‘শেখ কামাল বিজনেস ইনকিউবেটর’ আছে আমাদের
শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর ‘চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)’-এ আছে। আর কোথাও নেই। আছে সঙ্গে শেখ জামাল ও রোজী জামাল ডরমেটরি। আজ ২০ বছরে পা দিলো বাংলাদেশে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রকৌশল শিক্ষার অনন্য বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের দারুণ গল্প শোনাচ্ছেন তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশল শিক্ষা ও গবেষণার একমাত্র উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)’। জেলার রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কের পাশে ৭৯ পাড়া মৌজায়। চট্টগ্রাম শহরের উত্তর-পূর্বে বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ও কাপ্তাই বাঁধের রাস্তার মাথা থেকে প্রায় ২০ কিলোমটার দূরে। অত্যন্ত মনোরম, প্রাকৃতিক, পাহাড়ি ও সমতল ভূমিতে। প্রায় ১৭১ একর জুড়ে চুয়েট ক্যাম্পাস। আছে পাহাড়, লেক, গাছগাছালি। অপূর্ব চুয়েট মন কাড়ে সবার। আর সব ক্যাম্পাসের মতো। তবে চুয়েটের আরো অনন্যতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরেই বাংলাদেশের দেশের একমাত্র খরস্রোতা পাহাড়ি বিখ্যাত কর্ণফুলী নদী। মিশেছে বঙ্গপোসাগরে। চুয়েট থেকে মোটে এক ঘন্টা বাস ভ্রমণে ৩০ কিলোমিটার পেরুলে পূর্বদিকে আছে সেই ‘কাপ্তাই’। স্বাদু পানির বিপুল হ্রদ, মাছ ও সৌন্দর্য্যের আধার। কাপ্তাই ও কর্ণফুলীর তীরবর্তী সমভূমি হলো চুয়েট।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পুরোটার আঁচড়ে পড়েছে এই ক্যাম্পাসে। সবুজ প্রকৃতি, সারি-সারি গাছের সমারোহ, বাহারি ফুলের সমাহার, পাখিদের কিচির-মিচির কলতান, পাহাড়-সমতলে বয়ে যাওয়া বিরাট প্রাকৃতিক লেক, পাহাড়ি উঁচু-নিচু মেঠো পথ, বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য, প্রকৌশলবিদ্যার অনন্য ও দৃষ্টিনন্দন অবকাঠামোগুলো আছে। স্থাপনার গব। স্ব-মহিমায় দাঁড়িয়ে রয়েছে গৌরবময় শহীদ মিনার, স্বাধীনতার স্মারক ভাস্কর্য, মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য মুক্তমঞ্চ আছে। পাহাড়ি মেঠোপথে ঝুলন্ত সেতু আছে। চুয়েটের নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য অনন্য। মুগ্ধতা ছড়ায়। দিয়েছে। ব-দ্বীপ বাংলাদেশের একটি স্বার্থক চিত্রায়ন।
আজকের চুয়েটের জন্ম ১৯৬৮ সালে। তখন নাম ছিল দি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, চিটাগাং। ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর কলেজ থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নবযাত্রা শুরু করেছেন তারা। চুয়েট আজ ৩১ আগস্ট তার গৌরবময় পথচলার ২০তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। চুয়েট পরিবারের পক্ষ থেকে চুয়েটের সবসময়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রী ও শুভাকাংখীদের সকলকে ২০তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অগ্রযাত্রায় প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে যারা বিভিন্নভাবে ভূমিকা রেখেছেন এবং বর্তমানেও যারা নিরলসভাবে অব্যাহত এগিয়ে যাওয়ায় সহযোগিতা করে যাচ্ছেন, চুয়েট পরিবার সবসময় তাদের সকলের অবদানকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছে।
মাত্র দুই দশকের পরিক্রমায় মূলশহর থেকে দূরে গ্রামীণ জনপদে অবস্থান। সীমিত বাজেটের মধ্যে ভূমিকম্প, জলাবদ্ধতা, ভূমিধ্বস ও পরিবহন-যানজট বিষয়ক গবেষণায় চুয়েটের শিক্ষক-গবেষকদের ভূমিকা দেশজুড়ে আস্থা তৈরির পাশাপাশি বিদেশেও নিজেদের মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান সুনিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি প্রতিবছর নিয়মিতভাবে একাধিক আর্ন্তজাতিক কনফারেন্স আয়োজন, দেশি-বিদেশি স্কলার ও গবেষকদের অংশগ্রহণে সেমিনার-কর্মশালা-সিম্পোজিয়াম আয়োজন, বিশ্বমানের ল্যাব ও যন্ত্রপাতি, কর্ণফুলী ও হালদা নদী বিষয়ক গবেষণা, বহুবিধ শিল্পসমস্যার সমাধান, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কারিগরি সহায়তা ও পরামর্শ সেবা প্রদান, শক্তিশালী ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবোরেশন, বহিঃর্বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে উচ্চশিক্ষা-গবেষণায় সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর এবং সরকারের রূপকল্প-২০৪১ অনুসরণে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ নির্মাণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ প্রভৃতি চুয়েটকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও দুরদর্শী দিক নির্দেশনায় এই বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা-গবেষণার অন্যতম সেরা হিসেবে গড়ে তোলার বহুমুখী প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্ববাজারের চাহিদা ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সাথে সমন্বয় রেখে জাতীয় ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পেশাদার প্রকৌশলীদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষা-গবেষণাকে জনকল্যাণে বিস্তৃত করতে চুয়েট প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।
চুয়েটে ৫টি অনুষদের অধীনে ১২টি ডিগ্রিপ্রদানকারী বিভাগসহ মোট ১৮টি বিভাগের পাশাপাশি ৩টি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও ৩টি গবেষণা সেন্টার রয়েছে। ১২টি বিভাগে ৯২০টি আসনের (উপজাতি কোটাসহ মোট ৯৩১টি আসন) বিপরীতে প্রায় ৬ হাজার ২০০ জন ছাত্র-ছাত্রী অধ্যায়নরত রয়েছেন। পাশাপাশি ১০০ জন পিএইচডি ডিগ্রীধারীসহ প্রায় ৩৩৭ জন শিক্ষক, ১৬০ জন কর্মকর্তা এবং প্রায় ৪৩৩ জন কর্মচারী মিলে একটি বিরাট পরিবার। চুয়েটকে তাদের এগিয়ে নেওয়ার ব্রত নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও সামগ্রিক উন্নয়নে ‘চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন শীর্ষক’ প্রকল্পের অধীনে ৩৫৯.৯৬ কোটি টাকার উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৭ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তিনতলা বিশিষ্ট নতুন একটি ছাত্রী হলের নির্মাণ, প্রায় ২১ কোটি ৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৭ হাজার ৫০০ বর্গফুট আয়তনের পাঁচতলা বিশিষ্ট একটি নতুন ছাত্র হল নির্মাণ, প্রায় ২ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা মেডিকেল সেন্টারের আধুনিকায়ন ও নতুন মেডিকেল সেন্টার ভবন নির্মাণ, ১০তলাবিশিষ্ট অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ভবন, ৫ তলাবিশিষ্ট দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা ও ৩য় শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন, ১০ তলাবিশিষ্ট সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষকদের ভবন এবং ৩ তলাবিশিষ্ট মেডিক্যাল সেন্টার ভবনের নির্মাণকাজ চলছে।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩টি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ৩টি গবেষণা সেন্টার ও একটি ‘ব্যুরো অব রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড কনসালটেন্সি' রয়েছে। সেন্টারের মাধ্যমে সারাদেশে বিবিধ শিল্প এবং প্রতিষ্ঠানকে প্রযুক্তি সংক্রান্ত সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। চুয়েটেই রয়েছে ‘ইনস্টিটিউট অব আর্থকোয়াক ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ’ নামে দেশের একমাত্র ভূমিকম্প প্রকৌশল গবেষণা ইনস্টিটিউট। এছাড়া ‘সেন্টার ফর রিভার, হারবার এন্ড ল্যান্ড-স্লাইড রিসার্চ’ নামে দেশের একমাত্র পোতাশ্রয় ও ভূমিধ্বস বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে। চুয়েটে বছরজুড়েই বিভিন্ন বিভাগের আয়োজনে আন্তর্জাতিক সেমিনার ও কনফারেন্স আয়োজন করে। এর মধ্যে দেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক কনফারেন্স ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং’ ধারাবাহিকভাবে চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের আয়োজনেই হয়ে থাকে। যন্ত্রকৌশল বিভাগের আয়োজনে ‘কনফারেন্স অন ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন মেকানিক্যাল অ্যান্ড রিনিউঅ্যাবল অ্যানার্জি,’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিয় (ইসিই) অনুষদের আয়োজনে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ইলেকট্রিক্যাল, কম্পিউটার অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং' পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে ইন্টারন্যাশনাল ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ফিজিক্স ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি’, পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের আয়োজনে ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স অন ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং’, ইনস্টিটিউট অব অ্যানার্জি টেকনোলজি (আইটিই)-এর আয়োজনে ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স অন অ্যানার্জি টেকনোলজি, মেকাট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল অটোমেশন’ উল্লেখযোগ্য।
দেশের প্রথম ও একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে প্রায় ১১৭.৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ‘শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’ চুয়েটের দৃশ্যমান সাফল্যের ধারায় নতুন পালক যুক্ত করেছে। প্রধানমনন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬ই জুলাই ২০২২ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ উদ্বোধন করেছেন। ‘শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’ বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি স্বপ্ন ও স্বপ্নপূরণের হাতিয়ার। এই ইনকিউবেটরে প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন যে কেউ যে কোনো ধরনের সৃজনশীল আইডিয়া নিয়ে আসতে পারবেন ও একটি প্রোডাক্টিভ পণ্য হিসেবে তৈরি করে বাজারজাত করার দায়িত্ব ইনকিউবেটর কর্তৃপক্ষের। নানা ধরণের প্রযুক্তি বিষয়ক কোস পরিচালনা করছে ইনকিউবেটর। আরো আছে এখানে শেখ জামাল ডরমেটরি ও রোজী জামাল ডেরমেটরি। সেখানে প্রশিক্ষণার্থী ও প্রশিক্ষকদের থাকার ব্যবস্থা আছে। ইনকিউবেটর চুয়েটের ছাত্র, ছাত্রী, গবেষক, অধ্যাপকদের পাশাপাশি দেশের প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন তরুণ তৈরি ও তাদের গড়ে দেবার অপার সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।
প্রকৌশল শিক্ষা অন্যান্য শিক্ষা পদ্ধতির চেয়ে ব্যতিক্রম হওয়ায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সারাবছরই আঁটসাঁট অ্যাকাডেমিক শিউিউলে থাকতে হয়। তাই বলে চুয়েটিয়ানরা সামাজিক-সাংস্কৃতিক অঙ্গনে দমে থাকতে পারে না। শুনে অবাক হতেও পারেন যে, চুয়েটে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সংখ্যা অন্তত ২০টি। অন্যতম-সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘জয়ধ্বনি’, পরিবেশ সচেতনতা সংগঠন ‘গ্রিন ফর পিস’, ‘চুয়েট ডিবেটিং সোসাইটি’, ‘চুয়েট ফটোগ্রাফিক সোসাইটি’, ‘চুয়েট ফিল্ম সোসাইটি’, ‘ভাষা ও সাহিত্য সংসদ-চুয়েট’, রোবটিক চর্চা ও গবেষণামূলক সংগঠন ‘রোবো মেকাট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশন (আরএমএ) চুয়েট’, মহাকাশ ও রোবটিক গবেষণা সংস্থা ‘অ্যান্ড্রোমেডা স্পেস অ্যান্ড রোবটিক্স রিসার্চ অরগ্যানাইজেশন’ (আ্যসরো) চুয়েট’, ‘চুয়েট ক্যারিয়ার ক্লাব’, ‘চুয়েট কম্পিউটার ক্লাব’, ‘চুয়েট স্পোর্টস ক্লাব’, বিশ্বের সর্ববৃহৎ পেশাজীবীদের সংগঠন ‘ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রনিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স (আইইইই) স্টুডেন্টস ব্রাঞ্চ চুয়েট’, ‘ঢাকা কলেজ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, ‘চুয়েট নটরডেমিয়ান’।
আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক উৎসবে ‘জয়ধ্বনি’ ২০১২, ২০১৪, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়ন ও ২০১০ রানার্স আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। চুয়েট ডিবেটিং সোসাইটি বাংলাদেশ টেলিভিশন আঞ্চলিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০১৯’র চ্যাম্পিয়নসহ বিভিন্ন জাতীয় পর্যায়ে মোট ৭ বার চ্যাম্পিয়ন ও তিনবার রানার্স-আপ। গ্রিন ফর পিস’র বছরজুড়েই পরিবেশ সচেতনতামূলক কার্যক্রম করে। বহিঃর্বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রোবট চর্চা এবং মহাকাশ ও রোবটিক গবেষণায় প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন আরএমএ এবং অ্যাসরো’র গবেষকরা। রোবট গবেষণায় চুয়েট শিক্ষার্থীরা প্রতিবছরই দেশ-বিদেশ হতে কোন না কোন সাফল্য নিয়ে আসছেন। পড়ালেখায় তারা দেশ সেরা।
ছবি:১. চুয়েটের ‘শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’ ২. একটি ভবনে ক্লাসরুমের সারি ৩. চুয়েট ফটোগ্রাফিক সোসাইটির একটি আয়োজন ৪. আবাসিক শিক্ষকদের পরিবারের অ্যাপার্টমেন্ট কোয়ার্টার। ৫. একটি উৎসবে গায়কদের গানের সুধা। ৬. হোসেন শহীদ সোহরোয়ার্দী হল ৭. চুয়েটের লেক ৮. বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে সাজানো একটি পথ ৯. ক্লাস শেষে বন্ধুরা ফিরে যাচ্ছেন ১০. একসঙ্গে ছেলে ও মেয়েরা কাজ সেরে ১১. আড্ডায় মেতেছেন তারা চুয়েটের স্বাধীনতা ভাস্কর্যের নীচে ১২. পহেলা বৈশাখের ক্যাম্পাস সাজাচ্ছেন ছাত্রী ১৩. চুয়েটের টিএসসি ১৪. ভিসি স্যার অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে চুয়েট ফটোগ্রাফিক সোসাইটি ১৫. বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোঁটা কাঠগোলাপ-সবগুলো ছবিই চুয়েট ফটোগ্রাফিক সোসাইটির ফেসবুক পেইজ থেকে নেওয়া।
ওএফএস।