বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

রংপুরে এখন কালের সাক্ষী কেরামতিয়া মসজিদ

রংপুরে ভারতের জৈনপুর থেকে বাংলাদেশে এসে দ্বীন ইসলাম প্রচারসহ নানা অলৌকিক ঘটনার জন্য বিখ্যাত জামানার শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর বংশের ৩৭ তম পুরুষ সুফি ও দরবেশ মাওলানা কারামত আলী (রহ.)। যিনি নিজের আলৌকিক ক্ষমতার গুণে কারামত আলী থেকে কেরামত আলী উপাধি পান তৎকালীন রংপুরের মানুষের কাছ থেকে।

তার উদ্যোগে রংপুর ও আশপাশে অনেক স্থানে গড়ে ওঠেছে অসংখ্য মসজিদ, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, খানকা ও সেবাকেন্দ্র। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কেরামতিয়া মসজিদ ও মাজার। মসজিদের ভেতরে তার মাজার শরীফ জিয়ারত ও মানত করে দেশ-বিদেশ থেকে প্রতিদিন দর্শনাথীরা আসেন নিজেদের মনের বাসনা নিয়ে।

ভারতের জৈনপুর থেকে উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে দ্বীন ইসলাম প্রচারের জন্য রংপুরে আগমন করেছিলেন নবী করিম হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বংশের ৩৭তম পুরুষ বিখ্যাত সুফি ও দরবেশ মাওলানা কারামত আলী জৈনপুরী (রহ.)। তার নামানুসারেই প্রতিষ্ঠিত এ মসজিদের নাম রাখা হয় কারামতিয়া মসজিদ। তবে স্থানীয় উচ্চারণে কেরামতিয়া মসজিদ নামেই প্রসিদ্ধ এ মসজিদ।

ইাতহাস সূত্রে জানা গেছে, মোগল স্থাপত্যরীতির সঙ্গে বঙ্গীয় রীতির মিশেলে নির্মিত হয় কেরামতিয়া মসজিদের। সমতলভূমি থেকে প্রায় ১৮ ফুট উচ্চতায় রয়েছে তিনটি গোলাকার গম্বুজ। আটকোনা ড্রামের আকৃতির ওপর ভর করে নির্মিত হয়েছে এসব। প্রতিটি গম্বুজের নিচের অংশে রয়েছে মারলন অলঙ্কার এবং ভেতরে দিকে মধ্যবর্তী স্থানে রয়েছে প্রস্ফূটিত পদ্মফুলের ওপর কসমেটিক ফিনিয়াল চূড়া। মসজিদের প্রতিটি কোণে অষ্টভুজাকৃতির স্তম্ভ বিদ্যমান। গম্বুজগুলো কুইন্স ও পেনডেন্টি খিলানের আর্চের ওপর ভর করে সুকৌশলে নির্মিত হয়েছে। এ ছাড়া নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে খিলানাকৃতি ও প্যানেলের অলঙ্কারের সঙ্গে সঙ্গে ব্যান্ডের উপস্থিতিও শোভা বিরাজমান।

কেরামতিয়া মসজিদ আয়তাকারে ৪২ ফুট লম্বা ১৩ ফুট প্রস্ত। এর পূর্ব ও পশ্চিম দেওয়ালের প্রশস্ততা ৩ ফুট ৩ ইঞ্চি। উত্তর ও দক্ষিণ দেওয়ালের প্রশস্ততা ২ ফুট ১০ ইঞ্চি। ভেতরের দিকে মেহরাব, খিলান ও প্রধান ফটকের উভয়পাশে অষ্ট কোণাকৃতির স্তম্ভেরও সন্নিবেশ দেখা যায়। স্তম্ভগুলোর ওপরের অংশ বিভিন্ন লতাপাতার কারুকাজ শোভা পাচ্ছে। এগুলোর নিচের দিকটা কিছুটা কলসের মতো এবং ছাদের কিনারায় বাহারি অলঙ্করণ লক্ষ করা যায়। প্রতিটি প্রবেশদ্বারে মেহরাব ও খিলানের অভ্যন্তরীণ অংশের উপরিভাগে মারলন অলঙ্করণের সঙ্গে লতাপাতা জড়ানো ফুলের নকশা দিয়ে সুশোভিত করা হয়েছে।

ভারতের জৈনপুর থেকে উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ইসলাম প্রচারের জন্য রংপুরে আগমন করেছিলেন নবী করিম হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর বংশের ৩৭তম পুরুষ বিখ্যাত সুফি ও দরবেশ মাওলানা কারামত আলী জৈনপুরী (রহ.)। তার নামানুসারেই প্রতিষ্ঠিত এ মসজিদের নাম রাখা হয় কেরামতিয়া মসজিদ। তবে স্থানীয় উচ্চারণে কেরামতিয়া মসজিদ নামেই প্রসিদ্ধ এ মসজিদ।

রংপুর কেরামতিয়া মসজিদের পেশ ইমাম মো. আব্দুল জলিল জানান, ১২ জুন ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে (১৮ মহররম, ১২১৫ হিজরি) ভারতের জৈনপুরে জন্ম গ্রহণকারী এ মহান সাধক ৩০ মে ১৮৭৩ সঙ্গে পরলোক গমন করেন। ইন্তেকালের পর এ মসজিদের সামনে তাকে সমাহিত করা হয়। পরবর্তীতে মসজিদের সম্প্রসারণ করা হলে মাওলানা কারামত আলী জৈনপুরী (রহ.) এর মাজারটিও মসজিদের মূল অবকাঠামোর ভেতরে চলে আসে। বর্তমানে মসজিদের পূর্ব দিকে বারান্দার একটু আগ দিয়ে একটি দেওয়াল ঘেরা কক্ষের ভেতরে তার ও তার সহধর্মিণীর কবর অবস্থিত।

কেরামতিয়া মসজিদ ইমাম মো. শাহাজান মিয়া জানান, স্থানীদের মতে অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী কেরামত আলী। তার মৃত্যুর পর এখানে মাজারে কেউ মানত করে নামাজ পরলে বিফলে যায় না। তাই দেশে দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে আসেন মাজার শরীফ জিয়াতর করতে।

কেরামতিয়া মসজিদে দর্শনাথী মোস্তফা রিপন জানান, দীন ইসলাম প্রচারক কেরামত আলীর মৃত্যুর পর এখানেই তাকে সমাহিত করা হয়। সেসময় নির্মিত মসজিদ ও মাজার শরীফ ছোট পরিসরে থাকলেও পরে তৎকালীন জমিদার আলা মিয়া ৯৬ শতক জমির উপর পুননির্মাণ করেন মসজিদ ও মাজার শরীফ।

কেরামতিয়া মসজিদ ও মাজার শরীফের মোতওয়ালী এ এফ এম মকসুদ আলী জানান, নগরীর জিরো পয়েন্ট কাচারি বাজার এলাকার মুন্সি পাড়ায় নির্মিত তিনতলা এ মসজিদে প্রতি শুক্রবার অসংখ্য লোকের সমাগম ঘটে। এক সঙ্গে ৭ থেকে ৮ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারে। এ ছাড়া এ মসজিদে নারীদের নামাজ পড়ার জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা।

 এসএন 

 

 

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি

মহেন্দ্র সিং ধোনি। ছবি: সংগৃহীত

আবারও চেন্নাই সুপার কিংসের নেতৃত্বে ফিরলেন 'ক্যাপ্টেন কুল' মহেন্দ্র সিং ধোনি। ইনজুরির কারণে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন তরুণ অধিনায়ক ঋতুরাজ গাইকোয়াড়। তার অনুপস্থিতিতে হাল ধরলেন অভিজ্ঞ ধোনি।

আইপিএল ২০২৫-এর মাঝপথে এসে বড়সড় পরিবর্তন আনলো চেন্নাই সুপার কিংস। দলের কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং নিশ্চিত করেছেন, চেন্নাইয়ের নেতৃত্ব আবারও ধোনির কাঁধেই তুলে দেওয়া হয়েছে।

ফ্লেমিং বলেন, "আমাদের হাতে বেশ কয়েকটি নেতৃত্বের বিকল্প থাকলেও ধোনির অভিজ্ঞতাই আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছে দেয়। ধোনি পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিজেই সম্মত হয়েছেন দায়িত্ব নিতে।"

গত মৌসুম থেকে অধিনায়কত্ব সামলাচ্ছিলেন তরুণ ব্যাটার ঋতুরাজ গাইকোয়াড়। চলতি মৌসুমেও তাকেই সামনে রেখে প্রস্তুতি নেয় চেন্নাই। তবে কনুইয়ের ইনজুরিতে আইপিএলের বাকি অংশ থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। ফলে ফের নেতৃত্বভার ফিরে গেল ধোনির হাতে।

২০২৩ আইপিএলের ফাইনালে চেন্নাইকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ধোনি। তার কৌশলী নেতৃত্বেই সিএসকে ঘরে তোলে পঞ্চম শিরোপা। এর আগেও তিনি নেতৃত্ব ছেড়েছিলেন, কিন্তু সেসময় অধিনায়কত্বে ব্যর্থ হন রবীন্দ্র জাদেজা। পরে আবার দায়িত্ব নেন ধোনি, এবং প্রমাণ করেন—বয়স শুধুই সংখ্যা, অভিজ্ঞতা কখনও পুরনো হয় না।

চলতি মৌসুমে অবশ্য চেন্নাইয়ের পারফরম্যান্স আশানুরূপ নয়। এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটি জয়ে পয়েন্ট তালিকার ৯ নম্বরে রয়েছে দলটি। এই মুহূর্তে দলকে নতুন করে উজ্জীবিত করতে পারে ধোনির নেতৃত্ব, এমনটাই আশা ভক্ত-সমর্থকদের।

আগামীকাল শুক্রবার ধোনির অধীনে চেন্নাই মাঠে নামবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে। ম্যাচটি হতে পারে দলের ঘুরে দাঁড়ানোর টার্নিং পয়েন্ট।

এদিকে ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিও ধোনিকে আবারও অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি বলেন, “আমি জানি না চেন্নাই ম্যানেজমেন্ট কী ভাবছে, তবে ধোনি যেহেতু এখনো খেলছে, তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো উচিত। সে চেন্নাইয়ের জন্য সেরা সিদ্ধান্ত নেবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।”

অন্যদিকে পয়েন্ট টেবিলে এখন শীর্ষে গুজরাট টাইটান্স, দ্বিতীয় স্থানে দিল্লি ক্যাপিটালস, তৃতীয়তে রয়েছে বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সমান ম্যাচে সমান জয়ে চারে পাঞ্জাব কিংস। তবে শিরোপাধারী কেকেআর রয়েছে ছয়ে, পাঁচ ম্যাচে দুটো জয় নিয়ে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ
এসএসসির ফল ৬০ দিনে প্রকাশের চেষ্টা করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা