বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আমাদের বুয়েট

লেখা : প্রকৌশলী রনক আহসান, সিএসই (কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), ব্যাচ-২০০৪, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। সম্মানি সহ-সাধারণ সম্পাদক, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ(আইইবি)


বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)’র ছাত্র, ছাত্রীদের এখন কেউ অধ্যাপক। আমরা ছাত্র, ছাত্রীদের মধ্যে কেউ মধ্যম মানের, কেউ ফাঁকিবাজ, আমার মতো কেউ ব্যাপক ফাঁকিবাজ। কেউ ২ থেকে ৪টা ভালোবাসার চেষ্টা একত্রে করেছেন, কেউ এক প্রেমেই লাইফ পার। কেউ গেমার, কেউ বিতার্কিক, কেউ বুয়েট ফিল্ম সোসাইটি, ড্যান্স ক্লাব, মূর্ছনা, এনভায়রনমেন্টাল ওয়াচ বা সত্যেন বোস বিজ্ঞান ক্লাবের মেম্বার। কেউ ১-২টা টিউশনি, কেউ কয়েকটি, কোচিং চালান আবার কেউ স্টার্ট-আপ করেন। বিদেশে ভ্লাদিমির পুতিনের সমর্থক, বাইডেন, কারো আমার মতো ট্রাম্প। ব্যক্তিজীবনে তাবলীগ করেন, খেলাধুলায় ইন্টারেস্ট, গান-বাজনা, সুফিবাদে, পীরভক্ত, পূজা-অর্চনা করেন। রোটারি ক্লাবে, স্কাউটিং, বাঁধনের কর্মী, পরিবেশবাদী, সংগঠক, পেশাজীবী, পেশাভিত্তিক সংগঠক এখন। বুয়েট গ্রাজুয়েট ক্লাব বা আইইবিতে ইনভলভ। বুয়েট অ্যালামনাইতে অ্যাক্টিভ। আমাদের ছেলেমেয়েদের কোনো কোনোজনের গবেষক, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ঝোঁক। কারো লেখক, বিখ্যাত গায়ক হওয়ার চেষ্টা আছে। বুয়েটিয়ান নামের আমরা ভার্সেটাইল কোয়ালিটির। প্রত্যেকেই কোনো না কোনো ফিল্ডে সেরাদের একজন হওয়ার মতো প্রতিভা আছে। এই বুয়েটের সৌন্দর্য্য ও বৈশিষ্ট্য।
বুয়েটিয়ানদের মধ্যে ক্যাম্পাসে রাজনীতি করেছেন, সংখ্যাটি টোটাল ১০% হবে। ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, জাসদ ছাত্রলীগ, ছাত্রফ্রন্ট, হয়তো শিবির করেছেন। আমরা যারা একসময় বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি করেছি, আমরা কিন্তু বুয়েট কমিউনিটিরই অংশ। ছাত্র ইউনিয়নের অনেক সাবেক নেতৃবৃন্দ যেমন হাসানুল হক ইনু; তাদের গর্বের সঙ্গে বলতে শুনেছি, একসময় ছাত্র ইউনিয়ন করতেন, সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখতেন। রাজনৈতিক কর্মীদের জীবন এমন। যারা মন থেকে দলীয় নীতি ও আদর্শে বিশ্বাস করেন, তারাও পলিটিক্যাল আইডিওলজি নিয়ে গর্ব করেন। নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো মতই অন্যদের সঙ্গে নিজের আইডিওলজি নিয়ে ডিবেট করেন।
অনেকেই মনে করেন বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি করেছেন, তারা ভাদাইম্যা, দেশে তাদের কোন অবদান নেই। আপনারা কী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপ-কমিটির সম্পাদক আবদুস সবুর সাহেবকে জানেন? বিএনপির অন্যতম পলিসি মেকার ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে চেনেন? হাসানুল হক ইনু, জি.এম. কাদের বা খন্দকার মোশাররফ হোসেনের কে জানেন? মুফতি কাসেদ, শাফি ইমাম রুমী বা কুড়িগ্রামের রৌমারী মুক্তাঞ্চলের পাকবাহিনীর ত্রাস নুরুন্নবী চৌধুরী, বীরবিক্রম’কে চিনেন? ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয়য় প্রেসিডেন্ট যে একজন বুয়েটিয়ান জানেন? তারা যেসব পদ অলংকৃত করেছেন, যেসব দায়িত্ব পালন করেছেন সেগুলো কী বুয়েটের ছাত্র, ছাত্রী হিসেবে আপনাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না? না জেনেও যদি নিজেকে রাজনীতি সচেতন দাবী করেন, তাহলে বলব, এখনো রাজনীতি সচেতন হতে পারেননি। আসলে নিজেই একজন ভাদাইম্যা।
আমরা যারা বুয়েটের সাবেক ছাত্র ও একসময় বুয়েট ছাত্রলীগের কর্মী ছিলাম, আমাদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ‘বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক কর্মীবৃন্দ’। 'সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী' আমার আইডেন্টিটির অংশ। আরো অনেকের মতো সবসময় গর্বের সঙ্গে বলি, আমি বুয়েট ছাত্রলীগের একজন কর্মী ছিলাম। ছাত্রলীগকে ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে এখানে আমাদের আরেকটি জীবন, জগত ও স্বপ্ন।
বিগত একযুগে বুয়েট ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মীদের জন্য ক্যাম্পাসে ‘ছাত্রলীগ’ ঘৃণা হয়ে গিয়েছে, কিন্তু এই ছাত্রলীগের একমাত্র পরিচয় নয়। ১৯৪৮ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বুয়েটে যারা কর্মী ছিলেন, যারা চিন্তা করেননি, আওয়ামী লীগ কখনো রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবে, বলতে পারেন তারা কোন স্বার্থে লীগ করতেন? তারা হলেন সেই জেনারেশন, যাদের কাছে 'ছাত্রলীগ' আবেগ ও ভালোবাসা, যাদের কাছে ‘বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী’ গৌরবাজ্জ্বল আরেক আত্ম-পরিচয়।
‘বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ’ জানেন, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুয়েটে একসঙ্গে বসলেই দলীয় লেজুড়বৃত্তিক প্রগ্রাম হয়ে যায় না। আমরা সাবেক নেতৃবৃন্দ এই বুয়েটেরই প্রাক্তন ছাত্র। আওয়ামী লীগ বা কোনো সহ-সংগঠনের প্রগ্রাম করতে আসিনি। আমাদের ক্যাম্পাসে স্বপরিচয়ে আসার অধিকার আমারও আছে। বুয়েটে বাঁধনকর্মী বা কোন ব্যাচ প্রাক্তনী, তাবলিগ কর্মী বা অন্য কোন পরিচয়ে বুয়েটে আসতে চান, আসেন; আমি আমার বুয়েটে ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী পরিচয়েও আসতে প্রেফার করি। এই পরিচয় শুধু একই মতাদর্শের সাবেক কর্মীদের একত্রে গেট টুগেদার।
রানিং ভাই-বোনদের কেউ যদি বলতে পারেন, আমরা কেউ আপনাদের ছাত্রলীগ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছি, তাহলে আমাদের অপরাধী করবেন। এই ধরনের একটি উদাহরণ দেখাতে পারবেন? ১৩ আগস্টের জাতীয় শোক দিবসের আগে এই উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠানে বুয়েটের বর্তমান কোনো ছাত্র, ছাত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। বুয়েটিয়ান ছাড়া অন্য কেউ সেখানে উপস্থিতও ছিলেন না। সেখানে উনসত্তরের গনঅভ্যুত্থানে সক্রিয় আমাদের ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দসহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, নানা সময়ের নেতাকর্মী প্রত্যেকেই পেশাজীবনে সফল। স্মৃতিচারণ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলো, গর্বে বলেছেন বঙ্গবন্ধুর সাহচর্য, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তৎকালীন সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, বুয়েটে যৌবনের সোনাঝরা দিনগুলো।
যারা মনে করছেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের ১৩ আগস্টের প্রগ্রামটি বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে, তারা ভুল বুঝছেন। কোনো রানিং স্টুডেন্টকে আমরা কখনো বলিনি অ্যাটেন্ড করতে। পড়ালেখা করতে বলেছি। শহীদ আবরার ফাহাদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর বুয়েটে অ্যলামনাইদের প্রতিবাদ, কর্মসূচিগুলোতে আমরা বুয়েট ছাত্রলীগের অনেক সাবেক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেছি। শ্রদ্ধেয় জে.আর.সি. স্যারের নেতৃত্বেও। আমরা সবসময় আবরার হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছি। বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ সিদ্ধান্তের বিষয়ে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ও সাধারণ ছাত্র, ছাত্রীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছি। তবে যতদিন বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে, ততদিন আমরা কর্তৃপক্ষকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। তবে বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী ভাইবোনদের অনুরোধ, সচেতন থাকতে। ‘ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ সংগঠন’-এ জাতীয় শ্লোগান কারা দেন? তাদের দেখা উচিত। অনুরোধ, সচেতন থাকতে যেন মৌলবাদ ও উগ্রবাদের আঁতুড়ঘর বুয়েট হয়।
আচ্ছা, যে সংগঠনটি করতে গিয়ে আরিফ রায়হান দীপ জীবন দিলেন, তাদের পক্ষ থেকে তার জন্য সামান্য দোয়া করতে মৃত্যুস্থানে বাবা, ভাইয়েরা যেতে পারবেন না? দীপের গেলবারের মৃত্যুবার্ষিকীতে বাবা বললেন, "আজকে এই দিনে আমি তোমাদের দেখে দীপকে কিছু সময়ের জন্য খুঁজে পেলাম। বেঁচে থাকলে এই বয়সে দেখতে কেমন হত, সে অনুভূতি পেলাম।’ তার কথা মিথ্যে হয়ে যাবে? ২০১৪ সাল থেকে এই বছর পর্যন্ত তার বাবা ছেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে সন্তানের স্মৃতিফলকে এসেছেন। এই অধিকার আপনারা কেড়ে নিতে চান?
আমরা দীপের স্মৃতিফলকে শ্রদ্ধা জানালে আপনাদের খারাপ লাগে, কিন্তু সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট সাবেকুন নাহার সনির স্মৃতিফলকে শ্রদ্ধা জানালে ভালো লাগে? এ আপনাদের কেমন দ্বীচারিতা? উল্লেখ্য, সনি আপুর মৃত্যুবার্ষিকীতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফন্টের ভাইবোনদের পাশে বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক কর্মীবৃন্দ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। আমিও সকালে বুয়েটে গিয়েছি, প্রগ্রাম শেষে আপুর পরিবার ও সনি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনে ছিলাম সারাদিন। বিশ্বাস করি, আমার মতই সাবেক বুয়েটিয়ানদের রাজনৈতিক কর্মীর অধিকার আছে, স্বপরিচয়ে বুয়েটে বসা, সামাজিক ও জাতীয় প্রগ্রামে অংশগ্রহণের। ছাত্র শিবির ব্যতীত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তো দলীয় ব্যক্তি নন, তাকে নিয়ে বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক কর্মীবৃন্দের দোয়া অনুষ্ঠান মোটেও রাজনৈতিক বা দলীয় কাজ হতে পারে না। আর দিন শেষে পরিচয়- আমি একজন গর্বিত বুয়েটিয়ান। আমি ছাত্রলীগ, বুয়েট শাখার সাবেক গর্বিত কর্মী।
একটি হত্যাকাণ্ডের বিচারিক প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন আইনী বিষয় জড়িত থাকে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কার্যকর করতে ৩৫ বছর লেগেছে। এদেশে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যাম্পাসভিত্তিক হত্যাকাণ্ডের কখনো কোনো বিচার হয়নি। সনি আপুর হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় এখনো পুরোপুরি কার্যকর হয়নি, এমনকী ছাত্রলীগ কর্মী দীপ হত্যার সুষ্ঠু বিচার অধরা আছে কিন্তু আবরার হত্যার বিচার হচ্ছে। বুয়েটিয়ানরা স্বীকার করেন আর না করেন, সত্য এই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছ্বায় নিম্ন আদালতে আবরার হত্যার বিচার কাজ সর্বোচ্চ গতিতে সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্বাস করি দ্রুততম সময়ে এই ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যকর করবেন প্রধানমন্ত্রী। আরো মনে করি, আবরারের ফ্যামিলির উচিত আপামর মানুষ, বুয়েটিয়ান কমিউনিটির প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে স্মরণসভা, দোয়া আয়োজনে বুয়েটের ছাত্র-ছাত্রী ভাইবোনদের ধন্যবাদ। আমরা বুয়েটিয়ানরা পরিবার। যেন বজায় রাখি। আমাদের একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে জানলাম, আজকের ছাত্র, ছাত্রীদের কেউ ভয় পাচ্ছেন, পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে। বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দরা সবাইকে আশ্বস্ত করছি, এমন কিছুই ঘটবে না। তার মানে এই নয়, বুয়েট ক্যাম্পাসে বাইরের কোনো, প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির হস্তক্ষেপ আমরা মেনে নেব। বুয়েট বুয়েটিয়ানদের আছে, ছিল, থাকবে। ক্যাম্পাসে বাঘের মত সাহস নিয়ে যৌবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো কাটাব। দ্যাটস দি স্পিরিট।

ওএফএস।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত