এনডিএ বৈঠকে নীতিশ-নায়ডু'র সমর্থন, তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হবেন নরেন্দ্র মোদি
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। এমন পরিস্থিতিতে সরকার গঠনের জন্য জোটসঙ্গীদের ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে নরেন্দ্র মোদিকে। বিশেষ করে নিতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নাইডুর মতো নেতাদের কদর বেড়েছে মোদির কাছে। আর তারাও মোদিকে নিরাশ করেননি। বিজেপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে সরকার গড়তে তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ও জেডইউ সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করেছে।
বুধবার (৫ জুন) হিন্দুস্তান টাইমসসহ একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের ফলাফলে দেখা গেছে, এবারের নির্বাচনে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এককভাবে ২৪০টি আসন পেয়েছে। অন্যদিকে বিরোধী কংগ্রেস পেয়েছে ৯৯টি আসন। সংবিধান অনুযায়ী ভারতে সরকার গঠনের জন্য কোন দলকে ২৭২টি আসনে জিততে হয়। তাই সরকার গঠনের জন্য জোট গড়তে তোড়জোড় শুরু করে দলগুলো।
এ অবস্থায় ভারতের রাজনীতিতে হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেন মোদির জোটের বিহারভিত্তিক জনতা দল ইউনাইটেডের প্রধান নেতা নীতিশ কুমার ও তেলেগু দেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু।
এই দুই নেতাকে নিজেদের জোটে টানতে তাদের নিয়ে একরকম টানাটানি শুরু হয়। একদিকে ইন্ডিয়া জোট অন্যদিকে এনডিএ। দুই পক্ষই তাদের জোটে ভেড়াতে চাইছে।
নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, চন্দ্রবাবু নাইডুর দল পেয়েছে ১৬টি আসন। অন্যদিকে নীতিশের দল পেয়েছে ১২ টি আসন। দুই দল মিলিয়ে ২৮টি আসন। অতীতেই তাদের দল বদলের ইতিহাস রয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের (এনডিএ) সিনিয়র নেতারা বুধবার নয়াদিল্লিতে একটি বৈঠকে মিলিত হন। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার একদিন পর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক সূত্র বলেছে, নরেন্দ্র মোদিকে সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছে টিডিপি ও জেডিইউ নেতারা। ফলে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ।
এরই মধ্যে তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শনিবার (৮ জুন) শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। এর মধ্যদিয়ে কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহরুর পর টানা তৃতীয়বার দেশটির প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন তিনি। এরই মধ্যে দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন মোদি।