এবার জার্মানিতে লকডাউন ঘোষণা
ছবি : সংগৃহীত
করোনার সংক্রমণ বিস্তার ঠেকাতে অস্ট্রিয়ার পরে এবার লকডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছে ইউরোপের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ জার্মানি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) দেশটির সরকার করোনার টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য এ লকডাউন ঘোষণা করে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, আগামী কয়েকমাসের মধ্যে জার্মানিতে বাধ্যতামূলক টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন দেশটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
বিদায়ী চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মেরকেল এবং তার উত্তরসূরি ওলাফ শলৎস বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন। তারা বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের সুপারমার্কেট এবং ফার্মেসির মতো অতি প্রয়োজনীয় ব্যবসা ছাড়া অন্য সব স্থানে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে। করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্ভূত নতুন সংকট নিয়ে আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পরে তারা এই কথা বলেন। এ সময় আরও বলা হয়, যারা সম্প্রতি ভাইরাস থেকে সেরে উঠেছে তারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত নয়।
এই দুই নেতা বাধ্যতামূলক টিকা দেওয়ার প্রস্তাবকেও সমর্থন করেছিলেন। সংসদের মাধ্যমে ভোট দিলে এই প্রস্তাব আগামী ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকর হতে পারে বলে জানা গেছে।
কঠোর বিধিনিষেধের অধীনে, টিকা নেওয়া ব্যক্তিরা কেবল অন্য পরিবারের দুই জনের সঙ্গে দেখা করতে পারবে। এ ছাড়া যেসব এলাকায় সপ্তাহে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ৩৫০ জনের বেশি মানুষের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে, সেসব এলাকার বার এবং নাইটক্লাবগুলো বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়া দেশটি ফুটবল ম্যাচের মতো বড় ইভেন্টে লোকের সংখ্যাও সীমিত করবে বলে জানা গেছে।
এঙ্গেলা মেরকেল এবং ওলাফ শলৎস এমন সময় এই সংবাদ সম্মেলন করলেন যখন জার্মানিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এ ছাড়া নতুন আবিষ্কৃত করোনার ধরন অমিক্রন ছড়িয়ে পড়াও ঝুঁকি রয়েছে দেশটিতে।
জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব ছাড়ার আগে মেরকেল এই সংবাদ সম্মেলন করলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছি যে পরিস্থিতি খুব গুরুতর, আমরা ইতিমধ্যে নেওয়া ব্যবস্থাগুলোর পাশাপাশি নতুন কিছু ব্যবস্থা নিতে চাই। এ সময় তিনি আরও বলেন, করোনার চতুর্থ ঢেউ অবশ্যই ভাঙতে হবে।'
এঙ্গেলা মেরকেল আরও বলেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক হতে পারে। জার্মানির এথিক্স কাউন্সিলের নির্দেশনা অনুসরণ করার পর সংসদের একটি বিতর্ক শেষে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, যারা টিকা নিয়েছেন তারা নয় মাস পরেই তাদের টিকার কার্যকারিতা হারাবেন। মূলত টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়া উৎসাহিত করতে এই পদক্ষেপ।
টিটি/এসএ/