মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

৭০ বছরেও নির্মাণ হয়নি শহিদ মিনার

আড়ালে থেকেই চলে গেলেন ভাষা সংগ্রামী আবদুল হাই তালুকদার

মাদারীপুরে লোকচক্ষুর আড়ালে থেকেই চলে গেলেন ভাষা সংগ্রামী আবদুল হাই তালুকদার। বাংলা ভাষা আন্দোলনের সময় অঞ্চলভিত্তিক মাদারীপুরে যারা ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, আবদুল হাই তালুকদার তাদেরই একজন। ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া এই ছাত্রনেতা সম্পর্কে তেমন কোনো লেখালেখি হয়নি। প্রচারবিমুখ এই মানুষটির নাম আজও ইতিহাসের পাতায় স্থান পায়নি।

আন্দোলনের উত্তাল দিনে আবদুল হাই তালুকদার ছিলেন মাদারীপুর সদর উপজেলার চরমুগরিয়া মার্চেন্টস উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। চরমুগরিয়া মার্চেন্টস উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাদারীপুরে প্রথম ভাষা আন্দোলনের সুত্রপাত হয়। এই স্কুলের ছাত্ররা আন্দোলন শুরু না করলে অঞ্চলভিত্তিক মাদারীপুরে ভাষা আন্দোলন এতটা বেগবান হতো না। তাই চরমুগরিয়া মার্চেন্টস উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রদের অবদান অনস্বীকার্য। ছাত্রদের সাথে প্রধান শিক্ষকসহ সকল শিক্ষক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছেন। আন্দোলন করে ছাত্র-শিক্ষকরা প্রশাসনের রোষানলে পড়েছিলেন। আর যে বিদ্যালয় থেকে মাদারীপুরে ভাষা আন্দোলনের সুত্রপাত হয়েছিলো; আজ দীর্ঘ ৭০ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই স্কুলে কোনো শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়নি।

তবে এবার আশার কথা শোনালেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল হামিদ। উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে শহিদ মিনার নির্মাণের। ইতিমধ্যে স্থান নির্ধারণ ও নকশা চূড়ান্ত হয়ে গেছে। এ বছরই কাজ শুরু হবে; কিন্তু জীবদ্দশায় তার নিজ বিদ্যালয়ে একটি শহিদ মিনার দেখে যেতে পারলেন না ভাষা সংগ্রামী আবদুল হাই তালুকদার। গত বছর ১৮ জুলাই ৯০ বছর বয়সে তিনি মারা যান।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাষ্ট্রভাষা সাব-কমিটির আহ্বানে ১৯৪৮ সালেই বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে মাদারীপুরে আন্দোলন শুরু হয়। ওই বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় চরমুগরিয়া মার্চেন্টস স্কুল মাঠে ছাত্রদের প্রথম প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। নেতৃত্ব দেন ৯ম ও ১০ শ্রেণির ছাত্ররা। ছাত্রদের সংগঠিত করেন সরদার আবুল ফজল, আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, নির্মল সেন, আবদুল হাই তালুকদার, শৈলেন্দ্র চন্দ্র রায়, নিরোদ বিহারী গুহ, ডা. আবদুল হক।

সভায় সিদ্ধান্ত হয় প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওই দিন বেলা ১১টায় প্রায় ৪০০ ছাত্র একটি মিছিল নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করতে করতে রাশিবাবু বাজারের স্টিমার ঘাট পর্যন্ত (রাশিবাবু বাজার বর্তমানে নদীভাঙ্গণে বিলীন) গিয়ে অবস্থান নেয়। সেখানেই প্রথম প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চরমুগরিয়া মার্চেন্টস স্কুলের ছাত্র সরদার আবুল ফজল, আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, আব্দুল লতিফ তায়ানী, সৈয়দ আলী, আবদুল হাই তালুকদার, নির্মল সেন, আবদুর রহমান তালুকদার, মতিয়ার রহমান মাস্টার, ফজলুর রহমান খান, ডা. আবদুল হক, শৈলেন্দ্র চন্দ্র রায়, নিরোদ বিহারী গুহ, সীতানাথ সাহা।

সমাবেশ শেষে ছাত্ররা পূনরায় মিছিল করতে করতে চরমুগরিয়া মার্চেন্টস স্কুলে ফিরে আসেন। এটাই ছিলো কেন্দ্রের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে মাদারীপুরে ভাষা আন্দোলনের প্রথম সূত্রপাত। ১৯৪৮ সালে ১১ মার্চ মাদারীপুর মহকুমা সদরসহ সর্বাত্বক ধর্মঘট পালিত হয়। ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’এর আহ্বানে মাদারীপুর, শিবচর, রাজৈর ও কালকিনির সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষকরা ধর্মঘটে অংশ নেন। ধর্মঘট পালন করায় প্রশাসনের রোষানলে পড়তে হয় অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আবদুল হাই তালুকদার ১৯৩১ সালে মাদারীপুর সদর উপজেলার চরমুগরিয়ার চরখাগদি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবদুর রহিম তালুকদার এবং মাতার নাম সাজু বিবি। আবদুল হাই তালুকদার ১৯৩৮ সালে ৭ বছর বয়সে চরমুগরিয়া ফ্রি প্রাইমারি স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করে চরমুগরিয়া মার্চেন্টস উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং ১৯৫২ সালে একই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। ১৯৫৩ সালে মাদারীপুর সরকারি কলেজে (নাজিমউদ্দিন কলেজ) একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং একই কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। চরমুগরিয়া মার্চেন্টস উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার সময় তিনি ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন।

১৯৪৮ সালে আন্দোলনের শুরু থেকে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত আবদুল হাই তালুকদার ভাষা আন্দেলনে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। সকল মিছিল মিটিংয়ে তাঁর বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর ছিল উল্লে¬খ করার মতন। তিনি বক্তৃতা দিয়ে আন্দোলনের মাঠ গরম করে রাখতেন। টিনের চোঙ ফুঁকিয়ে বক্তৃতা দিয়ে সকলকে আকৃষ্ট করার মত সম্মোহনী শক্তি ছিল তার। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদমূখর হয়ে ওঠার অনুপ্রেরণা ও সাহস পেয়েছেন।

ভাষা সংগ্রামী আবদুল হাই তালুকদার’র ছেলে দুলাল তালুকদার বলেন, ‘মাদারীপুরে ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রথম সারির নেতাদের সাথে আমার পিতা সংগ্রাম করেছেন। ভাষা সৈনিক ডা. গোলাম মাওলা এবং ভাষা সৈনিক ও মাদারীপুর মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মৌলভী আছমত আলী খান ছিলেন তার আদর্শ। আমার পিতা ছিলেন প্রচার বিমুখ। তিনি তার নিজের কথা কাউকে বলতেন না। দুঃখের বিষয় হলো, যে স্কুল থেকে এই অঞ্চলে ভাষা আন্দোলনের সুত্রপাত; সেই স্কুলে দীর্ঘ ৭০ বছরেও একটি শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়নি। মূল্যায়ন করা হয়নি আঞ্চলিক পর্যায়ের ভাষা সৈনিকদের।’

চরমুগরিয়া মার্চেন্টস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমি এই স্কুলে যোগদান করার পর শহিদ মিনার নির্মাণ করার প্রক্রিয়া শুরু করি। স্থান নির্ধারণসহ নকশাও চূড়ান্ত হয়ে গেছে। খুব শিগগিরই শহিদ মিনার নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।’

এসএ/

Header Ad
Header Ad

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

নকশাবহির্ভূত রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এতে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় কিছু আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের অভ্যন্তরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদিত নকশায় না থাকলেও বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ (রেস্টুরেন্ট) পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ভবনের ছাদে অবৈধভাবে রুফটপ রেস্তোরাঁ পরিচালিত হচ্ছে, যা জনজীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ পরিচালনা করায় এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও সম্পদহানির ঘটনা ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে অনেক অবৈধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনৈতিক উপায়ে করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে।

ডিএসসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্পদ ও জানমালের ঝুঁকি এড়াতে নকশাবহির্ভূত সব রেস্তোরাঁ এবং ভবনের ছাদে স্থাপিত রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল ঘোষণা করা হলো। বাতিল করা লাইসেন্স দিয়ে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘যেসব রেস্তোরাঁ সঠিক তথ্য না দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। তবে ভবনের অনুমোদন কিন্তু বাতিল করা হয়নি। ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সশরীর উপস্থিত হয়ে আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত দিলে সেগুলো সচল করা হবে।’

বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি। ছবি: সংগৃহীত

অপর এক প্রশ্নের জবাবে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি রেস্তোরাঁকে আলাদা করে চিঠি পাঠাব।’

ডিএসসিসির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। তিনি বলেন, কোনো প্রকার আলোচনা না করেই ডিএসসিসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের ওপর জুলুম চলছে। ব্যবসাগুলো এক দিনে গড়ে ওঠেনি। রাজউকের পাস করা ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ নেই বললেই চলে। বিগত সরকারের সময় এই জটিলতা নিরসনে একটা টাস্কফোর্স করা হয়েছিল। সেই টাস্কফোর্সের দুটি বৈঠক হয়েছিল। তারপর তো সরকার বদল হয়ে গেল।

ইমরান হাসান বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে এখন যদি ডিএসসিসি অভিযানে নামে, তাহলে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতি হলে আমাদের রেস্তোরাঁ বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’

গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর রেস্তোরাঁর অনুমোদন ও অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি সামনে আসে। ওই ভবনে আটটি রেস্তোরাঁ ছিল, তবে ভবনটিতে রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠার কোনো অনুমোদন ছিল না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চার বছর আগে দেশের রেস্তোরাঁ খাত নিয়ে একটি জরিপ করে। সেই জরিপের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে মোট হোটেল ও রেস্তোরাঁ ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৪টি, যা ২০০৯-১০ অর্থবছরের চেয়ে ৫৮ শতাংশ বেশি। সরকারি সংস্থার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮৫২টি। বাকি সব ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন।

রেস্তোরাঁ ব্যবসা করতে চাইলে একজন বিনিয়োগকারীকে সরকারের সাতটি সংস্থার অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিতে হয়। রেস্তোরাঁর জন্য প্রথমে নিবন্ধন ও পরে লাইসেন্স নিতে হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ২০২৪ সালের মার্চ মাসের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের সব সংস্থার প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিয়ে ঢাকায় রেস্তোরাঁ ব্যবসা করছে মাত্র ১৩৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে ১২৮টি রেস্তোরাঁ।

Header Ad
Header Ad

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বান। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ ও জনগণের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব কমিয়ে এনে মানুষের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “স্বৈরাচারী শাসনের অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জনরোষের মুখে পড়েছেন।” পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে নিজেদের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের পরামর্শ দেন তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ সদস্যদের আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো

নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। ছবি: সংগৃহীত

বারবার নিলাম ডেকেও এস আলম গ্রুপের বন্ধকী সম্পত্তির কোনো ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছে না দেশের ব্যাংকগুলো। ফলে ঋণ আদায়ে এখন বাধ্য হয়ে অর্থ ঋণ আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছে তারা। এতে পুরো প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত ও জটিল হয়ে পড়েছে।

চট্টগ্রামভিত্তিক এই শিল্পগোষ্ঠী ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, জনতা ব্যাংক ১০,৭০০ কোটি টাকার বিপরীতে ছয়বার নিলাম ডেকেও কোনো সাড়া পায়নি। একইভাবে ইসলামী ব্যাংকও সাত দফা নিলাম আয়োজন করেও ব্যর্থ হয়েছে, যার মধ্যে আইডিয়াল ফ্লাওয়ার মিলসের ১,১০০ কোটি টাকার ঋণ সংক্রান্ত নিলামও অন্তর্ভুক্ত।

সাম্প্রতিক সময়ে এস আলম গ্রুপের একাধিক স্টিল মিল, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জমি নিলামে তোলা হলেও দরপত্র জমা পড়েনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আইনি প্রক্রিয়া পূরণের জন্যই তারা এসব নিলাম ডাকছেন, যদিও আগ্রহী ক্রেতার দেখা মিলছে না। অনেকেই এই বিষয়টিকে ভয় পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন তারা।

অভিযোগ রয়েছে, এস আলম গ্রুপ সরাসরি ও পরোক্ষভাবে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যার বড় একটি অংশ বিদেশে পাচার হয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে গ্রুপটির নিয়ন্ত্রণ জব্দ করে।

বর্তমানে এস আলম গ্রুপের ওপর কেন্দ্রীয়ভাবে তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে ১৪ সদস্যের বিশেষ লিগ্যাল টিম। একই সঙ্গে তাদের জব্দকৃত শেয়ার বিক্রির জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল
দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি
ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন,পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি পাকিস্তানের
কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত মার্ক কার্নি
নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য