মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ভারতের ‘ডিসকো কিং’

ভারত ও বাংলাদেশের, নানা ভুবনের মানুষের কাছে জনপ্রিয়। বিখ্যাত এই ভারতীয় গায়ক ও সঙ্গীত পরিচালক-বাপ্পি লাহিড়ি। জন্ম ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে। জন্মেছেন ১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর। তারা বাঙালি ব্রাক্ষ্মণ পরিবার। বাপ্পির বাবা অপরেশ লাহিড়ি ছিলেন বিখ্যাত বাঙালি শিল্পী। মা বনশ্রী লাহিড়িও ছিলেন শিল্পী। তারা খুব গান গাইতেন। মা ভালো সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন। ক্লাসিক্যাল ও শ্যামাসঙ্গীতে খুব পারদর্শী। ফলে ছেলেকে তারা গানের প্রতিটি শাখাতেই নিজের হাতে শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি তাদের একমাত্র সন্তান ছিলেন। খুব ছোট থেকে বাপ্পি লাহিড়ি স্বপ্ন দেখতেন-নাম কামাবেন, জাতীয়ভাবেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বিখ্যাত হবেন।

মোটে তিন বছর বয়সে তবলা শেখা শুরু করন। অল্পবয়সেই পেশাদার ও দক্ষ শিল্পীর মতো তবলা বাজিয়ে নিজের মধ্যে বড় শিল্পী হবার লক্ষণগুলো প্রকাশ করেছেন। বাপ্পি লাহিড়ি বিবাহিত-স্ত্রী চিত্রাণী লাহিড়ি। তাদের দুটি সন্তান। একটি ছেলে ও মেয়ে। ছেলেটি বড়-বাপ্পা লাহিড়ি, মেয়ের রেমা লাহিড়ি। গানের প্রতি ভালোবাসা, সঙ্গীতের প্রেম পুরো পরিবারে ছড়িয়ে দিয়েছেন বাপ্পি। স্ত্রীও একটি শিল্পী পরিবারের মেয়ে বলে সুবিধা হয়েছে। তাদের অনেকে গানবাজনা করেন। রেমা বাবার মতো খুব চমৎকার গান করেন। উত্তরাধিকার সূত্রে বাবার সঙ্গীতের তীক্ষ্মবোধ পেয়েছেন ছেলে বাপ্পা। বাবাকে অনুসরণ করে হিন্দি সিনেমা শিল্পে যোগ দিয়েছেন। বাপ্পা লাহিড়ি বলিউডে সঙ্গীত পরিচালক।

বাপ্পি লাহিড়ি অন্য কারো সঙ্গে মেলে না-এমন একটি স্টাইল গড়ে তুলেছেন। গানের ক্ষেত্রেও স্টাইলটি বাপ্পির নিজের তৈরি। পূব ও পশ্চিমের গানের ধারাগুলোকে নিখুঁতভাবে মিশিয়েছেন। তার পোশাকআশাকের স্টাইলও অনন্য। তার সংগ্রহে ছিল পাঞ্জাবি আদলের ভারতের ঐতিহ্যবাহী কুর্তা ও শেরওয়ানিগুলো। সেগুলো সবসময় পরতেন। কালো তার প্রিয় রঙ ছিল। তিনি তার পোশাকের আলমারিতে আরো সাজিয়ে রেখেছিলেন ওয়েস্টান স্যুট, শাট এবং ব্লেজারগুলো। বিভিন্ন ধরণের গহনা পরতে ভালোবাসতেন। এগুলো সবই তার জীবনকে গানের মতো প্রতিনিধিত্ব করে গিয়েছে। সারা ভারতে এবং আরো সব দেশে, এমনকি বাংলাদেশের বাংলা ভাষার মানুষের কাছে মুম্বাইয়ের এই নামকরা গায়ক চোখে পড়তেন স্বর্ণের গহনা পরা, গলায় চশমা পরা বলে।

বাংলা ছবিতে গেয়ে সিনেমার প্লেব্যাক শুরুর সুযোগ লাভ করেছিলেন বাপ্পি। ছবিটির নাম ‘দাদু’। বেরিয়েছিল টালিগঞ্জে, ১৯৭২ সালে। তখন বাপ্পি লাহিড়ির বয়স মোটে ১৯। যে ছবিটির মাধ্যমে তিনি হিন্দি ভুবনে সঙ্গীত পরিচালনার জীবন শুরু করেছেন, সেটির নাম ‘নানহা শিকারী’। বেরিয়েছিল ১৯৭৩ সালে। তখন তার ২০ বছর। বলিউডে তাকে যে ছবিটি স্থায়ীত্ব দান করেছে, সেটি তানহির হাসানের ছবি, ১৯৭৫ সালে মুক্তি পেয়েছে, নাম ‘ঝাকমি’। ছবিটিতে তিনি সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন ও একজন প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে বলিউডে যাত্রা করেছেন। তাকে এই ছবিটি খ্যাতি ও সুনাম লাভ করিয়ে দিয়েছে। হিন্দি ছবির ভুবনে একটি নতুন বাপ্পি লাহিড়ি যুগের সূচনা করেছে। নিজের গানের শক্তিতে, সুরের জাদুতে এরপর থেকে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছেন তিনি। বাপ্পির ‘চলতে চলতে’ ও ‘সুরাকশা’ ছবি দুটি অবিশ্বাস্য জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তাকে সম্মানের শীর্ষে নিয়ে এসেছে। এত অল্প সময়ে এত বড় সাফল্য আর কোনো সঙ্গীত পরিচালক তার মতো কম বয়সে পাননি বলিউডে।

গায়ক, সঙ্গীত পরিচালক বাপ্পি লাহিড়ি ভারতে ডিসকো বিটের জনক। তার মন ভালো করে দেওয়া, ছন্দময় ও স্পন্দনময় সঙ্গীত ও সুরগুলো দশকের পর দশক ধরে ভারত এবং নানা দেশের সঙ্গীত ও সুর প্রেমীদের নাচিয়ে চলেছে। তিনি ডিসকো বিটের একক জনক হিসেবে পুরো ভারতেও জনপ্রিয় এবং পরিচিত ছিলেন। ভারতে তাকে ‘ডিসকো কিং’ হিসেবে ডাকা হতো। অন্যান্য দেশে তিনি ছিলেন ‘ভারতের ডিসকো কিং’। ১৯৮০’র দশকে তার বিখ্যাত ও জনপ্রিয় সিনেমা ‘ডিসকো ডান্সার’ ছবিটির কারণে সবচেয়ে জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালকের আসনে বসে গিয়েছেন। যারা এই ছবির গানগুলো শুনেছেন তারা তার গলাটি ভুলতে পারবেন না।

নিজেকে বারবার ভেঙেছেন, গড়েছেন। তাকে মনে রাখতে হবে, পুরোপুরি বিনোদন দান করতে আসা একজন গায়ক ও সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে, যিনি নিজেকে সুপারস্টার করেছিলেন। খুব ভালো পারকাশন বাজাতে পারতেন বাপ্পি লাহিড়ি। কেবল একজন নামকরা গায়ক ছিলেন না, বাপ্পি লাহিড়ি হিন্দি সিনেমার ভুবনের কিংবদন্তীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গেয়েছেনও। মোহামেদ রাফি ও কিশোর কুমারের সঙ্গে ডুয়েটগুলোর জন্য তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে রইবেন। ভারতের দুই বিখ্যাত গায়িকা বোন লতা মঙ্গেশকর ও আশা ভোঁসলের সঙ্গেও অনেক কাজ করেছেন তিনি। সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে বলিউডে এনেছেন ভিজয় বেনডিক্ট ও স্মরণ প্রভাকরকে। আলিশা চিনাই ও উষা উত্থুপের নাম কামাবার পথটি গড়ে দিয়েছেন সঙ্গীত পরিচালনায়।

১৯৯০’র বছরগুলোতেও হিন্দি গানের ভুবনে রাজত্ব করে গিয়েছেন তিনি প্রকাশ মেহরার প্রযোজনায় ‘দালাল’ ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করে। নায়ক ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। ছবিটির ‘গুটুর গুটুর’ গানটি খুব হিট করেছে। এই ছবিতেও তিনি বাকিগুলোর মতো গেয়েছেন। পরের দশকটিতেও আগের মতোই সাধারণ মানুষের মধ্যে বাপ্পি লাহিড়ির জনপ্রিয়তা প্রবাহমান ছিল। তার অ্যালবাম-‘বাপ্পি ম্যাজিক-দি অ্যাশলি বাপ্পা মিক্স’ সুপারহিট হয়েছে। তার ‘গোরি হায় কল্যায়ান’ ও ‘জিমি জিমি’ গান দুটি সিনেমায় বেরুনোর পর প্রবল ধুমধামের সৃষ্টি করেছে। ‘জিমি জিমি’ গেয়েছেন তিনি মিঠুনের কন্ঠে। ২০০৫ সালে তিনি ‘ম্যায় গান্ধিকো নাহিন মারা’ ছবিতে পরিচালক জুনু বড়ুয়ার জন্য কাজ করে খ্যাতি লাভ করেছেন।

অন্য সঙ্গীত পরিচালকদের জন্য গাওয়া শুরু করেন বাপ্পি লাহিড়ি ২০০৬ সালে। শুরুটি করেছিলেন ‘বম্বাই নগরিয়া’ গানে, কাজ করেছেন তাতে ভিশাল-শেখরের অধীনে। ছবির নাম ‘ট্যাক্সি নাম্বার ৯২১১’। সিনেমাটি বেরুনোর সঙ্গে, সঙ্গে গানটি হিট করেছে। মনি রত্নমের ছবি ‘গুরু’র মূল গানটিই তার, সুপারহিট হয়েছে। এখানে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন এ. আর. রহমান। এভাবে ভারতের হিন্দি ছবির বড় পর্দাগুলো জিতে নিয়ে টেলিভিশনের রিয়ালিটি শোগুলোর দিকে মনোযোগ দিয়েছেন তিনি।

বাপ্পি লাহিড়ি নামের সুপারস্টারকে কটি হিন্দি ও বাংলা সুপারহিট বাদে, আমাদের দেশের দর্শকরা চেনেন; সেটি টিভি শোগুলোর কারণেই। ২০০৬ সালে এই ভুবনে কাজ শুরু করেছেন তিনি। তখন জি টিভির জনপ্রিয় শো “সা রে গা মা পা লি’চ্যাম্পস”-এ, অলকা ইয়াগনিক ও অভিজিতের সঙ্গে সহ-বিচারক তিনি। দর্শক নন্দিত বিচারক ছিলেন জি টিভির ‘সা রে গা মা পা চ্যালেঞ্জ ২০০৭’ রিয়ালিটি শোতে। তাতে আরো বিচারক ছিলেন সঙ্গীত পরিচালক-হিমেশ রেশমিয়া, ইসমাঈল দরবার ও ভিশাল-শেখর। বিনোদন চ্যানেল সনি এন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশনের ‘কে ফর কিশোর’ রিয়ালিটিতে কিশোর কুমারের মতো চুল নিয়ে উপস্থিত হয়েও নাম কুড়িয়েছেন বিখ্যাত গায়ক, পরিচালক। কেবল ভারতেই নয়, সারা বিশ্বজুড়ে ও বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে বাপ্পি লাহিড়ির রিয়ালিটি শোগুলো। এগুলোতে তিনি তার গানের মেধা ও গলা নিয়ে হাজির হয়েছেন। নিজেকে সম্মানিত করেছেন।

২০১৬ সালের শেষ দিকে তিনি কাজ করলেন আরেক ভুবনে। চলে গেলেন হলিউডে। ওয়াল্ট ডিজনির হিট থ্রিডি কম্পিউটার অ্যানিমেটেড-কাল্পনিক অভিযানের ছবি, ‘মোনা’র ভারতীয় ভাষার সংস্করণে ‘টামাটা’ চরিত্রে কন্ঠদান করেছেন। টামাটা হলো একটি কাঁকড়া। তার সিনাইয়ের জমানো ধনগুলো নেবার ঝোঁক আছে। ছবিটির সিনাই গানটির হিন্দি সংস্করণ ‘সোনা’ তিনি গাইলেন ও সঙ্গীত পরিচালনা করলেন। তিনি বলেছেন, ‘এই ছবিকে সহযোগিতা করতে পারা আমার জন্য বিরাট সম্মানের। সবসময় আমি নতুন কোনো দিকের প্রতি গিয়েছি, খুঁজে চলেছি। এই প্রথম কোনো অ্যানিমেটেড চরিত্রের জন্য কন্ঠ দান করলাম। তারপরও খুব ভালো লেগেছে। কারণ টামাটা খুব আমার মত। আমি মনে করি, আমার প্রতি স্রষ্টার এই দান মানুষজন উপভোগ করবেন। এটি আমার একটি স্বর্ণ স্মৃতি।’

তিনি উপস্থিত হয়েছেন রামরতনের গান ‘ইয়ে হাই ডান্স বার’-এ। বাপ্পি লাহিড়ি হিন্দি চলচ্চিত্রে তার সারাজীবনের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ফিল্মফেয়ারের ৬৩তম সম্মাননা পদক প্রদান অনুষ্ঠানে ‘আজীবন সম্মাননা’ লাভ করেছেন, ২০১৪ সালে। এ বছর তিনি রাজনীতিতে এসেছেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন।

গানে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বাধাগুলো অতিক্রম করতে সারাজীবন বাপ্পি লাহিড়ি কাজ করেছেন। আরেকবার সুপারহিট অ্যালবাম দিয়ে ইতিহাস গড়তে চেয়েছেন তারপর। নাম ‘মাই লাভ’। অ্যালবামটি ভালো চলেছে। ভারতে তিনি ‘ডিসকো কিং’, অন্যরকমের পোশাক-আশাকের জন্য খ্যাতি লাভ করেছেন। অনেকগুলো সুপারহিট গানের গায়ক ছিলেন। হিন্দি সিনেমার ভুবনে একজন আন্তরিক এবং প্রিয় গানের তারকা হিসেবেও বিখ্যাত ছিলেন।

(ইংরেজি থেকে অনুবাদ)

Header Ad
Header Ad

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

নকশাবহির্ভূত রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এতে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় কিছু আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের অভ্যন্তরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদিত নকশায় না থাকলেও বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ (রেস্টুরেন্ট) পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ভবনের ছাদে অবৈধভাবে রুফটপ রেস্তোরাঁ পরিচালিত হচ্ছে, যা জনজীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ পরিচালনা করায় এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও সম্পদহানির ঘটনা ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে অনেক অবৈধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনৈতিক উপায়ে করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে।

ডিএসসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্পদ ও জানমালের ঝুঁকি এড়াতে নকশাবহির্ভূত সব রেস্তোরাঁ এবং ভবনের ছাদে স্থাপিত রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল ঘোষণা করা হলো। বাতিল করা লাইসেন্স দিয়ে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘যেসব রেস্তোরাঁ সঠিক তথ্য না দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। তবে ভবনের অনুমোদন কিন্তু বাতিল করা হয়নি। ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সশরীর উপস্থিত হয়ে আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত দিলে সেগুলো সচল করা হবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি রেস্তোরাঁকে আলাদা করে চিঠি পাঠাব।’

ডিএসসিসির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। তিনি বলেন, কোনো প্রকার আলোচনা না করেই ডিএসসিসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের ওপর জুলুম চলছে। ব্যবসাগুলো এক দিনে গড়ে ওঠেনি। রাজউকের পাস করা ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ নেই বললেই চলে। বিগত সরকারের সময় এই জটিলতা নিরসনে একটা টাস্কফোর্স করা হয়েছিল। সেই টাস্কফোর্সের দুটি বৈঠক হয়েছিল। তারপর তো সরকার বদল হয়ে গেল।

ইমরান হাসান বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে এখন যদি ডিএসসিসি অভিযানে নামে, তাহলে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতি হলে আমাদের রেস্তোরাঁ বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’

গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর রেস্তোরাঁর অনুমোদন ও অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি সামনে আসে। ওই ভবনে আটটি রেস্তোরাঁ ছিল, তবে ভবনটিতে রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠার কোনো অনুমোদন ছিল না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চার বছর আগে দেশের রেস্তোরাঁ খাত নিয়ে একটি জরিপ করে। সেই জরিপের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে মোট হোটেল ও রেস্তোরাঁ ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৪টি, যা ২০০৯-১০ অর্থবছরের চেয়ে ৫৮ শতাংশ বেশি। সরকারি সংস্থার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮৫২টি। বাকি সব ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন।

রেস্তোরাঁ ব্যবসা করতে চাইলে একজন বিনিয়োগকারীকে সরকারের সাতটি সংস্থার অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিতে হয়। রেস্তোরাঁর জন্য প্রথমে নিবন্ধন ও পরে লাইসেন্স নিতে হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ২০২৪ সালের মার্চ মাসের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের সব সংস্থার প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিয়ে ঢাকায় রেস্তোরাঁ ব্যবসা করছে মাত্র ১৩৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে ১২৮টি রেস্তোরাঁ।

Header Ad
Header Ad

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বান। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ ও জনগণের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব কমিয়ে এনে মানুষের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “স্বৈরাচারী শাসনের অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জনরোষের মুখে পড়েছেন।” পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে নিজেদের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের পরামর্শ দেন তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ সদস্যদের আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো

নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। ছবি: সংগৃহীত

বারবার নিলাম ডেকেও এস আলম গ্রুপের বন্ধকী সম্পত্তির কোনো ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছে না দেশের ব্যাংকগুলো। ফলে ঋণ আদায়ে এখন বাধ্য হয়ে অর্থ ঋণ আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছে তারা। এতে পুরো প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত ও জটিল হয়ে পড়েছে।

চট্টগ্রামভিত্তিক এই শিল্পগোষ্ঠী ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, জনতা ব্যাংক ১০,৭০০ কোটি টাকার বিপরীতে ছয়বার নিলাম ডেকেও কোনো সাড়া পায়নি। একইভাবে ইসলামী ব্যাংকও সাত দফা নিলাম আয়োজন করেও ব্যর্থ হয়েছে, যার মধ্যে আইডিয়াল ফ্লাওয়ার মিলসের ১,১০০ কোটি টাকার ঋণ সংক্রান্ত নিলামও অন্তর্ভুক্ত।

সাম্প্রতিক সময়ে এস আলম গ্রুপের একাধিক স্টিল মিল, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জমি নিলামে তোলা হলেও দরপত্র জমা পড়েনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আইনি প্রক্রিয়া পূরণের জন্যই তারা এসব নিলাম ডাকছেন, যদিও আগ্রহী ক্রেতার দেখা মিলছে না। অনেকেই এই বিষয়টিকে ভয় পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন তারা।

অভিযোগ রয়েছে, এস আলম গ্রুপ সরাসরি ও পরোক্ষভাবে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যার বড় একটি অংশ বিদেশে পাচার হয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে গ্রুপটির নিয়ন্ত্রণ জব্দ করে।

বর্তমানে এস আলম গ্রুপের ওপর কেন্দ্রীয়ভাবে তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে ১৪ সদস্যের বিশেষ লিগ্যাল টিম। একই সঙ্গে তাদের জব্দকৃত শেয়ার বিক্রির জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল
দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি
ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন,পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি পাকিস্তানের
কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত মার্ক কার্নি
নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য