বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘হাওয়া’র রাজনীতি ও রাজনীতির ‘হাওয়া’

আবু নাছের ভূঁইয়া

বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৫শ ৩২ ডলারে আসতে ১৯৭২ ‘৭৩ সাল থেকে শুরু করে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ৩৪ বছর সময় লেগেছে। আর ২০০৭-’০৮ সাল থেকে ২০১৯-২০ সালে পৌঁছে, ১১ বছরে মাথাপিছু আয় প্রায় চারগুণ হয়েছে। অনেক বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলার। গত একটি বছর ২০২১-’২২ অর্থ বছরে আমাদের মাথাপিছু আয় প্রায় সাড়ে ৮শ ডলারের বেশি হয়েছে। এখন জনপ্রতি বাংলাদেশীদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৯০০ ডলার। নেতৃত্বের দূরদর্শিতা ও ক্যারিশমায় শেখ হাসিনা চমক দেখিয়েছেন। কাল যেখানে আঁধার ছিল, আজ সেখানে আলো। কাল যেখানে মন্দ ছিল, আজ সেখানে ভালো।

আন্তর্জাতিক তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয় ২০০১ থেকে ২০০৬ বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে। ২০০১ সালে যুদ্ধাপরাধী জামায়াতকে জোটে নিয়ে নির্বাচনের বৈতরণী পার হয়ে ক্ষমতায় এলেন বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া।

প্রধানমন্ত্রী হলেও তার দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি ও শাসন ব্যবস্থায় একচ্ছত্র আধিপত্য স্থাপন করে এবং দুর্নীতির বরপুত্র তারেক জিয়া ও তার কলঙ্কজনক অধ্যায়ের আঁতুড়ঘর হিসেবে অধিক পরিচিত হাওয়া ভবন গড়ে উঠেছে, খবরে প্রকাশ।

হাওয়া ভবনের কল্যাণে জর্জ মিয়া নাটক থেকে শুরু করে এমন কোন খাত নেই যে খাতে চরম দুর্নীতি, দুর্দশার চিত্র বাংলাদেশ দেখেনি। যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্যখাত, অর্থনীতি, ব্যবসা, বাণিজ্য, সন্ত্রাস, জঙ্গি, মদদদাতাসহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই তখনকার বাংলাদেশ ছিল দুর্নীতিতে ঠাসা। পেছনে কলকাঠি নাড়াতেন হাওয়া ভবনের তারেক জিয়া ও তার দোসররা। আওয়ামী লীগের নেতারা কর্মকান্ডগুলোতে ‘দুর্নীতির বরপুত্র’, ‘তারেক জিয়া মি. ১০ পার্সেন্ট’ ইত্যাদিতে অভিহিত করতেন। তখন দুর্নীতিতে বাংলাদেশ ৫ বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে। মোটা দাগে শিরোনাম হয়েছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগলোতে। প্যারাডাইস পেপারস, উইকিলিকস-সব মাধ্যমেই উঠে আসেন বেগম খালেদা জিয়ার সুপুত্র। সীমাহীন দুর্নীতির তথ্য ছড়ালো তার জীবনে। তিনি কী ভেবেছিলেন এভাবেই বাংলাদেশে অন্ধকারের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করবেন? ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে ক্ষমতার রাজনীতি থেকে চিরতরে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী লীগকে।

খালেদা জিয়া সরকারের দু:শাসন, সীমাহীন দুর্নীতি ও অরাজকতার মধ্যে এক-এগারোর সরকার দেশে আবির্ভূত হয়েছে। দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার হয়েছেন তারেক জিয়াও। অথচ তার উল্টো চিত্র আজকের বাংলাদেশ। এ দেশের প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা সৎ এবং দুর্নীতিমুক্ত থাকায় বিশ্ব দরবারে অনন্য উচ্চতায় আসীন হয়েছেন।

সম্প্রতি ইউরোপের একটি গবেষণা সংস্থা ‘পিপলস এন্ড পলিটিক্স’ বিশ্বের পাঁচটি সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানকে চিহ্নিত করেছেন, যাদের কোনো দুর্নীতেই স্পর্শ করেনি। তাদের বিদেশে কোন ব্যাংক একাউন্ট নেই, উল্লেখ করার মতো সম্পদই নেই। ১৭৩টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানকে ১শ নম্বরের ভিত্তিতে নম্বর প্রদান করা হয়েছে। তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। তার স্কোর ৯০। দ্বিতীয় সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং, তার ৮৮। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮৭ স্কোর পেয়ে তালিকাটিতে তৃতীয়। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ইরনা সোলবার্গ, ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানী চতুর্থ ও পঞ্চম। তাদের স্কোর ৮৫ এবং ৮১। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৭৮ শতাংশ মানুষই মনে করেন, শেখ হাসিনা দুর্নীতিমুক্ত, লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে। ছোটখাটো কোনো দুর্নীতিই তাকে স্পর্শ করতে পারেনি।

১/১১তে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারেক জিয়া বিভিন্ন দুর্নীতির কথা স্বীকার করেছেন। ২০০৮ সালে তিনি মুচলেকা দিয়ে জামিনে মুক্ত হয়েছে। মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে চলে যান। সেই থেকে লন্ডনে বসবাস। এর মধ্যে তার মা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা, মানি লন্ডারিং মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাসহ অন্যান্য মামলাগুলোর রায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী হিসেবে লন্ডনে জীবনযাপন করছেন। কেন? কোথা থেকে আসে তারেক রহমানের গাড়ি-বাড়ি? বাংলায় প্রবাদ আছে ‘কয়লা ধুলেও ময়লা যায় না।’ তারেক রহমানের ক্ষেত্রে যথাযথ। লন্ডনে বসে টাকা কামাচ্ছেন। বিএনপির লন্ডন শাখায় নির্বাচন, মনোনয়ন, রাজনীতি চলছে। তিনি স্কাইপের মাধ্যমেও সচল রেখেছেন।

বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পারেনি। ২০১৮ নির্বাচনে মনোনয়নের নামে তারেক রহমান সেখানে খুলে বসেছেন নির্বাচন কেন্দ্র। মনোনয়ন।

বিএনপির দুর্দিনে, নেতা, কর্মীরা ৩০০ আসনে ৯০০ জন মনোনয়ন পেয়ে যান। টাকার শক্তি রাজনৈতিক শক্তির চেয়েও অধিক! ব্যবসায়ী বা অন্য যে কোনো পেশার, যাদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার চেয়ে টাকার শক্তি বেশি ও তারেক জিয়া। তার চাহিদায় মনোনয়ন দেন কী?

দলের খারাপ অবস্থায় বিএনপি আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, চাঁদপুরে এহসানুল হক মিলন, নারায়ণগঞ্জে তৈমুর আলম খন্দকারের মত ত্যাগী নেতারা মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

আবার যারা মনোনয়ন হারান, তাদের অনেকের কর্মীরা বিএনপির অফিসগুলোতে হামলা, ভাঙচুর, তালা লাগানোর মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন। তিন বারের প্রধানমন্ত্রী, সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের বিধবা স্ত্রী ৭৬ বছরের বছরের বৃদ্ধ মা পড়ে আছেন জেলে, কেন?

কথায় আছে, ‘ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে।’ তারেক জিয়া লন্ডনে গিয়েও কৃতকর্ম থেকে নিজেকে সরাতে পারেননি। একই আসনে একাধিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিয়ে তিনি বিএনপির মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিলেন। বিএনপির রাজনীতিকে কলুষিত করেছেন। এত কিছুর পরেও তারেকের কোনো পরিবর্তন হয়নি কেন? তিনি যদি ২০১৮ নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে লন্ডনে কাজ করতে পারেন, তাহলে দেশে ফিরতে পারলে কী করবেন? এমনসব নীতি অবলম্বন করার কারণেই সমালোচকরা বলেন, বিএনপি এলিটদের ক্লাব।

উইকিলিকসের একটি তথ্য, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রদূত জেমস. এফ. মরিয়ার্টি তার দেশ মার্কিন যুক্তনাষ্ট্রের উচ্চ মহলে একটি গোপন তারবার্তায় তারেক সম্পর্কে লিখেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান মার্কিন সরকারের তিনটি লক্ষ্য- গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, উন্নয়ন ও জঙ্গিবাদ নির্মূলের মিশনকে প্রচণ্ডভাবে হুমকির সম্মুখীন করেছেন, আইনের প্রতি তার প্রকাশ্য অশ্রদ্ধা বাংলাদেশে জঙ্গিদের মূল শক্ত করতে সহায়তা করেছে।’

লেখক : শিক্ষক, সাংবাদিক ও গবেষক।

ছবিটি প্রতীকি।

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত