বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

কাঁঠাল থেকে বারির ১০টি খাবার!

পুষ্টির রাজা কাঁঠাল থেকে ১০টি খাদ্যপণ্য বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বারির দুই বিজ্ঞানী। তারা প্রধান শস্য সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি গবেষণাগারের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হাফিজুল হক খান। তার সঙ্গে বিভাগের সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী। এসেছেন বিনার মহাপরিচালকও সেদিন। লিখেছেন রাকিবুল হাসান

কাঁঠাল তো আমাদের জাতীয় ফল। কৃষিবিজ্ঞানী ও কৃষকরা বলেন ‘পুষ্টির রাজা’। খেতে হয় আয়োজন করে। মৌসুমী ফসলটি অত্যন্ত অর্থকরী। তবে কৃষি অধ্যাপক ও গবেষকদের মতে, প্রক্রিয়াজাতকরণের অভাবে প্রতিবছর দেশে বিপুল পারিমাণ নষ্ট হয়ে যায়। চাষীদের টাকা না পাওয়ার ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে চান তারা। সেজন্য সবাই কাজ করছেন। সারা বছর প্রাপ্তি সহজলভ্য করবেন উদ্দেশ্য আছে ফসল বিজ্ঞানীদের। সেজন্য কাঁঠাল থেকে অনেকগুলো দারুণ খাদ্যপণ্য তৈরি করা হয়েছে।
তারা কারা?
বিখ্যাত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)’র বিজ্ঞানী। কৃষি বিজ্ঞানীদের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। কাঁঠালের খাদ্যপণ্য আবিস্কারকরা প্রতিষ্ঠানটির শস্য সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি বিভাগের বিজ্ঞানী। প্রধান শস্য সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি গবেষণাগারের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হাফিজুল হক খান। তার সঙ্গে বিভাগের সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী। বারি হলো বহুবিধ ফসল গবেষণা প্রতিষ্ঠান, একমাত্র ও সবচেয়ে ভালো। মাটি, ফসল, শষ্য ব্যবস্থাপনা, রোগ-বালাই এবং পোকামাকড় ব্যবস্থাপনা, পানি ও সেচ ব্যবস্থাপনা, কৃষি যন্ত্রপাতির উন্নয়ন, আর্থ-সামাজিক উৎপাদন নিয়ে কাজ আছে। তবে সব হারিয়ে যায় তাদের ফসল আবিষ্কারে। তবে এই বিজ্ঞানীরা নতুন আবিষ্কার করেছেন। দীর্ঘদিনের গবেষণায় তারা কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করে মোট ১০টি প্যাকেট ও বোতলজাত পণ্য তৈরী করেছেন। কাঁঠালের জ্যাম, আচার, চাটনি, চিপস, কাটলেট, আইসক্রিম, দই, ভর্তা, আমস্বত্ব, রেডি টু কুক ফ্রেশকাট। বাজারে সাড়া পড়ে যাবে ভালোভাবে বেচতে পারলে আশা সবার। বারি আছে ঢাকার জয়দেবপুরে। স্বায়ত্বশাসিত ও বিখ্যাত এক কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এ দেশের কৃষকদের ভাগ্যন্নয়নে বারির অবদানের কোনো শেষ নেই। ধানের জাতই অনেক আবিষ্কার করেছে বারি। খেঁয়ে বেঁচে আছেন বাংলাদেশের মানুষরা। নিজেদের অনেক গর্বের কথা বলতে নারাজ, সুযোগও তেমন লাভ করেন না তারা। তবে এই খবরটি নিয়ে সামনে চলে এলেন। জানাতে গিয়ে গর্বিত হলেন খুব বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রাকিবুল হাসান। তিনিও অধ্যাপক গবেষকদের মতো বারির নামকরা গবেষক, বিজ্ঞানী ও তাদের বড় ভাই, বোনদের ক্যাম্পাসে পেয়েছেন। দারুণ ও সফল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন সেদিন বিনার প্রধান ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। বিনার নাম কৃষক, খামারি, কৃষিপ্রযুক্তি, পণ্য বিক্রেতা কম্পানি ও ভোক্তাদের জানা থাকলেও পুরো নামটি জানা?
বিনার বীন :

সবসময় মনে পড়ে না আড়ালে। সেটি হলো, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। আমাদের কৃষিজ পরমাণু বিজ্ঞানীদের আবিস্কারগুলো ও তাদের জন্য পরমাণু গবেষণা কাজে লাগানোর একমাত্র সরকারী প্রতিষ্ঠান। তারাও নতুন, আরো উৎপাদনশীল ফসলগুলোর প্রজাতি উদ্ভাবন করেন। ভূমি ও পানির উত্তম ব্যবস্থাপনা তৈরি কর্ম। পরমাণু বা ছোট, ছোট অনুগুলোকে কাজে লাগিয়ে ফসলের উৎপাদন বাড়ান তারা। ফসলের রোগ ও পোকামাকড় ব্যবস্থাপনাও গবেষণা। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে তাদের অফিস। এখন ৮০ জন বিজ্ঞানী আছেন বাংলাদেশের একমাত্র এই পরমাণু নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানে। সবসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, ছাত্রী, অধ্যাপক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাহায্য লাভ করেন। অনেক কিছু জানতে পারেন। কাজ করতে পারেন তাদের সাহায্যে, তাদের নিয়ে। অবদান রাখতে পারেন বাংলাদেশের কৃষি, মাৎস্যখাতে। ১৩টি উপকেন্দ্র বা সাব-সেন্টার আছে বিনার।
বিনার প্রধান এলেন
বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম সেদিন ছিলেন তাদের সবার সঙ্গে। খুব খুশি হয়েছেন। বাংলাদেশের কাজ নিয়ে বলতে গিয়ে, বিজ্ঞানীদের অবদান জানাতে গিয়ে কৃষি ও সংশ্লিষ্ট খাতের এই প্রধানের বুক গর্বে ভরেছে। আলোচনায় বলেছেন প্রধান অতিথি, ‘এই আবিষ্কারে আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি। আমাদের আরেকটি সাফল্য হলো। ফলে বিনার হয়ে আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। বলব, বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষককে বানিজ্যিকীকরণ করতে হবে। কৃষক পর্যায়েও উদ্যেক্তা তৈরি করতে হবে। তাদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের গবেষণায় উদ্ভাবিত পণ্যগুলো মাঠে-ঘাটে, কৃষকের হাতে পৌঁছাতে হবে। উদ্যেক্তাদের ছড়িয়ে দিতে হবে প্রশিক্ষণে। আমাদের সবার আবিষ্কারগুলো বরাবরের মতো বাংলাদেশের মানুষের। এগুলোর মূল্য নিধারণ করতে হবে। ভোক্তাদের মাঝে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। বিভিন্ন কৃষিজদ্রব্য প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য আমাদের দেশেই উদ্ভাবন করতে হবে নতুন সব প্রযুক্তি। মাঠ পর্যায়ে কৃষক ও উদ্যেক্তা সবাই তাতে লাভবান হবেন। আমাদের কৃষিজ দ্রব্য পঁচে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে।’
শুনে সবাই খুব খুশি
তাদের আগ্রহ অনেক বেড়েছে। আবিস্কাররা কষ্টের ফল পেয়েছেন। আগামী দিনের বাংলাদেশের নব পণ্যগুলো তৈরি করতেও আগ্রহ তৈরি হয়েছে। জানানো হয়েছে, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) অর্থায়নে ও নিউ ভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের সহযোগিতায় প্রকল্পটি পরিচালিত হয়েছে। সবাই আগ্রহ নিয়ে শুনেছেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র স্পেশালিস্ট (ফিল্ড ক্রপস) ড. নরেশচন্দ্র দেব বর্মার বক্তব্য। ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আবু হানিফ। নিউ ভিশন সলিউশন্সের মূখ্য পরিদর্শক তারেক রাফি ভূঁইয়া বারি, বিনা ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্রদের সামনে আসতে পেরে খুব খুশি। তার সঙ্গে প্রকল্প ম্যানেজার কায়সার আলম। তারেক রাফি ভূঁইয়া হাসিমুখে জানিয়েছেন, ‘কাঠালের এই পণ্যগুলো নিয়ে আমরা বারির সঙ্গে চুক্তি করেছি। বারির সঙ্গে চুক্তির কথা বলতে গিয়ে আমার খুব ভালো লেগেছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিনা এবং বাংলাদেশ মাৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের শহর ময়মনসিংহ। এখানে তো বটেই, আরোকটি জেলা এমনকী উপজেলাগুলোতে পণ্যগুলো বিপণনের কাজ করছি।’ বলতে, বলতে তিনি বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে গর্বিত হলেন, ‘এই অঞ্চলগুলোর ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের কাঁঠালের প্রক্রিয়াজাত পণ্য তৈরীর প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। বেশকজন সফলভাবে কাঁঠাল থেকে বিভিন্ন পণ্য তৈরী ও স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেছেন। ভোক্তাদের সুনাম লাভেও হয়েছেন।’
আবিষ্কারকদের কাহিনী
কাঁঠালের খাদ্যপণ্যের গবেষণার প্রধান গবেষক ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী বলেছেন, ‘এই প্রকল্পটির আওতায় আমরা কাঁঠালকে খাদ্যপণ্যে প্রথমবারের মতো প্রক্রিয়াজাত করেছি। মুখরোচক ১২টি প্যাকেট ও বোতলজাত পণ্য তৈরী করেছি। বারি বিভিন্ন ধরণে, প্যাকেটজাত পণ্য হিসেবে বাজারে বিক্রির উপযোগীও করেছে। প্রতিটি পণ্যই ঘরে রেখে প্রায় সারা বছর খাওয়া যাবে। কাঁঠাল থেকে তৈরি খাদ্যদ্রব্যগুলো উদ্ভাবনের মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৫শ কোটি টাকা কমানো সম্ভব।’ নিজের মনের ভাবও ব্যক্ত করেছেন তার শস্য সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি গবেষণাগারের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হাফিজুল হক খান। তিনি ছিলেন আয়োজনের সভাপতি। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, ছাত্রী, গবেষক ও অধ্যাপকরা এই অনুষ্ঠান থেকে অনেক কিছু জানতে এবং শিখতে পেরেছেন।
ওএস।

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি

মহেন্দ্র সিং ধোনি। ছবি: সংগৃহীত

আবারও চেন্নাই সুপার কিংসের নেতৃত্বে ফিরলেন 'ক্যাপ্টেন কুল' মহেন্দ্র সিং ধোনি। ইনজুরির কারণে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন তরুণ অধিনায়ক ঋতুরাজ গাইকোয়াড়। তার অনুপস্থিতিতে হাল ধরলেন অভিজ্ঞ ধোনি।

আইপিএল ২০২৫-এর মাঝপথে এসে বড়সড় পরিবর্তন আনলো চেন্নাই সুপার কিংস। দলের কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং নিশ্চিত করেছেন, চেন্নাইয়ের নেতৃত্ব আবারও ধোনির কাঁধেই তুলে দেওয়া হয়েছে।

ফ্লেমিং বলেন, "আমাদের হাতে বেশ কয়েকটি নেতৃত্বের বিকল্প থাকলেও ধোনির অভিজ্ঞতাই আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছে দেয়। ধোনি পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিজেই সম্মত হয়েছেন দায়িত্ব নিতে।"

গত মৌসুম থেকে অধিনায়কত্ব সামলাচ্ছিলেন তরুণ ব্যাটার ঋতুরাজ গাইকোয়াড়। চলতি মৌসুমেও তাকেই সামনে রেখে প্রস্তুতি নেয় চেন্নাই। তবে কনুইয়ের ইনজুরিতে আইপিএলের বাকি অংশ থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। ফলে ফের নেতৃত্বভার ফিরে গেল ধোনির হাতে।

২০২৩ আইপিএলের ফাইনালে চেন্নাইকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ধোনি। তার কৌশলী নেতৃত্বেই সিএসকে ঘরে তোলে পঞ্চম শিরোপা। এর আগেও তিনি নেতৃত্ব ছেড়েছিলেন, কিন্তু সেসময় অধিনায়কত্বে ব্যর্থ হন রবীন্দ্র জাদেজা। পরে আবার দায়িত্ব নেন ধোনি, এবং প্রমাণ করেন—বয়স শুধুই সংখ্যা, অভিজ্ঞতা কখনও পুরনো হয় না।

চলতি মৌসুমে অবশ্য চেন্নাইয়ের পারফরম্যান্স আশানুরূপ নয়। এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটি জয়ে পয়েন্ট তালিকার ৯ নম্বরে রয়েছে দলটি। এই মুহূর্তে দলকে নতুন করে উজ্জীবিত করতে পারে ধোনির নেতৃত্ব, এমনটাই আশা ভক্ত-সমর্থকদের।

আগামীকাল শুক্রবার ধোনির অধীনে চেন্নাই মাঠে নামবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে। ম্যাচটি হতে পারে দলের ঘুরে দাঁড়ানোর টার্নিং পয়েন্ট।

এদিকে ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিও ধোনিকে আবারও অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি বলেন, “আমি জানি না চেন্নাই ম্যানেজমেন্ট কী ভাবছে, তবে ধোনি যেহেতু এখনো খেলছে, তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো উচিত। সে চেন্নাইয়ের জন্য সেরা সিদ্ধান্ত নেবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।”

অন্যদিকে পয়েন্ট টেবিলে এখন শীর্ষে গুজরাট টাইটান্স, দ্বিতীয় স্থানে দিল্লি ক্যাপিটালস, তৃতীয়তে রয়েছে বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সমান ম্যাচে সমান জয়ে চারে পাঞ্জাব কিংস। তবে শিরোপাধারী কেকেআর রয়েছে ছয়ে, পাঁচ ম্যাচে দুটো জয় নিয়ে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ
এসএসসির ফল ৬০ দিনে প্রকাশের চেষ্টা করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা