শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

১০ মিনিট পরীক্ষায় সময় বাড়লো, বাসে ৫টি সিট

হাবিবার মতো মেয়েরা চলাফেরা, চোখে দেখার রোগে আক্রান্ত। মেধা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাদের কষ্টগুলো দূর করতে পাশে এসেছেন স্যারেরা। ১০ মিনিট করে সময় বাড়বে, শ্রুতলেখক পাবেন। বাসে সিট পাঁচটি। দারুণ লিখেছেন ও ছবি দিয়েছেন মাহমুদুল হাসান

হাবিবা। বয়স বিশের একটু কম বা বেশি। জন্ম তার কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার একটি গ্রামে। জন্মগতভাবে দু পায়ে সমস্যা আছে। চলাফেরায় খুব অসুবিধা হয়। একা হাঁটতে গেলে পড়তে হয় বিপাকে। তাই সবসময়ই কারো না কারো সাহায্যের দরকার পড়ে। তবে মেয়েটি অসাধারণ মেধাবী। বাবা-মায়ের সাহায্যে হুইল চেয়ারে চলাফেরা করেছেন। স্কুল-কলেজের গন্ডি পেরিয়ে এসেছেন। খুব ভালো ফলও করেছেন। স্বপ্ন পূরণের তীব্র আকাঙ্খায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ’১৯-’২০ সেশনের ছাত্রী। তবে এখানে এসে অনেকটাই একা হয়ে পড়েছেন, বলেছেন মনের দুঃখে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা এখনো লাভ করতে পারেননি। ফলে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জিং সময় পার করতে হচ্ছে, জানালেন হাবিবা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নিতে ‘সুস্থ’, ‘স্বাভাবিক’ শিক্ষার্থীদেরই বিভিন্ন বাধা, বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়। সেখানে একজন ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জন্ড শিক্ষার্থীর জন্য সমস্যাগুলো আরও প্রকট। তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বিশেষ সুযোগ, সুবিধা দেওয়ার কথা ছিলো। বাস্তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাদে বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চিত্র একেবারে ভিন্ন। পর্যাপ্ত সুবিধাই তারা পাচ্ছেন না। আলাদা কোনো সুযোগ সুবিধা তো দুরের কথা!
এ বিষয় নিয়ে হাবিবার সঙ্গে কথা বলতে গেলে বলেন,‘ স্কুল-কলেজে বাবা-মা সাহায্য করতেন, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে হল থেকে আমার ডিপার্টমেন্টের দুরত্ব বেশি হয়ে গেছে। অনেক সময় রিক্সায় উঠতে অসুবিধা হয়, একা চলাফেরা করতে কষ্ট হয়। আমাদের ক্লাসগুলো অনেক সময় ওপর তালায় হয়। সিঁড়ি বেয়ে উঠতে আমার অসুবিধা হয়। একার না, আমার মতো যারা আছেন, সবারই এই সমস্যাগুলো হয়ে থাকে। প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জিং সময় পার করতে হয় আমাদের। কাজেই আমার দাবি থাকবে প্রশাসনের প্রতি-তারা যেন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪শর বেশি ছাত্র, ছাত্রী রয়েছেন, তারা কোনো না কোনোভাবে ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড। কারো পায়ের সমস্যা, কারোর হাতে, কারোর চোখে, কারো সর্ব অঙ্গে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনগুলোতে কোনো র‌্যাম্পিংয়ে ব্যবস্থা না থাকায়, যাদের পায়ে সমস্যা, খুব কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে। এরকম অনেক ‘হাবিবা’র সন্ধান মিলবে পুরো ক্যাম্পাসে।
তেমনই আরেকজন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রোনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’২০-’২১ সেশনের ছাত্র কাউসার আহমেদ। তার ডান হাতে সমস্যা। ফলে ভালোভাবে লিখতে পারেন না। অনেক সময় লেগে যায়। পরীক্ষার ফল খারাপ হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে কাউসারের চাওয়া, ‌‘আমার মতো ছাত্র, ছাত্রীদের জন্য যেন পরীক্ষায় অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ করা হয়।’
অন্য প্রধান বিশাববিদ্যালয়গুলোর মতো এই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করছে পিডিএফ (ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জন্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন) নামের বিশেষ সংগঠন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেল পরিস্থিতি আসলে কতটা খারাপের দিকে এগোচ্ছে। সেক্রেটারি শাকিল আহমেদ বলেন, ‘আমরা ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করি। প্রশাসন থেকে কিছু সহায়তা পাচ্ছি। তবে পর্যাঙপ্ত আর্থিক সহায়তা পাই না। আমাদের সংগঠন থেকেও তাদের পড়াশোনা কার্যক্রমে বিশেষ সহায়তা দিতে পারছি না। পর্যাপ্ত ডিভাইস না থাকায় যারা চোখে দেখতে পারেন না বা কানে শুনতে পারেন না, তাদের সবারও অনেক সমস্যা হচ্ছে। যাদের পায়ে সমস্যা তাদের জন্য যথেষ্ট হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করতে পারিনি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাম্পিংয়ের ব্যবস্থাও নেই। যারা পরীক্ষা দেয় তাদের জন্য অনেক সময় শ্রুতলেখক পাওয়া যায় না। এমনদের অনেকেই তাদের পর্যাপ্ত সুবিধাগুলো পাচ্ছেন না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ে সিট বাণিজ্যের প্রভাবও তাদের ওপর পড়ছে জানিয়ে শাকিল বলেন, ‘এ ধরনের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে অনেক সময় ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের হেনস্থারও শিকার হতে হয়। সহজে সিট পাওয়া যায় না। তারা লাভ করতে পারেন না। চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের।’
এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে বলেছেন, ‘প্রতিবন্ধীতায় আক্রান্ত ছেলেমেয়েরাও আমাদের সন্তানসম। এমন শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অ্যাকাডেমিক, প্রশাসনিক ও আবাসিক ভবনসহ অন্যান্য ভবনের মূল প্রবেশপথের সিঁড়ির একপাশে র‌্যাম্প প্রস্তুত করা হবে। আবাসিক ১৭টি হলের নিচতলায় ১ম বর্ষ থেকেই প্রতিবন্ধীতায় আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের আবাসন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিশ্চিত করা হবে। এখন থেকে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীতায় আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময় ঘণ্টা ন্যূনতম ১০ মিনিট বৃদ্ধি ও শ্রুতলেখক নিয়োগ সহজীকরণ করা হবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ছাত্র, ছাত্রী বাসে পাঁচটি সিট তাদের জন্য জন্য আলাদাভাবে বরাদ্দ থাকবে।’ সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের ৫শ ৯তম সভায় সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকতা বিভাগের অন্যতম অধ্যাপক ড. পাণ্ডে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রতীকি ছবিটি আসিফ আহমেদ দিগন্তের কাছ থেকে নেওয়া।

ওএস।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত