শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঋতুভেদে বদলায় নওগাঁর জবই বিলের রূপ

নানা বৈচিত্র্যে ভরা আমাদের এ বাংলাদেশ। প্রকৃতি অকৃত্রিম ভালবাসায় এ দেশটি সাজিয়েছে। বাংলাদেশের অপার সৌন্দর্য পর্যটকদের হৃদয়স্পর্শ করে। প্রকৃতির অকৃত্রিম, অনাবিল, অফুরন্ত বহুমাত্রিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশ। তেমনই এক মন প্রশান্ত করা ও নয়ন জুড়ানো দর্শনীয় স্থান হলো নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী জবই বিল। প্রতিদিনের যান্ত্রিক জীবন থেকে হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে উঁচু বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা নওগাঁয় জবই বিলের কোনো জুড়ি নেই।

বিলটিতে সারা বছর পানি থাকলেও ঋতুভেদে এখানকার রূপ ও সৌন্দর্য বদলায়। বর্ষায় বিলের চারিদিকে বিস্তৃর্ণ জলরাশির এক নয়ানাভিরাম সৌন্দর্যের দেখা মিলে জবই বিল এলাকায়। যতদূর চোখ যায় দেখা মেলে পানি আর পানি। এ সময় বিলের চারপাশের গ্রামগুলোকে দূরের কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ বলে মনে হয়। স্বচ্ছ পানিতে মেঘের আনাগোনার প্রতিচ্ছবি বিলের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দেয়। সব মিলিয়ে বর্ষাকালে জবই বিল এলাকায় চোখজুড়ানো দৃশ্যপট তৈরি হয়। বছরের একটা নির্দিষ্ট সময় পুরো বিল পানিতে নিমজ্জিত থাকার পর বিলের অধিকাংশ এলাকা জেগে ওঠে। শুষ্ক মৌসুমে বিলের মাঝে জমে থাকা জলরাশি থেকে আসা শীতল হওয়া ও পড়ন্ত বিকেলে মিষ্টি রোদের ছড়াছড়ি জবই বিলকে এক শিল্পীর হাতের সুনিপণ চিত্রপটের রূপ দেয়। তবে জবই বিলকে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষদের সবচেয়ে আকৃষ্ট করে শীতকালে। শীতের কুয়াশায় আচ্ছন্ন জবই বিল নানা ধরনের পাখির কলরবে মুখর হয়ে ওঠে। সাইবেরিয়াসহ পৃথিবীর শীতপ্রধান এলাকা থেকে আসা পরিযায়ী পাখি আর নানান ধরনের দেশি পাখির বিলের জলাশয়ে খাবারের খুঁজে বিচরণ করে। আকাশে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়তে থাকা হাজারো পাখি দেখে দর্শনার্থীরা পুলকিত হন।

সাপাহার উপজেলার আইহাই ইউনিয়নে ভারত সীমান্তঘেঁষে বিলটির অবস্থান। ঐতিহ্যবাহী বিলটির উত্তরে ভারত থেকে উৎপত্তি হয়ে দক্ষিণে পুনর্ভবা নদীতে মিলিত হয়েছে। এক সময় যুগ যুগ ধরে বিলটি সাপাহার উপজেলাবাসীকে দুই ভাগে বিভক্ত করে রেখেছিল। ১৯৯৯ সালে জবই বিলের মাঝ দিয়ে নির্মিত ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পাকা সড়ক ও ২০০ মিটার দীর্ঘবিশিষ্ট দুটি সেতু দ্বারা উপজেলাবাসীর এ বিভক্তি মোচন হয়। বিলের ভেতর দিয়ে যাওয়া সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে বিলের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করেন দর্শনার্থীরা। ঘুরতে আসা মানুষের সুবিধার জন্য সড়কের বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে কংক্রিটের ছাউনি।

সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী, জবই বিলের আয়তন ৯৯০ একর বা ৪ বর্গকিলোমিটার। আগে এ বিল দামুর মাহিল নামে পরিচিত ছিল। বিলের উত্তরের অংশকে বলা হতো দামুর বিল ও দক্ষিণ অংশকে বলা হতো মাহিল বিল। তবে বিলটি জবই গ্রামের পাশে অবস্থিত হওয়ায় এটি বর্তমানে জবই বিল নামেই অধিক পরিচিত।

জবই বিলে এক সময় বাইচ (মাছ ধরার প্রতিযোগিতা) হতো। আগে সেখানে জাল যার জলা তার নীতি ছিল। বিলের আশপাশের হাজার হাজার মানুষ বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তবে বিলটি বেশ কিছু বছর ধরে মাছ চাষের জন্য ইজারা দেওয়ায় সেখানে বর্তমানে বাইচ হয় না। জেলেরা মাছ ধরা ছেড়ে দিয়ে অন্য কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

জবই বিলের পশ্চিম তীরবর্তী পাহাড়িপুকুর গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা আব্দুল গফুর মণ্ডল বলেন, ‘২০-২৫ বছর আগেও এ বাইচ হইছে। প্রতি বছর খরার সময় বিলের পানি কমে গেলে পলো (বাঁশ ও বেতের সংমিশ্রণে তৈরি মাছ ধরার যন্ত্র) নিয়ে বিলের আশপাশের গ্রামের মানুষ ছাড়াও সাপাহার, পত্নীতলা ও পোরশা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ মাছ ধরতে আসতেন। সপ্তাহের দুই দিন রোববার বিলের উত্তর অংশে ও মঙ্গলবার দিন বিলের দক্ষিণ অংশে বাইচ হতো। হাজার হাজার মানুষের মাছ ধরার সেই দৃশ্য আজও চোখের সামনে ভাসে। ৩০-৪০ কেজি ওজনের বোয়াল, আইড়, গজারসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়ত। বড় বড় মাছের আঘাতে প্রতি বছর বাইচে দুই-একজন মানুষের মৃত্যু হতো। এজন্য এলাকার লোকজন এ বিলকে মানুষ খেকো বিল বলে ডাকত। তবে যখন থেকে বিলে মাছ চাষের জন্য সরকারিভাবে ইজারা দেওয়া শুরু হয়েছে তখন থেকে এখানে আর বাইচ হয় না।’

জবই বিলের সৌন্দর্য ক্যামেরাবন্দি করতে চাইলে রোদের বিষয়টি মাথায় রেখে এখানে আসতে হবে। এখানে সকাল কিংবা বিকেলের দিকে আড্ডা দেওয়ার উপযুক্ত সময়। তবে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীরা অনেকেই খাবারের আবর্জনা ফেলে এখানকার পরিবেশ নোংরা করে ফেলেন।

বিলের পথ দিয়ে যেতে যেতে চোখে পড়বে ছোট ছোট মাছ ধরার নৌকা। বিলে ঘুরতে আসা মানুষের ঘোরার জন্য বিলের মাঝ দিয়ে চলে যাওয়া সড়কে ভেড়ানো থাকে নৌকা। টাকার বিনিময়ে স্থানীয় মাঝিরা নৌকায় করে দর্শনার্থীদের বিল ঘুরে দেখান। দিন শেষে যখন আলো ফুরিয়ে যায়, জবই বিলের সৌন্দর্য যেন আরও বেড়ে যায়। চাঁদের আলোয় দেখা যায় অপরূপ গ্রামবাংলা।

জবই বিলে অতিথি পাখির পর্যাপ্ত খাবার থাকায় প্রতি বছর শীতের মৌসুমে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। বালিহাঁস, পাতি সরালীসহ জানা-অজানা বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আসে বিলে। পাখির কিচিরমিচিরে সব সময় মুখরিত থাকে। বিলের ছোট ছোট মাছ, জলজ পোকা-মাকড় এবং শামুকই মূলত তাদের প্রধান খাদ্য। অতিথি পাখি ছাড়াও সারা বছর দেশি নানা প্রজাতির পাখির বিচরণ দেখা যায় এ বিলে।

জবই বিলের জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখতে সেখানে গড়ে উঠেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। জবই বিল জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিটি নামে ওই সংগঠনের সদস্যরা পরিযায়ী পাখিসহ যেকোনো দেশি পাখি শিকার বন্ধে সচেতনতা ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

জবই বিল জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি সোহানুর রহমান সবুজ বলেন, আগে যখন এ বিলে জাল যার জলা তার নীতি ছিল, তখন এখানে প্রচুর পরিমাণে দেশীয় প্রজাতির মাছ পাওয়া যেত। বিলের আশপাশের গ্রামের জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বিলে জলজ উদ্ভিদও প্রচুর পরিমাণে ছিল। তবে যখন থেকে বিলটি মাছ চাষের জন্য ইজারা দেওয়া শুরু হয়েছে, তখন থেকে বিলে আর দেশি মাছ তেমন একটা পাওয়া যায় না। বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষের ফলে বিলের জলজ সম্পদ ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে ২০২০ সাল থেকে ঐতিহ্যবাহী এ বিলের ইকোসিস্টেমের কথা চিন্তা করে এখানে বাণিজ্যিক মাছ চাষ বন্ধ হয়েছে। বর্তমানে এ বিলে আশপাশের গ্রামের পরিচয় সনদধারী জেলেরা এখানে মাছ আহরণ করে থাকেন। এর ফলে এ বিলে আবারও দেশি প্রজাতির মাছ পাওয়া যাচ্ছে। জলজ সম্পদও সমৃদ্ধ হচ্ছে।

জবই বিলে ঘুরে বেড়ানোর প্রকৃত সময় বর্ষাকাল ও শীতকাল। নওগাঁ জেলা শহর থেকে জবই বিলের দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। সেখানে যেতে হলে পর্যটকেরা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানে রাজশাহী শাহ মখদুম বিমানবন্দর যেতে পারবেন। রাজশাহী থেকে এরপর নওগাঁর সাপাহার উপজেলা সদর পর্যন্ত বিআরটিসিসহ বিভিন্ন পরিবহনের বাসে করে আসতে পারবেন। এ ছাড়া ট্রেনে ঢাকা থেকে সান্তাহার রেলস্টেশন নামতে হবে। সেখান থেকে বাস কিংবা অটোরিকশার মাধ্যমে জবই বিলে যাওয়া যাবে। আবার ঢাকা থেকে বিভিন্ন জনপ্রিয় পরিবহনের এসি বা নন-এসি বাস করে সরাসরি সাপাহারে যাওয়া যাবে। সেখানে থেকে সিএনজি, অটোরিকশা কিংবা ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে করে জবই বিলে যেতে পারবেন।

সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, ‘জবই বিলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য সম্প্রতি বিলের মাঝ দিয়ে যাওয়া সড়কে জবই সেতু ও মাসনাতলা সেতুর সংযোগ সড়কের উভয় পাশে পিলার বসানো হয়েছে। এ ছাড়া আমাদের পরিকল্পনা আছে দর্শনার্থীদের বসার জন্য বিলের মাঝ দিয়ে যাওয়া রাস্তায় কংক্রিটের বেঞ্চ তৈরি করা হবে। এ ছাড়া বিলের রাস্তা থেকে বিলের মাঝ বরাবর গিয়ে সৌন্দর্য উপভোগের জন্য ঝুলন্ত রাস্তা তৈরি করা হবে। আশা করা যাচ্ছে চলতি অর্থবছরে এসব পরিকল্পনা দৃশ্যমান হবে। দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরির পাশাপাশি জবই বিলের ইকোসিস্টেম রক্ষার জন্য প্রশাসন সব সময় সচেষ্ট রয়েছে।’

এসএন

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত