ফাঁসির ৪৪ বছর পর ভুট্টোর মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাস
ফাইল ছবি
১৯৭৭ সালের এপ্রিলে জেনারেল জিয়া-উল-হককে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হিসেবে মনোনীত করেন দেশেটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো। এই পদে নিয়োগ পাওয়ার মাত্র চার মাসের মাথায় অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জাতীয় ক্ষমতা দখল করেন জিয়া-উল-হক, আর গ্রেফতার করেন ভুট্টোকে। গ্রেফতারের দুই বছর পর ১৯৭৯ সালের ৪ এপ্রিল এক হত্যা মামলায় ফাঁসি দেয়া হয় তাকে।
এক প্রতিবেদনে জিও নিউজ জানিয়েছে, পাকিস্তানের পার্লামেন্টে প্রস্তাবটি আনেন পিপিপি সদস্য শাজিয়া মারি। তিনি প্রস্তাবে ভুট্টোর বিচার ও তার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিষয়টিকে ‘বিচার ব্যবস্থার বড় ব্যর্থতা’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
২০১১ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ভুট্টো ‘যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া এবং সুষ্ঠু বিচার মেনে চলা হয়েছিল’ কিনা সে সম্পর্কে আদালতের ‘মতামত’ জানতে চেয়েছিলেন। সেই মতামতে গত ৬ মার্চ পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট জানান, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ন্যায়বিচার পাননি।
উল্লেখ্য, আসিফ আলী জারদারি হলেন জুলফিকার আলী ভুট্টোর মেয়ে বেনজির ভুট্টোর স্বামী। পাকিস্তানের দুবারের প্রধানমন্ত্রী বেনজিরকে ২০০৭ সালে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে হত্যা করা হয়। তাদের পুত্র বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বর্তমানে পাক শাসকজোটের অন্যতম নেতা।