জরায়ুমুখ ক্যানসারের টিকা দেবে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, জরায়ুমুখ ক্যানসারের মৃত্যু ঠেকাতে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশের নারীদের টিকা দেওয়া শুরু করবে সরকার।
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, এতে জরায়ুমুখ ক্যান্সার অনেক কমে যাবে। জরায়ুমুখের ক্যানসার শনাক্তে সারা দেশেই স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম আছে। এটা আরও বেগবান করা আমাদের একটি চলমান প্রক্রিয়া।’
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সারা দেশে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বাড়াতে করণীয় সম্পর্কে এক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘জরায়ুমুখ ক্যানসারের একটি টিকা আছে এইচপিভি। সেপ্টেম্বর মাস থেকে দেশের সব নারীদের জন্য আমরা এই টিকা কার্যক্রম শুরু করব।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি বছর ৫ লাখ ৭০ হাজার নারী জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত হন, মারা যান ৩ লাখের বেশি।
অপর এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ৮ হাজার ২৬৮ জন নারীর জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। বছরে মারা যাচ্ছে ৪ হাজার ৯৭১ জন।
জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে ১০ বছর বয়সের পর থেকেই টিকা নেওয়া যায়। এই টিকার তিনটি ডোজ নিতে হয়। প্রথম ডোজের এক মাস পর দ্বিতীয় ডোজ এবং তার তিন মাস পর তৃতীয় ডোজ নিতে হয়।
বিনামূল্যের এই টিকা প্রাথমিকভাবে দেশের ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সী কিশোরীদের দেওয়া হবে।
জাহিদ মালেক জানান, দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে স্তন ক্যান্সার শনাক্তের যন্ত্রও দেওয়া হবে। আমাদের দেশে অনেকে ব্রেস্ট ক্যানসারেও আক্রান্ত হচ্ছে। আমাদের দেশে এই রোগ শনাক্তের যন্ত্রের অপ্রতুলতা রয়েছে। এই রোগটা যেন দ্রুত শনাক্ত করা যায়, সেজন্য মেমোগ্রাফির যন্ত্রপাতি অন্তত প্রতি জেলায় দিতে পারি। পরবর্তী সময়ে উপজেলা পর্যায়ে দেওয়া হবে।
সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) সৈয়দ মজিবুল হক, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরসহ বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এনএইচবি/এমএমএ/