বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আইভিআইতে গবেষক জুলহাস সুজন

আমাদের তৃতীয় গবেষক হিসেবে ‘আইভিআই’ বা ‘ইন্টারন্যাশনাল ভ্যাকসিন ইনস্টিউটিউট’-এ কাজ করছেন তিনি। এর আগে প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসইতে। বসুন্ধরা, ইনফোসিস ইন্ডিয়া ও ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেসঅব হেলথ ইন্টারন্যাশনাল (এমএসএইচ)-এ নয় বছরের গবেষণা জীবন। তাকে নিয়ে লিখেছেন মুহাম্মদ বাবুল হোসেন বাবু

ছেলেটির নাম মোহাম্মদ জুলহাস সুজন। দারুণ মেধাবী। বাংলাদেশের তৃতীয় হিসেবে চলে গিয়েছেন ‘আইভিআই’ বা ‘ইন্টারন্যাশনাল ভ্যাকসিন ইনস্টিউটিউট’-এ। অত্যন্ত উন্নত দেশে, দারুণ প্রতিষ্ঠানে গবেষকের অসাধারণ কর্মজীবন শুরু করেছেন। পড়ালেখা করেছেন তিনি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রথম ব্যাচের ছাত্র। একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী। তাদের সিএসই (কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগের অন্যতম সেরা ছাত্র। প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় হয়ে পাশ। হাসতে, হাসতে দিয়েছেন খুশির খবর, ‘আমি ২০ জুন থেকে চাকরি করছি সিউলের অফিসে।’

তাদের ‘আইভিআই’ হলো একটি স্বাধীন, অলাভজনক, আন্তর্জাতিক সংস্থা। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৯৭ সালে, ৯ অক্টোবর। উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোর শিশুদের স্বাস্থ্য নাটকীয়ভাবে ভ্যাকসিন বা টিকা প্রদানের মাধ্যমে রোগগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধের মাধ্যমে উন্নত করাই তাদের লক্ষ্য। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানী সমাজের সঙ্গে সহযোগিতায় কাজ করেন। সাহায্য করেন বিভিন্ন দেশের ও বিশ্বের বড়, বড় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো, সরকাররা ও এই ভুবনের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে আইভিআই বিস্তৃত পরিসরে, সব ধরণের টিকা উৎপাদন ও বিতরণ ক্ষেত্রে কাজ করে। গবেষণাগারগুলোতে নতুন টিকার পরিকল্পনাও করেন তারা। তেমনিভাবে তৈরি ও উৎপাদনের পর যেসব দেশের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তাদের শিশুদের সুরক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করে কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

জাতিসংঘ উন্নয়ন প্রকল্প বা ইউএনডিপির একটি উদ্যোগ হিসেবে আইভিআইয়ের জন্ম। তাদের সদর দপ্তর কোরিয়াতে শুরু থেকে। এখন ৩৬টি দেশে কাজ করছেন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বা হু’র সঙ্গে তো আছেন শুরু থেকে চুক্তিবদ্ধ। ফলে বিরাট বড় কাজের দুনিয়া। বিশ্বজুড়ে চলছেন শিশুদের ভুবনগুলোতে বাঁচাতে। যে রোগগুলোকে অবজ্ঞা করা হয় দেশে, দেশে সেগুলোর দিকেও জোর দেন তারা। ‘প্রতিষ্ঠানটি সদস্য দেশগুলোর আর্থিক অনুদানে পরিচালিত হয়’, বলেছেন সুজন। টিকা উন্নয়ন, নিরাপদ সরবরাহ, কার্যকরভাবে ব্যবহারও কাজের মহা কর্মযজ্ঞে। তথ্যগুলো দেবার পর জুলহাস সুজন বলেছেন, ‘জানেন আমাদের বাংলাদেশ আইভিআইয়ের অন্যতম সদস্য রাষ্ট্র। ২০২২ সালের পহেলা মে সদস্য হয়েছে। অবশ্য প্রথম থেকেই বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করে চলেছি আমরা।’

কীভাবে আইভিআইয়ের সঙ্গে শুরু? জবাবে দারুণ মেধাবী ও পরিশ্রমী সুজন বলেছেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানের একটি প্রকল্পে বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি ছিলাম। ফলে তারা আমাকে নিয়ে গিয়েছেন এবার সদর দপ্তরে।’ জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশের অন্যতম শিল্পগ্রুপ ‘বসুন্ধরা’, ‘ইনফোসিস ইন্ডিয়া’ ও ‘ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স অর হেলথ ইন্টারন্যাশনাল (এমএসএইচ)’ মিলিয়ে আমার কর্মজীবন মোট নয়টি বছর।”

‘ইনফোসিস ইন্ডিয়া’ বা ‘ইনফোসিস লিমিটেড’ হলো একটি ভারতীয় বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক কম্পানি। তারা ব্যবসায় পরামর্শ, তথ্য প্রযুক্তি ও আউট সোর্সিং সেবা প্রদান করেন। পুনেতে ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত। ৪১ বছরের, সদর দপ্তর ব্যাঙ্গালুরুতে। ২০০০ সালের হিসেবে বিশ্বের ৬শ ২তম বড় পাবলিক কম্পানি। ২০২০ সালে তারা ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম আইটি কম্পানির আয় করেছেন। ২০২১ সালের আগষ্টে ভারতের চতুর্থ কম্পানি হিসেবে ১শ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের হয়েছেন ফোবর্সের হিসেবে।

‘এমএসএইচ’ বা ‘ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস অব হেলথ ইন্টারন্যাশনাল’ একটি বৈশ্বিক অলাভজনক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। তারা বিভিন্ন দেশের সরকার, প্রতিষ্ঠানগুলো ও বেসরকারী খাতকে কর্মকৌশল, উপকরণ ও ব্যবস্থাপনা সাহায্য প্রদান করেন বিনা পয়সায়, যাতে কার্যকর ও দক্ষ উপায়ে উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়। অগ্রসর জ্ঞান ও প্রযুক্তি সেবা দিয়ে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বজুড়ে। যেন স্থানীয়ভাবে সবার স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত হয়, অন্যতম লক্ষ্য। ‌‘এমএসএইচ’ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সমাজভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে দেশে, দেশে কাজ করছে। বেসরকারী খাত, সুশীল সমাজেও তারা বিশ্বস্ত পরামর্শক। স্বাস্থ্যসেবাকে আমূল বদলে দেওয়ার জন্য এমএসএইচও কাজ করছে। কাঁধে, কাঁধে মিলিয়ে তাদের কাজের উদ্দেশ্য, মানুষের জীবন বাঁচানো। বিশ্বের সবচেয়ে গরীব ও সবচেয়ে দুর্বল মানুষগুলোকে ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী করতে কাজ করছেন তারা। টেকসই স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও গড়ে দিচ্ছেন সবার। ৫০ বছরের বেশি কর্মরত আছেন তারা।

এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুজন মাতৃভূমিসহ মোট ১১টি দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশে কাজ করেছেন। তার ভুবন ‘এন্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’ বা ‘জীবাণু প্রতিরোধী’। জনস্বাস্থ্য তথ্যবিদ হিসেবেও অনেক সুনাম আছে তার। খুবই দক্ষ। মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করবেন বলে পড়ালেখা করেছেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ)’তে। সেখানে তিনি জনস্বাস্থ্য বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন আপন মেধার জোরে, খুব ভালো ফলাফলে।

বলেছেন জুলহাস সুজন, ‌‘আমার এই সাফল্যগুলোর অনুভূতি খুব ভালো। নতুন কিছু প্রাপ্তি অবশ্যই সুখের ও তৃপ্তির। আনন্দ ও ভালোলাগার।’ কীভাবে অর্জন? ‘আমার সাফল্যগুলোর পেছনে কঠোর পরিশ্রম আছে। পরিবার, শুভাকাংখী ও শিক্ষকদের অনেক অনুপ্রেরণা, উৎসাহদান ও প্রচেষ্টা রয়েছে।’ ভালো করতে হলে? ‘যেকোনো বিষয় ভালোবেসে পড়তে হবে। ভালো লাগা থেকে কাজ করে যেতে হবে। যেদিকে ভালো, সেদিকে আরো মনোযোগ দিতে হবে। দুর্বলতাগুলো শ্রম দিয়ে কাটিয়ে উঠতে হবে। তাহলে সাফল্য আসবে।’ গবেষক হতে চাইলে? ‘গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মনোযোগ দিয়ে কাজ করে যেতে হবে। এর কোনো বিকল্প কোথাও নেই। শুরু থেকে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ভালো সম্পর্কও গড়ে তুলতে হবে।’ বলেছেন তিনি, ‘ভালো গবেষক হতে চাইলে শেখার জন্য গবেষণার সেমিনারগুলোতে নিয়মিত, ভালোভাবে অংশ নিতে হবে। যোগাযোগও বাড়াতে হবে।’ সুজন জানিয়েছেন, ‘ছাত্রজীবন থেকে বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয়নির্ভর এবং ভালো লাগার ভুবনের ওপর লেখার আগ্রহ থাকতে হবে।’ তিনি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আইভিআইতে কাজ করবেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল ভ্যাকসিন ইনস্টিউটিউটের নতুন প্রকল্পগুলোতে মাতৃভূমিকে যুক্ত করার চেষ্টা করব।’

ছবি : সিউলে আইভিআই অফিসের সামনে সুজন। তার কাজের দুনিয়া-বসুন্ধরা, ইনফোসিস ইন্ডিয়া, এমএসএইচ এবং মানুষটিকে গড়ে দেওয়া পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

ওএফএস।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত