বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

দেশে শারীরিক ও মানসিক জটিলতায় স্কুলগামী ৮ শতাংশ শিশু-কিশোর

শৈশবের শুরুতেই মানুষের বিকাশ হয় সবচেয়ে দ্রুত। কৈশোরে নতুন পর্বের সূচনা। শৈশব-কৈশোরের এ সময়ের অতিসাধারণ শারীরিক ও মানসিক অসুস্থাতা যথাযথ পরিচর্যার অভাবে পরবর্তী সময়ে বড় আকার ধারণ করে। জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) তথ্য বলছে, বাংলাদেশের ৫-১৭ বছর বয়সী স্কুলগামী শিশু-কিশোরদের মধ্যে ৮ শতাংশই কোনো না কোনো মানসিক ও শারীরিক সমস্যায় ভুগছে।

বিশেষ যত্ন ভুক্তভোগী এসব শিশুকে সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে সহায়তা করে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ছয় মাসের মধ্যেই মানুষের মস্তিষ্কের অর্ধেকের গঠন সম্পন্ন হয়ে যায়। আট বছরের মধ্যে বিকাশ হয় মস্তিষ্কের ৯০ শতাংশ। বুদ্ধিবৃত্তি, আবেগ, সামাজিক যোগাযোগ-মস্তিষ্কের বিকাশে ভূমিকা রাখা এসব বিষয় শিশুর শারীরিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। জীবনের প্রাথমিক পর্যায়ের অভিজ্ঞতাগুলো শিশুর ভবিষ্যতের প্রভাবক হিসেবে ভূমিকা রাখে। এসব নিয়েই বিকশিত হয় মস্তিষ্ক। বিকশিত হওয়ার পথে বাধাগুলো কাটিয়ে উঠতে অভিভাবক ও শিক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। যদিও অভিভাবক বা শিক্ষকরা এক্ষেত্রে পুরোপুরি সচেতন নন।

বাংলাদেশের ৫-১৭ বছরের শিশু-কিশোররা অন্তত ১৪ ধরনের মানসিক ও শারীরিক জটিলতায় ভুগছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ৫-১৭ বছরের শিশু-কিশোরদের মধ্যে ৮ শতাংশ অন্তত একটি শারীরিক বা মানসিক জটিলতায় ভুগছে। এর মধ্যে শারীরিক অক্ষমতা যেমন চোখে কম দেখা, শ্রবণ সমস্যা, হাঁটার সমস্যা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। একইভাবে মানসিক জটিলতার মধ্যে বিষণ্নতা, উদ্বেগ, যোগাযোগের অক্ষমতা, বন্ধু তৈরিতে সমস্যা, মনে রাখার সমস্যা ও আচরণ নিয়ন্ত্রণের অক্ষমতাসহ নানা জটিলতা রয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব শারীরিক ও মানসিক জটিলতা (ফাংশনাল ডিফিকাল্টিস) মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের মধ্যে বেশি। প্রতিটি জটিলতার সঙ্গে আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটের সম্পর্ক রয়েছে। ভুক্তভোগীদের ১০ শতাংশ অতিদরিদ্র পরিবারের সন্তান আর অতিধনী পরিবারের সন্তান ৬ শতাংশ। বিভাগভিত্তিক অবস্থানে বরিশাল ও ময়মনসিংহের শিশু-কিশোররা শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। এসব শিশু-কিশোরের ২১ শতাংশ বরিশাল ও ১৮ শতাংশ ময়মনসিংহের বাসিন্দা। মূলত মানসিক স্বাস্থ্যের বিরূপ প্রভাব রয়েছে স্কুলগামী শিশু-কিশোরদের মধ্যে। বিষণ্নতায় ভুগছে ৪ শতাংশ ছেলেমেয়ে। তাদের মধ্যে উদ্বিগ্নতার হার ৩ শতাংশ। ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে আচরণ নিয়ন্ত্রণের অক্ষমতা রয়েছে যথাক্রমে ৩ ও ২ শতাংশ। এছাড়া দৃষ্টি ও শ্রবণ সমস্যা, বন্ধু তৈরিতে অনীহা, যোগাযোগ রক্ষা করতে না পারা, মনোযোগ ভঙ্গ হওয়া, চলাফেরায় সমস্যা, নিজের প্রতি যত্ন নেয়ার অক্ষমতা, শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের বিষয়ে অভ্যস্ত হতে না পারা, শিখন সমস্যা ও মনে রাখতে না পারার মতো শারীরিক ও মানসিক জটিলতা রয়েছে।

ইউনিসেফের তথ্য মতে, ৫-৯ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে এসব সমস্যা সবচেয়ে বেশি। তাদের মধ্যে ১০ শতাংশই এসব সমস্যার কোনো না কোনোটিতে ভুগছে। গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ হার ৯ শতাংশ। শহরাঞ্চলের চেয়ে এটি ২ শতাংশ বেশি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির হারে প্রভাব ফেলছে এসব সমস্যা। স্বাভাবিকভাবেই ভুক্তভোগীদের মধ্যে বিদ্যালয়ে উপস্থিতি কম দেখা গেছে। ফলে স্কুল থেকে ঝরে পড়ার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে একই শ্রেণীতে অধ্যয়নের পুনরাবৃত্তি ঘটছে। প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক ভাগে ভাগ করে সংস্থাটি বলছে, প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ঝরে পড়ছে। অন্যদিকে এ দুই পর্যায়ে যথাক্রমে ১১ ও ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী একই শ্রেণীতে অধ্যয়নের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে। 

শিশু-কিশোরদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের এ সংস্থাটি বলছে, জীবনের শুরুর দিকে উৎসাহ জোগানো ও শিক্ষাই তার পরিপূর্ণ বিকাশে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে। কথা বলা, পড়া, গান গাওয়া, ধাঁধার সমাধান ও অন্যদের সঙ্গে খেলাধুলা শিশুর ওপর সুস্পষ্ট প্রভাব ফেলে। দুই বছর বয়স পর্যন্ত শিশু মনোযোগ দিয়ে শোনে, কথায় সাড়া দেয়, শব্দের অনুকরণ করে, প্রথম অর্থবোধক শব্দ বলে, বড়দের কাজ-কর্ম অনুকরণ করে, বন্ধুত্ব গড়ে তোলে, সমস্যার সমাধান করে ও খেলাধুলা শুরু করে। তিন থেকে পাঁচ বছরে শিশুরা নতুন নতুন বিষয় শেখা উপভোগ করে, দ্রুত ভাষা রপ্ত করতে থাকে, কোনো বিষয়ে বেশি সময় মনোযোগ ধরে রাখার সক্ষমতা অর্জন করে ও নিজের মতো করে কিছু করতে চায়।

সংস্থাটির শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ইকবাল হোসেন বলেন, মূলত স্বল্প, মধ্যম ও গুরুতর শারীরিক ও মানসিক জটিলতার কারণে শিশু ও কিশোররা শিক্ষার বাইরে থেকে যাচ্ছিল। তারা সাধারণ শিক্ষার মধ্যে আসতে পারছিল না। আমরা পরবর্তী সময়ে তাদের আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করতে কাজ করি। সেক্ষেত্রে প্রথমে দেখতে হয়েছে, কী কী প্রতিবন্ধকতার কারণে তারা স্কুলের বাইরে থেকে যাচ্ছে। আমরা সেসব প্রতিবন্ধকতা থেকে উত্তরণের চেষ্টা করেছি। এখন অন্তত স্বল্প, মধ্যম সমস্যাগ্রস্তরা সাধারণ শিক্ষার মধ্যে আসতে পারছে। তবে স্বল্প, মধ্যম ও গুরুতর সমস্যা কী কী এ নিয়ে আমাদের আপত্তি রয়েছে। শিশুদের সমস্যাগুলোকে এভাবে ভাগ করা দুষ্কর। 

তিনি বলেন, সমস্যাগ্রস্ত শিশু-কিশোরদের সাধারণ শিক্ষার মধ্যে আনার জন্য প্রথমে শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলা হচ্ছে। এসব শিশুর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং হচ্ছে। একই সঙ্গে তাদের অভিভাবকদের সচেতনতার জন্য কাজ চলছে। আগে এমন কোনো শিশুই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় আসতে পারত না। এখন আমরা সমস্যাগুলো জানি এবং সমাধানও খুঁজছি। আমরা সরকারের সঙ্গে সারা দেশে কাজ করছি। এছাড়া ইউনিসেফের নিজস্ব বিভিন্ন কর্মসূচিও চলমান রয়েছে।

ইউনিসেফ জানিয়েছে, এর আগে বিভিন্ন পরিসরে শিশু ও কিশোরদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করা হতো। কয়েক বছর ধরে শিশু ও কিশোরদের শিক্ষার যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা তুলে আনতে চেষ্টা করা হচ্ছে। এখন সব সীমবদ্ধতা তুলে আনা হয়। যেসব শিশু ও কিশোর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে শিক্ষার বাইরে থাকত তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মধ্যে আনাই লক্ষ্য ছিল।

কেএফ/

 

Header Ad
Header Ad

আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি

মহেন্দ্র সিং ধোনি। ছবি: সংগৃহীত

আবারও চেন্নাই সুপার কিংসের নেতৃত্বে ফিরলেন 'ক্যাপ্টেন কুল' মহেন্দ্র সিং ধোনি। ইনজুরির কারণে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন তরুণ অধিনায়ক ঋতুরাজ গাইকোয়াড়। তার অনুপস্থিতিতে হাল ধরলেন অভিজ্ঞ ধোনি।

আইপিএল ২০২৫-এর মাঝপথে এসে বড়সড় পরিবর্তন আনলো চেন্নাই সুপার কিংস। দলের কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং নিশ্চিত করেছেন, চেন্নাইয়ের নেতৃত্ব আবারও ধোনির কাঁধেই তুলে দেওয়া হয়েছে।

ফ্লেমিং বলেন, "আমাদের হাতে বেশ কয়েকটি নেতৃত্বের বিকল্প থাকলেও ধোনির অভিজ্ঞতাই আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছে দেয়। ধোনি পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিজেই সম্মত হয়েছেন দায়িত্ব নিতে।"

গত মৌসুম থেকে অধিনায়কত্ব সামলাচ্ছিলেন তরুণ ব্যাটার ঋতুরাজ গাইকোয়াড়। চলতি মৌসুমেও তাকেই সামনে রেখে প্রস্তুতি নেয় চেন্নাই। তবে কনুইয়ের ইনজুরিতে আইপিএলের বাকি অংশ থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। ফলে ফের নেতৃত্বভার ফিরে গেল ধোনির হাতে।

২০২৩ আইপিএলের ফাইনালে চেন্নাইকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ধোনি। তার কৌশলী নেতৃত্বেই সিএসকে ঘরে তোলে পঞ্চম শিরোপা। এর আগেও তিনি নেতৃত্ব ছেড়েছিলেন, কিন্তু সেসময় অধিনায়কত্বে ব্যর্থ হন রবীন্দ্র জাদেজা। পরে আবার দায়িত্ব নেন ধোনি, এবং প্রমাণ করেন—বয়স শুধুই সংখ্যা, অভিজ্ঞতা কখনও পুরনো হয় না।

চলতি মৌসুমে অবশ্য চেন্নাইয়ের পারফরম্যান্স আশানুরূপ নয়। এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটি জয়ে পয়েন্ট তালিকার ৯ নম্বরে রয়েছে দলটি। এই মুহূর্তে দলকে নতুন করে উজ্জীবিত করতে পারে ধোনির নেতৃত্ব, এমনটাই আশা ভক্ত-সমর্থকদের।

আগামীকাল শুক্রবার ধোনির অধীনে চেন্নাই মাঠে নামবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে। ম্যাচটি হতে পারে দলের ঘুরে দাঁড়ানোর টার্নিং পয়েন্ট।

এদিকে ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিও ধোনিকে আবারও অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি বলেন, “আমি জানি না চেন্নাই ম্যানেজমেন্ট কী ভাবছে, তবে ধোনি যেহেতু এখনো খেলছে, তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো উচিত। সে চেন্নাইয়ের জন্য সেরা সিদ্ধান্ত নেবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।”

অন্যদিকে পয়েন্ট টেবিলে এখন শীর্ষে গুজরাট টাইটান্স, দ্বিতীয় স্থানে দিল্লি ক্যাপিটালস, তৃতীয়তে রয়েছে বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সমান ম্যাচে সমান জয়ে চারে পাঞ্জাব কিংস। তবে শিরোপাধারী কেকেআর রয়েছে ছয়ে, পাঁচ ম্যাচে দুটো জয় নিয়ে।

Header Ad
Header Ad

‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার

‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা। ছবি: সংগৃহীত

টাকা আয়ের জন্য সন্তানদের ওপর ‘নির্যাতন চালিয়ে’ ভিডিও বানানোর অভিযোগে ‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এবার তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সাভার থেকে গ্রেফতার করে ‘ক্রিম আপা’কে আশুলিয়া থানায় নেয়া হচ্ছে।

আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত বুধবার (৯ এপ্রিল) আশুলিয়া থানায় মামলাটি করেন সাভার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কাজী ইসরাত জামান।

মামলার বিবরণে বলা হয়, শারমিন শিলা পেশায় একজন বিউটিশিয়ান এবং ‘ক্রিম আপা’ নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত। নিজের তৈরি ক্রিম ও মেকআপ বিষয়ক ভিডিও ছাড়াও তিনি প্রায়ই তার সন্তানদের—এক ছেলে ও এক মেয়েকে—ভিডিওতে ব্যবহার করে থাকেন।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায় শিলা জোর করে মেয়ের মুখে কেক জাতীয় খাবার গুঁজে দিচ্ছেন। ভিডিওতে মেয়েটিকে আতঙ্কিত ও কাঁদতে দেখা যায়। এমন ভিডিও তার অন্যান্য কনটেন্টেও লক্ষ করা গেছে, যেখানে মেয়েটির মুখে ভয়, আতঙ্ক ও মানসিক অস্বস্তির ছাপ স্পষ্ট।

এই ধরনের আচরণকে শিশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা, অবহেলা ও মাতৃসুলভ আচরণের লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে মামলার বাদী পক্ষ। শিশু অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

সাভারের বাইপাইলে ‘ক্রিম আপা বিউটি পার্লার’ নামের একটি বিউটি সেলুন পরিচালনা করেন শারমিন শিলা। সেখানে থেকে বিভিন্ন রূপচর্চা ও ব্যক্তিগত জীবনের ভিডিও প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় আসেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘একাই একশো’ ঢাকার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শিলার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দেয়। পরে জেলা প্রশাসন থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়। অভিযোগের পর শারমিন শিলা এক ফেসবুক লাইভে এসে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে জানান, তিনি আর কখনও এমন ভিডিও করবেন না।

Header Ad
Header Ad

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা

ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও আকাশছোঁয়া। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম পৌঁছেছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৭ টাকায়, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। সর্বশেষ প্রতি ভরিতে ২ হাজার ৪০৩ টাকা বৃদ্ধির ফলে এই নতুন রেকর্ড তৈরি হলো।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৭ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫১ হাজার ৭৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩০ হাজার ১১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭ হাজার ৩৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে, সবশেষ গত ৮ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ২৪৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৮ হাজার ১৪১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫ হাজার ৬৬৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ৯ এপ্রিল থেকে।এ নিয়ে চলতি বছর ১৯ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ১৪ বার, আর কমেছে মাত্র ৫ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ
এসএসসির ফল ৬০ দিনে প্রকাশের চেষ্টা করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
যমুনা নদী বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনকে কারাদন্ড