শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সাতক্ষীরায় মাটির পুকুরে গলদা চিংড়ির পিএল উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে প্রথমবার মাটির পুকুরে গলদা চিংড়ির পিএল উৎপাদনে এসেছে অভাবনীয় সফলতা। কালিগঞ্জ উপজেলার তারালি ইউনিয়নের সন্ন্যাসীর চকে ৮০ শতকের একটি পুকুরে ১৭৯টি গলদা চিংড়ির মাদার থেকে প্রায় ২০ লক্ষাধিক পিএল উৎপাদিত হয়েছে। এতে খামারিদের পাশাপাশি চাষিরাও দ্বিগুন লাভের মুখ দেখতে পাবেন বলে ধারণা করছে মৎস্য অধিদপ্তর।

দেশে যে পরিমাণ গলদা চিংড়ি চাষ হয় তার শতকরা ৯৫ শতাংশ পিএল চোরা চালানোর মাধ্যমে ভারত থেকে আনা হয় অথবা অবৈধভাবে নদী থেকে রেনু সংগ্রহ করা। হ্যাচারিগুলোতে উৎপাদিত পিএল চাহিদার পাঁচ শতাংশ পূরণ করতে পারে না। যে কারণে অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের মত বাংলাদেশেও উপকূলীয় অঞ্চলে মাটির পুকুরে গলদা চিংড়ির পিএল উৎপাদনের। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার পর সেই সাফল্য ধরা দিয়েছে সাতক্ষীরায়। কালিগঞ্জ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা’র সরাসরি তত্ত্বাবধানে তারালি ইউনিয়ের সন্ন্যাসীর চকে আজিজুর রহমান পাড়ের পুকুরে সফলভাবে গলদা চিংড়ির পিএল উৎপাদন সম্পন্ন হয়েছে।

কালিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিস জানায়, কালিগঞ্জের ইছামতি, কাকশিয়ালি ও কালিন্দি নদী থেকে মাদার সংগ্রহ করে ১৭৯টি বাছাই করা মাদার তারালি ইউনিয়নের আজিজুর রহমানের মৎস্য খামারের ৮০ শতক জমির একটি পুকুরে ছাড়া হয়। গলদা চিংড়ির মাদারগুলোর ওজন ছিল ৬০ থেকে ৮০ গ্রাম। সেমিইনটেনসিভ বাগদা চিংড়ি চাষের পুকুরের মতো করে বায়োসিকিউরিটি ও পুকুর প্রস্তুতি নিশ্চিত করা হয়েছে। পানির স্যালাইনিটি ১২ থেকে ৮ পিপিটি পর্যন্ত ওঠানামা করানো হয়েছে। সব খরচ মিলিয়ে ব্যয় হয়েছে দুই লাখ টাকা। ধারণা করা হচ্ছে, এই পুকুরে ২০ লক্ষাধিক পিএল উৎপাদিত হয়েছে, যার বাজার মূল্য ৪৪ লাখ টাকার মতো।

পিএল ক্রয় করতে আসা আস্কারপুর গ্রামের মৎস্য চাষী আজমির হোসেন বলেন, আগে আমরা নদীর এবং ভারত থেকে আসা পিএল উচ্চ মূল্যে সংগ্রহ করতাম। হটাৎ খবর পেলাম আজিজুর রহমানের খামারে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে মাটির পুকুরে গলদা পিএল উৎপাদন হয়েছে। তাই এখানে এসেছি পিএল নেওয়ার জন্য। পিএল(পোনা) দেখেই মনে হচ্ছে এগুলো অনেক ভালো হবে। পিএলের গ্রোথ অনেক ভালো। দামও কম।

পিএল ক্রয় করতে আসা ভাঙ্গানমারী গ্রামের মৎস্য চাষী সারাকাত হোসেন ও আজগর আলী জানান, হ্যাচারির পিএল ঘেরে ছাড়লে অনেক সময় মাটির স্পর্শ পেলেই মারা যায়। এ ছাড়াও ভারত থেকে আসা পিএলও ভালো হয় না। এখানের পিএল গুলোর গ্রোথ দেখেই মনে হচ্ছে অনেক ভালো হবে। তাই আমরা নিজেরাও নিয়েছি। আবার অন্যত্রে বিক্রয়ের চিন্তাও করছি।

খামারের ম্যানেজার ইয়াকুব আলী বলেন, উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদার পরামর্শে এখানে ৮০ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে মাদার ছেড়েছি। পরীক্ষায় আমরা সফল হয়েছি। যে পরিমাণ পিএল(পোনা) উৎপাদন হয়েছে। তা আশপাশের এলাকার চাহিদা মিটিয়ে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলেও পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।

খুকু ফিস এন্ড এগ্রো ফার্মের সত্বাধিকারী হাফিজুর রহমান মাসুম বলেন, সরকারি-বেসরকারি হ্যাচারিগুলোতে উৎপাদিত পিএল মোট চাহিদার পাঁচ শতাংশ পূরণ করতে পারে না। এসব কারণে গলদা চিংড়ির পিএলের উচ্চমূল্য পরিলক্ষিত হয়। যে কারণে অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশেও উপকূলীয় অঞ্চলে মাটির পুকুরে গলদা চিংড়ির পিএল উৎপাদনের। দীর্ঘদিনের চেষ্টার পর অবশেষে সেই সাফল্য ধরা দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই পুকুরে ২০ লক্ষাধিক পিএল উৎপাদিত হয়েছে, যার বাজার মূল্য ৪৪ লাখ টাকার মতো। এই প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিতে পারলে চাষিরা লাভবান হবে। চোরাচালান এবং অবৈধভাবে রেণু ধরা বন্ধ হবে।

এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, আমাদের দেশে গলদা রেনুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি। কিন্তু হ্যাচারি থেকে উৎপাদন হয় ৮-১০ কোটি। ফলে ঘাটতি থেকেই যায়। ঘাটতি পূরণের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে যাচ্ছি। এর প্রেক্ষিতে আজিজুর রহমানের ৮০ শতক পুকুরে পরীক্ষামূলকভাবে স্থানীয় তিনটি নদীর মাদার সংগ্রহ করে পিএল উৎপাদনের চেষ্টা করি। অনেক কম খরচে আমাদের চেষ্টাটি সফল হয়েছে। আমরা মনে করি প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন এসব পিএল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছে দিতে পারলে চাষিরা লাভবান হবে। খামারিরাও আশার আলো দেখবেন। উভয়ের খরচ কমবে। পাশাপাশি চাহিদাও পূরণ হবে।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

সচিবালয়ের সকল বেসরকারি পাস বাতিল, ঢুকতে পারবেন না সাংবাদিকেরাও

সচিবালয়। ছবি: সংগৃহীত

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া সচিবালয়ে প্রবেশের বেসরকারি সব পাস বাতিল করা হয়েছে। অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড দিয়ে আপাতত ঢুকতে পারবেন না সাংবাদিকরাও। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মোঃ খোদা বখস চৌধুরীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সচিবালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা বৃদ্ধির স্বার্থে সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকূলে ইস্যুকৃত স্থায়ী প্রবেশ পাস এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ইস্যুকৃত অস্থায়ী প্রবেশ পাস ব্যতীত সব ধরনের অস্থায়ী (বেসরকারি ব্যক্তিবর্গের জন্য) সচিবালয় প্রবেশ পাস বাতিল করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাংবাদিকদের অনুকূলে ইস্যুকৃত অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দ্বারা সচিবালয়ে প্রবেশাধিকার পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এতদ্বারা বাতিল করা হলো।

বিজ্ঞপ্তির শেষে জানানো হয়, বাতিলকৃত বিভিন্ন ক্যাটাগরির সচিবালয় প্রবেশ পাসধারীরা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ, ক্রাইম কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল সেন্টার, ডিএমপি, ১৫ আব্দুল গণি রোড, ঢাকায় স্থাপনকৃত বিশেষ সেলের মাধ্যমে নতুন করে অস্থায়ী প্রবেশ পাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সচিবালয়ের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ জারি করা হলো।

উল্লেখ্য, গত বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে সচিবালয়ে ৭ নম্বর ভবনে আগুন লেগে ৬ থেকে ৯তলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়। আগুনে স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের দপ্তরও পুড়ে যায়।

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনা-জয়ের ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের প্রমাণ পেয়েছে এফবিআই

শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও অর্থপাচারের প্রমাণ পেয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। লন্ডনের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এফবিআই।

যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের সিনিয়র ট্রায়াল অ্যাটর্নি লিন্ডা স্যামুয়েলস স্পেশাল এজেন্ট লা প্রিভোটের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখতে পান, বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে।

গত ৯ সেপ্টেম্বর এফবিআইয়ের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মানি লন্ডারিং অ্যান্ড লিগ্যাল ইউনিটের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কমিশনের সদর দপ্তরে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে বিপুল পরিমাণ দলিল বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

দুদক কর্মকর্তারা জানান, গত ১ অক্টোবর বাংলাদেশে ইইউ ডেলিগেশনের হেড অব কো-অপারেশন মাইকেল ক্রেজার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দুদকের তৎকালীন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পাচার হওয়া তহবিল প্রত্যাবাসন এবং কমিশনের পরিচালন সক্ষমতা বাড়াতে কারিগরি সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেন। শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে

যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগও তদন্ত শুরু করেছে দুদক। সংস্থার কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পকে বলেন, শেখ হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ অধিকতর তদন্তের জন্য দুদকের মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) বরাবর পাঠানো হয়েছে।

গত ১৭ ডিসেম্বর দুদকের মহাপরিচালক আখতার হোসেন জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৯টি অগ্রাধিকার উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শেখ হাসিনা, জয়, হাসিনার বোন শেখ রেহানা, ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ওঠা ৭০০ কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে পৃথকভাবে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

সূত্র জানায়, বেপজা ও বেজার আওতাধীন নয়টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, আশ্রয়ণসহ আরও কিছু প্রকল্প। ৭০০ কোটি ডলারের মধ্যে শুধু রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকেই ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করা হয়েছে। বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী তদন্তে টিউলিপ সিদ্দিকসহ তার পরিবারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

টিউলিপ ২০১৩ সালে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অস্ত্র সরবরাহের একটি চুক্তির মধ্যস্থতা করছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছিল।

টিউলিপের খালা শেখ হাসিনা ২০ বছরেরও বেশি সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং এখন দুর্নীতি দমন কমিশনের বিস্তৃত তদন্তের মুখোমুখি হচ্ছেন। টানা ১৫ বছর শাসনের পর শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান হাসিনা।

দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তাদের মতে, ২০১৪ সালে ‘যুক্তরাষ্ট্র বনাম রিজভী আহমেদের মামলায়’ সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম প্রথম নজরে আসে। এফবিআইয়ের তদন্তে জয়ের গুরুতর আর্থিক অসদাচরণের বিষয়টি উঠে আসে। বিশেষত জয়ের নামে হংকং এবং কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি এবং লন্ডন ব্যাংকে অর্থ স্থানান্তরিত করার তথ্য সামনে এসেছে। এফবিআই তাদের লন্ডন প্রতিনিধির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও অর্থ পাচারের প্রমাণ পেয়েছে।

একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বিচার বিভাগের একজন বিশেষ এজেন্ট নিশ্চিত করেছেন, কেম্যান আইল্যান্ড ও হংকংয়ের শেল কোম্পানির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশ থেকে ৩০ কোটি ডলার জমা হয়েছে।

এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনা অনেকাংশেই সত্য। আমরা ভবিষ্যতে আরও সুনির্দিষ্ট তথ্য পেতে পারি। এ বিষয়ে আমরা পরে সরাসরি কথা বলব।

বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত শ্বেতপত্র অনুযায়ী, কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অবৈধ তহবিল প্রবাহের কারণে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বার্ষিক ১৬ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

দুর্নীতিবাজদের ফাইলগুলো পুড়ে গেছে : রুহুল কবির রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু হওয়ার পরই সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা রহস্যজনক। শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী ৮৮ এসএসসি ব্যাচ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী অভিযোগ করেন, সচিবালয়ের মতো নিরাপদ সরকারি দপ্তরে আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল। এর মধ্যে রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত সাবেক কেবিনেট সচিবের ফাইল, যার ওপর তদন্ত চলছিল। তিনি প্রশ্ন করেন, “শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজনদের ফাইল তলব করার পরপরই কেন এমন ঘটনা ঘটল? এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত।”

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার স্বৈরাচারের দোসরদের চিহ্নিত করে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। শেখ হাসিনার সহযোগীদের প্রশাসনে বসিয়ে গণতন্ত্র রক্ষার বিপ্লবকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চলছে। যারা অতীতে গণতন্ত্র রক্ষায় আন্দোলন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে।

রিজভী বলেন, নির্বাচন গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনকে উপেক্ষা করে সংস্কারের কথা বলছে। তিনি অভিযোগ করেন, “এটি মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন আমলের ষড়যন্ত্রের মতো। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনই গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। আনুপাতিক হারে নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ এটি জটিল এবং সরাসরি ভোটাধিকারের বিরোধী।”

রিজভী আরও বলেন, যারা গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছে, তাদের অবদানের প্রতি সম্মান জানিয়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায়কে গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে বলেন, গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে হবে এবং কোনো ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সচিবালয়ের সকল বেসরকারি পাস বাতিল, ঢুকতে পারবেন না সাংবাদিকেরাও
শেখ হাসিনা-জয়ের ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের প্রমাণ পেয়েছে এফবিআই
দুর্নীতিবাজদের ফাইলগুলো পুড়ে গেছে : রুহুল কবির রিজভী
শনিবার যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না
গুম অবস্থায় ভারতের কারাগারে যাওয়ার লোমহর্ষক বর্ণনা সুখরঞ্জন বালির
শেখ হাসিনাকে ‘নারী’ বলতে রাজি নন মৎস্য উপদেষ্টা
সূর্যের সবচেয়ে কাছে মানুষের তৈরি যান
বর্তমান সরকার রিজার্ভ বাড়িয়েছে, ব্যাংক সেক্টর সচল করছে: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জটিল রাজনৈতিক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে : মির্জা ফখরুল
সংবিধান সংস্কারে রাজনৈতিক দলের সংকল্প জরুরি: অধ্যাপক আলী রীয়াজ
চলতি বছরের বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক হচ্ছে না
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নিহত সবাই একই পরিবারের
ইউসুফ (আঃ)- এর সমাধিতে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা
ইন্টারপোলের রেড নোটিশে ৬৩ বাংলাদেশি: অপরাধীদের ধরতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমীর বরখাস্তের আদেশ বাতিল
মাহফিলে আজহারী উঠবেন রাতে, দুপুরেই ভরে গেছে ময়দান
ইসরায়েলি হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ডব্লিউএইচও প্রধান
থাইল্যান্ডে নিখোঁজ হওয়া বাংলাদেশিকে পাওয়া গেল থাই নারীর সঙ্গে হোটেলে  
হাসিনার দোসররা সচিবালয়ে পরিকল্পিতভাবে অগ্নিকাণ্ড করেছে: শাকিল উজ্জামান
ভারতে ইসকন মন্দিরে চিন্ময়ের আইনজীবীর বৈঠক