শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ | ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

দুশ্চিন্তার ভাঁজ গদখালীর ফুল চাষিদের কপালে

উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন যশোরের গদখালীর ফুল চাষিরা। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সবচেয়ে বেশি ফুল বিক্রি হয় যশোরের গদখালীতে। কিন্তু করোনা বিধি নিষেধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় এবছরও লোকসানে পড়তে হচ্ছে তাদের। যেখানে করোনা কালের আগে দৈনিক কোটি টাকার ফুল বিক্রি হতো, তা এখন নেই বললেই চলে। গত বছরের শেষ দিকে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলে আশা জেগেছিল চাষিদের মনে। প্রত্যাশা ছিল গত দুই বছরের লোকশান এবার কাটিয়ে উঠতে পারবেন। সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও ছিলো। কিন্তু গত মাস থেকে করোনা পরিস্থিতি আবার উদ্বেগজনক হারে বাড়ায় দুশ্চিন্তার ভাঁজ গদখালীর ফুল চাষিদের।

গদখালীর ফুলচাষি শফিয়ার রহমান জানান, মহামারি করোনা ও আম্পান ঘূর্ণিঝড়ের কারণে টানা দুই বছরের মন্দাভাব কাটিয়ে তিন বিঘা জমিতে গোলাপ ও দেড় বিঘা জমিতে গাঁদা ফুলের চাষ করেছেন । আসছে পয়লা ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের জন্য উৎপাদিত ফুল বিক্রি করে গত দুই বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নেবেন তিনি। কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর মুখে হঠাৎ করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট অমিক্রন বিস্তারে কারণে সরকার বিধি-নিষেধ জারি করেছে। এতে চিন্তায় পড়েছেন তিনি। করোনার বিধি-নিষেধে ইতোমধ্যে সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় কমতে শুরু করেছে ফুলের দাম। এমন পরিস্থিতিতে সামনের দিবসগুলোতে ফুল বিক্রি নিয়ে সংশয়ে আছেন এই ফুল চাষি।

হাড়িখালি গ্রামের ফুল চাষি রুবেল হোসেন জানান, করোনা আর আম্পানে লণ্ডভণ্ড হওয়া ফুল ক্ষেত রক্ষায় ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে নুতন করে আবাদ শুরু করেছি। আশা করেছিলাম, সামনের দিবসে ভালো দামে ফুলগুলো বিক্রি করতে পারলে ঋণ শোধ করতে পারবো। কিন্তু জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে এসেছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট অমিক্রন। ফুলের ভরা মৌসুমে সরকার সকল অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ায় ফুলের দাম কমে গেছে। ফুল বেচাকেনায় ভাটা পড়ে তাহলে পরিবার নিয়ে পথে বসতে হবে।

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী-পানিসারা ইউনিয়নে হাজারো একর জমিতে বছরজুড়ে উৎপাদন হচ্ছে দেশি-বিদেশি নানা জাতের ফুল। পথের দুই ধারে গোলাপ, রজনীগন্ধা, গ্ল্যাডিওলাস, গাঁদা, জারবেরা ফুলের ক্ষেত। লাল, নীল, হলুদ, বেগুনি আর সাদা রঙের এক বিস্তীর্ণ বিছানা যেন বিছিয়ে রেখেছে। এ দৃশ্যে চোখ জুড়ানোর পাশাপাশি জুড়িয়ে যায় হৃদয়ও। দেশে উৎপাদিত ফুলের ৬০ ভাগ যোগান হয় এখান থেকে।
গদখালীর টাওয়া গ্রামের কৃষক নিমাজ উদ্দিন বলেন, করোনার কারণে গত বছর বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও পয়লা ফাল্গুনে কোনো উৎসব না হওয়ায় ফুল বিক্রি করতে পারিনি। তবে গেল বছরের সেপ্টেম্বর থেকে করোনা স্বাভাবিক হওয়ায় ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফুল বেচাকেনা ছিলো ভালো। এবারও ভালোবাসা দিবস ও পয়লা ফাল্গুনে অমিক্রন হানা দিয়েছে। কত টাকার ফুল বিক্রি হবে এ বছর, তা নিয়ে শঙ্কায় আছি। কারণ, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশে বিয়েসহ সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান কমেছে। উৎসব আয়োজনও সীমিত হয়ে পড়েছে।

গদখালী বাজারে ফুল ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদ জানান, বর্তমানে ফুলের বাজার খুব খারাপ। লকডাউন না দিলেও করোনা আতংকে ফুল বেচাকেনা কম। বর্তমানে বাজারে প্রতি হাজার গাঁদা ফুল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। যা এক মাস আগে ছিলো ৮০০-৯০০ টাকা দরে। একেকটি গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ৬ টাকা, যা আগে বিক্রি হয়েছে ৭-৮ টাকায়। রজনীগন্ধা একেকটি স্টিক বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫ থেকে ৬ টাকায়, যা আগে ছিল ৭-১০ টাকায়। রঙিন গ্ল্যাডিউলাস প্রতিটি মান ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪-৫ টাকায়, যা আগে ছিল ৯-১২ টাকায়। জারবেরা বিক্রি হচ্ছে ৪- ৬টাকায়, যা আগে দাম ছিল ৮-১০ টাকায়। ফুল বাঁধার জন্য কামিনীর পাতা বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা আঁটি, যা আগে ছিল ৫০-৬০ টাকা। জিপসির আঁটি বিক্রি হয়েছে ২০-৩০ টাকা। যা আগে বিক্রি হতো ৩০-৪৫ টাকায়।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার্স সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, ফুলের ব্যবসা মূলত বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রিক। গত দুই বছর করোনায় লকডাউনের কারণে ফুল বিক্রি করতে না পেরে পথে বসতে হয় চাষিদের। কেউ আবার ফুলের আবাদ ছেড়ে অন্য ফসলের আবাদ শুরু করেছিলেন। করোনার প্রকোপ কিছুটা কমায় ঋণ নিয়ে অনেকেই নতুন করে শুরু করে ফুলের আবাদ। নতুন ভ্যারিয়েন্ট অমিক্রনের কারণে সামনের দুই দিবসে ফুল বিক্রি করতে না পারলে নিঃস্ব হতে হবে চাষিদের।

যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুবাষ বসু জানান, চলতি বছর ঝিকরগাছার গদখালি ও পানিসারা ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ হয়েছে। করোনাকাল কাটিয়ে উঠে এখানকার কৃষকরা অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন। ফুলের উৎপাদন, চাহিদা ও দাম সবই বেশ ভালো ছিলো এবার। আসন্ন দুটি দিবসে করোনার বিধি নিষেধ থাকলে ফুল চাষিদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাবে আরও।

 এমএমজে/

Header Ad
Header Ad

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়। এজন্য মিয়ানমারে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকালে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

গুতেরেস বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে আমি দুটি স্পষ্ট বার্তা পেয়েছি। প্রথমত, আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই মিয়ানমারে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে হবে এবং রোহিঙ্গাদের অধিকার নিশ্চিত করে বৈষম্যের শিকার হওয়া থেকে রক্ষা করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে আরও ভালো পরিবেশ চায়। দুর্ভাগ্যবশত, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ সম্প্রতি নাটকীয়ভাবে মানবিক সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে। ফলে খাবারের রেশন কমাতে বাধ্য হয়েছি। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যতটা সম্ভব দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলব, যাতে করে ফান্ড পাওয়া যায় এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ না হয়।’

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ভুলে যাবে না এমন আশা প্রকাশ করে গুতেরেস বলেন, ‘সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার জন্য এই সম্প্রদায়ের মানবিক সহায়তা অত্যন্ত জরুরি।’

Header Ad
Header Ad

আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপালি গ্রেফতার

রূপালি । ছবি: সংগৃহীত

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও শেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আয়েশা সিদ্দিকা রূপালিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) ভোরে ঝিনাইগাতী উপজেলার তেঁতুলতলার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আয়শা সিদ্দিকা রূপালির বিরুদ্ধে ঝিনাইগাতী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা রয়েছে। ওই মামলার আসামি হিসেবে তাকে তেঁতুলতলার আব্দুর রহিম পাগলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল আমীন জানান, গ্রেফতারের পর আয়েশা সিদ্দিকা রূপালিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট পেতে আধা ঘণ্টায় ২০ লাখ হিট

ছবি: সংগৃহীত

ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য শুক্রবার (১৪ মার্চ) থেকে অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রথম দিন সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে ১৫ হাজার ৭৭৩টি টিকিটের বিপরীতে ২০ লাখ হিট পড়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন।

তিনি বলেন, ‘সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের ২৪ মার্চের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। তবে এ পর্যন্ত টিকিট কেনায় কোনও সমস্যা হয়নি। কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’

এদিকে, দুপুর ২টা থেকে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের ২৪ মার্চের টিকিট বিক্রি শুরু হবে।

কোন তারিখে কোন ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে

১৪ মার্চে ২৪ মার্চের টিকিট বিক্রি হবে

১৫ মার্চে ২৫ মার্চের টিকিট বিক্রি হবে

১৬ মার্চে ২৬ মার্চের টিকিট বিক্রি হবে

১৭ মার্চে ২৭ মার্চের টিকিট বিক্রি হবে

১৮ মার্চে ২৮ মার্চের টিকিট বিক্রি হবে

১৯ মার্চে ২৯ মার্চের টিকিট বিক্রি হবে

২০ মার্চে ৩০ মার্চের টিকিট বিক্রি হবে

রেল মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবার শতভাগ অনলাইনে টিকিট বিক্রি হওয়ায় কাউন্টারে কোনও টিকিট পাওয়া যাবে না। টানা সাত দিন ধরে এই প্রক্রিয়া চলবে।

গত ৬ মার্চ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন জানান, ঈদযাত্রা শুরু হবে ২৪ মার্চ থেকে। যাত্রীদের সুবিধার্থে পাঁচ জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন চলবে। যাত্রী চাহিদার ওপর ভিত্তি করে আরও বিশেষ ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব
আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপালি গ্রেফতার
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট পেতে আধা ঘণ্টায় ২০ লাখ হিট
দুই বছরের কন্যাকে হারালেন আফগান ক্রিকেটার হজরতউল্লাহ জাজাই
রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব
কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় আতশবাজি জব্দ
সুন্দরবনের গহীন থেকে বৃদ্ধা নারী উদ্ধার
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত
গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে আরো সাত লাশ উদ্ধার
জাতিসংঘ মহাসচিবকে নিয়ে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন ড. ইউনূস
গালি দেয়া সেই উপস্থাপিকার চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান হাসনাতের
প্রশাসনের ঢিলেঢালা আচরণে দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পাচ্ছে: রিজভী
৬০তম জন্মদিনে নতুন প্রেমিকাকে প্রকাশ্যে আনলেন আমির খান
গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বাংলাদেশের পাশে থাকবে জাতিসংঘ: গুতেরেস
আমেরিকান এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ভয়াবহ আগুন, ডানা দিয়ে নামলেন যাত্রীরা
চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর সীমান্তে ৯ লাখ টাকার মাদক ও চোরাচালানি মালামাল জব্দ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের সাক্ষাৎ
৩ ম্যাচ পর মাঠে ফিরেই মেসির দুর্দান্ত গোল, কোয়ার্টারে ইন্টার মিয়ামি (ভিডিও)
মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না: তারেক রহমান
ইসলামী শাসনে চলবে সিরিয়া, অস্থায়ী সংবিধানে সই করলেন প্রেসিডেন্ট