শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কৃষক-জেলের জীবন, জীবিকার ৬২ বছর

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এই দেশের মানুষের ক্ষুধা, দারিদ্রতা ও খাবারের যোগানের কারিগর। ৬২ বছরে পা দিয়েছে। লিখেছেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাকিবুল হাসান

বাংলাদেশের প্রধান ও প্রথম বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়। কৃষি, মৎস্য, কামার, কুমার জেলেদের বিশ্ববিদ্যালয়-‘বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’। পুরো এশিয়া মহাদেশ ও সারা বিশ্বের অন্যতম নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়টির আজ ৬২ বছর। সর্বশেষ স্বীকৃতি তারা পেয়েছেন নব প্রচলিত কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূণ ব্যক্তি বা এগ্রিকালচারালি ইম্পর্টেন্ট পারসন (এআইপি) সম্মাননা। লাভ করেছেন উপাচার্য ও নামী গবেষক অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। তিনি বলেছেন, “কৃষি শিক্ষা, গবেষণা ও সস্প্রসারণ’-এর পথিকৃৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্ম ১৯৬১ সালের ১৮ আগষ্ট। এই দিনে বাংলাদেশের কৃষি শিক্ষক, গবেষক, কর্মকর্তাদের আমি আমাদের ভালোবাসা জানাই।”

দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ও বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আজ শিক্ষকদের নিয়ে ভোরে দেশের জাতীয় পতাকা উড়িয়েছেন প্রশাসন ভবনের সামনে। পায়রা উড়িয়েছেন শান্তির প্রতীক হিসেবে, সব শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন, বঙ্গবন্ধুর ম্যুারালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। নিয়মিত কাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের-গাছের চারা রোপণ করেছেন তারা, ছাত্র-ছাত্রীদের সংগঠনগুলোর মধ্যে গাছের চারা বিলিয়েছেন, গবেষণা জমিগুলোতে নানা ধরণের ফসলের বীজ বুনেছেন ও গবেষণা পুকুরগুলোতে ছেড়েছেন নানা গবেষণায় পাওয়া মাছের পোনা। সবখানেই তাদের অনস্বীকার্য অবদান।

এখন দেশের কৃষি, মৎস্য ও সংশ্লিষ্ট খাতগুলোর মেরুদন্ড-বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট জায়গা ১২শ ৫০ একর। এখানেই আছে দেশের প্রধান গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো। যেমন মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট। ময়মনসিংহ শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দক্ষিণে তারা, ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগেও এ দেশের সব কৃষি, মৎস্য খাতের ছাত্র, ছাত্রীরা এখানেই উচ্চতর শিক্ষা লাভ করেছেন। এখনো ১১শর বেশি ছেলেমেয়ে তারা ভর্তি করেন। পুরো দেশে তাদের তৈরি ৫০ হাজার ছাত্র, ছাত্রী চাকরি করছেন। প্রতিটি সিটই অমূল্য।

কৃষি বিজ্ঞান ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলোতে স্বয়ংসম্পূণ অনন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়। কৃষি, ভেটেরিনারি, পশুপালন, কৃষি অর্থনীতি, গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান, কৃষি প্রকৌশল, কৃষি প্রযুক্তি, মাৎস্যবিজ্ঞান কী পড়ানো হয় না? মোট ৪৩টি বিভাগ আছে। সেমিস্টার পদ্ধতিতে। ৯ হাজার ৮শ ১৮ জন ছাত্র, ছাত্রী প্রথম বর্ষ থেকে মাস্টার্সে পড়ছেন। তাদের জন্য আছেন দেশবরেণ্য মোট ৫শ ৬৬ জন অধ্যাপক। আছে ১৪টি হল।

এই দেশের কৃষি, গবেষণা, মৎস্য ভুবনে বহু বছর ধরে প্রধান ভূমিকা রেখে চলেছেন তারা। কৃষক ও জেলের জীবন, জীবিকা তারা। দেশের মানুষের ভাত, মাছের ব্যবস্থা করেন। গবেষণা ভুবনে তাদের সাফল্য অবিশ্বাস্য ও চমকপ্রদ। ‘জৈব সার’ তাদের আবিস্কার। দুই, একটি আবিস্কার করা ফসল হলো-বাউকুল, বাউধানগুলো, বাকৃবি সরিষা, নব জাতের সয়াবিনের বীজ, বাকৃবি আলু, বাকৃবি কচু।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হারিয়ে যাওয়া তারা বাইম, গুচি বাইম, বড় বাইম, কুঁচিয়া, গাঙ মাগুর, বাকৃবি কই, বাকৃবি বাটা মাছ’কে দীর্ঘ গবেষণার মাধ্যমে উন্নত কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিতে দেশের ও দশের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে।

কটি ফসল পদ্ধতির মধ্যে আছে-পুকুর, জমিতে মাছ ও সবজির সমন্বিত চাষ, বিদ্যুতহীন হিমাগার ব্যবস্থা।

দেশের খাদ্য অর্থনীতির প্রধান শক্তি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের আবিষ্কার ও ভূমিকা কোনোদিন শেষ হবে না।

কলা, আনারসের উন্নত জাত আবিস্কার, শুকনো মৌসুমে বোরো ধান চাষ পদ্ধতি আবিস্কার তাদের আরো সাফল্য।

এই দেশের ফসলগুলোর জন্ম থেকে খাবার হিসেবে খাওয়া নির্ভর করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর।

দেশে গবাদিপশুর ভ্রূণ প্রতিস্থাপন ব্যবস্থা আবিষ্কার ও প্রচলন করেছেন তারা।

শিক্ষকরা আরো তৈরি করেছেন ছাত্র, ছাত্রীদের নিয়ে মাটি পরীক্ষার সরঞ্জাম।

মাছের রোগ প্রতিরোধকল্পে ঔষধি গাছের ব্যবহার তাদের নব আবিস্কার।

হাওড়াঞ্চলে সমন্বিত চাষাবাদ কৌশল গড়েছেন।

ইলিশের জীবন রহস্য উন্মোচন করেছেন।

হারিয়ে যাওয়া ব্ল্যাক বেঙ্গল গোটের জীবন রহস্য উন্মোচন তাদের অনন্য কীর্তি। আরো কত যে সাফল্য আছে।

‘বাংলাদেশ এগ্রিকালচারার ইউনিভার্সিটি জার্মপ্লাজম সেন্টার’ অত্যন্ত পরিণত হয়েছে দিনে, দিনে।

তাদের আছে বহু সংগঠন।

অসংখ্য কৃতি ছাত্র, ছাত্রী ও গবেষক আছেন।

এআইপি-বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান জন্মদিনে তাদের সকল ছাত্র, ছাত্রী ও শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং এই দেশের কৃষক, কামার, কুমার, জেলেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেছেন, ‘আপনারা জানেন, আমাদের অবদানে জন্মভূমি বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করার যে চ্যালেঞ্জগুলো আমরা গ্রহণ করেছিলাম, মোকাবেলা করেছি, তাতে জয়লাভ করেছি। এই বিপুল জনসংখ্যার দেশ থেকে আমরা খাদ্য রপ্তানি করতে সক্ষম হচ্ছি। বাংলাদেশের মানুষের ক্ষুধাকে জয় করেছি, খাবারের অভাব পূরণ করে দিয়েছি। দেশে মঙ্গার অবসান ঘটিয়েছি। মানুষের মাঝে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দিয়ে চলেছি। আমাদের সকল ছাত্র, ছাত্রীরা দক্ষতার সঙ্গে নানা খাতে দেশে ও বিদেশে সুনামের সঙ্গে চাকরি এবং কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের মাধ্যমেই আমরা বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছি। আগামী দিনগুলোতে আরো সুনাম অজন করব।’

অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান একজন নামকরা কৃতি শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষা প্রশাসক। তিনি লবণাক্ততা সহিষ্ণু তিনটি সরিষা আবিস্কার করেছেন। বাউধান-৩ আবিস্কারক দলের অন্যতম গবেষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিকস অ্যান্ড প্লান্ট ব্রিডিং বিভাগের অধ্যাপক।

ওএফএস।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত