বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গুমের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা মাইকেল চাকমার

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতা মাইকেল চাকমা। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী শাসনামলে গুমের শিকার ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতা মাইকেল চাকমা গুমের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে আসেন। সে সময়ে তার সঙ্গে ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ও শহিদুল আলমের স্ত্রী অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ।

হাসিনা সরকারের পতন হলে দীর্ঘ ৫ বছর ৩ মাস পর গত ৭ আগস্ট অবরুদ্ধ দশা থেকে মুক্তি পান মাইকেল চাকমা। ওইদিন ভোরের দিকে চট্টগ্রামের একটি স্থানে তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

অভিযোগ প্রসঙ্গে মাইকেল চাকমা বলেন, ৫ বছর ৪ মাস সময় ধরে তিনি গুমের শিকার ছিলেন। ২০১৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খাগড়াছড়ি সফরের দিনে ইউপিডিএফের হয়ে তারা অবরোধ করেছিলেন। এই ঘটনায় তখন শেখ হাসিনা তাদের দেখে নেওয়ার হুশিয়ারী দিয়েছিলেন। শান্তি চুক্তির বিরোধিতা করায় গুম হওয়ার পর তাকে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। তার আশঙ্কা এসব ঘটনায় তাকে গুম করা হয়েছিলো। এ কারণেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ৭ আগস্ট পর্যন্ত গুম ছিলেন তিনি।

এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আইনের বিধান অনুযায়ী গুমের এই মৌখিক অভিযোগ আমলে নিবেন তারা। মাইকেল চাকমা অভিযোগ লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর তদন্ত কাজ শুরু করবে তদন্ত সংস্থা।

Header Ad
Header Ad

বঙ্গভবনে হারানো মোবাইল ফিরে পেলেন মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে বঙ্গভবনে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে হারানো মোবাইল ফোন ফিরে পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

বুধবার বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশের ৫৪তম বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং ফার্স্ট লেডি ড. রেবেকা সুলতানা।

অনুষ্ঠানে মির্জা আব্বাস যেখানে বসেছিলেন, তার পাশের একটি চেয়ারে মোবাইল ফোনটি রেখেছিলেন। পরে ফোনটি আর খুঁজে পাননি।

 

শায়রুল জানিয়েছেন, বিষয়টি রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব জয়নাল আবেদীনকে অবহিত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ফোনটি পাওয়া গেছে।

Header Ad
Header Ad

স্পিরিট অব জুলাই কনসার্ট: টোল ফ্রি থাকবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

‘স্পিরিট অব জুলাই কনসার্ট’ এবং ‘ইকোস অব রেভ্যুলিউশন’ কনসার্টের পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ২১ ডিসেম্বর আর্মি স্টেডিয়ামে ‘স্পিরিট অব জুলাই কনসার্ট’ উপলক্ষে ওই এলাকায় যানজট এড়াতে দুপুর ২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত টোল ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে এয়ারপোর্ট, কুড়িল ও বনানী র‌্যাম্প দিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে ‘স্পিরিট অব জুলাই কনসার্ট’ এবং স্কাইট্র্যাকার লিমিটেড কর্তৃক অনুষ্ঠেয় ‘ইকোস অব রেভ্যুলিউশন’ কনসার্টটিতে দেশের নামকরা ব্যান্ডশিল্পীসহ সঙ্গীত পরিবেশনা করবেন বিশ্বখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান।

অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়াম এলাকায় ২১ ডিসেম্বর (শনিবার) দুপুর ২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আর্মি স্টেডিয়ামের সামনের সড়ক ব্যবহারে কিছু নির্দেশনাবলি অনুসরণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

১. স্টাফরোড রেলগেট থেকে নেভি হেডকোয়ার্টার্স ক্রসিং পর্যন্ত টঙ্গী-উত্তরা থেকে গুলশান-বনানী-মহাখালীগামী যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হতে পারে বিধায় উল্লিখিত সময়ে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।

২. দুপুর ২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এয়ারপোর্ট, কুড়িল ও বনানী র‌্যাম্প ব্যবহারকারীরা টোল ব্যতীত এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।

৩. উত্তরা-এয়ারপোর্ট থেকে গুলশান-বনানী-মহাখালীগামী যানবাহন রেডিসন হোটেলের আগে ইউটার্ন বা বনানী ওভারপাসের নিচের ইউলুপ দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে পারবে।

৪. গুলশান-বনানী-মহাখালীগামী যানবাহন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর ও কুড়িল র‌্যাম্প ব্যবহার করতে পারবে।

৫. এয়ারপোর্ট, উত্তরা ও টঙ্গীগামী যানবাহন বনানী র‌্যাম্প ব্যবহার করে চলাচল করতে পারবে।

৬. ইসিবি চত্বর থেকে বনানীগামী ফ্লাইওভারের লুপটি বন্ধ থাকবে।

৭. ইসিবি চত্বর থেকে বনানীগামী যানবাহন কুর্মিটোলা হাসপাতালের সামনের র‌্যাম্প ব্যবহার করে বনানীর দিকে যাতায়াত করতে পারবে।

৮. র‌্যাম্প ব্যবহারের ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও বাইসাইকেল ব্যবহার করা যাবে না।

উল্লিখিত অনুষ্ঠান চলাকালে ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ জনসাধারণের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছে বলেও গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

Header Ad
Header Ad

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় খালাস পেলেন লুৎফুজ্জামান বাবর

ছবি: সংগৃহীত

বহুল আলোচিত চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ পাঁচ আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াকে মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন- রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, সিইউএফএলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন তালুকদার, সিইউএফএলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এনামুল হক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব নুরুল আমিন ও জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় করা মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। সেদিন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ কয়েকজন আসামির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির।

২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্রের চালান। এ নিয়ে কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগ এনে দুটি মামলা হয়। মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন। এর মধ্যে অস্ত্র চোরাচালান মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী (অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। অস্ত্র আইনে করা অন্য মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয় একই আসামিদের।

বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রায়সহ মামলার নথিপত্র হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। অন্যদিকে কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরা সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বঙ্গভবনে হারানো মোবাইল ফিরে পেলেন মির্জা আব্বাস
স্পিরিট অব জুলাই কনসার্ট: টোল ফ্রি থাকবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় খালাস পেলেন লুৎফুজ্জামান বাবর
কথা রাখেনি সাদপন্থীরা: হাসনাত আবদুল্লাহ
টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় ইমাম-মুয়াজ্জিন নিহত
গুমের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা মাইকেল চাকমার
মেট্রোরেলে একক যাত্রায় চালু হচ্ছে কাগজের টিকিট
আবারও বাংলাদেশ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানালো যুক্তরাষ্ট্র
চাকুরিতে পুরুষ-মহিলা সবাইকে স্যার ডাকার নিয়ম বাতিল
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের মামলা
চাঁদপুরে বিএনপির দুই গ্রুগের সংঘর্ষ
ইজতেমা ময়দানে জূবায়ের-সাদপন্থীদের সংঘর্ষে নিহত ৩
২৭ রানের জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের
ফোনে ‘আপা আপা’ বলা সেই জাহাঙ্গীরকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
পঞ্চদশ সংশোধনীর রায়ে বাতিল হলো যেসব বিধান
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল জনগণের আরেক বিজয়: জামায়াত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১০
অন্তর্বর্তী সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তর হতে পারে: অ্যাটর্নি জেনারেল
চীনে ১০ দিন পর্যন্ত ভিসা ছাড়াই অবস্থানের সুযোগ