ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করল কলম্বিয়া
ছবি: সংগৃহীত
গাজায় আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন লাতিন আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো।
বুধবার আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে রাজধানী বোগোতায় দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।
তিনি বলেন, গাজায় যে সংকট দেখা দিয়েছে তা সামনে রেখে কোনো দেশই নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে না। তিনি আরও বলেন, 'এখানে আপনাদের সামনে, পরিবর্তনের সরকারের ও এই প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি ঘোষণা দিচ্ছি যে, আগামীকাল আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করব।'
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে গুস্তাভো পেত্রো বলেন, '...তাদের (ইসরায়েলে) এমন একটি সরকার আছে, এমন একজন প্রেসিডেন্ট আছে- যারা গণহত্যাপ্রবণ।'
এর আগে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে 'মানবতাবিরোধী অপরাধ' চালানোর অভিযোগ তুলে তেলআবিব থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে লাতিন আমেরিকার দুই দেশ চিলি ও কলম্বিয়া। সে সময়ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন প্রেসিডেন্ট পেত্রো। সে সময় ইসরায়েলে নিযুক্ত কলম্বিয়ার রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ শেয়ার করা
এক ট্যুইটে তিনি বলেন, 'ইসরায়েল যদি ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর গণহত্যা বন্ধ না করে, আমরা সেখানে থাকতে পারব না।' গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ইস্যুতে দেশটির সঙ্গে প্রথম দেশ হিসেবে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়া।
দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রেডি মামানি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'বলিভিয়া গাজা উপত্যকায় সংঘটিত আক্রমণাত্মক ও অগ্রহণযোগ্য ইসরায়েলি সামরিক আক্রমণ নিন্দাভরে প্রত্যাখ্যান করছে এবং ইসরায়েলি রাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'
বলিভিয়া, চিলি এবং কলম্বিয়া-তিন দেশেই এখন ক্ষমতায় বামপন্থী সরকার। বলিভিয়ার মতো চিলিও ইসরায়েলের ওপর হামাসের হামলার কোনো উল্লেখ করেনি।
গাজায় যুদ্ধের জেরে ২০০৯ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল বলিভিয়া। এরপর ২০২০ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েলের সমালোচক বলিভিয়ার রাষ্ট্রক্ষমতায় এখন প্রেসিডেন্ট লুইস আর্স। গত সোমবার বলিভিয়ায় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত মাহমুদ ইলালওয়ানির সঙ্গে বৈঠকের পর ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন আর্স।