শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

স্বাধীনতার ৫১ বছরও নির্মাণ হয়নি ব্রিজ

সরকার আসে সরকার যায়। ভোট আসলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ব্রিজ নির্মাণের। কিন্ত আজও কথা রাখেনি কেউ। ৫১ বছরেও ঘাঘট নদীর ইব্রা মন্ডলের ঘাটে নির্মাণ হয়নি একটি ব্রিজ। ফলে হাজারো মানুষের পারপারে একমাত্র নড়বড়ে কাঠের সাঁকো।

সরেজমিনে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর-রসুলপুর সীমান্তর্তী চান্দের বাজার এলাকার ঘাঘট নদীর উপরে ওই ভাঙা সাঁকোতে দেখা যায়, হাজারো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এ সময় কেউ মোটরসাইকেলে আবার কেউ বাইসাইকেলে আবার কেউ মালামাল নিয়ে পায়ে হেঁটে সাঁকো দিয়ে নদীর ওপারে যাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, ওই স্থানের ইব্রা মন্ডলের ঘাটে প্রায় একদশক আগে ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে মানুষ চলাচল করতো। নৌকাডুবির ঘটনাসহ মানুষ নানা দুর্ভোগের শিকার হয়। এরপর জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়দের আর্থিক ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় কাঠের সাঁকো। এই সাঁকোটি প্রতি বছর পুনরায় সংস্কার করতে হয়।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নড়বড়ে ওই কাঠের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সহস্রাধিক মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতাযাত করতে হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। সময়ের ব্যবধানে দেশের পরিবর্তন ঘটলেও আজও পরিবর্তন হয়নি ইব্রা মন্ডলের ঘাটের এই অবস্থার। দেশ স্বাধীনের ৫১ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনও সরকারের আমলে নজরে আসেনি ওই স্থানে ব্রিজ নির্মাণের বিষয়টি।

জানা গেছে, ঘাঘট নদীর উত্তরে রসুলপুর ও দক্ষিণে দামোরপুর ইউনিয়ন। দুই সীমানার মাঝামাঝি দিয়ে বয়ে গেছে ইব্রা মন্ডলের ঘাট। আর এই ঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত ভাঙা কাঠের সাঁকো পাড়ি দিতে হয় প্রায় ২০ গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার মানুষকে। ফলে পরিবার-পরিজনরা থাকেন উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠার মধ্যে। বর্ষা মৌসুম এলেই নদীটি কানায় কানায় ভরে যায়। এতে বেড়ে যায় আরও দুর্গতি। এ ছাড়াও হঠাৎ কোন রোগী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার জীবন নির্ভর করে সময়ের উপর।

স্থানীয়রা জানান, সাবেক এমপি মরহুম ডা. ইউনুস আলী সরকার ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাহারিয়া খান বিপ্লবসহ দায়িত্বশীল আরও অনেকে ওই স্থানটি পরিদর্শন করেন। সেখানে তারা ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। ব্রিজের অভাবে যুগযুগ ধরে চলে আসছে মানুষের ভোগান্তি। এজন্য সাধারণ মানুষের দাবি, এই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্রিজটি নির্মাণ হলে অল্প সময়ে বিভিন্ন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবে।

আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, প্রয়োজনীয় কাজে কাঠের সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হয়। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের একাধিকবার আবেদন করেও কাজ হয়নি।

দামোদরপুর ইউনিয়নের মিঠু রহমান জানান, ব্রিজটি নির্মাণ হলে লেখাপড়া, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রসার ঘটবে। সেই সঙ্গে দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়ন হলে এই এলাকার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে। তাই ব্রিজটি হওয়া অত্যন্ত জরুরি।

এ ব্যাপারে সাদুল্লাপুর উপজেলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাহারিয়া খান বিপ্লব বলেন, ইতিমধ্যে ওই কাঠের সাঁকোটি পরিদর্শন করা হয়েছে। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ খুবই জরুরি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা

আজিনুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ফের উত্তেজনা। সীমান্ত এলাকায় ভুট্টাক্ষেতে কাজ করার সময় ভারতের কয়েকজন নাগরিক এক বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গিয়ে সোপর্দ করেছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে। এ ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নের জমগ্রাম ডাঙ্গার পার এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ৮০১-এর ১০/১১ নম্বর সাব-পিলারের কাছে এই ঘটনা ঘটে।

ধৃত যুবকের নাম আজিনুর রহমান (২৬)। তিনি ওই ইউনিয়নের জমগ্রাম ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুর হোসেনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো আজিনুর তার মায়ের সঙ্গে ভুট্টা জমিতে পাতা সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। তখন ভারতের কোচবিহার জেলার ছোট কুচলীবাড়ি এলাকার অন্তত ১০-১২ জন ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে আজিনুরকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়।

এরপর তাকে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবির ঠ্যাংঝাড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, "আমাদের প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, আজিনুরকে ভারতীয় নাগরিকরা ধরে নিয়ে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এবং বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের চেষ্টা করছি।"

তিনি আরও জানান, ঘটনার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত আজিনুরকে দেশে ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে শনিবার (১৯ এপ্রিল) বৈঠকে বসছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মুশফিক উস সালেহীন জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধি দল অংশ নেবে।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খুলেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সদ্য অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনের বিষয়ে যৌথ অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকটি হয়েছে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও গঠনমূলক পরিবেশে। আলোচনায় উঠে এসেছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত এবং কৌশলগত সহযোগিতার নানা দিক।

বৈঠকে দুই দেশ বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষা এবং পারস্পরিক সংযোগ বৃদ্ধিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও।

পাকিস্তান তাদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশ মৎস্য ও সামুদ্রিক খাতে কারিগরি প্রশিক্ষণ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে।

দুই দেশ চট্টগ্রাম-করাচি রুটে সরাসরি নৌ চলাচল চালুর ব্যাপারে একমত হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা-ইসলামাবাদ সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভ্রমণ ও ভিসা সহজীকরণের ক্ষেত্রেও অগ্রগতির প্রশংসা করে উভয়পক্ষ।

বৈঠকে শিক্ষাখাতে গভীর সহযোগিতা ও পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তির প্রস্তাবের জন্য বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। গণমাধ্যম, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াক্ষেত্রে পারস্পরিক অংশীদারিত্ব বাড়াতে সম্ভাব্য সমঝোতা স্মারক নিয়েও আলোচনা হয়।

সার্ক বিষয়েও উভয়পক্ষ একমত হয় যে, আঞ্চলিক এই জোটকে পুনরুজ্জীবিত করা দরকার এবং তা যেন রাজনৈতিক বিবেচনার বাইরে থাকে।

বৈঠকে গাজায় ইসরায়েলের হামলা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানায় দুই দেশ। কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান জাতিসংঘ প্রস্তাব অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দেয়।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে অবস্থানকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই দেশের মধ্যে পরবর্তী পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক ২০২৬ সালে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত
ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
টঙ্গীতে ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক
ভেঙে গেল পরীমনি-সাদীর প্রেম? রহস্যময় পোস্টে তোলপাড় নেটদুনিয়া
বগুড়া বিমানবন্দর চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত, জুলাই থেকেই শুরু হতে পারে ফ্লাইট চলাচল
বেনজীরকে বোট ক্লাব থেকে বহিষ্কার, ৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ঢাকায় আবারও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি
২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি