গুমের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা মাইকেল চাকমার
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতা মাইকেল চাকমা। ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী শাসনামলে গুমের শিকার ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতা মাইকেল চাকমা গুমের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে আসেন। সে সময়ে তার সঙ্গে ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ও শহিদুল আলমের স্ত্রী অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ।
হাসিনা সরকারের পতন হলে দীর্ঘ ৫ বছর ৩ মাস পর গত ৭ আগস্ট অবরুদ্ধ দশা থেকে মুক্তি পান মাইকেল চাকমা। ওইদিন ভোরের দিকে চট্টগ্রামের একটি স্থানে তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে মাইকেল চাকমা বলেন, ৫ বছর ৪ মাস সময় ধরে তিনি গুমের শিকার ছিলেন। ২০১৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খাগড়াছড়ি সফরের দিনে ইউপিডিএফের হয়ে তারা অবরোধ করেছিলেন। এই ঘটনায় তখন শেখ হাসিনা তাদের দেখে নেওয়ার হুশিয়ারী দিয়েছিলেন। শান্তি চুক্তির বিরোধিতা করায় গুম হওয়ার পর তাকে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। তার আশঙ্কা এসব ঘটনায় তাকে গুম করা হয়েছিলো। এ কারণেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ৭ আগস্ট পর্যন্ত গুম ছিলেন তিনি।
এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আইনের বিধান অনুযায়ী গুমের এই মৌখিক অভিযোগ আমলে নিবেন তারা। মাইকেল চাকমা অভিযোগ লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর তদন্ত কাজ শুরু করবে তদন্ত সংস্থা।