বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

এই বাংলায় জম্মে আমি হয়েছি ধন্য

দে-ছুট ভ্রমণ সংঘের বন্ধুরা এবার গেলেন ফোর্ডনগর। রূপময় গল্প লিখেছেন প্রতিষ্ঠাতা জাভেদ হাকিম। ছবি তুলেছেন ফরিদ, হানিফ।

দেখার চোখ থাকলে সবই সুন্দর। তবে প্রকৃতির রুপ-লাবণ্যের নির্যাস পেতে হলে চাই অর্ন্তদৃষ্টি। আমাদের দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ’র বন্ধুদের জীবনে পুরোটাই যেন দেখা আর দেখানো। বহুবার গিয়েছি নিছক আড্ডা জমাতে সাভার নামাবাজার নতুন ব্রীজ পার হয়ে ফোর্ডনগরে। অথচ খড়ার চর, ফরিঙ্গা আরেকটু এগিয়ে কাংশা বা ফোর্ডনগরের প্রথম খন্ড যাওয়া হয়নি। ফোর্ডনগর পরিধির প্রথম খন্ড মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর, দ্বিতীয় খন্ড পড়েছে ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলায়। এ দুটো খন্ডতেই সাভার বাজার রোড দিয়ে যাওয়া খুবই সহজ ও কাছে।

হুট করেই একদিন দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ’র বন্ধুরা ঘুরতে চলে গেলাম। সংগঠনের অ্যাডমিনের বন্ধুরা বেশকটা মটর বাইক এনেছে। তাতে সাত-সকালেই ছুটে গেলাম খড়ার চর গ্রামে। ঘুরে বেড়ালাম ছবির মত সুন্দর গ্রামের আশপাশে। মায়াবী পথে ঘুরতে, ঘুরতে চলে গেলাম মানিকগঞ্জ উপজেলায়, ধলেশ্বরীর তীরের গ্রাম কাংশা। আশ্চর্য হলাম ঢাকার এত পাশে, অথচ এখনও রয়েছে খাঁটি গ্রাম বাংলা। কাংশার প্রকৃতি দেখলে বিশ্বাসই হবে না, এখানকার দূরত্ব কোলাহলের শহর ঢাকার জিরো পয়েন্ট থেকে ৩৭ কিলোমিটার মাত্র। চারপাশ নয়নাভিরাম প্রকৃতি দিয়ে ঘেরা। নেই কোনো কোলাহল।

কাংশা ব্রিজের উপর থেকে শান্ত ধলেশ্বরীর রূপ দেখলাম। একটা সময় আর লোভ সামলাতে না পেরে ঝাঁপিয়ে পড়লাম নদীর বুকে। চললো সবার ইচ্ছেমতো জলকেলি। পানির নীচের কাদা দিয়ে সারা শরীর মেখে, হারিয়ে গেলাম শৈশবের স্মৃতিতে। নদীর পাড়ে বসে থেকে মাঝবয়সীদের এ রকম ছেলেমিপনা উপভোগ করছেন মাঝবয়সী স্থানীয় মাজের আলী। তারে জিগাই, ‘ও ভাই কি দেহেন?’ উত্তর দেন, ‘পাগলামি দেহি।’ ‘হা, হা, হা- কন কি ভাই! আমরা কি পাগল?’ মাজের বলেন, ‘আমিও আরেক পাগল। পাগল না হইলে কি আর আপনাগো গোসল করা আমি বইয়া দেখি।’ বাহ্, বেশ যুক্তিসঙ্গত উত্তর। ভালো লেগে গেল মানুষটারে।

জুম্মার আজান হতেই পানি হতে উঠে আসলাম। নয়া আমদানী মাজের পাগলও হলেন আমাদের সঙ্গী। এবার দে-ছুটের দামালদের আর পায় কে? স্থানীয় পাগল বলে কথা! হি, হি, হি, করে হাসলাম সবাই। নামাজ পড়ার জন্য তার সঙ্গে চলে গেলাম কাংশা ব্রিজের ওপারে। জুম্মা শেষে গ্রামটা ঘুরে দেখলাম। পেটে এবার চোঁ, চোঁ। দুপুরের খাবারের জন্য চলে গেলাম আগে থেকেই আয়োজন করে রাখা খড়ার চর মাদ্রাসার মেহমানখানায়। বেশ আয়েশ করেই উদরপূর্তি চললো। খাওয়া, দাওয়া শেষে ফড়িঙ্গা গ্রামে। বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠের মাঝে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রয়েছে এক পুরানা বটবৃক্ষ। খানিকটা সময় চললো সেখানে আড্ডা।

এবার যাই বংশী নদীর তীরে কাজিয়ালকুন্ডু গ্রামে। যার বুক চিরে নতুন পিচ করা সড়ক চলে গেছে আরিচা মহাসড়কের ঢুলিভিটার দিকে। পথের দুপাশে সৃজন করা বনায়ন। বেশ চমৎকার, নিরিবিলি পরিবেশ। সড়কের পাশেই বিশাল বিল। জেলেরা আপন মনে মাছ ধরছেন। সেসব মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে, দেখতেই ছুটলাম চৌঠাইল গ্রামের দিকে। মাঝে রূপনগরের দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ জুড়ে সরষে ফুলের রূপ। খানিকের জন্য দিলাম ব্রেক। যতদূর চোখ যায়- শুধু হলদে রাঙা সরষে। আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে দূর দেশ থেকে আসা পরিযায়ীর দল। আমরাও বেশি দেরী না করে ছুটে চললাম আড়ালিয়া হয়ে চৌঠাইল।

পড়ন্ত বিকালে গ্রামের পিচ ঢালা সরু পথে মটর বাইকে চড়ে বেড়ানোর মজাই আলাদা। বাইকার, সাইক্লিস্টদের জন্য আকর্ষণীয় জায়গা এই পথগুলো। চলতে, চলতে অল্প সময়ের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম চৌঠাইল। এ পাশটায় ধলেশ্বরী সরু খালের রূপ ধারণ করেছে। সম্ভবত নদীখেকোদের শকুনি দৃষ্টি পড়েছে। তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এখনও অসাধারণ। সবুজ ফসলের ক্ষেত, বাঁশবাগানে নানা পাখির কিচির-মিচির, কৃষকের মিষ্টি হাসি, গ্রামের সহজ-সরল মানুষগুলোর অনুসন্ধানী জিজ্ঞাসা, লেগেছিল বেশ। ঘুরে, ঘুরে ভ্রমণের নির্যাস নিতে, নিতে একসময় দেখি, তেজদীপ্ত লাল সূর্যটি সেদিনের জন্য নানা রঙের আভা ছড়িয়ে পশ্চিমাকাশে হেলে পড়েছে।

তড়িৎ গতিতে জসিম ও হানিফ ধলেশ্বরীর তীরে তাঁবু টানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। দুর্জয় বারবিকিউর জন্য মুরগীর খোঁজে বাজারে ছুটলো। আমি বান্দা অলস, শুধু চেয়ে চেয়ে ওদের দৌড়ঝাঁপ দেখছি। বাদ মাগরিব শুরু হলো ভরা জোছনার আলোয় মুরগী পোড়ানো। হিম বাতাসে তপ্ত আগুনে ঝলসানো মুরগীর গোস্তের সঙ্গে পূর্ণিমার চাঁদটাকেই মনে হলো সদ্য ভাজা নান রুটি।

এরকম জায়গায় ঘুরতে গেলে, যে কাউকেই আনমনে বিড় বিড় করে গেয়ে উঠতে হবে, ‘আমি একবার দেখি, বারবার দেখি, দেখি বাংলার মুখ।’ আসলেই। যার দ্বিতীয় খন্ডে এত রূপ, তার প্রথম খন্ডের প্রকৃতিতে, না জানি আরও কত মায়াবী, নৈসর্গিক লাবণ্য মিশানো আছে। তবে কী পাহাড়ের গহীনে যাওয়া দে-ছুট ভ্রমণ বন্ধুরা, বাড়ির পাশের দ্বিতীয় খন্ড না দেখেই থাকবে? না তা কখনেই হতে পারে না।

আবারও একদিন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো খুব ভোরে চলে গেলাম প্রথম খন্ড দর্শনে। ব্রিজ দিয়ে না গিয়ে সাভার থানা রোডের ভাগলপুর গ্রামের বংশী নদীর বালুর ঘাট হতে খেয়ায় পার হলাম। নদীর পার দিয়ে হাঁটতে, হাঁটতে গ্রামের মেঠো পথে ঢুকে পড়লাম। যতই যেতে থাকি, ততই যেন মুগ্ধতা ভর করছে। দারুণ সব নয়নাভিরাম দৃশ্য। একসময় ফসলের আইল ধরে হাঁটতে থাকি। হাঁটতে, হাঁটতে মনে হলো, দেশীয় নানান পদের সবজির বেশিরভাগ চাহিদাই মিটিয়ে দেয় এই ফোর্ডনগর। পৌষের হিম শীতল বাতাসে বেশ ভালো লাগছে প্রাত:ভ্রমণ। দূর থেকেই চোখে ধরা দিচ্ছে গোলাপ ও গ্লাডিওলাস বাগানের নজরকাড়া সৌন্দর্য। পথেই দেখলাম, চন্দ্রমল্লিকার বাগান। তাদের রেখে লাল, গোলাপি, সাদা, বেগুনি গ্লাডিওলাস বাগানের সামনে যেতেই হুমড়ি খেয়ে পড়লাম। বাংলার রূপ পুরোটাই এ পাশটায় যেন ভর করেছে। গাঢ় লাল ও সাদা-এ দুটো রঙের ফুলের বাগানই বেশি। কুয়াশা ভেদ করা চিক, চিক রোদের আলো ফুলের গায়ে খেলা করছে। বাগানভর্তি ফুটন্ত গ্লাডিওলাস। চারপাশে ঘনসবুজ গাছ, গাছালি। আহ্ কী অপার্থিব সুখ! প্রকৃতির এরকম দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্যে আমরা সবাই বিমোহিত। তখন আমার চিৎকার করে বলে উঠতে ইচ্ছে করছিল, এই বাংলায় জম্মে আমি হয়েছি ধন্য।

যুগের পরিক্রমায় ভাগ হয়ে যাওয়া দুই খন্ডের ফোর্ডনগর জুড়েই, আজও চিরায়িত গ্রাম-বাংলার অনিন্দ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভর করে আছে। সীমানা ভাগ হলেও, ফোর্ডনগরের নজরকাড়া সৌন্দর্যকে কেউ ভাগ করতে পারেনি। বরং ফুলচাষিরা যেভাবে জমির পর জমি গ্লাডিওলাসের চাষাবাদ শুর করেছেন, অদূর ভবিষ্যতে সারা দেশের ফুল ও ভ্রমণপ্রেমীদের মিলন মেলায় পরিণত হবে ফোর্ডনগরের গ্রামগুলো। একদা জলদস্যুদের আক্রমণ হতে নিরাপদ থাকার জন্য, ওলন্দাজ পুর্তগিজদের তৈরি ফোর্ড দূর্গ কালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেলেও এখন তা ক্রপ ফোর্ড মানে ফসলের দূর্গ। ফুলচাষিরা যদি তাদের চাষাবাদ অব্যাহত রাখেন, তাহলে হয়তো একদিন ফোর্ডনগর নামটি মানুষ ভুলে গিয়ে ফুলের নগর হিসেবে চিনবেন। যেমনটা সাদুল্লাপুর। এখন গোলাপ গ্রাম হিসেবেই বেশী পরিচিত।

স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ জমিয়ে জানতে পারলাম, দেশী গরুর কাঁটি দুধ আর খাসের চর, মিরের চর গ্রামে আবহমান বাংলার শীত ঐতিহ্যের খেজুর রসের স্বাদও নেয়া যাবে। ততক্ষণে সূর্যি মামা মাথার ওপরে। কি আর করা-তাই সেদিনের মতো রসের লোভ সংবরণ করেই ফিরতি পথে চললাম।

যাবেন কিভাবে : গুলিস্তান, গাবতলী বা অন্য কোন বাস স্ট্যান্ড থেকে আরিচা বা সাভারগামী বাসে যেতে হবে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড। সেখান হতে রিক্সা বা অটোতে নামাবাজার। ব্রিজের সামনে থেকে ভাড়ায়চালিত মটর বাইক, অটোতে রূপনগর, কাজিয়ালকুন্ডু, চৌঠাইল, খড়ার চর, কাংশাসহ ফের্ডনগর ১ম খন্ডের গ্রামগুলোতে ঘোরা যাবে। এভাবে দ্বিতীয় অংশ।
খরচপাতি : সারাদিনের ঘোরাঘুরির জন্য জনপ্রতি ৫০০, ৬০০ টাকা হলেই চলবে। খরচের ব্যপারটি অনেকটাই নিজেদের সামর্থ্যরে ওপর নির্ভর করে।
ভ্রমণ তথ্য : সড়ক পথ ভালো। নিরাপত্তাও রয়েছে যথেষ্ট। চাইলে পরিবারের সব বয়সী সদস্যদের নিয়েও ঘুরে আসা যাবে। ফোর্ডনগর, নামাবাজার ব্রিজ আঞ্চলিক ভাষায় ফুটনগর নামেও পরিচিত। খুব সকালে চলে গেলে একদিনেই ফোর্ডনগর প্রথম ও দ্বিতীয় খন্ড ঘুরে আসা যাবে।

ওএফএস।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত