৯)।

আসামি মানিক মুন্সি পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন যে, ৬ নভেম্বর মুন্নিকে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোর জন্য তার সঙ্গে দেখা করে এবং স্থানীয়দের মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইল করে ২০ হাজার টাকা আদায় করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মানিক প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করেন।

৯ নভেম্বর মানিক মুন্সি মুন্নিকে ফোন করে তাকে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে সারারাত থাকার প্রস্তাব দেন। মুন্নি রাজি হলে সন্ধ্যায় তাকে বোয়ালমারি শ্মশান এলাকার জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মানিক ও তার সহযোগী পারভেজ মুন্সি পালাক্রমে মুন্নির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। পারভেজ সেখান থেকে চলে গেলে মানিক একাধিকবার মুন্নিকে শারীরিক নির্যাতন করেন। পরে মুন্নি টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানালে এবং চিৎকার করলে মানিক তার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

পরে মানিক মুন্নির হাত ও মুখ বাঁধা অবস্থায় মরদেহ জঙ্গলে ফেলে দেন এবং তার শপিং ব্যাগ ও জুতা নদীতে ফেলে দেন।

গ্রেপ্তার দুই আসামি বিজ্ঞ আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, "এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবে।"

এ ঘটনাটি চুয়াডাঙ্গা জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় জনগণ দ্রুত বিচার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এখনই সন্তান নিতে চাননি কাঞ্চন, শোনেননি শ্রীময়ী
যত দ্রুত নির্বাচন, ততই জনগণের কল্যাণ: মির্জা ফখরুল
টিকটকার মুন্নি হত্যা: গণধর্ষণের পর হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ২
আফ্রিদির বিয়ের পর দীঘি বললেন ‘আল্লাহ বাঁচিয়েছে’
জানা গেল পুরুষদের নিঃসন্তান থাকার পেছনে আসল কারণ
যেভাবে শাহরুখের দেখা পেলেন বাংলাদেশি ভক্ত
ইউটিউবারের কাছে হারলেন বক্সিং কিংবদন্তি মাইক টাইসন
উত্তরাঞ্চল থেকে উপদেষ্টা নিয়োগে আলোচনা হয়নি : সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা
নবান্ন উৎসবে মুখরিত চারুকলা
পল্লবীতে ২ ছেলেকে গলা কেটে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা
বাড়ছে শীতের প্রকোপ, ১৫ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা
পরিচালকের নেশা মিশ্রিত চকোলেট খেয়ে বিপাকে অভিনেত্রী
ডেনমার্ককে খাদের কিনারায় রেখে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন স্পেন
হোয়াইট হাউসের সর্বকনিষ্ঠ প্রেস সেক্রেটারি হচ্ছেন ক্যারোলিন লেভিট
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্র সংস্কারই সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ: প্রধান উপদেষ্টা
সাবেক প্রধান বিচারপতি ফজলুল করিম মারা গেছেন
আসছে আদর-বুবলীর ‘পিনিক’
ভারতের হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন, ১০ শিশুর মৃত্যু
স্যামসন-তিলকের জোড়া সেঞ্চুরিতে সিরিজ জিতল ভারত
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সমুদ্র যোগাযোগ চালু, ভারতের উদ্বেগ