ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান
ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলি ভূখণ্ডে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা শুরু করেছে ইরান। শতাধিক ড্রোন ইসরায়েলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি)। ‘ট্রু প্রোমিজ’ নামে অভিযানের আওতায় এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ইরানের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পক্ষ থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে এ তথ্য।
রোববার (১৪ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একের পর এক ড্রোন ছুড়তে থাকে ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) সেনারা। এসব ড্রোন এখন ইসরায়েলের দিকে ছুটে যাচ্ছে। ইসরায়েলের ভূখণ্ডে পৌঁছাতে ড্রোনগুলোর প্রায় ৯ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের বিমানবাহিনী শতাধিক ড্রোন শনাক্ত করেছে। ড্রোনের পাশাপাশি ইরান আরও বেশকিছু সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাবে এমন সম্ভাবনা নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী।
ইতোমধ্যে সংবাদ সম্মেলনে ইরানি ড্রোন হামলার কথা নিশ্চিত করেছেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি। তিনি বলেছেন, ড্রোনগুলোর গতিপথে নজর রাখছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। ড্রোনগুলো প্রতিহত করতে জিপিএস প্রযুক্তিতে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। ইসরায়েলি আকাশসীমায় ড্রোনগুলো প্রবেশ করলেই কেবল সাইরেন বাজানো হবে। যত দ্রুত সম্ভব ড্রোনগুলো প্রতিহত করার চেষ্টা করবে তাদের সেনাবাহিনী।
প্রসঙ্গত, এই প্রথম ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে সরাসরি হামলা চালালো ইরান। তবে এই হামলার লক্ষ্যবস্তু এখনও স্পষ্ট নয়। দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলের আকাশসীমার বাইরেই বেশিরভাগ ড্রোনকে ভূপাতিত করার পরিকল্পনা তাদের। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও আরও কয়েকটি দেশ সহযোগিতা করবে তাদেরকে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আমোস ইয়াদলিন দেশটির চ্যানেল ১২ নিউজকে বলেছেন, ইরানি ড্রোনগুলো প্রতিটি ২০ কেজি করে বিস্ফোরক দিয়ে সজ্জিত।
এদিকে এ ঘটনায় নির্ধারিত সফর সূচি বাতিল করে ওয়াশিংটন ফিরছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইরানের এই হামলা নিয়ে হোয়াইট হাউজে জাতীয় নিরাপত্তা টিমের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, মার্কিন নিরাপত্তা টিমের সদস্যরা নিয়মিত ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। পাশাপাশি অপর অংশীদার ও মিত্রদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন স্পষ্ট করে বলেছেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি মার্কিন সমর্থন লৌহদৃঢ়। ইসরায়েলি জনগণের পাশেই থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।
হামলার প্রেক্ষিতে নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। আকাশসীমা বন্ধের পাশাপাশি সবধরনের বিমান চলাচল স্থগিত ঘোষণা করেছে ইরাক এবং জর্ডানও।