যে কারণে মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যাবে না তৃণমূল
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজ রবিবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় (স্থানীয় সময়) শপথ নেবেন এনডিএ জোটের নেতা নরেন্দ্র মোদি। শপথের আগে ভবিষ্যদ্বাণীর মতো করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই সরকার টিকবে না।’ সেই সঙ্গে মমতা এও জানিয়ে দিলেন, মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যাবে না তৃণমূল।
গতকাল শনিবার (৮ জুন) সন্ধ্যায় কালীঘাটে মমতা সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, “যারা ৪০০ পারের কথা বলতেন, তারা একার ক্ষমতায় সংখ্যাগরিষ্ঠতাই অর্জন করতে পারেনি। এটা ভাববেন না যে ইন্ডিয়া জোট সরকার গঠনের দাবি জানায়নি বলে কিছু অঘটন ঘটে যাবে না। আমরা এখন শুধু দেখছি। শেষমেশ নতুন ইন্ডিয়া সরকারই তৈরি হবে। তার আগে কদিন না হয় ওরা সরকার চালিয়ে নিক।”
খোঁচা দিয়ে মমতা বলেন, ‘কখনও কখনও সরকার একদিন স্থায়ী হয়। কে বলতে পারে এই সরকার ১৫ দিন টিকবে কি না।’
মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যাওয়া নিয়ে মমতাকে প্রশ্ন করা তিনি বলেন, ‘আমন্ত্রণ পাইনি। পেলেও আমরা যেতাম না।’
এই প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘এই সরকার অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিকভাবে গঠন হচ্ছে। আমরা এই সরকারকে আমাদের শুভকামনা দিতে পারছি না। তবে দেশ ও দেশের মানুষকে আমাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
এদিকে টানা তৃতীয় বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে বসছেন নরেন্দ্র মোদি। আজ রবিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। এর মাধ্যমে কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহেরুর পর ভারতে টানা তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হবেন বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি। একই দিন শপথ নেবেন তার মন্ত্রিসভার সদস্যরাও।
এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কার্যত সাজ সাজ রব দিল্লি জুড়ে। রাজধানীতে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। থাকছে তিন স্তরের নিরাপত্তা। নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাত দেশের রাষ্ট্র নেতারা। অন্যরা হলেন- শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংঘে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু, সিসিলিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আফিফ, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ কুমার জুগনাথ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল প্রচন্ড এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সেরিং তোবগে। এছাড়াও এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ৮ হাজারের বেশি বিশিষ্টজনকে।