রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অভিমানী অ্যান্টনি গনসালভেস

অ্যান্টনি গনসালভেস ভারতের গোয়া অঙ্গরাজ্যের মানুষ। ব্রিটিশ ভারতে, ১৯২৭ সালে জন্ম, ১২ জুন। ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। অল্প বয়সেই সঙ্গীতশিল্পী বাবার শিক্ষাগুলো আত্মস্থ করেছেন। কিশোর কালে গেয়ান সঙ্গীতশিল্পীদের সঙ্গে এক হতে বম্বে চলে গিয়েছেন। নওশাদের দলেই এই আধো, আধো ভায়োলিন বাদকের যাত্রা। তার দলটির জন্ম ১৯৪৩ সালে। তারা কাজ করেছেন সব বিখ্যাত চরিত্র-অনিল বিশ্বাস, গুলাম হায়দার, সাইয়াম সুন্দর, শচীন দেব বর্মণ, তার ছেলে আর. ডি. বর্মণ ও পেয়ারে লাল।
১৯৫০’র দশকের মাঝামাঝিতে গোয়ার নিজস্ব, হারানো সঙ্গীত সম্পদ-সিম্ফনির সুধাকে হিন্দুস্তানী মেলোডি ও সিনেমার ছন্দগুলোর সঙ্গে এক করতে আবার নতুন জীবন শুরু করলেন অ্যান্টনি গনসালভেস। তিনি অত্যন্ত নামকরা ভায়োলিন বাদক ছিলেন। ১৯৫০ ও ১৯৬০’র দশকের ভারতের সবচেয়ে সেরা পরিচালকদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা আছে খ্রিস্টান এই সঙ্গীতবিদের। বি.আর. চোপরার ‘নয়া ধুর’, ‘ওয়াক্ত’, গুরু নওশাদের ‘দিল্লাগি’তে তার অধীনে কাজ করেছেন ও নিজের প্রতিভার ছাপ রেখেছেন। চেতন আনন্দের ‘হাকিকত’-এ কাজ করেছেন।`পয়সা’র জন্যও চিরকাল বেঁচে থাকবেন। তিনি ১৯৪৫ সালের ছবি ‘পেহিলি নজর’, ১৯৪৯ সালের ‘মহল’, ১৯৫০ সালের ‘দোলাক’-এই তিনটি ছবিতে মিউজিক অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করেছেন। 
১৯৫৮ সালে অ্যান্টনি গনসালভেস ভারতে সিম্ফনি অর্কেস্টা দল গড়ে তোলেন। নাম ‘দি ইন্ডিয়ান সিম্ফনি অর্কেস্টা’। লতা মুঙ্গেশকার ও মান্না দের সলো অনুষ্ঠানগুলোর জন্য তিনি দলটি গড়েছিলেন। তারা তাদের একক শোতে কাজ করতেন। সেগুলো হয়েছে বম্বের ‘সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ’-এ।
১৯৬৫ সালে গনসালভেজ ভারতীয় সিনেমা শিল্প থেকে সরে গেলেন ও চলে গেলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি শিক্ষাবৃত্তি পেয়েছিলেন নিউ ইয়র্কের ‘সিরাকিইজ ইউনির্ভাসিটি’তে। চার্চের প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত, ১৮৭০ সালের পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী একটি বেসরকারী, গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়। তবে ১৯২০ সাল থেকে অসাম্প্রদায়িক নীতিতে চলছে। সেখানে গিয়ে অ্যান্টনি হলেন একজন সদস্য ‘দি আমেরিকান সোসাইটি অব কম্পোজারস, পাবলিশারস অ্যান্ড অথরস’র।
শেষ জীবনে চলে এলেন মাতৃভূমি ভারতে। সেই যে গ্রাম, যেখানে জন্মেছিলেন, সেখানেই কৃতবিদ্য মানুষটি তার শেষ ঠিকানা নিলেন। একসময় পর্তুগিজদের দখলে থাকা গোয়ার গ্রামটির নাম ‘মাজোরদা’। ফের সঙ্গীত রচনা, সুর তৈরি, গান গাওয়া ও লেখার জীবন তার ভারতের মাটিতে। তবে ভারতের হিন্দি ছবিতে ফেরা হলো না অভিমানে। নিউমোনিয়ায় রোগে তার ফুসফুসে প্রদাহ হয়েছিল। নিম্ম রক্তচাপ ছিল। ১৮ জানুয়ারি ২০১২ সালে এই মহান সঙ্গীতবিদ চলে গেলেন।
বলিউডের প্রথম মিউজিক অ্যারেঞ্জার হলেন এই অ্যান্টনি গনজালভেস। শব্দটি সিনেমা ও গানের ভুবনের সবার জানা। তিনি একজন কিংবদন্তী মিউজিক অ্যারেঞ্জার (যারা নানা ধরণের শিল্পীকে একটি শিল্পকর্মের জন্য যোগাড় ও তাদের পরিচালনা করেন) ছিলেন। আগের দিনে, অ্যান্টনিদের সময়ে গানের লাইনগুলোকে ঘিরেই সঙ্গীত তৈরি করা হতো। গানটি যখন সঙ্গীত পরিচালক ও শিল্পী মিলে গাইতেন, যন্ত্রসঙ্গীতকাররা তাদের নৈপুণ্য প্রদর্শন করতেন। এভাবেই গানগুলো অক্ষয় হয়েছে। অ্যান্টনি গনসালভেসই প্রথম ‘স্টাফ নোটেশন’ প্রদান করেছেন বলিউডের গানের ভুবনকে। ফলে যন্ত্র সঙ্গীতশিল্পীরা তাদের কাছে যা চাওয়া হলো, ঠিক তাই দিতে পারতেন। তাতে হিন্দি সিনেমার গানের ভুবন চিরকালের জন্য বদলে গেল। আরো উন্নতির পথ ধরলো। তিনি গানের দুটি অন্তরার মাঝের সময়ে তার সঙ্গীত বোধকে ব্যবহার করে সুরকে বিস্তার করতে পারতেন দারুণভাবে। এই স্বীকৃতিও তাকে খ্যাতি দিয়েছে। মদন মোহন, এস.ডি বর্মণের মতো সঙ্গীত পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করে তাদের তৈরি করেছেন। এছাড়াও অনেক তরুণ শিল্পীকে হাতে ধরে শিখিয়েছেন স্টাফ নোটেশন। ফলে তারা পূর্ণতা পেয়েছেন ভালোবাসার গানের ভুবনে।
অ্যান্টনি গনসালভেস বিবাহিত ছিলেন। তার স্ত্রী আগেই গত হয়েছেন। একমাত্র মেয়ে লক্ষ্মী গনসালভেস একজন পেশাদার চিত্রশিল্পী। তার বাবা মারা গিয়েছেন তার গোয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ২০১২ সালের ১৮ জুন। তখন তার বয়স ৮৪ বছর।
তবে এই মানুষটিকে পেয়ারে লাল গানের মাধ্যমে, ছবিতে চরিত্র হিসেবে নিয়ে আসার আগ পর্যন্ত বম্বের শিল্পীদের ছোট একটি ভুবনের বাইরে আর কেউই চিনতেন না। তার নামটিও তেমন জানা ছিল না। তিনি ১৯৬০’র দশকেই কিশোরকালের ভালোবাসার এই ভুবন ছেড়ে চলে গেলেন।
যখন বলিউডের কিংবদন্তী সঙ্গীত পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত-পেয়ারে লাল গীতিকার আনন্দ বক্সির সঙ্গে ‘অমর, আকবর, আন্টনি’ সিনেমার গানগুলো নিয়ে বসলেন, ‘মাই নেম ইজ অ্যান্টনি ফার্নান্দেজ’ গানটির সুর আবেদন তৈরি করতে পারছে না। এই নিয়ে কাজ করতে, করতে পেয়ারে লাল তার গুরু অ্যান্টনি গনসালভেসের নামে এই চরিত্রটির নাম রাখতে অনুরোধ করলেন। এভাবেই তার ভায়োলিন শিক্ষককে অমর করে রাখতে চাইলেন তিনি। সেখানে উপস্থিত সিনেমাটির পরিচালক মদন মোহন দেশাই সঙ্গে, সঙ্গে ভাবনাটি গ্রহণ করলেন। তিনিও জানতেন, অ্যান্টনি গনসালভেস আছেন, একজন কিংবদন্তী। একটি ছবিতে সত্যিকারের নামে থাকছেন তিনি। তার জীবন থাকছে সেলুলয়েডে চিরকালের মতো বলিউডের ভুবনে।
এরপর অমিতাভ বচ্চন ১৯৭৭ সালের হিট ছবি ‘অমর, আকবর, অ্যান্টনি’ ছবিতে তার চরিত্র করেছেন। তার নামে বিখ্যাত গানটি হলো অমিতাভের কন্ঠে ও পেয়ারে লালের সুরে, ‘মাই নেম ইজ অ্যান্টনি গনসালভেস’। ভারতের হিন্দি গানের ভুবনে অত্যন্ত বিখ্যাত ‘হেমোগ্লোবিন ইন দি অ্যাটমোসফেরিক প্রেশার ইন দি কান্ট্রি’তে গানের শুরু। চটুল ধারার, রসাত্নক, কিশোর কুমার গেয়েছেন। অমিতাভের অভিনয়েও চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। যেখানে পেয়ারে লাল তার ভায়োলিন শিক্ষক ও গুরুর প্রতি ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশে করেছেন।
‘কোনোদিনও বুড়ো হবে না গানটি’ বলেন বোদ্ধারা। গানের ও সিনেমার অন্যতম চরিত্র, অমিতাভ বচ্চনের রূপদান করা, অ্যান্টনি গনসালভেস সত্যিকারের উৎসাহমূলক চরিত্র। জীবনীধর্মী ছবিটি মশলা ধারার-ধর্মীয় সহনশীলতার দারুণ গল্প। পরিচালক মনমোহন দেশাই, লিখেছেন কাদের খান। প্রধান তিন অভিনেতা বিনোদ খান্না, ঋষি কাপুর ও অমিতাভ। তিনি অ্যান্টনির জীবনী অবলম্বনে খ্রিস্টান ছেলের চরিত্র করেছেন। তাদের বিপরীতে শাবানা আজমি, নিতু সিং (এখন ঋষির স্ত্রী) ও পারভীন ববি। তিন ভাইয়ের গল্প যাদের তিন ধরণের বিশ্বাস-হিন্দু, ইসলাম ও খ্রিস্টান। লক্ষ্মীকান্ত-পেয়ারে লাল দুজনে সঙ্গীত পরিচালক। গীতগুলো লিখেছেন আনন্দ বক্সি। ২৭ মে মুক্তি পাওয়া ছবিটি ২০২০ সাল পর্যন্ত ৪৬ মিলিয়ন রূপী আয় করেছে। বছরের সবচেয়ে বিক্রি হওয়া সিনেমা ছিল তখনই। সেবারের ২৫তম ফিল্ম ফেয়ারে ছবিটি সেরা অভিনেতা, সেরা সঙ্গীত পরিচালক ও সেরা এডিটিংয়ের পুরস্কার জয় করেছে।
অমিতাভ তার সেরা সময়ে সেরা নায়কদের ভীড়ে যাকে পর্দায় ফুটিয়েছেন, তিনি ভারতের অনেক বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পীর শিক্ষাগুরু ছিলেন। এক আর. ডি. বর্মণের নামই তো যথেষ্ট। পেয়ারে লাল বলেছেন, ‘আমার ওস্তাদ অ্যান্টনি গনসালভেস রাগ প্রধান কম্পোজিশনে বিশ্বাস করতেন।’ তিনিই ওস্তাদের নামে অমিতাভের জন্য চরিত্রটির নাম রাখতে অনুরোধ করেছিলেন দেশাইকে। এরপর ঘরে, ঘরে নামটি ছড়িয়েছে। ফলে অ্যান্টনি গনসালভেস বেঁচে গিয়েছেন। অথচ বলিউডের লোকেরা বিশ্বাস করেন, কারো বলিউডের ক্লাসিক্ল্যাল মিউজিকের জ্ঞান থাকলেই তিনি এই নামটি শুনেছেন। যিনি গানের একটি রহস্য, একজন নায়ক ও ভুলে যাওয়া একটি চরিত্র। একটি আমোদ ও একজন অত্যন্ত সিরিয়াস মানুষ। একটি মিথ। মূলধারাতে এসেছেন তাদের ওই ছবিতে, সবার সামনে প্রথম। ইস্টারের দিনে পারভীন ববির মাধ্যমে প্রথম পর্দায়। সুপার-ডুপার হিট ‘অমর, আকবর, অ্যান্টনি’ পরে তামিল ভাষায় রিমেক হয়েছে। তেলেগুতে, মালায়ালামেও। পরের বছরই পাকিস্তান অনানুষ্ঠানিকভাবে তৈরি করেছে পাঞ্জাবি ভাষায়, একই নামে।
বলিউড এই অসাধারণ সঙ্গীত পরিচালক ও প্রবল হিট ছবিটিকে ভুলতে পারেনি। ২০০৮ সালে তার নামেই ‘মাই নেম ইজ অ্যান্টনি গনসালভেস’ তৈরি হলো। পরিচালক ঈশ্বর নিভাস। সেখানে অ্যান্টনির চরিত্র করেছেন সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী। তবে ছবিটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে নানা কারণে। এছাড়াও ‘অ্যান্টনি গনসালভেস’ নামে ‘রাজ কমিকস’ নামের একটি ভারতীয় কমিক বুক প্রকাশনা সংস্থা বই করেছে। সেখানে তার নায়ক চরিত্র। প্রতি রাতে নিজের গুহা থেকে বেরিয়ে পড়ে। যারা আত্মহত্যা করতে যায়, তাদের বাঁচায়। তাদের ভেতরের শয়তানকে হারিয়ে দেয়। দিনের বেলা সে একজন অসাধারণ ভায়োলিন বাদক।
তার জীবনের ওপর ৫৮ মিনিটের একটি প্রামাণ্যচিত্র বানানো হয়েছে ভারত সরকারের তরফে। ২০১০ সালের ‘ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়া (আইএফএফআই)’-তে তাকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য প্রদর্শন করা হয়েছে। ‘স্পেশাল জুরি বোড অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে। পরে অসংখ্যবার, নানা জায়গাতে দেখানো হয়েছে।
তার নামটি আরো আছে গ্রেগরি ডি. বুথের বইতে। তিনি ভারত, জনপ্রিয় গানের ধারা ও গান শিল্প নিয়ে আগ্রহী। তার বিখ্যাত বই “বিহাইন্ড দি সার্টেন : মেকিং মিউজিক অব মুম্বাই’জ ফিল্ম স্টুডিওজ (পদার আড়ালে : মুম্বাইয়ের ফিল্ম স্টুডিওগুলোর গান তৈরি)”। এই বইতে উল্লেখ করেছেন, ‘এই স্বল্প খ্যাতি লাভ করা মানুষটি, তিনি অনেকের শিক্ষক ছিলেন। তবে সবসময় পর্দার আড়ালে থাকতেন। তাকে সবার কাছে জনপ্রিয় ও পরিচিত করে দিলো, লক্ষ্মীকান্ত-পেয়ারে রালের কাজের অন্ধভক্তদের কাছেও চিনিয়ে দিলো প্রথমবারের মতো ওই গান ও ছবিটি।’
তিনি মারা যাওয়ার পর পেয়ারে লাল বলেছেন, ‘১৯৭৭ সালে ছবিতে যখন আমরা কাজ করেছি, আমাদের ছবির গানটি তার নামে অমিতাভ ও কিশোরকে দিয়ে বানিয়ে আমি তার প্রতি আমার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছি। তিনি আমার গুরু ও একজন সঙ্গীত সাধু। জীবনের শেষ তিনটি বছর ভালো ছিলেন না। আমি নিয়মিত দেখতে গিয়েছি। এই মানুষটির কাছে মোটে ১৪ বছর বয়সে গিয়েছিলাম। বলেছিলাম, আমার বাবা একজন সঙ্গীত শিল্পী হলেও আপনার কাছেই শিখতে চাই। ভারতীয় ও পাশ্চাত্যের সঙ্গীতযন্ত্রগুলো আমি তার কাছেই বাজাতে শিখেছি। অনেক বছর তার ছাত্র ছিলাম। আজীবনেরও বটে। কোনোদিনও কোনোকিছুর জন্য মানুষটি আমার কাছ থেকে একটি পয়সাও নেননি। তিনি আমাকে সন্তানের মতো, ছেলের আদরে মানুষ করেছেন। একজন সত্যিকারের শিল্পী ছিলেন। তিনি শিল্পীদের শিল্পী। সঙ্গীতের খ্যাতির জন্য কাজ করেছেন জীবনভর, নিজের জন্য নয়। যদিও ভারতের হিন্দি ছবির সব বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালকের সবচেয়ে বেশিজনের সঙ্গে তিনিই কাজ করেছেন। মিউজিক অ্যারেঞ্জার ছিলেন প্রায় ৪শ ছবিতে, ২শ গানে কাজ করেছেন অ্যান্টনি গনজালভেস ১৯৪৩ থেকে ১৯৬৫ সালের হিন্দি সিনেমার ক্যারিয়ারে। আমি তার কাছে অত্যন্ত ঋণী। আমাকে সারাজীবন গাইড করেছেন। আমি তার কাছে শিখতে পেরে সৌভাগ্যবান।’
ওএফএস।

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি