বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ | ৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সরকারি হাসপাতালের মেশিন কেন নষ্ট থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের ৪৯৬টি উপজেলায় ৪৯৬টি সরকারি উপজেলা হাসপাতাল আছে, ৬৪টি জেলায় বড় বড় হাসপাতাল আছে, ইউনিয়ন পর্যায়েও হাসপাতাল আছে, তবুও মানুষকে ছোট ছোট প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। সরকারি হাসপাতালে বিভিন্ন রোগের টেস্টের জন্য মেশিন দেওয়া হয়েছে, অথচ বেশিরভাগ মেশিন নষ্ট হয়ে বছরের পর বছর পড়ে আছে। সরকারি টাকায় কেনা কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে, আর বাইরের ছোট ছোট ক্লিনিকে ঠিকই সব টেস্ট হচ্ছে। কই বাইরের প্রাইভেট ক্লিনিল-হাসপাতালের যন্ত্রপাতি তো নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে না। তাহলে সরকারি হাসপাতালের মেশিন কেন নষ্ট থাকবে? এগুলো আর চলবে না।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে দিনাজপুরে এম রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন, হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কদের সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি বিষয়ক বিভাগীয় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জাহিদ মালেক বলেন, মানুষের কষ্টের আয়ের অনেক টাকা অপচয় হচ্ছে। অথচ সরকার বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিতে হাজারটা হাসপাতাল নির্মাণ করছে, অবকাঠামো বৃদ্ধি করছে, হাজার হাজার ডাক্তার, নার্স নিয়োগ দিচ্ছে। এই অনিয়ম বন্ধ করতেই আমরা মাঠে নেমেছি। গতকাল রংপুর হাসপাতালে দেখেছি, সাড়ে ৫০০ যন্ত্রপাতির সাড়ে ৪০০-ই নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। অধিকাংশ হাসপাতালেরই প্রায় একই চিত্র। তাহলে ওই সব হাসপাতালে মানুষ কী চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে? এভাবে আর চলতে পারবে না। কোথাও অনিয়ম ধরা পড়লে ওই প্রতিষ্ঠান যারা চালায় তারা তার জন্য সমস্যায় পড়বে। কী সমস্যায় পড়বে সেটা তারা পরে বুঝতে পারবে।

তিনি বলেন, আমরা মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিতে, মানুষকে সুস্থ করতে আপনাদের পেছনে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছি। আগামীতে সারা দেশের প্রতিটি জেলা হাসপাতালকে ৫০০ বেডের এবং উপজেলা হাসপাতালকে ১০০ বেডে উত্তীর্ণ করা হবে। কিন্তু মানুষকে যথাযথ চিকিৎসাসেবা দেবার কাজটা আপনাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে। দায়িত্ব পালনে দেশপ্রেম থাকতে হবে আপনাদের।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনায় কত ভালো কাজ করেছেন আপনারা, এখনো চেষ্টা করলেই পারবেন। প্রাইভেট ক্লিনিক, ছোট ছোট প্রাইভেট হাসপাতাল মানুষের কাছ থেকে বেশি টাকা নেবার বিনিময়ে যদি সেবা দিতে পারে, নিয়মিত টেস্ট করতে পারে, আপনারা কয়েকগুণ বেশি সুবিধাসম্পন্ন ও বড় হাসপাতালের সুবিধা নিয়েও সাধারণ মানুষকে সরকারি টাকায় ভালো সেবা দেবেন না তা আর হবে না। এখন থেকে যাকে যেখানে অনিয়ম করতে দেখা হবে তার বিরুদ্ধেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সভায় উপস্থিত স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কার হাসপাতালে কয়টি যন্ত্রপাতি আছে, কয়টি ভালো, কয়টি নষ্ট, লোকবল কত আছে, কতজন মানুষকে দৈনিক সেবা দিচ্ছে, আশপাশে কয়টি করে প্রাইভেট ক্লিনিক হাসপাতাল আছে এগুলো জিজ্ঞেস করেন।

উপস্থিত স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা তাদের পদোন্নতি বৃদ্ধির দাবি জানালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমার সময়ে আপনারা যত প্রমোশন পেয়েছেন, গত ১৫ বছরে সেই প্রমোশন হয়নি। আগামী কয়েক মাসে যত প্রমোশন দেওয়া হবে তা গত কয়েক বছরের সমান হবে। কিন্তু মাঠে আমরা কাজ দেখতে চাই। আমরা চাই আপনারা জনগণের চিকিৎসাসেবার মান বৃদ্ধি করবেন, হাসপাতাল ঝকঝকে পরিষ্কার রাখবেন, রোগীদের সঙ্গে সম্মান দিয়ে কথা বলবেন, রোগীরা যেন হাসিমুখে হাসপাতাল থেকে সেবা নিয়ে বাড়ি ফিরে যায় সেটা আপনিই নিশ্চিত করবেন।

সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ১৫-২০ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সরাসরি মাঠে নেমে পড়েছেন। গত তিন দিনে বগুড়া, রংপুর ও আজ দিনাজপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে নিজে গিয়ে রোগীদের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান কথা বলছেন।

তিনি বলেন, এগুলো লোক দেখানোর কাজ নয়। এগুলো পরিবর্তনের অঙ্গীকার থেকে করা কাজ। আপনারা যদি এখন জেগে না উঠেন তাহলে আর কবে উঠবেন। একটু সজাগ হলেই আপনারা দেশ সেবায় বিরাট ভূমিকা রাখতে পারবেন। এই মহৎ কাজ থেকে আর কেউ বিরত থাকবেন না। আজ থেকেই মানুষের সেবায় চিকিৎসার মান বৃদ্ধিতে পরিকল্পনা করুন, কাজ শুরু করুন।

এর আগে সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দিনাজপুরের মা ও শিশু হাসপাতাল, এম রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন ও সেখানে কর্মরত স্বাস্থ্য খাতের কর্মকর্তা এবং চিকিৎসারত নানা ওয়ার্ডের রোগীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে তাদের চিকিৎসার খোঁজ নেন।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) নাজমুল হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক শামিউল ইসলাম সাদি, স্বাস্থ্য অর্থনৈতিক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বশির আহমেদ, রংপুর বিভাগীয় হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক হানিফ, দিনাজপুর এম রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, হাসপাতালের অধ্যক্ষ, রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, চিকিৎসকরা।

এনএইচবি/এসজি

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো ধরণের বাণিজ্যযুদ্ধে জড়াতে চায় না ভারত

ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যিক সম্পর্কে সম্প্রতি যে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে, তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দুই প্রতিবেশী দেশ। তবে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে—বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো ধরণের বাণিজ্যযুদ্ধে জড়াতে চায় না ভারত।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া-র এক প্রতিবেদনে এই বিষয়টি উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্প্রতি ভারতীয় সুতা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, যা ভারতের কূটনৈতিক মহলে কিছুটা নেতিবাচক বার্তা হিসেবেই ধরা পড়েছে। অন্যদিকে ভারত দাবি করেছে, তারা ২০২০ সালে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্স-শিপমেন্ট সুবিধা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে শুধুমাত্র নিজেদের বন্দর ও বিমানবন্দরের চাপ কমাতে।

ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর নিশ্চিত করেছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ থেকে নেপাল ও ভুটানে রপ্তানির উপর কোনও প্রভাব পড়বে না।

সম্প্রতি ব্যাংককে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুসের বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মোদী স্পষ্টভাবে আহ্বান জানিয়েছেন, যেন উস্কানিমূলক বক্তব্য ও কঠোর সিদ্ধান্ত এড়িয়ে চলা হয়—যাতে দুই দেশের সম্পর্কের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

ভারতের অভিযোগ, ট্রান্স-শিপমেন্ট সুবিধা বন্ধের আগেই বাংলাদেশ একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে যা তাদের দৃষ্টিতে সীমাবদ্ধতামূলক। এর মধ্যে রয়েছে—মার্চে ভারতীয় সুতা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা, তিনটি স্থলবন্দর বন্ধ এবং জানুয়ারিতে বেনাপোল কাস্টমসে কড়াকড়ি নজরদারি।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা ইতিমধ্যে সরকারকে সতর্ক করেছেন—ভারত থেকে সুতা আমদানি পুরোপুরি বন্ধ হলে তা দেশের অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী হতে পারে। কারণ দেশের পোশাকশিল্প এখনও বহুলাংশে ভারতীয় সুতার ওপর নির্ভরশীল।

এই পরিস্থিতিতে যখন বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক কঠোর করছে, তখন একই সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্যিক সম্পর্ক আবার চালু করেছে ঢাকা। ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের ট্রেডিং কর্পোরেশন থেকে ৫০ হাজার টন চাল কেনার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, বাংলাদেশে বাড়তে থাকা ধর্মীয় উগ্রপন্থার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। ইসলামাবাদকে বরাবরই সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দেখে এসেছে নয়াদিল্লি।

জানা গেছে, পাকিস্তান এখন বাংলাদেশে তাদের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে আগ্রহী। এমনকি দুই দেশের মধ্যকার উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক সম্পর্ক আবার সচল হয়েছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ খুব শিগগিরই ঢাকা সফর করবেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশহাক দারও আগামী সপ্তাহে আসছেন।

Header Ad
Header Ad

বিজ্ঞানীদের সফলতা: ইমপ্লান্ট নয়, নতুন করে গজাবে ক্ষয়ে যাওয়া দাঁত!

ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

এবার মানুষের দাঁতের পুনর্জন্ম নিয়ে বাস্তব স্বপ্ন দেখছেন গবেষকেরা। একাধিকবার দাঁত গজানো সম্ভব হলেও মানুষের ক্ষেত্রে দাঁত হারালে আর ফিরে পাওয়ার সুযোগ একবারই। তবে এই বাস্তবতা বদলে যেতে চলেছে বলে মনে করছেন লন্ডনের কিংস কলেজের গবেষকরা।

সম্প্রতি তারা পরীক্ষাগারে কৃত্রিম উপায়ে দাঁত গজাতে সক্ষম হয়েছেন, যা দন্তচিকিৎসায় এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যদিও এখনই এই পদ্ধতি মানুষের মুখে প্রয়োগ হচ্ছে না, তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন—এই অগ্রগতি ভবিষ্যতের চিকিৎসাব্যবস্থায় একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।

কিংস কলেজের রিজেনারেটিভ ডেন্টিস্ট্রির পরিচালক ডা. আনা অ্যাঞ্জেলোভা ভলপনি বলেন, “জৈবিকভাবে দাঁত গজানোর চিন্তাই আমাকে এই গবেষণায় টেনেছে। আমরা পরীক্ষাগারে দাঁত গজিয়ে দীর্ঘদিনের জ্ঞানগত ঘাটতি পূরণে এগিয়ে যাচ্ছি।”

বর্তমানে অনেকেই নিখুঁত দাঁতের আশায় ইমপ্লান্ট বা ব্রেসের ওপর নির্ভরশীল হলেও, ইমপ্লান্ট সবসময় ঝুঁকিমুক্ত নয়। অস্ত্রোপচার, জটিলতা এবং দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসা–সব মিলিয়ে এটি রোগী ও চিকিৎসক, উভয়ের জন্যই একটি চ্যালেঞ্জ।

ডা. আনা অ্যাঞ্জেলোভা ভলপনি এবং গবেষক জুয়েচেন ঝাং

এই প্রেক্ষাপটে দাঁত গজানোর নতুন পদ্ধতিটি হয়ে উঠতে পারে এক বিকল্প সমাধান। কিংস কলেজের পিএইচডি গবেষক জুয়েচেন ঝাং জানান, “ল্যাবে তৈরি দাঁত প্রাকৃতিকভাবে গজাবে এবং চোয়ালের সঙ্গে একীভূত হবে। এটি হবে অধিক টেকসই, শরীরবান্ধব এবং কার্যকর।”

গবেষক দল কিংস কলেজ ও ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের যৌথ প্রচেষ্টায় এমন একটি উপাদান তৈরি করেছেন যা কোষগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। এই সংযোগ দাঁতের কোষ তৈরির সংকেত পাঠাতে সক্ষম—ফলে প্রাকৃতিকভাবে দাঁত গজানোর পরিবেশ অনুকরণ করা সম্ভব হয়।

গবেষণাটি এখনো পরীক্ষাগারের স্তরে থাকলেও, গবেষকেরা দুটি সম্ভাব্য পথ দেখছেন—এক, দাঁতের কোষ সরাসরি মুখে প্রতিস্থাপন করে তা গজানো; দুই, ল্যাবে দাঁত তৈরি করে তা মুখে স্থাপন করা।

বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ দাঁত হারানোর সমস্যায় ভুগছেন, যা শুধু দৈনন্দিন কার্যকলাপ নয়, বরং মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলে। দাঁতের ক্ষয়জনিত জীবাণু রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে হৃদরোগের ঝুঁকি পর্যন্ত বাড়াতে পারে।

এই প্রযুক্তিকে দন্তচিকিৎসার ভবিষ্যৎ বলেই মনে করছেন ক্লিনিক্যাল লেকচারার ও প্রস্থোডন্টিক্স বিশেষজ্ঞ সাওরশে ও’টুল। তিনি বলেন, “এটি আমার চিকিৎসাজীবনে পুরোপুরি বাস্তবায়িত হবে কিনা জানি না, তবে আমার সন্তানেরা হয়তো এই প্রযুক্তির সুফল দেখতে পাবে, এবং তাদের সন্তানেরা এটি নিয়মিত ব্যবহার করবে।”

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় বাসায় ঢুকে তরুণকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ভুক্তভোগী আলিউজ্জামান প্রিয়। ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরের কেডির মোড় এলাকায় বাসায় ঢুকে আলিউজ্জামান প্রিয় (২০) নামে এক তরুণকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে আলিউজ্জামানের চাচা আনিসুজ্জামান বকুল বাদী হয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলায় আটজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

এর আগে, বুধবার দুপুর ১টার দিকে শহরের কেডির মোড় এলাকায় নওগাঁ পিএম বালিকা উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন একটি বাসায় ঢুকে আলিউজ্জামান নামে ওই তরুণকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। আহত তরুণকে প্রথমে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আলিউজ্জামান রাজশাহী একটি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তার বাবা আতিকুজ্জামান আতিক পেশায় চালকল ব্যবসায়ী। আতিকুজ্জামান পরিবার নিয়ে প্রায় ৯ বছর ধরে শহরের কেডির মোড় এলাকায় ‘ক্ষণিকের নীড়’ নামের একটি ভবনের ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকছেন। নওগাঁ পৌরসভার সরদারপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার দুপুরে আলিউজ্জামান বাসায় অবস্থান করছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মো. রিহাদ (২১), মো. স্বাধীন (২২), শ্রী শান্ত (২৩), পরেশ (২০), রিয়াজুল ইসলাম (২০), রিফাত (২২), হান্নান (২২) ও জয় (২২) সহ ২৫-৩০ জন তরুণ বাসায় ঢুকে আলিজ্জামানের ওপর হামলা চালায়। তারা আলিজ্জামানকে এলোপাতাড়ীভাবে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বুধবার গতকাল বিকেলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মামলার বাদী আনিসুজ্জামান বকুল বলেন, ‘আমার ভাতিজা আলিজ্জামানের সাথে আসামিদের পূর্ব বিরোধ ছিল। তবে ঠিক কি নিয়ে বিরোধ তা বিস্তারিত জানি না। শুনতেছি, ১৫ তারিখে (গত মঙ্গলবার) নাকি ওদের মধ্যে কি যেন হয়েছে? কেডি স্কুলের ভেতরে নাকি গ্যাঞ্জাম হইছে। সেটার জের ধরে ওরা আমার ভাতিজাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করে।দিনদুপুরে ঘটনা তারপরেও এখনও কেউ গ্রেপ্তার হলো না। মামলার আসামি রিহাদ নামের এক ছেলে এখনও ফেসবুকে আজেবাজে পোস্ট দিয়ে যাচ্ছে।’

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘এ ঘটনায় আহত তরুণ আলিউজ্জামানের চাচা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেছেন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। দুই দিন আগে নাকি স্বাধীন নামের এক ছেলে আহত হয়েছে। সেটার জের ধরে গতকাল আলিউজ্জামানের ওপর হামলা হয়। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো ধরণের বাণিজ্যযুদ্ধে জড়াতে চায় না ভারত
বিজ্ঞানীদের সফলতা: ইমপ্লান্ট নয়, নতুন করে গজাবে ক্ষয়ে যাওয়া দাঁত!
নওগাঁয় বাসায় ঢুকে তরুণকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বাংলাদেশের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব
অবশেষে আসছে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন-৫’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
ফোনের চার্জ দ্রুত শেষ? জেনে নিন ১০টি কার্যকর সমাধান
সংস্কারের নাম উচ্চারণের আগেই খালেদা জিয়া ভিশন ২০৩০ দিয়েছেন: বিএনপি
১ মে থেকে ডিম-মুরগি উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা, ১০ দফা দাবি পোল্ট্রি খামারিদের
গাজায় এক মাসে গৃহহীন প্রায় ৫ লাখ মানুষ: জাতিসংঘ
বাংলাদেশি জন্মসনদ পাচ্ছেন কানাডিয়ান তারকা সামিত সোম, মাঠে অভিষেক জুনে!
পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলায় আলোচিত আরাভ খানসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন
সাকিবের নির্বাচন কভারের ছবি ভাইরাল, ব্যাখ্যা দিলেন প্রেস সচিব
ঋণ পরিশোধে সময় দিল রাশিয়া, ১৬ কোটি ডলার জরিমানা মওকুফ
হার্ভার্ড একটি তামাশার জায়গা, এটি ঘৃণা ও মূর্খতা শেখায়: ট্রাম্প
ঢাকা মহানগর আ.লীগ নেতা শাহে আলম মুরাদ গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে ধানক্ষেতে মিললো প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ
রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে ১৬ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে আর্সেনাল
প্রতারণার মামলায় মডেল মেঘনা আলম গ্রেপ্তার
আমি বাংলাদেশি না, আমাকে বাংলাদেশি বলবেন না : টিউলিপ সিদ্দিক