পর্যটকে মুখর নওগাঁর সোমপুর বিহার
প্রকৃতিতে এসেছে মধুর বসন্ত। সঙ্গে যোগ হয়েছে ভালোবাসা দিবস। ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবস ঘিরে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে সোমপুর বিহার। স্থানীয় পর্যটকদের পাশাপাশি সোমপুর বিহারে বিদেশি পর্যটকের আসা-যাওয়াও ছিল। তবে পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও করোনা সংক্রমণ রোধে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
দীর্ঘ সময় মানুষের কোলাহল আর দূষণ না থাকায় প্রকৃতি তার অপার মহিমায় ঢেলে সাজিয়েছে সোমপুর বিহার এলাকা। আর এসব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভীড় জমিয়েছেন হাজারও পর্যটক। পাশাপাশি এসব সৌন্দর্য উপভোগ করতে চীন থেকে ছুটে এসেছেন তিন পর্যটক।
ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার। বাংলাদেশে অবস্থিত তিনটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের মধ্যে এই বিহারটি অন্যতম। এর আদি নাম সোমপুর বিহার। এটি নওগাঁর বদলগাছীর পাহাড়পুর ইউনিয়নে অবস্থিত। ঐতিহাসিক এ নিদর্শন দেখতে পয়লা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস উৎসব শেষ হয়ে গেলেও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকদের আসা অব্যাহত রয়েছে।
সোমপুর বিহার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েকদিন পর্যটকের তেমন আনাগোনা না থাকলেও রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে বিহার এলাকায় ভিড় বাড়ে পর্যটকের।
রাজশাহী থেকে আগত পর্যটক মিম ও লাবনী বলেন, ‘করোনায় দীর্ঘ সময় ঘরে বসেই কাটাতে হয়েছে। এবার নতুন জায়গা দেখতে এসেছি। এতো সুন্দর তা ভাবতে পারিনি। শুধু বাবা-মায়ের কাছ থেকে পাহাড়পুরের কথা শুনেছি। দেখার ভাগ্য এবার হয়েছে। ভালোবাসা দিবসে তারা বাবা-মার সঙ্গে বেড়াতে এসেছি।'
অপর এক পর্যটক মেঘা রানী বলেন, 'ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার দেখে মুগ্ধ। এতো অপূর্ব দৃশ্য নওগাঁয় আছে তা না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না। তাই তারা সবাইকে পাহাড়পুর দেখার আহ্বান জানান।'
এ বিষয়ে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার কাস্টোডিয়ান মো. ফজলুল করিম বলেন, 'এবার বৌদ্ধ বিহারে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে সরকারের রাজস্বও। সেই সঙ্গে ব্যাপক নিরাপত্তা বাড়িয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।'
তিনি আরও বলেন, 'সংস্কারের পর বৌদ্ধ বিহারের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি টানা এক সপ্তাহ পর্যন্ত এরকমই পর্যটকদের সমাগম ঘটবে ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করি।'
টিটি/