ঢাকাপ্রকাশ-এর প্রতিবেদনের জেরে মেঝের রোগীরা বেডে
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বেড সংকট নিরসন ও রোগীদের সুবিধার্থে হাসপাতালের বারান্দাসহ বিভিন্ন স্থানে মেঝের পরিবর্তে বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং সেখানকার রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে এতথ্য জানা গেছে।
এর আগে ১৮ জানুয়ারি মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল ঢাকাপ্রকাশ-এ ‘সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে বেড সংকট, ভোগান্তিতে রোগীরা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এরপর বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেড সংকটটি সমাধানের জন্য কাজ করে। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং হাসপাতালের বারান্দায় থাকা রোগীদের মাঝে বেশ কিছু বেডের ব্যবস্থা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে বেড সংকট, ভোগান্তিতে রোগীরা
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ঘুরে এবং রোগীদের সঙ্গে কথা বলে হাসপাতালের বেড সংকটের কথা বলা হয়েছিল। রোগীদের অভিযোগ, এমনিতেই ঠান্ডা, জ্বর ও নিউমোনিয়া নিয়ে অনেকেই ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু বেড সংকট থাকায় তারা নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। রোগ থেকে মুক্তি পেতে এসে উল্টো অনেকেই এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, ঢাকাপ্রকাশ-এ সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এরপর ৫০টির বেশি নতুন বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার কারণে রোগী ও তাদের স্বজনরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।
এক রোগীর স্বজন রাজু মিয়া ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ১৮ জানুয়ারি মাকে ভর্তি করি অপারেশনের জন্য। প্রথমে আমরা বারান্দায় ভর্তি হই সেখানে কোনো বেড ছিল না। এখন দেখলাম হাসপাতালের লোকজন বারান্দা ও হাসপাতালের অনেক জায়গায় বেড দিয়েছে।
কথা হয় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী তাসলিমা বেগমের সঙ্গে। এসময় তিনি বলেন, দুদিন বারান্দায় ছিলাম এরপরে নতুন বেড এসেছে। প্রথম কয়েকদিন শীতে অনেক কষ্ট হয়েছে। আমার দশ বছরের মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবার দুই দিন পর নতুন করে বেডে উঠতে পেরেছি। মোটামুটি অনেকটা এখন শান্তি লাগছে।
অবশ্য বেড সংকটের বিষয়টি স্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, কিছুদিন ধরে হাসপাতালে রোগীর চাপ ও বেড সংকট ছিল। শিগগিরই এই সংকটের সমাধান করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমাদের হাসপাতালে কিছুটা বেড সংকট ছিল। আমরা নতুন বেড পেয়েছি এবং সেগুলো রোগীদের মাঝে নতুন করে ডিস্ট্রিবিউশন করছি।
তিনি বলেন, আমি হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে যোগদান করার পর অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমি অনেক চেষ্টা করি এই হাসপাতালে যারা ভর্তি হয় তাদের সাধ্য মতো চিকিৎসা সেবা দেওয়ার।
কেএম/এসএন