রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বাড়িতে একা রেখে ১০ দিনের ছুটিতে ঘুরতে গেলেন মা, নির্মম মৃত্যু শিশুর

ক্রিস্টেল ক্যান্ডেলারিও এবং তার ১৬ মাসের শিশু জাইলিন ক্যান্ডেলারিও। ছবি: সংগৃহীত

১৬ মাসের শিশুকে একা বাড়িতে রেখে ১০ দিনের জন্য ঘুরতে গেলেন মা। যার পরিণতি হল মর্মান্তিক। ক্ষুধার জ্বালায় মৃত্যু হল শিশুর। এই ঘটনায় শিশুর মায়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই ক্রিস্টেল ক্যান্ডেলারিও নামে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার ক্লিভল্যান্ডে।

কুয়াহোগা কাউন্টির প্রসিকিউটর মাইকেল সি ও’ম্যালি ২০২৩ সালের জুন মাসে ১৬ মাসের মেয়ে জাইলিন ক্যান্ডেলারিওকে হত্যার দায়ে গত সোমবার (১৮ মার্চ) মা ক্রিস্টেল ক্যান্ডেলারিওকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। ক্রিস্টেলের যাবজ্জীবন জেল হয়েছে। বাকি জীবনটা কারাগারেই কাটাতে হবে তাকে। ক্রিস্টেলের প্রতিবেশীরা বলছেন, “উচিত শাস্তি হয়েছে”।

মামলার শুনানির সময় প্রসিকিউটর জানিয়েছেন, ক্যান্ডেলারিও মেয়েকে প্যাক-এন-প্লে প্লেপেনে রেখে ঘুরতে চলে যান।

সহকারী কুয়াহোগা কাউন্টি প্রসিকিউটর আনা ফারাগ্লিয়া ৬ জুন ক্যান্ডেলারিওকে তার স্যুটকেস নিয়ে বের হয়ে ১৬ জুন বাড়িতে ফিরে আসার ভিডিও দেখান আদালতে৷ দশ দিন পর বাড়ি ফিরে দেখেন, মেয়ে নড়াচড়া করছে না। সঙ্গে সঙ্গে ৯১১-এ ফোন করেন ক্যান্ডেলারিও। চিকিৎসকরা আসেন। তারা জেলিনকে পরীক্ষা করে জানান, মেয়ে মারা গিয়েছে।

ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, মৃত্যুর কারণ ডিহাইড্রেশন এবং অনাহার। প্রসিকিউটর জানান, জরুরি সেবা আসার আগে অপরাধ ঢাকার জন্য ক্যান্ডেলারিও জাইলিনকে একটি পরিষ্কার পোশাক পরিয়েছিলেন। কিন্তু পোশাকের পরিবর্তন মেয়েটি যে ভয়াবহতার মধ্য দিয়ে গিয়েছিল তা লুকিয়ে রাখতে পারেনি। এরপর ক্যান্ডেলারিওর নির্মমতার গল্প উদ্ঘাটিত হতে শুরু করে।

ফারাগলিয়া বলেন, ‘জাইলিনকে প্রস্রাব ও মল ঢাকা একটি গদিতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। পশুরাও তাদের শিশুদের আরও ভালোভাবে যত্ন নেয়।’ দুর্বল, ফ্যাকাসে চোখ, শুকনো ঠোঁট, মুখ এবং নখের মধ্যে মল লেগে ছিল জাইলিনের। মৃত্যুর দুই মাস আগের তুলনায় তার ওজন সাত পাউন্ড কম ছিল।

একজন মা কীভাবে এই কাজ করতে পারেন? অবাক বিচারকও। সাজা ঘোষনার সময় কাউন্টি কমন প্লিজ কোর্টের বিচারক ব্রেন্ডন শিহান এটাকে “চূড়ান্ত বিশ্বাসঘাতকতা” বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “মেয়েকে যেমন বন্দি করে রেখেছিলেন, বাকি জীবনটা আপনাকেও সেভাবে কাটাতে হবে”। ক্যান্ডেলারিও আদালতে জানান, তিনি ডিপ্রেশনে ভুগতেন। কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনাও প্রকাশ করেন। তবে বিচারক শেষ পর্যন্ত কোনো প্যারোল ছাড়াই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।

সাজা ঘোষণার পর, প্রসিকিউটর ও’ম্যালি এবং ক্লিভল্যান্ড ডিভিশনের পুলিশ প্রধান ডরোথি টড জেলিনের মর্মান্তিক মৃত্যুর জন্য শোকপ্রকাশ করেন। পাশাপাশি তিনি জানান, এই ধরনের ঘটনায় দোষীদের কড়া শাস্তির সবরকম ব্যবস্থা করবেন তারা। বিচারক ও’ম্যালি একে “মায়ের অকল্পনীয় স্বার্থপরতা” আখ্যা দেন।

তিনি বলেন, “পিতামাতা দায়িত্বের অবহেলা করলে কী ভয়ঙ্কর পরিণতি হতে পারে, এটা তার উদাহরণ”। পাশাপাশি কোনও কঠিন শাস্তিই শিশু জাইলিনকে ফিরিয়ে আনতে পারবে না বলেও দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি।

জানা গেছে, ক্যান্ডেলারিও ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ক্লিভল্যান্ডের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিটিজেনস একাডেমি গ্লেনভিলে কাজ করছিলেন। তাঁর গ্রেফতারের খবর প্রকাশ্যে আসতেই স্কুল একটি বিবৃতি জারি করে ক্যান্ডেলারিওকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করার কথা ঘোষণা করে।

Header Ad
Header Ad

আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে তাদের চিকিৎসা বন্ধ রাখতে ও ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনই এক প্রমাণ প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আদালতে পূর্বনির্ধারিত শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, "আমরা রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) পরিদর্শনে গিয়ে জানতে পারি, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে একবার হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তখন তিনি চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’—অর্থাৎ আহতদের চিকিৎসা না দিতে এবং কাউকে ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দেন।"

তিনি আরও বলেন, "এই নির্দেশের কথা আহত রোগী, তাদের স্বজন এবং হাসপাতালের চিকিৎসকরাও আমাদের জানিয়েছেন। আমরা এর তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি এবং আদালতে তা উপস্থাপন করেছি।"

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর জানান, "জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের মৃতদেহ সুরতহাল করতে দেওয়া হয়নি, ডেথ সার্টিফিকেটেও গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্য লুকানো হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বা জ্বরের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি আন্দোলনে শহীদদের লাশ দাফন করতে গেলে পুলিশের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের পরিবারকে।"

তিনি বলেন, "আদালত জানতে চেয়েছেন, শহীদদের সুরতহাল প্রতিবেদন বা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট কেন নেই। আমরা আদালতকে জানিয়েছি, সে সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, দ্রুত লাশ দাফনে বাধ্য করা হয়েছিল। ফলে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন তৈরি করা সম্ভব হয়নি।"

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্মমতার এসব প্রমাণ যাচাই-বাছাই ও ফরেনসিক বিশ্লেষণের পর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার প্রমাণ হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।"

এই মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ চলমান রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রসিকিউটর।

Header Ad
Header Ad

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক আদালতে শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদন করেন, যা শুনানি শেষে মঞ্জুর করা হয়।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন এবং দেশ-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।

এছাড়া, বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা এসব অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে এসব সম্পদ স্থানান্তর হয়ে গেলে তা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে।

ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ এবং সরকারের অনুকূলে রাখার স্বার্থে শেয়ারগুলোর পাশাপাশি সেগুলো থেকে উদ্ভূত মুনাফা, আয় ইত্যাদি জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

থাকবে না সরকারি ছুটি

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা

পিলখানা হত্যাকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে আজই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এ বছর থেকে দিবসটি পালন করা হবে। তবে এ দিনে থাকবে না সরকারি ছুটি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের এমন বক্তব্যের কিছু সময় পরই ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল