বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

কম-শর্করার পথ্য কি মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ায়?

'প্রমাণ-নির্ভর চিকিৎসা বিজ্ঞান' বা 'এভিডেন্স বেজড মেডিসিন' হচ্ছে বিজ্ঞানের নিয়ম মেনে বাস্তবতার নিরিখে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে চিকিৎসা পরামর্শ তৈরি করা। 'প্রমাণ-নির্ভর বিজ্ঞান' এর বিভিন্ন স্তর রয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে নির্ভর যোগ্য হলো প্রণালীবদ্ধ পর্যালোচনা বা 'সিস্টেমেটিক রিভিউ'।

'কিটো-ডায়েট' এর ব্যাপারে এরকম দুটো রিভিউ আজ আলোচনা করছি।

ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজি (ESC) হচ্ছে ১৫০টিরও বেশি দেশের হৃদরোগ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য পেশাজীবিদের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সংগঠন। প্রায় আশি হাজার বিশেষজ্ঞ এবং সাতান্নটি জাতীয় হৃদরোগ সমিতি এর সদস্য।

ইএসসি'র বার্ষিক সম্মেলন বা কংগ্রেস হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের সবচেয়ে বড় ও প্রভাবশালী সম্মেলন। এখানে উপস্থাপিত বৈজ্ঞানিক নিবন্ধের আলোকে বিভিন্ন হৃদরোগ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা বা গাইডলাইন তৈরি হয়, পরবর্তীতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের চিকিৎসকরা এই নীতিমালাগুলো অনুসরণ করেন।

২০১৮ সালে আগষ্ট মাসের ইএসসির সম্মেলনে লো-কার্ব ডায়েটের উপর একটা বড় গবেষণার ফল উপস্থাপন করা হয়। এতে পরিষ্কারভাবে প্রতীয়মান হয়, দীর্ঘ মেয়াদে লো-কার্ব ডায়েটগুলো বিপদজনক আর তাই এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।

গবেষণার ফল ব্যাখ্যা করে পোল্যান্ডের উঝ (Lodz) মেডিকেল ইউনিভার্সিটির গবেষক প্রফেসর মা'চেই বানাখ (Maciej Banach) বলছেন: ‘আমরা দেখছি যারা লো-কার্ব ডায়েট বা কম শর্করার খাবার গ্রহণ করেছিলেন তাদের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি ছিল। শুধু তাই না, আলাদা করে করোনারি হার্ট ডিজিজ বা হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং ক্যান্সার - এগুলোতে মৃত্যুর ঝুঁকিও ছিল বেশি। তাই এই ডায়েটগুলি এড়িয়ে চলা উচিত।''

স্থুলতা বা মেদবাহুল্য দুনিয়াজুড়ে একটি বড় স্বাস্থ্য সমস্যা। অতিরিক্ত ওজন হৃদরোগ, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ, টাইপ টু ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারসহ বেশ কয়েকটি দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি তৈরি করে।

ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন রকম ডায়েটের পরামর্শ দেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি হলো, 'লো-কার্ব' ডায়েট বা কম শর্করাসহ বেশি আমিষ ও বেশি চর্বি সমৃদ্ধ খাবার। আমাদের দেশে বহুল আলোচিত 'কিটো ডায়েট' 'লো-কার্ব' ডায়েটগুলোর মধ্যে একটি। এই ডায়েটের দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষা নিয়ে এতোকাল বিতর্ক ছিল৷

আগের গবেষণাগুলোতে হৃদরোগ বা স্ট্রোক, ক্যান্সার এবং মৃত্যুর ঝুঁকিতে 'লো-কার্ব' ডায়েটের প্রভাব নিয়ে পরস্পর-বিরোধী ফল দেখানো হয়েছিলো।

নিয়ম অনুসারে খাবারে শক্তির উৎস বা ক্যালোরির ৫০ থেকে ৫৫ ভাগ আসা উচিত কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা থেকে। এর পরিমাণ যদি বিশ ভাগের কম হয় তাহলে একে 'লো-কার্ব ডায়েট' বা কম শর্করার পথ্য বলতে পারি।

এবারের গবেষণায় মার্কিন জাতীয় স্বাস্থ্য ও পুষ্টি জরিপ (National Health and Nutrion Examination Survey) এর ২৪ হাজার ৮২৫ জন অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে 'লো-কার্ব' বা কম শর্করার ডায়েট এর সঙ্গে যে কোনো কারণে মৃত্যু এবং করোনারি হার্ট ডিজিজ বা হৃদরোগ, সেরিব্রোভাসকুলার ডিজিজ (স্ট্রোক সহ) এবং ক্যান্সারের মধ্যকার সম্পর্কের সম্ভাবনা পর্যালোচনা করা হয়েছে (১৯৯৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত)। এতে দেখানো হয়, 'লো-কার্ব' ডায়েট অনুসারীদের যে কোন কারণে মৃত্যু ৩২ শতাংশের বেশি। করোনারি হার্ট ডিজিজ (হৃদরোগ), সেরিব্রোভাসকুলার ডিজিজ (স্ট্রোক) এবং ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি যথাক্রমে ৫১%, ৫০% এবং ৩৫% বেড়েছে।

যারা মেদবাহুল্য বা স্থূলতায় ভুগছেন না অথচ লো-কার্ব ডায়েটের অনুসারী ছিলেন আর যারা বয়স্ক তাঁদের মধ্যে এ ঝুঁকির প্রবণতা ছিল বেশি।

NHANES এর গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের গড় বয়স ছিল ৪৭.৬ বছর, এবং ৫১% ছিলেন নারী।

পরবর্তীতে সাতটি বড়সড় সমীক্ষা ও গবেষণা নিয়ে একটি অধি-বিশ্লেষণ (Meta-analysis) করা হয়। এতে ছিলেন মোট ৪৪৭,৫০৬ জন অংশগ্রহণকারী এবং গড়পড়তা ১৫.৬ বছর ধরে এদের অনুসরণ করা হয়। এতে পাওয়া গেছে, লো-কার্ব ডায়েট অনুসারীদের হৃদরোগ, স্ট্রোক ও ক্যান্সারে অতিরিক্ত মৃত্যু ঝুঁকি হচ্ছে যথাক্রমে ১৫%, ১৩%, এবং ৮%।

অধ্যাপক বানাখ বলেছেন: "কম শর্করার ডায়েটগুলি ওজন কমাতে, রক্তচাপের উন্নতি করতে এবং রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করতে স্বল্পমেয়াদে কার্যকর হতে পারে তবে এ গবেষণায় বোঝা যায় যে দীর্ঘমেয়াদে এগুলি সরাসরি মৃত্যু-ঝুঁকির সাথে যুক্ত রয়েছে এবং এতে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ (হৃদরোগ), সেরিব্রোভাসকুলার ডিজিজ (স্ট্রোক) এবং ক্যান্সার।

কম-শর্করা ডায়েট এবং মৃত্যুর মধ্যে সম্পর্কের কারণ সম্পর্কে অধ্যাপক বানাখ বলেছেন, প্রাণীজ প্রোটিন, বিশেষত লাল এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস ক্যান্সারের ঝুঁকির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে প্রমাণ রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, ফাইবার এবং ফল কম খেলে প্রাণীজ আমিষ, কোলেস্টেরল এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট গ্রহণের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে করে খনিজ, ভিটামিন এবং ফাইটোকেমিক্যালগুলি গ্রহণের তারতম্যও ঘটে। এ ব্যাপারটাও উল্লেখযোগ্য কারণ হতে পারে।
একই মাসে চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেট এ প্রকাশিত আরেকটি বড় অধি-বিশ্লেষনে (Meta-analysis) শর্করা গ্রহণের সঙ্গে মৃত্যু ঝুঁকির সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। লো-কার্ব ডায়েট হচ্ছে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির, তারপর রয়েছে হাই-কার্ব ডায়েট।

গণমাধ্যম বিবিসির শিরোনাম হয় এ গবেষণা, বলা হয় লো-কার্ব ডায়েট অন্তত চার বছর আয়ু কমিয়ে দিতে পারে।

এখানে উল্লেখ্য, চিকিৎসা বিজ্ঞানের সেরা পাঠ্যপুস্তকগুলোর কোনটাতেই ওজন কমানোর জন্য দীর্ঘ মেয়াদি লো-কার্ব ডায়েটের পক্ষে বলা হয়নি।

যুক্তরাজ্যের ডায়েবেটিক সমিতি পাঁচটি লো-কার্ব ডায়েটের ব্যাপারে জনগণকে সতর্ক করে দিয়েছে। এগুলোর মধ্যে আছে সেলেব্রিটি মেগান ফক্স, কিম কার্দাশিয়ান ও রিহানার আনুকূল্য পাওয়া 'কিটো ডায়েট'।



লেখক: এমবিবিএস, এমফিল (ফার্মাকোলজি), কনসালট্যান্ট, জেরিয়াট্রিক মেডিসিন, ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস, ইংল্যান্ড

 

Header Ad
Header Ad

আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি

মহেন্দ্র সিং ধোনি। ছবি: সংগৃহীত

আবারও চেন্নাই সুপার কিংসের নেতৃত্বে ফিরলেন 'ক্যাপ্টেন কুল' মহেন্দ্র সিং ধোনি। ইনজুরির কারণে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন তরুণ অধিনায়ক ঋতুরাজ গাইকোয়াড়। তার অনুপস্থিতিতে হাল ধরলেন অভিজ্ঞ ধোনি।

আইপিএল ২০২৫-এর মাঝপথে এসে বড়সড় পরিবর্তন আনলো চেন্নাই সুপার কিংস। দলের কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং নিশ্চিত করেছেন, চেন্নাইয়ের নেতৃত্ব আবারও ধোনির কাঁধেই তুলে দেওয়া হয়েছে।

ফ্লেমিং বলেন, "আমাদের হাতে বেশ কয়েকটি নেতৃত্বের বিকল্প থাকলেও ধোনির অভিজ্ঞতাই আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছে দেয়। ধোনি পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিজেই সম্মত হয়েছেন দায়িত্ব নিতে।"

গত মৌসুম থেকে অধিনায়কত্ব সামলাচ্ছিলেন তরুণ ব্যাটার ঋতুরাজ গাইকোয়াড়। চলতি মৌসুমেও তাকেই সামনে রেখে প্রস্তুতি নেয় চেন্নাই। তবে কনুইয়ের ইনজুরিতে আইপিএলের বাকি অংশ থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। ফলে ফের নেতৃত্বভার ফিরে গেল ধোনির হাতে।

২০২৩ আইপিএলের ফাইনালে চেন্নাইকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ধোনি। তার কৌশলী নেতৃত্বেই সিএসকে ঘরে তোলে পঞ্চম শিরোপা। এর আগেও তিনি নেতৃত্ব ছেড়েছিলেন, কিন্তু সেসময় অধিনায়কত্বে ব্যর্থ হন রবীন্দ্র জাদেজা। পরে আবার দায়িত্ব নেন ধোনি, এবং প্রমাণ করেন—বয়স শুধুই সংখ্যা, অভিজ্ঞতা কখনও পুরনো হয় না।

চলতি মৌসুমে অবশ্য চেন্নাইয়ের পারফরম্যান্স আশানুরূপ নয়। এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটি জয়ে পয়েন্ট তালিকার ৯ নম্বরে রয়েছে দলটি। এই মুহূর্তে দলকে নতুন করে উজ্জীবিত করতে পারে ধোনির নেতৃত্ব, এমনটাই আশা ভক্ত-সমর্থকদের।

আগামীকাল শুক্রবার ধোনির অধীনে চেন্নাই মাঠে নামবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে। ম্যাচটি হতে পারে দলের ঘুরে দাঁড়ানোর টার্নিং পয়েন্ট।

এদিকে ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিও ধোনিকে আবারও অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি বলেন, “আমি জানি না চেন্নাই ম্যানেজমেন্ট কী ভাবছে, তবে ধোনি যেহেতু এখনো খেলছে, তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো উচিত। সে চেন্নাইয়ের জন্য সেরা সিদ্ধান্ত নেবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।”

অন্যদিকে পয়েন্ট টেবিলে এখন শীর্ষে গুজরাট টাইটান্স, দ্বিতীয় স্থানে দিল্লি ক্যাপিটালস, তৃতীয়তে রয়েছে বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সমান ম্যাচে সমান জয়ে চারে পাঞ্জাব কিংস। তবে শিরোপাধারী কেকেআর রয়েছে ছয়ে, পাঁচ ম্যাচে দুটো জয় নিয়ে।

Header Ad
Header Ad

‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার

‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা। ছবি: সংগৃহীত

টাকা আয়ের জন্য সন্তানদের ওপর ‘নির্যাতন চালিয়ে’ ভিডিও বানানোর অভিযোগে ‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এবার তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সাভার থেকে গ্রেফতার করে ‘ক্রিম আপা’কে আশুলিয়া থানায় নেয়া হচ্ছে।

আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত বুধবার (৯ এপ্রিল) আশুলিয়া থানায় মামলাটি করেন সাভার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কাজী ইসরাত জামান।

মামলার বিবরণে বলা হয়, শারমিন শিলা পেশায় একজন বিউটিশিয়ান এবং ‘ক্রিম আপা’ নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত। নিজের তৈরি ক্রিম ও মেকআপ বিষয়ক ভিডিও ছাড়াও তিনি প্রায়ই তার সন্তানদের—এক ছেলে ও এক মেয়েকে—ভিডিওতে ব্যবহার করে থাকেন।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায় শিলা জোর করে মেয়ের মুখে কেক জাতীয় খাবার গুঁজে দিচ্ছেন। ভিডিওতে মেয়েটিকে আতঙ্কিত ও কাঁদতে দেখা যায়। এমন ভিডিও তার অন্যান্য কনটেন্টেও লক্ষ করা গেছে, যেখানে মেয়েটির মুখে ভয়, আতঙ্ক ও মানসিক অস্বস্তির ছাপ স্পষ্ট।

এই ধরনের আচরণকে শিশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা, অবহেলা ও মাতৃসুলভ আচরণের লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে মামলার বাদী পক্ষ। শিশু অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

সাভারের বাইপাইলে ‘ক্রিম আপা বিউটি পার্লার’ নামের একটি বিউটি সেলুন পরিচালনা করেন শারমিন শিলা। সেখানে থেকে বিভিন্ন রূপচর্চা ও ব্যক্তিগত জীবনের ভিডিও প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় আসেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘একাই একশো’ ঢাকার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শিলার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দেয়। পরে জেলা প্রশাসন থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়। অভিযোগের পর শারমিন শিলা এক ফেসবুক লাইভে এসে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে জানান, তিনি আর কখনও এমন ভিডিও করবেন না।

Header Ad
Header Ad

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা

ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও আকাশছোঁয়া। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম পৌঁছেছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৭ টাকায়, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। সর্বশেষ প্রতি ভরিতে ২ হাজার ৪০৩ টাকা বৃদ্ধির ফলে এই নতুন রেকর্ড তৈরি হলো।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৭ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫১ হাজার ৭৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩০ হাজার ১১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭ হাজার ৩৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে, সবশেষ গত ৮ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ২৪৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৮ হাজার ১৪১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫ হাজার ৬৬৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ৯ এপ্রিল থেকে।এ নিয়ে চলতি বছর ১৯ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ১৪ বার, আর কমেছে মাত্র ৫ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ
এসএসসির ফল ৬০ দিনে প্রকাশের চেষ্টা করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
যমুনা নদী বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনকে কারাদন্ড