শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

একটি সুবর্ণ গল্প

ছন্দের পতনে ভরা সুবর্ণা মজুমদারের জীবন। বহমানতা নেই, আছে দু:খ। তারপরও থেমে থাকেনি জীবনের সংগ্রাম । চমকে দেওয়া কাহিনী লিখেছেন ও ছবি তুলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জুনিয়র সাংবাদিক সফিকুল আহসান ইমন

জন্ম বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কুরমুনি গ্রামে। বাবা তার সামান্য একজন দিনমজুর। সুবর্ণা মজুমদাররা সবাই বোন। তিনি দ্বিতীয়। দিনমজুরের মেয়ে হওয়া বড় দুর্ভাগ্যের। তাই দিয়ে যে জীবন গড়া ওদের। বড় বোনেরও যথেষ্ট মেধা ছিল। টাকার অভাবে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় তো দূরের কথা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরমও তুলতে পারেননি। টানাপোড়েনের এক নিদারুণ সংসার। বাবা এই মেয়েটিরও পড়ালেখার খরচ চালাতে পারেননি। নবম শ্রেণীতে পড়–য়াকে তাই বিয়ে দিয়েছেন। জামাই একই উপজেলার কালশিরা গ্রামের আশীষ কুমার মন্ডল। তবে সুবর্ণা অদম্য মেধাবী। জীবনের কোনো প্রতিবন্ধকতাই তাকে হারাতে পারেনি। সংসারের অনেক কাজ সামলেছেন। লেখাপড়া করেছেন খুব কষ্টে। এভাবেই এইচএসসি পাশ।
এরপর পড়ালেখা করবেন কীভাবে? এই চিন্তায় রাতে ঘুমাতে পারতেন না সুবর্ণা। পড়ালেখার তার বড় শখ। মানুষের জীবনে শিক্ষাই পাথেয়-এই সত্যটি খুব অল্প বয়সেই জানতে পারলেন কিশোরী মেয়েটি। মাসে দেড়শ টাকা পারিশ্রমিকে একটি গ্রামের সামান্য গ্রন্থাগারে লাইব্রেরিয়ানের চাকরি নিলেন সুবর্ণা। এই তার মাসে টাকার যোগান। এ কটি টাকা দিয়েই তিনি সামনে এগিয়েছেন। তিলে, তিলে টাকা জমিয়েছেন বহু কষ্টে। অভাব, অনটন হাসিমুখে সয়েছেন। সংসারের সব কাজ করেছেন। পড়ালেখা করেছেন সময় বের করে।
২০১৭ সালে জীবনটি বদলে গেল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের গরীব ঘরের এই বৌটির। ভর্তি হলেন তিনি সমাজবিজ্ঞানে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। অত্যন্ত ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে ভালো এক বিভাগের ছাত্রী হলেন তিনি। সংসার আছে যার, আছেন শ্বশুড়, শ্বাশুড়ি, দেবর, ননদ, জা। আবার নিজের সংসার আছে। স্বামী আছেন। নিজের পরিবারও আছে। তাদের নিয়ে জীবন বদলে দেওয়ার স্বপ্ন আঁকতে থাকলেন একটি গ্রামের অসামান্য তরুণী। তার মধ্যেই মেধাতালিকাতে নামটি রইলো তার। চমকে গেলেন নিজেও। আসলেই কী আমি এত মেধাবী? তবে সেখানেও তার জীবনে আঘাত এলো খুব করুণ। বিশ্ববিদ্যালয়ে মোটে ক্লাস শুরু হয়েছে। আর সবার মতো স্বপ্ন বুনতে বুনতে ক্যাম্পাসে যান সুবর্ণা মজুমদার। স্বামী হলেন তার জীবনের স্বপ্ন দেখানোর মানুষ।
সেদিন ছিল রবিবার। বৃহস্পতিবার গিয়ে সেদিন সকালে চলে এলেন তিনি বাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রধান ফটকের সামনের মূল রাজপথে এসে নামলেন। ততক্ষণে ক্লাসের দেরি হয়ে গিয়েছে। সময় কী আর বসে থাকে? প্রথম বর্ষে দ্রুত ক্লাস ধরবেন বলে বেখেয়ালে পড়ালেখাপ্রেমী সুবর্ণা রাস্তা পেরুতে গেলেন। একজন বাসের চালক, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গাড়ি চালনা করেন, অসতর্ক হয়ে চাপা দিলেন সুবর্ণাকে। তীব্র আতনাদে তার চারপাশ নি:স্তব্ধ হয়ে গেল। ছাত্র, ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা উদ্ধার করলেন তাকে। থেঁতলে গিয়েছে শরীর। নিথর পড়ে আছেন তিনি। রক্তে ভেসে যাচ্ছে চারপাশ। সঙ্গে, সঙ্গে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে উদ্ধার করে নিয়ে গেলেন শিক্ষকরা। অনেকে চিনেছেন, এই মেয়েটি সুবর্ণা মজুমদার। আমাদেরই ছাত্রী।
অনেকক্ষণ যুদ্ধ করে বাঁচার আশা কম বলে হতাশ চিকিৎসকরা বেরিয়ে এলেন অপারেশন থিয়েটার থেকে। ভালো চাইলে এখনই নিয়ে যান ঢাকায়-রোগীকে বাঁচাতে বললেন তারা। ভিসি স্যারের কল্যাণে সরকার থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হলো সঙ্গে, সঙ্গে। তারা একজন উপাচার্যের কাতর অনুরোধ ফেলতে পারেননি। ছাত্রীকে বাঁচানোর শিক্ষকের আর্তনাদ তাদের কষ্ট হয়েছে। সঙ্গে, সঙ্গে ঢাকার অন্যতম সেরা অ্যাপোলো হাসাপাতাল থেকে চিকিৎসক নিয়ে ঢাকার দিকে চললো বিমান। এরপর টানা একটি সপ্তাহ আইসিইউতেই কেটেছে তার। সুবর্ণাকে নিয়ে চিকিৎসকরা লড়েছেন জীবন ও মৃত্যুর লড়াই। জ্ঞানই ফেরেনি তার। তারপর চোখে আলো এলো, তার মস্তিস্ক সাড়া দিলো। এই সময়টিতে সুবর্ণার সহায় হয়ে পাশে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার নাসির উদ্দিন। তিনি সারাক্ষণ গরীব বাবার অভাব দূর করেছেন তার ক্ষমতা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও প্রচেষ্টায়।
সুবর্ণার প্রথম বাক্যই ছিল-‘আমি কে? তুমি কী আমাকে চেন মা?’ অনেক দূর থেকে মৃদু স্বর আস্তে, আস্তে তার কানের পর্দায় এসে লাগলো। মনে করতে পারেন, অবিশ্বাস্য মেধাবী মেয়েটি, দারুণ যার স্মৃতিশক্তি। আবছা, আবছা দৃষ্টিতে এক পলক তাকিয়ে থাকলেন তিনি তার দিকে। এরপর রোগাক্রান্ত স্বরটি জবাব দিল ধীরে, ‘জ্বী। আমি আপনাকে চিনি, আপনি আমাদের উপাচার্য স্যার।’ তার পাশে বসে আছেন তিনি। সুবণা নিজেকে একটি ভালো হাসপাতালের ভালো বেডে আবিস্কার করলেন। জানলেন তিনি খুব অসুস্থ। মনে পড়লো, পুরোনো জীবনের কথা, আহত হবার কথাও খেয়াল হলো। চিকিৎসক আর নার্সদের ভীড়ে, চারদিকে মা-বাবা, আত্মীয়জনকে স্বামীসহ দেখে ভয় পেয়ে গেলেন। নিজের অসুখও তার শরীর জানালো। ফলে কাঁদতে লাগলেন তিনি। আর কোনোদিন উচ্চতম শিক্ষিত হতে পারবেন না, পঙ্গু হয়ে পড়ে থাকতে হবে বিছানায়। তার বাবার এই টাকা শোধেরও ক্ষমতা নেই। স্বামী থাকবে না, সংসারও না। একজন অসহায় দুর্বল, অক্ষম মেয়ে হিসেবে জীবনটি কাটবে আমার। এই হাসপাতালের টাকা শোধের ক্ষমতাও তো আমার পরিবারের কারো নেই। জানেন তিনি।
তবে তার কোনোকিছুই ঘটেনি উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার নাসির উদ্দিনের কারণে। পাশে দাঁড়িয়েছেন তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু, স্বজনেরা। তারা আইসিইউতে ভর্তি সুবর্ণার জন্য মিছিল, মানববন্ধন করেছেন। সুবর্ণা মজুমদারের উন্নত চিকিৎসা, ব্যয়ভার বহন, চাকরি প্রদান ছিল। অন্যদিকে নিজের সব যোগাযোগ ও পরিচিতি ব্যবহার করেছেন উপাচার্য স্যার। ফলে অ্যাপোলো হাসপাতালের সেরা চিকিৎসা লাভের সুযোগ হয়েছে সুবর্ণার। তিনটি মাস হাসপাতালের বেডে পড়েছিলেন তিনি। তিনবার পায়ে ও দুইবার মাথায় অপারেশন করতে হয়েছে। মোট ২০ লাখ টাকার পুরোটাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে সরকার বহন করেছেন। এই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক, ছাত্র, ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ভালোবাসা লাভ করেছেন তিনি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার নাসির উদ্দিনের ভালোবাসার কথা কোনোদিন ভুলবে না তার পরিবার। তিন মাসের মাথায় প্রিয় অসহায় ছাত্রী যখন বাড়ি ফিরে গেল বাগেরহাটে, তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে তার স্বামী আশীষ কুমার মন্ডলকে মাস্টার রোলে একটি চাকরি দিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ফলে অভাব, অনটন আর দু:শ্চিন্তার কালো মেঘ সরে গেল পরিবারটির ওপর থেকে। কাজ শেষে স্ত্রীর যত্ন করতে পারেন। তাদের বাসা হলো ক্যাম্পাসের ভালো পরিবেশে। তারা উন্নত জীবনের দেখা পেলেন। ধীরে, ধীরে আবার সাহস বেড়ে গেল মেয়েটির অন্যদের পড়ালেখা করতে দেখে। তার বয়সের মেয়েরা যখন ব্যাগ কাঁধে নিয়ে ক্লাস করতে যান, তিনি আর বসে থাকতে পারেন না। স্বামীও এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বদন্যতা ও সহযোগিতার কথা শতমুখে বলেন। ফলে চিকিৎসকদের বেঁধে দেওয়া নিয়মে এগুতে থাকেন তিনি। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সাহায্যে আরো ভালোভাবে তরুণী বৌ, ছাত্রীটির যত্ন নিয়েছেন। তাতে পড়ালেখার সুযোগ হয়েছে ফের সুবর্ণা মজুমদারের।
কম বেতনে তাদের সংসার ভালোভাবে চলতে থাকে। ক্যাম্পাস তাদের ভুলে যায়নি মোটেও। ওষুধ, সংসার খরচ, পড়ালেখা ইত্যাদি বিবেচনা করে আজকের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব এই ফেব্রুয়ারিতেই সুবর্ণা মজুমদারের স্বামী আশীষ কুমার মন্ডলকে স্থায়ী চাকরি দিয়েছেন বিশেষ বিবেচনায়। ফলে তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছেন খুব ভালোভাবে। এরপর পড়ালেখার খবর। দারুণ ছাত্রী সুবর্ণা অনার্সে সমাজবিজ্ঞান থেকে প্রথম শ্রেণী লাভ করেছেন। তিনি আছেন মেধাতালিকায় ৩.৬০। এখন শিক্ষক হতে চান তিনি। উচ্চতর ডিগ্রি নেবেন। বলেছেন ক্যাম্পাসের ছোট ভাই সাংবাদিক সফিকুল আহসান ইমনকে, ‘আমরা ভালো আছি খুব। ভেবেছিলাম, মরেই যাবো। সেটি হয়নি তোমাদের সবার কারণে। এখনো মাথা ও পায়ে ব্যথা করে। খুব যন্ত্রণা হয়। নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। তবে আমাদের কৃতজ্ঞতার কোনো শেষ নেই।’
পুরোনো জীবনে ফিরে তাকাতে চান না সবগুলো পর্যায়ে খুব ভালো ফলাফল করা মেয়েটি। পাঁচ বছরের টানা ভালোবাসায় তিনি অভিভূত। মেয়েটিকে সাহায্য করতে পেরে খুব ভালো লাগছে তাদের ক্যাম্পাসের। সবার হয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব বলেছেন, ‘ভিসি হিসেবে যোগদানের পর থেকে আমি মেয়েটির পাশে আছি। নিয়মানুযায়ী সুবর্ণার স্বামীকে স্থায়ী চাকরিতে যোগদান করানো হয়েছে। আমি তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি।’ এরপর বলেছেন, ‘আমাদের প্রশাসন সবসময় ছাত্র, ছাত্রীদের পাশে থাকে। আমরা তাদের ভালোবাসি।’

ছবি : অসাধারণ সুন্দরী ও মেধাবী সুবর্ণা মজুমদার; তাদের যৌথজীবন-আশীষ কুমার মন্ডল ও স্ত্রী সুবর্ণা।
ওএস।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত