সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৩ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী পরিবারের শীর্ষে আরব আমিরাতের 'আল নাহিয়ান'

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ২৫ পরিবারের তালিকা প্রকাশ করেছে ব্লুমবার্গ। প্রকাশিত তালিকায় প্রথমবারের মতো বিশ্বের ধনী পারিবারের তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে আরব আমিরাতের আল নাহিয়ান পরিবার। এক্ষেত্রে তারা পেছনে ফেলেছে ওয়ালমার্টের মালিকানাধীন পরিবার ওয়ালটনকে।

আল নাহিয়ান পরিবারের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩০৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওয়ালটন পরিবারের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২৫৯ বিলিয়ন।

১৯৭১ সালে শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানকে প্রেসিডেন্ট করে সংযুক্ত আরব আমিরাত গঠিত হয়। ২০০৪ সালে শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান সংযুক্ত আরব আমিরাতের নতুন প্রধান হিসাবে তার বাবার স্থলাভিষিক্ত হন।

আর শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ ২০২২ সালে আরব আমিরাতের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হন। গত চার বছরে তাদের কোম্পানিগুলোর স্টক প্রায় ৭ হাজার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তালিকার তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ফ্রান্সের হারমেস পরিবার। বিলাবহুল পণ্যের ব্যবসা করা পরিবারটি মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৫০ বিলিয়ন। ছয় প্রজন্ম ধরে রয়েছে পরিবারটির ব্যবসা।

তালিকার চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মার্স পরিবার। কনফেকশনারি ও পেট কেয়ারের ব্যবসা করা পরিবারটির সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৪২ বিলিয়ন ডলার। পাঁচ প্রজন্ম ধরে পরিবারটি এই ব্যবসার সাথে জড়িত।

চমক হিসেবে তালিকার পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে কাতারের রয়েল পরিবার আল থানি। তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৩৩ বিলিয়ন ডলার। আট প্রজন্ম ধরে চলছে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম।

ব্লুমবার্গ চলতি বছরের মোট ২৫ টি ধনী পরিবারের নাম প্রকাশ করেছে। এই গোষ্ঠীটি গতবারের র‌্যাঙ্কিংয়ের তুলনায় আরও ১.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি সম্পদ আয় করেছে।

৬. কোচ পরিবার
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পরিবারটি মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাদের কোম্পানির নাম কোচ ইন্ডাস্ট্রিস। গত তিন প্রজন্ম ধরে পরিবারটি ব্যবসা করছে।

৭. আল সৌদ পরিবার

সৌদি আরবের আল সৌদ পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ১১২ বিলিয়ন ডলার। তাদের মূল ব্যবসা মূলত তেলের। গত তিন প্রজন্ম ধরে তারা ব্যবসা করে আসছে। দেশটিতেই রয়েছে বিশ্বের সন্ধান পাওয়া পেট্রোলিয়ামের প্রায় এক-পঞ্চমাংশের মজুদ।

৮. আম্বানি পরিবার
ভারতের শীর্ষ ধনী আম্বানি পরিবারের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৯০ বিলিয়ন ডলার। মুকেশ আম্বানির নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজসহ আরও কিছু কোম্পানির মালিক আম্বানি পরিবার। তিনি যে বাড়িতে থাকেন সেটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল বাড়ি বলা হয়।

৯. ওয়ার্থাইমার পরিবার
ফ্রান্সের পরিবারটির মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চ্যানেল নামক কোম্পানিটির মাধ্যমে পরিবারটি বিলাসবহুল পণ্যের ব্যবসা করে।

১০. থমসন পরিবার
পরিবারটির মালিকানাধীন কোম্পানি বহুল পরিচিত থমসন রয়টার্স। গণমাধ্যম ব্যবসার সম্পৃক্ত পরিবারটির মোট সম্পদের পরিমাণ ৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। টরোন্টোভিত্তিক কোম্পানিটি গত বছর ৬ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।

১১.কারগিল, ম্যাকমিলান পরিবার
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পরিবারটির কোম্পানির নাম কারগিল। তাদের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত ৭ প্রজন্ম ধরে তারা ব্যবসা করে আসছে।

১২. জনসন পরিবার
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পরিবারটির মালিকানাধীন কোম্পানিটির নাম ফিডেলিটি ইনভেস্টমেন্ট। তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২২ সালে ফাইনান্স কোম্পানিটি প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করেছে।

১৩. বোহরিঙ্গার, ভন বামবাচ
জার্মানভিত্তিক পরিবারটি ফার্মাসিটিক্যাল ব্যবসার সাথে জড়িত। তাদের কোম্পানির নাম বোহরিঙ্গার ইঙ্গেলহাইম। তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

১৪. কোয়ান্ডটি

জার্মানভিত্তিক পরিবারটির মালিকানার রয়েছে বিশ্ববিখ্যাত গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি বিএমডব্লিউ। তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ।

১৫. আলব্রেচট পরিবার
জার্মানভিত্তিক পরিবারটির মালিকানাধীন কোম্পানির নাম আলদি। তারা মূলত কনজিউমার রিটেইলারের ব্যবসা করেন। তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

১৬. প্রিটজকার পরিবার
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পরিবারটির মালিকানাধীন কোম্পানি হায়াট হোটেলস। তাদের সম্পদের পরিমাণ ৪৬ বিলিয়ন ডলার।

১৭. হফম্যান পরিবার
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক পরিবারটির মালিকানাধীন কোম্পানির নাম রচে। তাদের মূল ব্যবসা ফার্মাসিটিক্যাল। পরিবারটির মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

১৮. ভ্যান ড্যামে, ডি স্পোয়েলবার্চ, ডি মেভিয়াস পরিবার
বেলজিয়ামভিত্তিক পরিবারটি বেভারেজ ব্যবসার সাথে জড়িত। তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

১৯. হারটোনো পরিবার
ইন্দোনেশিয়াভিত্তিক পরিবারটি কোম্পানির নাম জোরাম। ফাইনান্সের ব্যবসা করা পরিবারটির সম্পদের পরিমাণ ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

২০. ডাসাউলট পরিবার
ফ্রান্সভিত্তিক পরিবারটির নাম ডাসাউলট সিস্টেম। তারা মূলত সফটওয়্যার আর এভিয়েশনের ব্যবসা করেন। পরিবারটির সম্পদের মোট পরিমাণ প্রায় ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

২১. কক্স পরিবার
মার্কিন পরিবারটির কোম্পানির নাম কক্স এন্টারপ্রাইজেস। তারা মূলত কমিউনিকেশনস ও অটোমোবাইলে ব্যবসা করে থাকেন। পরিবারটির সম্পদের মোট পরিমাণ ৩৬ বিলিয়ন ডলার।

২২. মুলিয়েজ পরিবার
ফ্রান্সভিত্তিক পরিবারটির মালিকানাধীন কোম্পানির নাম ওচান। তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৩৪ বিলিয়ন ডলার। পরিবারটি গত চার প্রজন্ম ধরে ব্যবসা করে থাকে।

২৩. ফেরেরো পরিবার
পরিবারটি মূলত কনফেকশনারি ব্যবসার সাথে জড়িত। তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৩৩ বিলিয়ন ডলার।

২৪. কিওক পরিবার
হংকংভিত্তিক পরিবারটির কোম্পানির নাম সান হুং কাই প্রপারটিজ। তারা মূলত আবাসন ব্যবসা করে থাকেন। তাদের সম্পদের মোট পরিমাণ প্রায় ৩২ বিলিয়ন ডলার।

২৫. ডানকান পরিবার
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পরিবারটির সম্পদের পরিমাণ ৩২ বিলিয়ন ডলার। ১৯৬৮ সালে তিনি প্রাকৃতিক গ্যাসের লিকুইড হোলসেলার প্রতিষ্ঠান এন্টারপ্রাইজ প্রোডাক্ট পার্টনারস প্রতিষ্ঠা করেন।

Header Ad
Header Ad

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেত্রী দোলনা আক্তার গ্রেপ্তার

দোলনা আক্তার । ছবি: সংগৃহীত

নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দোলনা আক্তারকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নিজ গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের কবিরমামুদ গ্রামের দুলাল হোসেনের কন্যা।

পুলিশ জানিয়েছে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর দোলনা আক্তার আত্মগোপনে চলে যান এবং দীর্ঘদিন ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় লুকিয়ে ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশে চালু হওয়া ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানের মধ্যে গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি নিজ গ্রামের বাড়িতে আশ্রয় নেন। তবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার অবস্থান শনাক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন, গত ৪ আগস্ট ফুলবাড়ীতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দোলনা আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আগামীকাল (সোমবার) তাকে আদালতের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে পাঠানো হবে।

Header Ad
Header Ad

গঙ্গা পানি চুক্তি নবায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

ওমানের মাস্কটে ৮ম ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সের অবকাশে জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ওমানের মাস্কটে আয়োজিত অষ্টম ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সের অবকাশে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিল গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দুই নেতার মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠক।

বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, উভয়পক্ষ পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বিশেষভাবে গঙ্গা পানি চুক্তির নবায়ন সংক্রান্ত আলোচনার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে তিনি দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) স্থায়ী কমিটির বৈঠক আয়োজনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন এবং ভারতকে বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ জানান।

বৈঠকে দুই দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের আলোচনা নিয়েও আলোচনা হয়। উভয়পক্ষ আশা প্রকাশ করেন যে, এই আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের পথ প্রশস্ত হবে।

এদিকে, সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হতে যাওয়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) চার দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের পর এই প্রথমবার দুই দেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিজিবির মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এই সম্মেলনে অংশ নেবে।

বৈঠক শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে জয়শঙ্কর জানান, আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, যেখানে বিমসটেকসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

Header Ad
Header Ad

মিঠাপুকুরে এক যুগেও চালু হয়নি ইকোপার্ক, শত কোটি টাকার প্রকল্প প্রশ্নবিদ্ধ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

রংপুরের মিঠাপুকুরে ইকোপার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল এক দশকেরও বেশি সময় আগে। এটি ছিল উপজেলার একমাত্র বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রকল্প। তবে বাস্তবে এটি পরিণত হয়েছে মাদকসেবী, বখাটে ও অসামাজিক কার্যকলাপকারীদের অভয়ারণ্যে।

২০১৩ সালে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচ এন আশিকুর রহমান। তখন প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ১০০ কোটি টাকা। তবে দীর্ঘ এক যুগেও প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। বরং, বরাদ্দ বাড়লেও উন্নয়ন কার্যক্রম তেমন অগ্রগতি লাভ করেনি।

বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ইকোট্যুরিজম উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২২৬ একর জায়গায় মিঠাপুকুর ইকোপার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়। এতে বিশ্রামাগার, রান্নাঘর, পার্কিং এলাকা, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, গোলঘর, টিকিট কাউন্টার, প্রবেশদ্বার, নিরাপত্তাকক্ষ, গণশৌচাগার, পানির ট্যাংক, পানির সরবরাহ লাইন, পুরাতন বন বিশ্রামাগার উন্নয়ন, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের ব্যারাক, পার্ক অফিস ভবন, ডিসপ্লে মানচিত্র, আমব্রেলা শেড, স্পিনার, পাকা বেঞ্চ নির্মাণসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু বাস্তবে, শুধুমাত্র সীমানা প্রাচীর ও কিছু দায়সারা কাজ ছাড়া প্রকল্পটির তেমন কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। এমনকি ইকোপার্কের প্রধান ফটক আজও সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি।

স্থানীয়দের মতে, এই প্রকল্পের শত কোটি টাকার বরাদ্দ কোথায় গেল, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। মিঠাপুকুর ইকোপার্কটি রংপুরের শঠিবাড়ী-দিনাজপুরের আফতাবগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। একই মহাসড়কের ২৫ কিলোমিটার পশ্চিমে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের ব্যক্তিগত বিনোদনকেন্দ্র 'স্বপ্নপুরী' রয়েছে। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, স্বপ্নপুরীর জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে মিঠাপুকুর ইকোপার্কের উন্নয়ন ইচ্ছাকৃতভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে এবং বরাদ্দকৃত অর্থ লোপাট করা হয়েছে।

সরেজমিনে ইকোপার্ক পরিদর্শন করে দেখা যায়, সেখানে গরু, ছাগল ও ঘোড়া চরছে। প্রবেশদ্বারে কোনো পাহারাদার নেই, চারপাশে সীমানা প্রাচীর থাকলেও একাধিক জায়গায় ভাঙা। এসব পথ দিয়ে বহিরাগত ও মাদকসেবীরা অবাধে প্রবেশ করে সেখানে মাদকের আসর বসায়। দর্শনার্থীরা আসলেও নিরাপত্তার অভাবে দ্রুত ফিরে যান। বিভিন্ন অবকাঠামোর যন্ত্রপাতি অযত্নে নষ্ট হতে বসেছে।

স্থানীয় ১৩ নম্বর গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ তালুকদার বলেন, "ইকোপার্কের প্রকল্পে কত কোটি টাকার কাজ হয়েছে, তার সঠিক তথ্য মন্ত্রণালয়ের নথিতেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ইউনিয়ন পরিষদেও কোনো নথি জমা হয়নি। মূলত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডিজেল এন্টারপ্রাইজ নিজের ইচ্ছামতো কাজ করেছে।"

এ বিষয়ে বিএনপির মিঠাপুকুর উপজেলা সদস্য সচিব মোঃ মোতাহারুল ইসলাম নিক্সন পাইকাড় বলেন, "আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের প্রতি কোনো জবাবদিহিতা রাখেনি। তাদের নেতাকর্মীরা যেখানে যা পেরেছে লুটপাট করেছে। আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, তখনও জানতে পেরেছি যে এখানে ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প চলছে। কিন্তু বাস্তবে কাজের অগ্রগতি নেই বললেই চলে।"

তিনি আরও বলেন, "এইচ এন আশিকুর রহমান সংসদে বাজেট বরাদ্দ এনে তার ছেলে রাশেক রহমানের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডিজেল এন্টারপ্রাইজকে কাজ দিয়েছেন। তবে কাজের মান কিংবা প্রকৃত বাস্তবায়ন হয়নি।"

মিঠাপুকুর ইকোপার্ক প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রিতা ও অর্থ লোপাটের অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার বলে অনেকেই মনে করেন। বরাদ্দকৃত অর্থের সঠিক ব্যবহার না হলে, এটি শুধুই একটি ব্যর্থ প্রকল্প হিসেবে থেকে যাবে। স্থানীয়দের প্রত্যাশা, প্রকল্পটি পুনরায় কার্যকর করা হোক এবং এলাকাবাসীকে কাঙ্ক্ষিত বিনোদনকেন্দ্র উপহার দেওয়া হোক।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেত্রী দোলনা আক্তার গ্রেপ্তার
গঙ্গা পানি চুক্তি নবায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক পররাষ্ট্র উপদেষ্টার
মিঠাপুকুরে এক যুগেও চালু হয়নি ইকোপার্ক, শত কোটি টাকার প্রকল্প প্রশ্নবিদ্ধ
মসজিদে নববীর প্রধান ইমাম হলেন শেখ আব্দুল রহমান আল হুদাইফি
মালিতে পরিত্যক্ত সোনার খনি ধসে পড়ে অন্তত ৪৮ জন নিহত
কেমন হলো টাইগারদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জার্সি
‘হজযাত্রী প্রতি অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা বেশি নিয়ে আমরা ভাগ করে নেব’
হঠাৎ তিস্তার পানি বৃদ্ধি: অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণার পর খুলল ৬ জলকপাট
বইমেলায় স্যানিটারি ন্যাপকিন বিক্রির অভিযোগে দুটি স্টল বন্ধ
ভ্যালেন্টাইনের সঙ্গে পরিচয় করানোর নামে লাইভে এসে কাপড় বেচলেন পরীমণি
উত্তরপূর্ব ভারতের ৫৫ শতাংশ মানুষ শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পক্ষে
দেশকে কারা নেতৃত্ব দেবে তা বাছাই করার সময় এসেছে: তারেক রহমান
বিদ্রোহ থেকে সরে এলেও অনুশীলনে যোগ দিচ্ছেন না সাবিনারা
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগপ্রত্যাশীদের সচিবালয়মুখী পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, জলকামান নিক্ষেপ
নির্বাচনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা, গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা ব্যারিস্টার মামুনের
গান গাইতে গাইতেই মারা যেতে চান আশা ভোঁসলে
ইলন মাস্কের ইন্টারনেট বাংলাদেশে: সুবিধা কি, খরচ কত?  
ভারতের তামিলনাড়ুর শতবর্ষী ম্যাগাজিনে মোদির ব্যঙ্গচিত্র, ওয়েবসাইট ব্লক নিয়ে বিতর্ক
সেন্টমার্টিনে কোস্টগার্ডের অভিযানে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার
শেখ হাসিনার পতন হলেও দেশে এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি: রিজভী