মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

আইভিআইতে গবেষক জুলহাস সুজন

আমাদের তৃতীয় গবেষক হিসেবে ‘আইভিআই’ বা ‘ইন্টারন্যাশনাল ভ্যাকসিন ইনস্টিউটিউট’-এ কাজ করছেন তিনি। এর আগে প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসইতে। বসুন্ধরা, ইনফোসিস ইন্ডিয়া ও ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেসঅব হেলথ ইন্টারন্যাশনাল (এমএসএইচ)-এ নয় বছরের গবেষণা জীবন। তাকে নিয়ে লিখেছেন মুহাম্মদ বাবুল হোসেন বাবু

ছেলেটির নাম মোহাম্মদ জুলহাস সুজন। দারুণ মেধাবী। বাংলাদেশের তৃতীয় হিসেবে চলে গিয়েছেন ‘আইভিআই’ বা ‘ইন্টারন্যাশনাল ভ্যাকসিন ইনস্টিউটিউট’-এ। অত্যন্ত উন্নত দেশে, দারুণ প্রতিষ্ঠানে গবেষকের অসাধারণ কর্মজীবন শুরু করেছেন। পড়ালেখা করেছেন তিনি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রথম ব্যাচের ছাত্র। একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী। তাদের সিএসই (কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগের অন্যতম সেরা ছাত্র। প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় হয়ে পাশ। হাসতে, হাসতে দিয়েছেন খুশির খবর, ‘আমি ২০ জুন থেকে চাকরি করছি সিউলের অফিসে।’

তাদের ‘আইভিআই’ হলো একটি স্বাধীন, অলাভজনক, আন্তর্জাতিক সংস্থা। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৯৭ সালে, ৯ অক্টোবর। উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোর শিশুদের স্বাস্থ্য নাটকীয়ভাবে ভ্যাকসিন বা টিকা প্রদানের মাধ্যমে রোগগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধের মাধ্যমে উন্নত করাই তাদের লক্ষ্য। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানী সমাজের সঙ্গে সহযোগিতায় কাজ করেন। সাহায্য করেন বিভিন্ন দেশের ও বিশ্বের বড়, বড় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো, সরকাররা ও এই ভুবনের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে আইভিআই বিস্তৃত পরিসরে, সব ধরণের টিকা উৎপাদন ও বিতরণ ক্ষেত্রে কাজ করে। গবেষণাগারগুলোতে নতুন টিকার পরিকল্পনাও করেন তারা। তেমনিভাবে তৈরি ও উৎপাদনের পর যেসব দেশের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তাদের শিশুদের সুরক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করে কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

জাতিসংঘ উন্নয়ন প্রকল্প বা ইউএনডিপির একটি উদ্যোগ হিসেবে আইভিআইয়ের জন্ম। তাদের সদর দপ্তর কোরিয়াতে শুরু থেকে। এখন ৩৬টি দেশে কাজ করছেন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বা হু’র সঙ্গে তো আছেন শুরু থেকে চুক্তিবদ্ধ। ফলে বিরাট বড় কাজের দুনিয়া। বিশ্বজুড়ে চলছেন শিশুদের ভুবনগুলোতে বাঁচাতে। যে রোগগুলোকে অবজ্ঞা করা হয় দেশে, দেশে সেগুলোর দিকেও জোর দেন তারা। ‘প্রতিষ্ঠানটি সদস্য দেশগুলোর আর্থিক অনুদানে পরিচালিত হয়’, বলেছেন সুজন। টিকা উন্নয়ন, নিরাপদ সরবরাহ, কার্যকরভাবে ব্যবহারও কাজের মহা কর্মযজ্ঞে। তথ্যগুলো দেবার পর জুলহাস সুজন বলেছেন, ‘জানেন আমাদের বাংলাদেশ আইভিআইয়ের অন্যতম সদস্য রাষ্ট্র। ২০২২ সালের পহেলা মে সদস্য হয়েছে। অবশ্য প্রথম থেকেই বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করে চলেছি আমরা।’

কীভাবে আইভিআইয়ের সঙ্গে শুরু? জবাবে দারুণ মেধাবী ও পরিশ্রমী সুজন বলেছেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানের একটি প্রকল্পে বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি ছিলাম। ফলে তারা আমাকে নিয়ে গিয়েছেন এবার সদর দপ্তরে।’ জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশের অন্যতম শিল্পগ্রুপ ‘বসুন্ধরা’, ‘ইনফোসিস ইন্ডিয়া’ ও ‘ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স অর হেলথ ইন্টারন্যাশনাল (এমএসএইচ)’ মিলিয়ে আমার কর্মজীবন মোট নয়টি বছর।”

‘ইনফোসিস ইন্ডিয়া’ বা ‘ইনফোসিস লিমিটেড’ হলো একটি ভারতীয় বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক কম্পানি। তারা ব্যবসায় পরামর্শ, তথ্য প্রযুক্তি ও আউট সোর্সিং সেবা প্রদান করেন। পুনেতে ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত। ৪১ বছরের, সদর দপ্তর ব্যাঙ্গালুরুতে। ২০০০ সালের হিসেবে বিশ্বের ৬শ ২তম বড় পাবলিক কম্পানি। ২০২০ সালে তারা ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম আইটি কম্পানির আয় করেছেন। ২০২১ সালের আগষ্টে ভারতের চতুর্থ কম্পানি হিসেবে ১শ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের হয়েছেন ফোবর্সের হিসেবে।

‘এমএসএইচ’ বা ‘ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস অব হেলথ ইন্টারন্যাশনাল’ একটি বৈশ্বিক অলাভজনক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। তারা বিভিন্ন দেশের সরকার, প্রতিষ্ঠানগুলো ও বেসরকারী খাতকে কর্মকৌশল, উপকরণ ও ব্যবস্থাপনা সাহায্য প্রদান করেন বিনা পয়সায়, যাতে কার্যকর ও দক্ষ উপায়ে উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়। অগ্রসর জ্ঞান ও প্রযুক্তি সেবা দিয়ে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বজুড়ে। যেন স্থানীয়ভাবে সবার স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত হয়, অন্যতম লক্ষ্য। ‌‘এমএসএইচ’ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সমাজভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে দেশে, দেশে কাজ করছে। বেসরকারী খাত, সুশীল সমাজেও তারা বিশ্বস্ত পরামর্শক। স্বাস্থ্যসেবাকে আমূল বদলে দেওয়ার জন্য এমএসএইচও কাজ করছে। কাঁধে, কাঁধে মিলিয়ে তাদের কাজের উদ্দেশ্য, মানুষের জীবন বাঁচানো। বিশ্বের সবচেয়ে গরীব ও সবচেয়ে দুর্বল মানুষগুলোকে ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী করতে কাজ করছেন তারা। টেকসই স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও গড়ে দিচ্ছেন সবার। ৫০ বছরের বেশি কর্মরত আছেন তারা।

এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুজন মাতৃভূমিসহ মোট ১১টি দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশে কাজ করেছেন। তার ভুবন ‘এন্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’ বা ‘জীবাণু প্রতিরোধী’। জনস্বাস্থ্য তথ্যবিদ হিসেবেও অনেক সুনাম আছে তার। খুবই দক্ষ। মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করবেন বলে পড়ালেখা করেছেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ)’তে। সেখানে তিনি জনস্বাস্থ্য বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন আপন মেধার জোরে, খুব ভালো ফলাফলে।

বলেছেন জুলহাস সুজন, ‌‘আমার এই সাফল্যগুলোর অনুভূতি খুব ভালো। নতুন কিছু প্রাপ্তি অবশ্যই সুখের ও তৃপ্তির। আনন্দ ও ভালোলাগার।’ কীভাবে অর্জন? ‘আমার সাফল্যগুলোর পেছনে কঠোর পরিশ্রম আছে। পরিবার, শুভাকাংখী ও শিক্ষকদের অনেক অনুপ্রেরণা, উৎসাহদান ও প্রচেষ্টা রয়েছে।’ ভালো করতে হলে? ‘যেকোনো বিষয় ভালোবেসে পড়তে হবে। ভালো লাগা থেকে কাজ করে যেতে হবে। যেদিকে ভালো, সেদিকে আরো মনোযোগ দিতে হবে। দুর্বলতাগুলো শ্রম দিয়ে কাটিয়ে উঠতে হবে। তাহলে সাফল্য আসবে।’ গবেষক হতে চাইলে? ‘গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মনোযোগ দিয়ে কাজ করে যেতে হবে। এর কোনো বিকল্প কোথাও নেই। শুরু থেকে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ভালো সম্পর্কও গড়ে তুলতে হবে।’ বলেছেন তিনি, ‘ভালো গবেষক হতে চাইলে শেখার জন্য গবেষণার সেমিনারগুলোতে নিয়মিত, ভালোভাবে অংশ নিতে হবে। যোগাযোগও বাড়াতে হবে।’ সুজন জানিয়েছেন, ‘ছাত্রজীবন থেকে বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয়নির্ভর এবং ভালো লাগার ভুবনের ওপর লেখার আগ্রহ থাকতে হবে।’ তিনি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আইভিআইতে কাজ করবেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল ভ্যাকসিন ইনস্টিউটিউটের নতুন প্রকল্পগুলোতে মাতৃভূমিকে যুক্ত করার চেষ্টা করব।’

ছবি : সিউলে আইভিআই অফিসের সামনে সুজন। তার কাজের দুনিয়া-বসুন্ধরা, ইনফোসিস ইন্ডিয়া, এমএসএইচ এবং মানুষটিকে গড়ে দেওয়া পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

ওএফএস।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে এলজিইডিতে দুদকের অভিযানে অর্থ আত্মসাতের পাওয়া গেছে প্রমাণ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

প্রকল্প বাস্তবায়ন না করেই বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে টাঙ্গাইল এলজিইডিতে অভিযান পরিচালনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই অভিযানে তারা বিভিন্ন প্রকল্পের নামে আসা বরাদ্দকৃতের অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম, দুর্নীতির প্রাথমিত প্রমাণ পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

প্রাথমিকভাবে অভিযোগের দুদক জানায়, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতি, একাধিক প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন না করেই বিধিবহির্ভূতভাবে অগ্রিম বিল উত্তোলন, এলজিইডি'র তত্ত্বাবধানে গ্রাম-গঞ্জের রাস্তা এবং ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণকাজে নিম্নমাণের সামগ্রী ব্যবহার ও কাজের গুণগতমান বজায় না রাখা এবং উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে এলজিইডির বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ কর্তৃক নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

টাঙ্গাইল দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নুর আলম জানান, দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশ মোতাবেক টাঙ্গাইল এলজিইডিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযানে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। সেগুলো সরেজমিনে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে যাচাই-বাছাই করব এবং পরে এ বিষয়গুলো কমিশনকে জানাবো।

তিনি আরও জানান, একদিনে জেলার সবগুলো উপজেলায় যাওয়া সম্ভব না। তাই পরবর্তীতে অন্যান্য উপজেলাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

Header Ad
Header Ad

লক্ষাধিক নতুন রোহিঙ্গাকে আশ্রয়ের অনুরোধ জানাল জাতিসংঘ

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতার কারণে নতুন করে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেফিউজি রিলিফ অ্যান্ড রিপ্যাট্রিয়েশন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

তুরস্কভিত্তিক রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিজানুর রহমান জানান, ইউএনএইচসিআরের পক্ষ থেকে সম্প্রতি পাঠানো একটি চিঠিতে বাংলাদেশের প্রতি এ অনুরোধ জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, “নতুন আসা রোহিঙ্গাদের অনেকেই কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী এলাকায় অস্থায়ী তাঁবু, স্কুল ও মসজিদে আশ্রয় নিয়েছে। এখন ইউএনএইচসিআর চায়, এদেরকে শরণার্থী শিবিরে স্থানান্তর করা হোক।”

গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, নতুন আসা এই রোহিঙ্গাদের পরিবার সংখ্যা প্রায় ২৯ হাজার ৬০৭টি, যার মধ্যে গত সপ্তাহেই ১ হাজার ৪৪৮টি পরিবার নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

কমিশনার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, “নতুন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে এখনো সরকার কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেয়নি। কারণ, বারবার নতুন শরণার্থী গ্রহণ করলে পুনর্বাসন ও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়বে।”

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে ‘আরাকান আর্মি’ রাখাইন রাজ্যের সীতওয়ে ব্যতীত অধিকাংশ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এর ফলে রাখাইনে মানবিক সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নতুন করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

২০১৭ সালের আগস্টে আরসা কর্তৃক পুলিশের ওপর হামলার জেরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর দমন-পীড়ন চালায়। তখন প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে কক্সবাজারের বিভিন্ন শিবিরে প্রায় ১৫ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে, যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী বসতি।

Header Ad
Header Ad

ডাকাত দেখে আতঙ্কে অসুস্থ গৃহকর্তা, পানি খাইয়ে সেবা করল ডাকাতরা, পরে লুট

ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে এক বাড়িতে ডাকাতি করতে এসে আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়া গৃহকর্তাকে প্রথমে পানি খাইয়ে সেবা করে পরে ঘরের মালামাল লুট করেছে ডাকাতরা। সোমবার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সোবাহান হাওলাদার (৬০) জানান, রাত আনুমানিক ২টার দিকে তার পাকা দালানের দরজার সিটকিনি ভেঙে মুখোশধারী ডাকাত দল ঘরে প্রবেশ করে নিজেদের পরিচয় দেয়। তখন তিনি ভয় পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডাকাতরা তাকে পানি পান করিয়ে সেবা করে। এরপর একাধিক আলমারি ভেঙে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, “আমি এবং আমার স্ত্রী ঘরে ছিলাম। ডাকাতরা আমাদের কোনো শারীরিক ক্ষতি করেনি। বরং আমি অসুস্থ হলে তারা আমাকে পানি খাওয়ায়।”

একই রাতে সোবাহান হাওলাদারের ভাতিজা জহিরুল ইসলামের আধাপাকা ঘরে ঢুকে ডাকাতরা পরিবারের সদস্যদের চোখ-মুখ বেঁধে রাখে এবং ঘর তছনছ করে ১৮ হাজার টাকা ও প্রায় আড়াই ভরি স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগীদের দাবি, দুই ঘর থেকে মোট সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার, ৩৮ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হাওলাদার বলেন, “আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে এলজিইডিতে দুদকের অভিযানে অর্থ আত্মসাতের পাওয়া গেছে প্রমাণ
লক্ষাধিক নতুন রোহিঙ্গাকে আশ্রয়ের অনুরোধ জানাল জাতিসংঘ
ডাকাত দেখে আতঙ্কে অসুস্থ গৃহকর্তা, পানি খাইয়ে সেবা করল ডাকাতরা, পরে লুট
‘মানবিক করিডর’ নিয়ে নানা প্রশ্ন : স্পষ্ট করলেন প্রেসসচিব
ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী
মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর
দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা
সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল
দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি