মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

নব্বই বয়সী বিনয় সাহা এখনও চা বিক্রি করেই চলেন

বিনয় চন্দ্র সাহা বয়স নব্বইয়ের বেশি। বয়সের ভারে ন্যুয্য। তবুও করতে হচ্ছে জীবন সংগ্রাম। এবয়সেও জীবন আর সংসার পরিচালনা করতে বিক্রি করেন চা। সিরাজগঞ্জ শহরের ঐতিহ্য ইলিয়ট ব্রিজের পূর্বপাশে ছোট একটা টং দোকান। এটাই বিনয়ের চায়ের দোকান।

বিনয় সাহা’র বাড়ি শহরে থেক কিছুটা দূরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বনবাড়িয়া গ্রামে। তিন ছেলে দুই মেয়ে নিয়ে অভাব অনটনের নিত্যদিনের সংসার। দারিদ্রতার কারণে ছেলে মেয়েদের শিক্ষিত করতে পারেননি। এর মাঝেই চা বিক্রি করেই জামাইয়ের হাতে তুলে দিয়ে শশুর বাড়ি পাঠিয়েছেন দুই মেয়েকে। দুই ছেলে কায়িক শ্রমে মজুর খেটে যা আয় করেন, তা দিয়েই জোটে তাদের আহার। দুই ছেলেই আলাদা সংসারে পেতেছেন। তাদের আয়ের টাকায় বাবা বিনয়ের মুখে আহার তুলে দিতে এখনও কার্পণ্য করে না দুই ছেলে। কিন্তু স্বাধীনচেতা বিনয় এই নব্বই বছর বয়সেও নিজের আয়ের উপরই নির্ভর করে চলতে চান। চা বিক্রি করে যা আয় হয় তাতেই নিজের মত করে গোছান নিজের জীবন। ছেলেদের কাছ থেকে নিতে হয় না কোন টাকা।

বিনয় সাহা সেই পাকিস্তান আমল থেকে চা বিক্রি করেন। পাকিস্তানের শেষ সময়ে তার বয়স ছিল ৩০ বছর। তখন এখন প্রায় ৯০ বছরে উপরে। এই বয়সেও আধ বেলা দোকান চালিয়া চলে যান বাড়িতে ৷ বয়সের ভারে তার হাঁটাও এখন কষ্ট। তারপরেও হাল ছাড়িনি তিনি। প্রতিদিন বাড়ি আর টং দোকানে আসা যাওয়ায় খরচ হয় রিকসায় ৬০ টাকা। সকাল ৮টার দিকে দোকান খোলেন, চলে দুপুর ১২ থেকে ১টা পর্যন্ত।

এই আধবেলা থাকেন খুব যত্ন করে গড়ে তোলা পরম আদরের দোকানে। তার ব্যবসা জীবনের দীর্ঘ সময়ে টং দোকানের আশেপাশের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। অনেকেরই ব্যবসার স্থান বদল হয়েছে। ব্যবসার ধরনও বদল হয়েছে। কিন্তু বদলায়নি বিনয় চন্দ্র সাহার ব্যবসার ধরন। বদলায়নি ব্যবসার স্থান। সেই যে পাকিস্তান আমলে চা বেচার কাজ শুরু করেছিলেন ইলিয়ট ব্রিজের পৃর্ব পাশে। এখনও রয়েছেন সেই স্থানে।

দিনে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা আয় হয় বিনয় চন্দ্রের দোকানে। দীর্ঘ সময়ে অনেক খরিদ্দারই বাধা হয়ে গেছেন তার দোকানের সাথে। শহরের আলোক সজ্জায় সাজিয়ে অনেক দোকান চালু হয়েছে। কিন্ত বিনয় চন্দ্র সেই পুরানো খরিদদাররা পরম যত্ন আর ভালোবাসায় সেসব রং বেরঙের দোকানে না গিয়ে আসেন তার দোকানে।

অবশ্য বিনয় সাহার খরিদ্দারদের বেশির ভাগই রিকসা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। শ্রেণি অবস্থানও এই ভালোলাগা আর ভালোবাসার হয়ত একটি মজবুত ভিত। যেকারণে দেখা যায় ক্রেতা রিকসা চালকরা চা পানের সাথে সাথে বিনয় চন্দ্রের সাথে জমিয়ে তোলে বাঙালির চিরন্তন আড্ডা।

এভাবেই চলছে বিনয় চন্দ্র সাহার রোজকার জীবন। তারপরও মনের মধ্যে কেমন যেন আকুলতা। মনের গহীনে তার প্রচণ্ড অভিমান। ছোট বেলায় তার বাবা-মা মারা যান। বড় হতে থাকেন কাকার কাছে। কাকার সাথে একটা সময় মনের মিল হয়না। চলার চেষ্টা করেন একা। অনেক কষ্টে তার দিন কেটেছে। শিশু বয়সে নিজের চেষ্টায় গড়ে তোলেন বিনয় চন্দ্র এই চায়ের দোকান।

ভাল ব্যবসা করতে চেয়ে ছিলেন, পারেননি টাকার অভাবে। চা বিক্রি করেই আজ অবধি চলছে তার জীবন। কিন্ত এ জীবনে পায়নি কারও সহযোগিতা। শেষ বয়সে পেয়েছেন বয়স্ক ভাতা। এখনও হয়নি ছোট্ট স্বপ্নের আবাসন। টাকার অভাবে হয়নি গড়া ছোট্ট বেলা থেকে মনের ভেতরে পুশিয়ে রাখা একটি মুদিখানা দোকানের মালিক হওয়া স্বপ্নটা।

এভাবেই বিনয়ের মত হাজারও বিনয়ের জীবনে সুর্য ওঠে আর অস্ত যায়। সে ‍সুর্য প্রচণ্ডতা পায় না কখনও।

 

Header Ad
Header Ad

দীপ্ত টিভির সংবাদ বিভাগ বন্ধে সরকারের কোনো নির্দেশনা নেই: তথ্য উপদেষ্টা

তথ্য ও সম্প্রচারবিষয়ক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: সংগৃহীত

দীপ্ত টেলিভিশনের সংবাদ বিভাগ বন্ধ করার বিষয়ে সরকার কোনো নির্দেশনা দেয়নি বা ফোনও করেনি বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারবিষয়ক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সচিবালয়ের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ফ্যাসিবাদের ১৫ বছরে গণমাধ্যমের বাস্তবতা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

মাহফুজ আলম বলেন, “আমরা সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কাউকে কোনো কল দিইনি। দীপ্ত টিভির একজন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং সংবাদ বিভাগ বন্ধ করা হয়েছে— এতে মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে যে এটি সরকারের নির্দেশে হয়েছে। অথচ এমন কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।”

সভায় সাংবাদিকদের অর্থনৈতিক বাস্তবতা তুলে ধরে মাহফুজ আলম বলেন, “গত বছরের জানুয়ারিতে আমি নিজে একটি টিভি চ্যানেলে চাকরির জন্য গিয়েছিলাম। আমাকে মাত্র ১৩ হাজার টাকা বেতন দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই অল্প বেতনে একজন মানুষ ঢাকা শহরে কীভাবে জীবন চালাবে, পরিবারকে কীভাবে দেখবে?”

তিনি আরও বলেন, “গণমাধ্যমের টেকসই উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার একটি গঠনমূলক রোডম্যাপ তৈরি করছে।”

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, একাডেমিক, মানবাধিকারকর্মীসহ গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি। আলোচনায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মালিকপক্ষের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ, সাংবাদিকদের চাকরির নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ নিয়ে বিভিন্ন মতামত উঠে আসে।

Header Ad
Header Ad

এই মুহূর্তে ইমরানকে দরকার পাকিস্তানের, মুক্তি ও সর্বদলীয় বৈঠক নিয়ে আলোচনা!

ছবি: সংগৃহীত

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে সোমবার রাতেও দু’দেশের সেনাদের মধ্যে সীমান্তে গোলাগুলি হয়। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের মুক্তি দাবি করেছে প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।

পাকিস্তানি ইংরেজি দৈনিক দ্য ডন-এর বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এমনটি জানানো হয়।

সোমবার সিনেটে পিটিআইর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ জাতীয় সংকটময় পরিস্থিতিতে সর্বদলীয় সম্মেলন (Multi-Party Conference) আহ্বান করা প্রয়োজন, যাতে দেশের রাজনৈতিক নেতারা একসঙ্গে বসে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এই বৈঠকে ইমরান খানের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তার জেল থেকে মুক্তিরও দাবি জানানো হয়।

পিটিআইয়ের সিনেটর আলী জাফর বলেন, “রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে এখন দেশের স্বার্থে ঐক্য প্রয়োজন। ইমরান খানের উপস্থিতি বিশ্বকে দেখাবে— পাকিস্তান ঐক্যবদ্ধ।” তিনি আরও বলেন, ইমরান যদি অংশ নেন, তাহলে তা হবে শক্তিশালী কূটনৈতিক বার্তা।

পিটিআই নেতা শিবলি ফারাজ আরও একধাপ এগিয়ে ইমরান খানকে টেলিভিশনে ভাষণ দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার দাবি, ইমরান টিভির মাধ্যমে জনগণকে মিনার-ই-পাকিস্তানে জমায়েত হওয়ার এবং ওয়াগা সীমান্তে পদযাত্রা করার ডাক দিলে এক কোটির বেশি মানুষ সাড়া দেবে।

তার ভাষায়, “শুধু জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি ভারতকে যথাযথ বার্তা দিতে পারেন।”

ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) বা পিএমএল-এন–এর সিনেটর ইরফানুল হক সিদ্দিকী ভারতের প্রতি কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “পেহেলগামের হামলা আসলে একটি ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন— যা ভারতের নিজস্ব সংস্থারই পরিকল্পিত, পাকিস্তানকে হেয় করার উদ্দেশ্যে।”

তিনি বলেন, পাকিস্তান বরাবরই সন্ত্রাসবাদের শিকার, বরং ভারত এখন নাৎসি চিন্তাধারায় বিশ্বাসী সরকার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।

পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলছে, তারাই বরং দীর্ঘদিন ধরে চরমপন্থী হামলার শিকার। দুই দেশের মধ্যে এই উত্তেজনা বিশ্ব রাজনীতিতেও উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, পরিস্থিতি যুদ্ধাবস্থার দিকে গড়াতে পারে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে এলজিইডিতে দুদকের অভিযানে অর্থ আত্মসাতের পাওয়া গেছে প্রমাণ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

প্রকল্প বাস্তবায়ন না করেই বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে টাঙ্গাইল এলজিইডিতে অভিযান পরিচালনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই অভিযানে তারা বিভিন্ন প্রকল্পের নামে আসা বরাদ্দকৃতের অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম, দুর্নীতির প্রাথমিত প্রমাণ পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

প্রাথমিকভাবে অভিযোগের দুদক জানায়, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতি, একাধিক প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন না করেই বিধিবহির্ভূতভাবে অগ্রিম বিল উত্তোলন, এলজিইডি'র তত্ত্বাবধানে গ্রাম-গঞ্জের রাস্তা এবং ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণকাজে নিম্নমাণের সামগ্রী ব্যবহার ও কাজের গুণগতমান বজায় না রাখা এবং উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে এলজিইডির বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ কর্তৃক নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

টাঙ্গাইল দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নুর আলম জানান, দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশ মোতাবেক টাঙ্গাইল এলজিইডিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযানে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। সেগুলো সরেজমিনে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে যাচাই-বাছাই করব এবং পরে এ বিষয়গুলো কমিশনকে জানাবো।

তিনি আরও জানান, একদিনে জেলার সবগুলো উপজেলায় যাওয়া সম্ভব না। তাই পরবর্তীতে অন্যান্য উপজেলাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দীপ্ত টিভির সংবাদ বিভাগ বন্ধে সরকারের কোনো নির্দেশনা নেই: তথ্য উপদেষ্টা
এই মুহূর্তে ইমরানকে দরকার পাকিস্তানের, মুক্তি ও সর্বদলীয় বৈঠক নিয়ে আলোচনা!
টাঙ্গাইলে এলজিইডিতে দুদকের অভিযানে অর্থ আত্মসাতের পাওয়া গেছে প্রমাণ
লক্ষাধিক নতুন রোহিঙ্গাকে আশ্রয়ের অনুরোধ জানাল জাতিসংঘ
ডাকাত দেখে আতঙ্কে অসুস্থ গৃহকর্তা, পানি খাইয়ে সেবা করল ডাকাতরা, পরে লুট
‘মানবিক করিডর’ নিয়ে নানা প্রশ্ন : স্পষ্ট করলেন প্রেসসচিব
ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী
মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর
দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা
সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট