গল্পের নায়িকা ‘দিল আফরোজ তানিয়া’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক। দিল আফরোজ তানিয়া জয় করেছেন তার স্টেপস অ্যাহেড নামের সংগঠনের মাধ্যমে দারুণ পুরস্কার। নাম ইন্সপায়ারিং উইমেন ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড। তাকে নিয়ে লিখেছেন ও ছবি দিয়েছেন সায়ন্তনী রাখী।
এবারের ‘ইন্সপায়ারিং উইমেন ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ জয় করেছেন তিনি। ভালো নাম দিল আফরোজ তানিয়া। পেশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সরকারী। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক। এখানে ‘স্টেপস এ্যাহেড’ নামের একটি সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবামূলক সংগঠন গড়ে তুলেছেন ছাত্র, ছাত্রীদের নিয়ে। পুরস্কারটি দিল আফরোজ খানম লাভ করেছেন লিঙ্গসমতা ও সম্প্রদায়ের উন্নয়নে তার অসামান্য অবদানের জন্য। দিয়েছে তাকে ইউএনভি বাংলাদেশ, ভিএসও বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, ইউএন উইমেন বাংলাদেশ ও অ্যাকশন এইড মিলে। এবার ১শ ২২ জন নারীর মধ্যে ১৫ জনকে পুরস্কারটি দেওয়া হয়েছে।
পুরস্কার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে। ঢাকার এলজিইডি অডিটোরিয়ামে পুরষ্কার গ্রহণ করেছেন তানিয়া।
তার সংগঠনটিও খুব ভালো। ২০২১ সালের জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছে। দিল আফরোজ তানিয়া জানিয়েছেন, বাংলাদেশের যেসব নারী স্বেচ্ছাসেবক লিঙ্গসমতা ও সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য উদ্যোগ রাখছেন, তাদের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড। তাদের যেসব টেকসই উদ্যোগ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে, সেসব উদ্যোগের নেতৃত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নারী স্বেচ্ছাসেবকদেরকে এই অ্যাওয়ার্ডগুলোর জন্য মনোনীত করা হয়েছে। নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে ‘স্টেপস এ্যাহেড’ প্রতিষ্ঠাতা দিল আফরোজ খানম বলেছেন, ‘অতি আনন্দের আমার নিজের জন্য ও স্টেপ এহেডের জন্য অনেক বড় অর্জন। আমাদের সংগঠনে ছাত্র, ছাত্রীরা কাজ করে। তারা খুব ডেডিকেটেড। এই অর্জন আমাদের আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। পুরস্কার প্রান্তিক মানুষের জন্য বিশেষ করে নারী ও কিশোরীদের জন্য আরও কিছু করতে আমাদের উৎসাহিত করবে।’
২০১৮ সালে উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকায় বসবাসকারী নারীদের মাসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও বিনামূল্যে হাইজিন কিট বিতরণের উদ্দেশ্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দিল আফরোজ খানমের নেতৃত্বে পাঁচ সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ মোফাজ্জল সারওয়ার, মীর নাজিমুজ্জামান সানী, মো. সাদেকউল্লাহ, শাহানা আফরিন দীনা ও গোলাম রাব্বানীর হাত ধরে স্টেপটস অ্যাহেড যাত্রা শুরু করেছে।
২০২০ সালে সংগঠনটি সমাজসেবা অধিদফতরের নিবন্ধন পেয়েছে। তাদের কাজের পরিধি অনেক বেড়েছে। এখন মাসিককালীন স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানো, শীতল পাটিতে নতুনত্ব আনয়ন, বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণদান, শিক্ষাবৃত্তি, বিধবাদের পুনর্বাসন কার্যক্রমসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালনা করছেন তারা।
এফএস।