মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

এই বাংলায় জম্মে আমি হয়েছি ধন্য

দে-ছুট ভ্রমণ সংঘের বন্ধুরা এবার গেলেন ফোর্ডনগর। রূপময় গল্প লিখেছেন প্রতিষ্ঠাতা জাভেদ হাকিম। ছবি তুলেছেন ফরিদ, হানিফ।

দেখার চোখ থাকলে সবই সুন্দর। তবে প্রকৃতির রুপ-লাবণ্যের নির্যাস পেতে হলে চাই অর্ন্তদৃষ্টি। আমাদের দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ’র বন্ধুদের জীবনে পুরোটাই যেন দেখা আর দেখানো। বহুবার গিয়েছি নিছক আড্ডা জমাতে সাভার নামাবাজার নতুন ব্রীজ পার হয়ে ফোর্ডনগরে। অথচ খড়ার চর, ফরিঙ্গা আরেকটু এগিয়ে কাংশা বা ফোর্ডনগরের প্রথম খন্ড যাওয়া হয়নি। ফোর্ডনগর পরিধির প্রথম খন্ড মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর, দ্বিতীয় খন্ড পড়েছে ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলায়। এ দুটো খন্ডতেই সাভার বাজার রোড দিয়ে যাওয়া খুবই সহজ ও কাছে।

হুট করেই একদিন দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ’র বন্ধুরা ঘুরতে চলে গেলাম। সংগঠনের অ্যাডমিনের বন্ধুরা বেশকটা মটর বাইক এনেছে। তাতে সাত-সকালেই ছুটে গেলাম খড়ার চর গ্রামে। ঘুরে বেড়ালাম ছবির মত সুন্দর গ্রামের আশপাশে। মায়াবী পথে ঘুরতে, ঘুরতে চলে গেলাম মানিকগঞ্জ উপজেলায়, ধলেশ্বরীর তীরের গ্রাম কাংশা। আশ্চর্য হলাম ঢাকার এত পাশে, অথচ এখনও রয়েছে খাঁটি গ্রাম বাংলা। কাংশার প্রকৃতি দেখলে বিশ্বাসই হবে না, এখানকার দূরত্ব কোলাহলের শহর ঢাকার জিরো পয়েন্ট থেকে ৩৭ কিলোমিটার মাত্র। চারপাশ নয়নাভিরাম প্রকৃতি দিয়ে ঘেরা। নেই কোনো কোলাহল।

কাংশা ব্রিজের উপর থেকে শান্ত ধলেশ্বরীর রূপ দেখলাম। একটা সময় আর লোভ সামলাতে না পেরে ঝাঁপিয়ে পড়লাম নদীর বুকে। চললো সবার ইচ্ছেমতো জলকেলি। পানির নীচের কাদা দিয়ে সারা শরীর মেখে, হারিয়ে গেলাম শৈশবের স্মৃতিতে। নদীর পাড়ে বসে থেকে মাঝবয়সীদের এ রকম ছেলেমিপনা উপভোগ করছেন মাঝবয়সী স্থানীয় মাজের আলী। তারে জিগাই, ‘ও ভাই কি দেহেন?’ উত্তর দেন, ‘পাগলামি দেহি।’ ‘হা, হা, হা- কন কি ভাই! আমরা কি পাগল?’ মাজের বলেন, ‘আমিও আরেক পাগল। পাগল না হইলে কি আর আপনাগো গোসল করা আমি বইয়া দেখি।’ বাহ্, বেশ যুক্তিসঙ্গত উত্তর। ভালো লেগে গেল মানুষটারে।

জুম্মার আজান হতেই পানি হতে উঠে আসলাম। নয়া আমদানী মাজের পাগলও হলেন আমাদের সঙ্গী। এবার দে-ছুটের দামালদের আর পায় কে? স্থানীয় পাগল বলে কথা! হি, হি, হি, করে হাসলাম সবাই। নামাজ পড়ার জন্য তার সঙ্গে চলে গেলাম কাংশা ব্রিজের ওপারে। জুম্মা শেষে গ্রামটা ঘুরে দেখলাম। পেটে এবার চোঁ, চোঁ। দুপুরের খাবারের জন্য চলে গেলাম আগে থেকেই আয়োজন করে রাখা খড়ার চর মাদ্রাসার মেহমানখানায়। বেশ আয়েশ করেই উদরপূর্তি চললো। খাওয়া, দাওয়া শেষে ফড়িঙ্গা গ্রামে। বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠের মাঝে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রয়েছে এক পুরানা বটবৃক্ষ। খানিকটা সময় চললো সেখানে আড্ডা।

এবার যাই বংশী নদীর তীরে কাজিয়ালকুন্ডু গ্রামে। যার বুক চিরে নতুন পিচ করা সড়ক চলে গেছে আরিচা মহাসড়কের ঢুলিভিটার দিকে। পথের দুপাশে সৃজন করা বনায়ন। বেশ চমৎকার, নিরিবিলি পরিবেশ। সড়কের পাশেই বিশাল বিল। জেলেরা আপন মনে মাছ ধরছেন। সেসব মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে, দেখতেই ছুটলাম চৌঠাইল গ্রামের দিকে। মাঝে রূপনগরের দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ জুড়ে সরষে ফুলের রূপ। খানিকের জন্য দিলাম ব্রেক। যতদূর চোখ যায়- শুধু হলদে রাঙা সরষে। আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে দূর দেশ থেকে আসা পরিযায়ীর দল। আমরাও বেশি দেরী না করে ছুটে চললাম আড়ালিয়া হয়ে চৌঠাইল।

পড়ন্ত বিকালে গ্রামের পিচ ঢালা সরু পথে মটর বাইকে চড়ে বেড়ানোর মজাই আলাদা। বাইকার, সাইক্লিস্টদের জন্য আকর্ষণীয় জায়গা এই পথগুলো। চলতে, চলতে অল্প সময়ের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম চৌঠাইল। এ পাশটায় ধলেশ্বরী সরু খালের রূপ ধারণ করেছে। সম্ভবত নদীখেকোদের শকুনি দৃষ্টি পড়েছে। তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এখনও অসাধারণ। সবুজ ফসলের ক্ষেত, বাঁশবাগানে নানা পাখির কিচির-মিচির, কৃষকের মিষ্টি হাসি, গ্রামের সহজ-সরল মানুষগুলোর অনুসন্ধানী জিজ্ঞাসা, লেগেছিল বেশ। ঘুরে, ঘুরে ভ্রমণের নির্যাস নিতে, নিতে একসময় দেখি, তেজদীপ্ত লাল সূর্যটি সেদিনের জন্য নানা রঙের আভা ছড়িয়ে পশ্চিমাকাশে হেলে পড়েছে।

তড়িৎ গতিতে জসিম ও হানিফ ধলেশ্বরীর তীরে তাঁবু টানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। দুর্জয় বারবিকিউর জন্য মুরগীর খোঁজে বাজারে ছুটলো। আমি বান্দা অলস, শুধু চেয়ে চেয়ে ওদের দৌড়ঝাঁপ দেখছি। বাদ মাগরিব শুরু হলো ভরা জোছনার আলোয় মুরগী পোড়ানো। হিম বাতাসে তপ্ত আগুনে ঝলসানো মুরগীর গোস্তের সঙ্গে পূর্ণিমার চাঁদটাকেই মনে হলো সদ্য ভাজা নান রুটি।

এরকম জায়গায় ঘুরতে গেলে, যে কাউকেই আনমনে বিড় বিড় করে গেয়ে উঠতে হবে, ‘আমি একবার দেখি, বারবার দেখি, দেখি বাংলার মুখ।’ আসলেই। যার দ্বিতীয় খন্ডে এত রূপ, তার প্রথম খন্ডের প্রকৃতিতে, না জানি আরও কত মায়াবী, নৈসর্গিক লাবণ্য মিশানো আছে। তবে কী পাহাড়ের গহীনে যাওয়া দে-ছুট ভ্রমণ বন্ধুরা, বাড়ির পাশের দ্বিতীয় খন্ড না দেখেই থাকবে? না তা কখনেই হতে পারে না।

আবারও একদিন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো খুব ভোরে চলে গেলাম প্রথম খন্ড দর্শনে। ব্রিজ দিয়ে না গিয়ে সাভার থানা রোডের ভাগলপুর গ্রামের বংশী নদীর বালুর ঘাট হতে খেয়ায় পার হলাম। নদীর পার দিয়ে হাঁটতে, হাঁটতে গ্রামের মেঠো পথে ঢুকে পড়লাম। যতই যেতে থাকি, ততই যেন মুগ্ধতা ভর করছে। দারুণ সব নয়নাভিরাম দৃশ্য। একসময় ফসলের আইল ধরে হাঁটতে থাকি। হাঁটতে, হাঁটতে মনে হলো, দেশীয় নানান পদের সবজির বেশিরভাগ চাহিদাই মিটিয়ে দেয় এই ফোর্ডনগর। পৌষের হিম শীতল বাতাসে বেশ ভালো লাগছে প্রাত:ভ্রমণ। দূর থেকেই চোখে ধরা দিচ্ছে গোলাপ ও গ্লাডিওলাস বাগানের নজরকাড়া সৌন্দর্য। পথেই দেখলাম, চন্দ্রমল্লিকার বাগান। তাদের রেখে লাল, গোলাপি, সাদা, বেগুনি গ্লাডিওলাস বাগানের সামনে যেতেই হুমড়ি খেয়ে পড়লাম। বাংলার রূপ পুরোটাই এ পাশটায় যেন ভর করেছে। গাঢ় লাল ও সাদা-এ দুটো রঙের ফুলের বাগানই বেশি। কুয়াশা ভেদ করা চিক, চিক রোদের আলো ফুলের গায়ে খেলা করছে। বাগানভর্তি ফুটন্ত গ্লাডিওলাস। চারপাশে ঘনসবুজ গাছ, গাছালি। আহ্ কী অপার্থিব সুখ! প্রকৃতির এরকম দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্যে আমরা সবাই বিমোহিত। তখন আমার চিৎকার করে বলে উঠতে ইচ্ছে করছিল, এই বাংলায় জম্মে আমি হয়েছি ধন্য।

যুগের পরিক্রমায় ভাগ হয়ে যাওয়া দুই খন্ডের ফোর্ডনগর জুড়েই, আজও চিরায়িত গ্রাম-বাংলার অনিন্দ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভর করে আছে। সীমানা ভাগ হলেও, ফোর্ডনগরের নজরকাড়া সৌন্দর্যকে কেউ ভাগ করতে পারেনি। বরং ফুলচাষিরা যেভাবে জমির পর জমি গ্লাডিওলাসের চাষাবাদ শুর করেছেন, অদূর ভবিষ্যতে সারা দেশের ফুল ও ভ্রমণপ্রেমীদের মিলন মেলায় পরিণত হবে ফোর্ডনগরের গ্রামগুলো। একদা জলদস্যুদের আক্রমণ হতে নিরাপদ থাকার জন্য, ওলন্দাজ পুর্তগিজদের তৈরি ফোর্ড দূর্গ কালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেলেও এখন তা ক্রপ ফোর্ড মানে ফসলের দূর্গ। ফুলচাষিরা যদি তাদের চাষাবাদ অব্যাহত রাখেন, তাহলে হয়তো একদিন ফোর্ডনগর নামটি মানুষ ভুলে গিয়ে ফুলের নগর হিসেবে চিনবেন। যেমনটা সাদুল্লাপুর। এখন গোলাপ গ্রাম হিসেবেই বেশী পরিচিত।

স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ জমিয়ে জানতে পারলাম, দেশী গরুর কাঁটি দুধ আর খাসের চর, মিরের চর গ্রামে আবহমান বাংলার শীত ঐতিহ্যের খেজুর রসের স্বাদও নেয়া যাবে। ততক্ষণে সূর্যি মামা মাথার ওপরে। কি আর করা-তাই সেদিনের মতো রসের লোভ সংবরণ করেই ফিরতি পথে চললাম।

যাবেন কিভাবে : গুলিস্তান, গাবতলী বা অন্য কোন বাস স্ট্যান্ড থেকে আরিচা বা সাভারগামী বাসে যেতে হবে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড। সেখান হতে রিক্সা বা অটোতে নামাবাজার। ব্রিজের সামনে থেকে ভাড়ায়চালিত মটর বাইক, অটোতে রূপনগর, কাজিয়ালকুন্ডু, চৌঠাইল, খড়ার চর, কাংশাসহ ফের্ডনগর ১ম খন্ডের গ্রামগুলোতে ঘোরা যাবে। এভাবে দ্বিতীয় অংশ।
খরচপাতি : সারাদিনের ঘোরাঘুরির জন্য জনপ্রতি ৫০০, ৬০০ টাকা হলেই চলবে। খরচের ব্যপারটি অনেকটাই নিজেদের সামর্থ্যরে ওপর নির্ভর করে।
ভ্রমণ তথ্য : সড়ক পথ ভালো। নিরাপত্তাও রয়েছে যথেষ্ট। চাইলে পরিবারের সব বয়সী সদস্যদের নিয়েও ঘুরে আসা যাবে। ফোর্ডনগর, নামাবাজার ব্রিজ আঞ্চলিক ভাষায় ফুটনগর নামেও পরিচিত। খুব সকালে চলে গেলে একদিনেই ফোর্ডনগর প্রথম ও দ্বিতীয় খন্ড ঘুরে আসা যাবে।

ওএফএস।

Header Ad
Header Ad

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

নকশাবহির্ভূত রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এতে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় কিছু আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের অভ্যন্তরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদিত নকশায় না থাকলেও বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ (রেস্টুরেন্ট) পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ভবনের ছাদে অবৈধভাবে রুফটপ রেস্তোরাঁ পরিচালিত হচ্ছে, যা জনজীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ পরিচালনা করায় এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও সম্পদহানির ঘটনা ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে অনেক অবৈধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনৈতিক উপায়ে করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে।

ডিএসসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্পদ ও জানমালের ঝুঁকি এড়াতে নকশাবহির্ভূত সব রেস্তোরাঁ এবং ভবনের ছাদে স্থাপিত রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল ঘোষণা করা হলো। বাতিল করা লাইসেন্স দিয়ে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘যেসব রেস্তোরাঁ সঠিক তথ্য না দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। তবে ভবনের অনুমোদন কিন্তু বাতিল করা হয়নি। ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সশরীর উপস্থিত হয়ে আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত দিলে সেগুলো সচল করা হবে।’

বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি। ছবি: সংগৃহীত

অপর এক প্রশ্নের জবাবে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি রেস্তোরাঁকে আলাদা করে চিঠি পাঠাব।’

ডিএসসিসির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। তিনি বলেন, কোনো প্রকার আলোচনা না করেই ডিএসসিসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের ওপর জুলুম চলছে। ব্যবসাগুলো এক দিনে গড়ে ওঠেনি। রাজউকের পাস করা ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ নেই বললেই চলে। বিগত সরকারের সময় এই জটিলতা নিরসনে একটা টাস্কফোর্স করা হয়েছিল। সেই টাস্কফোর্সের দুটি বৈঠক হয়েছিল। তারপর তো সরকার বদল হয়ে গেল।

ইমরান হাসান বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে এখন যদি ডিএসসিসি অভিযানে নামে, তাহলে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতি হলে আমাদের রেস্তোরাঁ বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’

গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর রেস্তোরাঁর অনুমোদন ও অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি সামনে আসে। ওই ভবনে আটটি রেস্তোরাঁ ছিল, তবে ভবনটিতে রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠার কোনো অনুমোদন ছিল না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চার বছর আগে দেশের রেস্তোরাঁ খাত নিয়ে একটি জরিপ করে। সেই জরিপের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে মোট হোটেল ও রেস্তোরাঁ ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৪টি, যা ২০০৯-১০ অর্থবছরের চেয়ে ৫৮ শতাংশ বেশি। সরকারি সংস্থার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮৫২টি। বাকি সব ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন।

রেস্তোরাঁ ব্যবসা করতে চাইলে একজন বিনিয়োগকারীকে সরকারের সাতটি সংস্থার অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিতে হয়। রেস্তোরাঁর জন্য প্রথমে নিবন্ধন ও পরে লাইসেন্স নিতে হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ২০২৪ সালের মার্চ মাসের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের সব সংস্থার প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিয়ে ঢাকায় রেস্তোরাঁ ব্যবসা করছে মাত্র ১৩৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে ১২৮টি রেস্তোরাঁ।

Header Ad
Header Ad

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বান। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ ও জনগণের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব কমিয়ে এনে মানুষের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “স্বৈরাচারী শাসনের অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জনরোষের মুখে পড়েছেন।” পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে নিজেদের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের পরামর্শ দেন তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ সদস্যদের আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো

নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। ছবি: সংগৃহীত

বারবার নিলাম ডেকেও এস আলম গ্রুপের বন্ধকী সম্পত্তির কোনো ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছে না দেশের ব্যাংকগুলো। ফলে ঋণ আদায়ে এখন বাধ্য হয়ে অর্থ ঋণ আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছে তারা। এতে পুরো প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত ও জটিল হয়ে পড়েছে।

চট্টগ্রামভিত্তিক এই শিল্পগোষ্ঠী ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, জনতা ব্যাংক ১০,৭০০ কোটি টাকার বিপরীতে ছয়বার নিলাম ডেকেও কোনো সাড়া পায়নি। একইভাবে ইসলামী ব্যাংকও সাত দফা নিলাম আয়োজন করেও ব্যর্থ হয়েছে, যার মধ্যে আইডিয়াল ফ্লাওয়ার মিলসের ১,১০০ কোটি টাকার ঋণ সংক্রান্ত নিলামও অন্তর্ভুক্ত।

সাম্প্রতিক সময়ে এস আলম গ্রুপের একাধিক স্টিল মিল, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জমি নিলামে তোলা হলেও দরপত্র জমা পড়েনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আইনি প্রক্রিয়া পূরণের জন্যই তারা এসব নিলাম ডাকছেন, যদিও আগ্রহী ক্রেতার দেখা মিলছে না। অনেকেই এই বিষয়টিকে ভয় পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন তারা।

অভিযোগ রয়েছে, এস আলম গ্রুপ সরাসরি ও পরোক্ষভাবে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যার বড় একটি অংশ বিদেশে পাচার হয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে গ্রুপটির নিয়ন্ত্রণ জব্দ করে।

বর্তমানে এস আলম গ্রুপের ওপর কেন্দ্রীয়ভাবে তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে ১৪ সদস্যের বিশেষ লিগ্যাল টিম। একই সঙ্গে তাদের জব্দকৃত শেয়ার বিক্রির জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল
দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি
ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন,পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি পাকিস্তানের
কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত মার্ক কার্নি
নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য