বৃষ্টি দেখার অনুভূতি
অফিস ছুটির পর, দোতলা থেকে নিচে নামতেই দেখি গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। একটু পর-ই তুমুল বৃষ্টি শুরু হলো চারিদিকে। কিছুটা বিরক্ত অনুভব হলেও এক মুহূর্তের জন্য আবার ভালোলাগা কাজ করছিলো। কারণ বৃষ্টি আমার কাছে খুব ভাল লাগে। যখনই বৃষ্টি হয়, আমি না ভিজলেও তখনই বৃষ্টি দেখতে বের হই। কখনো জানালা দিয়ে, কখনো ছাতা হাতে নিয়ে ছাদের ওপর থেকে আবার কখনো বেলকনিতে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখি। আমার খুব ভাল লাগে এই অনুভুতিটা।
অফিস শেষে সবারই একটা প্রধান টার্গেট থাকে। আর সেটা হচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব বাসায় পৌঁছানো। বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হওয়া, তারপর নাস্তা খেয়ে মনের সুখে বিশ্রাম করা। কিন্তু আজ আর আমার মধ্যে এই টার্গেট কাজ করলো না। ভাবলাম বৃষ্টিতো আর প্রতিদিন পাবো না। আজ যেহেতু বছরের প্রথম বৃষ্টি, তাই আজ নাহয় বৃষ্টি দেখলাম। বাসায় যেতে একটু লেট হলে কিছু হবে না। আর এমনিতেও আমি অবিবাহিত। তাই বৌয়ের টেলিফোনের যন্ত্রণা নেই।
অবশেষে সকল চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে রফিক মামার চায়ের দোকানে ঢুকলাম। আমাকে দেখেই মামা মুচকি হেসে দিয়ে সাথে সাথে এক কাপ লাল চা এগিয়ে দিলো। চায়ে চুমুক দিতেই চোখ দুটো বন্ধ হয়ে গেলো; তৃপ্তিতে ! মনে হলো, আজ সে তার মনের মাধুরি মিশিয়ে আমার জন্য চা বানিয়ে দিয়েছে। আমিও সাত-পাঁচ না ভেবে মনের আনন্দে চায়ের সাথে বৃষ্টি দেখার পূর্ণ অনুভূতি গ্রহণ করে ফেললাম।
নাম: ইমরান খান রাজ
প্রাক্তন শিক্ষার্থী, সরকারি পদ্মা কলেজ।
নারিশা, দোহার-ঢাকা ১৩৩২।