বিএনপির অবশিষ্ট কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির আহ্বান জাতিসংঘের
অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডোজারিক। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে কারাবন্দি বিরোধী দলের অবশিষ্ট নেতাকর্মীদের মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন ইস্যুতে আয়োজিত ব্রিফিং এবং প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতিসংঘের একজন স্থায়ী সংবাদদাতা জানতে চান, বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারির লজ্জাজনক নির্বাচনের আগে ২৫ হাজারেরও বেশি বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদের মধ্যে ১৩ জন কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন। আন্তর্জাতিক চাপের কারণে এসব নেতাকর্মীদের মধ্যে কয়েকজনকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। অবশিষ্ট নেতাকর্মীদের মুক্তির বিষয়ে আপনারা কি আহ্বান জানাবেন?
এমন প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডোজারিক বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত এসব নেতাকর্মীদের মুক্তির বিষয়ে সে দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছি।
ব্রিফিংয়ে ড. ইউনূস ইস্যুতে জাতিসংঘের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে যা ঘটছে সেই পরিস্থিতিকে জাতিসংঘ কীভাবে নজরে রেখেছে?
জবাবে স্টিফেন ডোজারিক বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের যে টিম রয়েছে তারা ড. ইউনূসের ঘটনাবলির ওপর গভীর নজর রাখছে।
তিনি বলেন, প্রফেসর ইউনূস জাতিসংঘের একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ক্যারিয়ারের পুরো সময়জুড়ে জাতিসংঘের সঙ্গে নানাভাবে তিনি জড়িয়ে আছেন। আজ আমরা উন্নয়নের জন্য যা করছি সেই বিবেচনায় মনে করি ড. ইউনূসের কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ওই সংবাদদাতা আরও জানতে চান, নোবেল বিজয়ী এবং ক্ষুদ্র ঋণের প্রবর্তক প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে যা হচ্ছে সে বিষয়ে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট কী অবগত রয়েছেন?
জবাবে সাধারণ অধিবেশনের মুখপাত্র মনিকা গ্রেইল বলেন, বাংলাদেশে ড. ইউনূস ইস্যুতে যা ঘটছে তার দিকে নজর রাখছেন প্রেসিডেন্ট। আমি মনে করি এর আগে জাতিসংঘের মুখপাত্র ডোজারিকসহ অন্যরা যা বলেছেন এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আমি একমত।
এরপর যা বলবে, আমরা প্রফেসর ইউনূসের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে যাচ্ছি। আমরা প্রফেসর ইউনূসের ইতিহাস জানি, তিনি কাজের মাধ্যমে যেসব অবদান রেখেছেন তাও জানি। প্রকৃতপক্ষে তিনি জাতিসংঘের খুব ভালো একজন বন্ধু।