শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সাগর পাড়ের বিশ্ববিদ্যালয়

আধুনিক, বিজ্ঞান শিক্ষাকে ছড়ানো, উচ্চশিক্ষার সুযোগ তৈরি, প্রযুক্তি শিক্ষাকে বাড়ানো, গবেষণার সুবিধা সৃষ্টি, কৃষি ব্যবস্থাপনায় আধুনিকতার ব্যবহার পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে নিতে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের নিয়ে লিখেছেন ইমরান হোসেন

বিশ্ববিদ্যালয়টি দক্ষিণাঞ্চলের শীর্ষ। এ অঞ্চলের মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতীক। স্বপ্নের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ‘পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’। জন্ম ২০০০ সালের ৮ জুলাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় পটুয়াখালী কৃষি কলেজের অবকাঠামোতে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এখন ২২ বছরের যুবক। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিয়মানুসারে সবাই কাজ করছেন আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে প্রাগ্রসর ছাত্র, ছাত্রী গড়ে তুলতে। ফলে দেশ, বিদেশে পরিচিতি লাভ করেছেন তারা। শুরুতে কৃষি, সিএসই (কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) ও বিবিএ (ব্যবসায় প্রশাসন) তিনটি বিভাগ ছিল। এখন ৮টি অনুষদ-কৃষি, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজনেস এ্যাডমিনিস্ট্রেশন, মাৎস্যবিজ্ঞান, এনিমেল সায়েন্স অ্যন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন, পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নিউট্রেশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্স এবং ল এন্ড ল্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। মোট ৫৮টি বিভাগ আছে। ৯টি উচ্চতর ডিগ্রি দেওয়া হচ্ছে। ৮৯.৯৭ একর জমিতে তারা। অনার্স বিভাগগুলোতে ৩ হাজার ৬শ ৯১ জন, মাস্টার্সে ৪শ ৫১ জন ও পিএইচডিতে ২৪ জন ছাত্র-ছাত্রী পড়ছেন। ২৫৩ জন অধ্যাপক রয়েছেন। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য আছে বাস, মিনিবাস ও মাইক্রোবাস। নিরাপত্তায় ভবনগুলোতে সংযুক্ত আছে সিসি ক্যামেরা। ৫টি ছাত্র ও ৩টি ছাত্রী হল রয়েছে। ১ শ ৮৩ জন কর্মকর্তা ও ৫শ ২৯ কর্মচারী রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কোনো সেশনজট নেই। এখন উপাচার্য বরেণ্য কৃষি অধ্যাপক ও বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. স্বদেশচন্দ্র সামন্ত। বলেছেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখার মান খুব ভালো। ছাত্র, ছাত্রীরা পাশ করে ভালো, ভালো জায়গায় চাকরি পাচ্ছে। অন্য বিভাগগুলোর মতো কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, কৃষি সমৃদ্ধি আনতে তাদের অনুষদের শিক্ষকরা ফসলের নতুন জাত উদ্ভাবনে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ও সফল হচ্ছেন। তাদের সবার পড়ানোর মান খুব ভালো। আমাদের আছেন মেধাবী, তরুণ শিক্ষকরা। তাদের পাঠদানও বিশ্ববিদ্যালয়কে সমৃদ্ধ করছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় যেমন মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করছে, পিছিয়ে নেই সহ-শিক্ষা কার্যক্রমেও। ছাত্র-শিক্ষকের অংশগ্রহণে বছরজুড়ে চলে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, অলিম্পিয়াড, বইমেলা, পিঠা উৎসব ইত্যাদি। ‘যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয় জাতীয়, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দিবসগুলো। ছাত্র, ছাত্রী, শিক্ষকরা নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন খেলাগুলোতে। প্রতিবারই কৃতী শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদকসহ অন্য পুরস্কারগুলো লাভ করে। এ আমাদের জন্য গৌরব।’
অধ্যাপকরা জানিয়েছেন, দক্ষিণবঙ্গের সর্ববৃহৎ শিক্ষালয় হিসেবে সুনামের সঙ্গে তাদের অগ্রগতি হচ্ছে। হাজার, হাজার প্রাক্তন দেশ-বিদেশে, সরকারী, বেসরকারী, গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত রয়েছেন। নিম্ন-মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর লেখাপড়ার আদর্শ স্থান। দুমকি উপজেলা শহরের দৈনন্দিন খরচও অন্যান্য শহরের তুলনায় কম। একাডেমিক ব্যয় অস্বচ্ছল পরিবারের সামর্থ্যের মধ্যে আছে। প্রায় সব শিক্ষার্থীর আবাসন রয়েছে। বরিশাল শহর ও পটুয়াখালী জেলা শহর থেকে আসা-যাওয়ার জন্য পরিবহন রয়েছে। এখন তারা ডিজিটাল ক্যাম্পাস।
বিশ্বমানের দক্ষ গ্রাজুয়েট তৈরি করতে অধ্যাপকরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিভর বিশ্ববিদ্যালয়ে লার্নিং আউটকাম বেইজড কারিকুলাম ও কোর্স তৈরি করছেন। সামাজিক দায়বদ্ধতা ও ছাত্র, ছাত্রীদের শেখানোর জন্য আশপাশের এলাকাগুলোর প্রান্তিক কৃষক, মাৎস্যজীবি, গরিব, ভূমিহীনদের সঙ্গে কাজ করেন। উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, পড়ালেখায় তথ্য-প্রযুক্তির প্রসার, তাদের মাধ্যমে মৎস্যজীবীদের উন্নত প্রযুক্তিতে মাছ চাষ, পরিচর্যা ও সংরক্ষণ, খামারিদের গবাদি পশু পালন ও চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। শিক্ষার্থী ও খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন ডিসিমিনেশন সেন্টার (পিআইডিসি) আছে। কৃষক ও যুবকদের প্রশিক্ষণদানসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য সিএসই, কৃষি ও বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুষদ একত্রে কাজ করে চলছে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংস্থার অর্থায়নে ৮৪টি গবেষণা প্রকল্প রয়েছে। আহরিত জ্ঞান দেশ ও দশের উন্নয়নে কাজে লাগছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর উন্নয়নের জন্য প্রায় সাড়ে চারশ কোটি টাকার অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্পটির অধীনে দুইটি ১০ তলা আবাসিক হল ও একটি ১০তলা একাডেমিক ভবনও নির্মিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ও অবোকাঠামোগত ব্যাপক উন্নতি হবে। পাশের বঙ্গোপসাগরনির্ভর অথনৈতিক কার্যক্রম (ব্লু ইকোনমি) পরিচালনার জন্য পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ‘মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্স ইনস্টিটিউট’ হবে।
এই ক্যাম্পাস দারুণ সুন্দর। প্রকৃতির অপরূপ শোভা ছড়ানো আছে। দৃষ্টিনন্দন অবকাঠামোও বিমোহিত করবে। রয়েছে সারি, সারি নারিকেল গাছ; হরেক রকমের গাছ-গাছালি। তার একটি শেখ হাসিনার নিজ হাতে রোপিত বকুল গাছ। কয়েকটি বড় লেক আছে। ক্যাম্পাসকে করেছে আরো সুন্দর, আকষণীয়। প্রশাসন ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্য ও মুর‌্যাল আছে। ৭ বীরশ্রেষ্ঠের আবক্ষ ভাস্কর্য রয়েছে। ‘জয়বাংলা’ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিভাস্কর্য। ক্যাম্পাস দশর্নীয় স্থান হিসেবেও খুব জনপ্রিয়। প্রতিদিন দূর-দূরান্তের অনেক পর্যটক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিড় জমান। সব উৎসব, আয়োজন আনন্দঘন পরিবেশে পালিত হয়।
ব্যথা হলো-গবেষনাগার, অ্যাকাডেমি ভবন, বিনোদনের স্থানের সংকট বাড়ছে। সেজন্য বহুতল ভবন ও স্পেস বানাতে হবে। মূল্য ক্যাম্পাস ও হলগুলোর মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ ও বাজার আছে। অন্যত্র সরিয়ে নেয়া প্রয়োজন। শক্তিশালী অ্যালামনাই নেই। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অফিসকক্ষ ও আসবাবের সংকট আছে। বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে পটুয়াখালীসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চলে তারা রাখছেন তাৎপর্যপূর্ণ অবদান। শিক্ষা, সংস্কৃতি, স্বাধীনতা সংগ্রাম, মননশীলতা, আধুনিকতায় দক্ষিণাঞ্চলের সমৃদ্ধ ইতিহাসের স্বাক্ষী এই বিশ্ববিদ্যালয়।
ওএস।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত