দাবদাহ থেকে বাঁচতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলো
গ্রীষ্মকাল চলছে। খুব বেশি গরমে যে কারো শরীর খারাপ হতে পারে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক এবং যারা ক্রনিক কোনো রোগে ভুগছেন এই গরমে তাদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। অতিরিক্ত গরমে শরীর ঘেমে দরকারি পানি ও লবন বেরিয়ে যায়। ফলে শরীর অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। এছাড়া সূর্যের প্রখর তাপে হিটস্ট্রোক হতে পারে। তাই গরম কালেও কিছু সাবধানতা অবলম্বন করে চলা উচিত, যদি সুস্থ থাকাতে চান। কীভাবে গরমে সুস্থ থাকবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।
দাবদাহ মানুষের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে। দাবদাহ থেকে বাঁচতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি:
তাপপ্রবাহ বা মাত্রারিক্ত গরম থেকে বাঁচতে প্রয়োজন সচেতনতা। নয়তো এটি প্রাণঘাতী হতে পারে। অনেক সময় ভয়াবহভাবে অসুস্থও করে দিতে পারে। এই সমস্যার একাধিক উপসর্গ দেখা যায়।
মাংসপেশিতে খিঁচুনি হতে পারে। অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভয়াবহ ক্লান্তি হয়। দুর্বলতা, ক্লান্তি, বমি ভাবের মতো একাধিক সমস্যা হতে পারে। শরীরে পানির জোগান কমে যায়।
হিটস্ট্রোক দাবদাহের অন্যতম প্রধান ক্ষতিগুলির মধ্যে একটি। এটা প্রাণঘাতীও হতে পারে। শরীরে তাপমাত্রা ভয়াবহ ভাবে বেড়ে যায় এই ক্ষেত্রে। কোমায়ও চলে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
যদি খুব গরম পড়ে বা তাপপ্রবাহ শুরু হয়, সেসময় ঘরের বাইরে যতটা সম্ভব কম বেরোতে হবে। ছায়া বা কোনও শেডের নীচে থাকতে হবে। বেশি বেশি পানি খেতে হবে। কোনওভাবেই শরীরে পানি পরিমাণ কমতে দেওয়া যাবে না।
এই সময় যতটা সম্ভব হালকা রঙের, ঢিলেঢালা জামাকাপড় পরতে হবে। বাইরে বেরোলে ছাতা ব্যবহার করতেই হবে। পরতে হবে রোদচশমাও। প্রয়োজনে ভিজে কাপড় দিয়ে মুখ, মাথা ও ঘাড় ঢেকে রাখতে হবে।
অত্যধিক পরিশ্রম হয় এমন কাজ করা যাবে না। বাসি খাবার খাওয়া যাবে না। অত্যধিক গরমের সময় হাইপ্রোটিন কোনও খাবার না খেলেই ভাল হয়। পানীয় এবং ফলমূল ও শাকসবজি বেশি করে খান এই গরমে।
সর্বপোরি স্বাস্থ্যকর খাবার, নিয়ম মেনে জীবন যাপন, প্রচন্ড গরমে শরীরের আরাম হয় এমন ছোট ও কার্যকরী কিছু বিষয় মেনে চললে এই গরমে থাকতে পারবেন সুস্থ। এড়াতে পারবেন হিটস্ট্রোক বা গরমজনিত রোগ।
কেএফ/