সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫ | ২৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

শিক্ষার্থী উদ্যোক্তার গল্প

৪৫ মণের মানিককে ঘিরে বুনছেন যত স্বপ্ন

উদ্যোক্তা হামিদা আক্তার স্বপ্ন দেখেন বড় খামারী হওয়ার। স্বপ্ন বাস্তবায়নে অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের তিনটি গরু দিয়ে যাত্রা শুরু করেছেন। পাঁচ বছর ধরে তারই ধারাবাহিকভাবে অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের গাভী-ষাঁড় লালন-পালন করেছেন। গেল বছর তার স্বপ্ন হাতের নাগালে এলেও মহামারী করোনার ভয়াবহ থাবায় স্বপ্নই রয়ে গেছে। হাল না ছেড়ে হামিদা আক্তার খামার তৈরির চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এবার স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ এসেছে। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে লালন-পালনে এরই মধ্যে বড় করে তুলেছেন ৪৫ মণ ওজনের ষাঁড় মানিককে। পাঁচ বছর বয়সী বিশালাকৃতির 'মানিক' এবারের কোরবানির হাট কাঁপাবে- এমনটাই আশা তার।

হামিদা আক্তার টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি ইউনিয়নের ভেঙ্গুলিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল হামিদ ও রিনা বেগমের মেয়ে। তিনি টাঙ্গাইলের সরকারি সা'দত কলেজ থেকে ইতিহাসে অর্নাস পাস করেছেন। এখনও পড়ালেখার পাশাপাশি গরুর বড় খামারী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। অবশ্য এ স্বপ্ন তার আজকের নয় ২০১১ সালের।

আব্দুল হামিদ ও রিনা বেগমের তিন মেয়ের মধ্যে হামিদা আক্তার বড়। ভিটেবাড়িসহ বাবার জমি মাত্র ৫০ শতাংশ। বাবার পক্ষে তিন বোনের পড়ালেখা এবং সংসারের খরচ বহন করা কষ্টসাধ্য। তাই ২০১১ সাল থেকে লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি দর্জির কাজ শুরু করেন। দর্জির কাজ করার সময়ই স্বপ্ন দেখেন গরুর বড় খামারী হওয়ার।

স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি প্রথমে রাজহাঁস ও কবুতর লালন-পালন এবং বিকাশ এজেন্ট ও ফ্ল্যাক্সি লোডের ব্যবসা করতে থাকেন। মনের সুপ্ত বাসনার বহি:প্রকাশ হিসেবে ২-১টি করে অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের গরু পালন শুরু করেন। এসবের আয় থেকে চলছে তিন বোনের লেখাপড়াসহ সংসারের সকলের ভরণ-পোষণ। এরই মধ্যে দুই বোনকে এইচএসসি পাস করিয়ে এক জনকে বিয়ে দিয়েছেন। অন্যজন নার্সিং-এ পড়ালেখা করছেন।

সফল উদ্যোক্তা হামিদা আক্তারের গরুর বড় খামারী হওয়ার স্বপ্ন এ বছর তার দোড়-গোড়ায়। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন ৪৫ মণ অর্থাৎ ১৮০০ কেজি ওজনের অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়। নাম দিয়েছেন 'মানিক'। দাম হাকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। মানিককে বিক্রি করে ভালো দাম পেলে খামারের জন্য একটি ঘর তৈরি করবেন। সেখানে অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের গাভি ও ষাঁড় লালন-পালন করা হবে।

উদ্যোক্তা হামিদা আক্তার দাবি করেন, জানামতে তার ৪৫ মণ ওজনের মানিকই জেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড়। ষাঁড়টি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন মানুষ তার বাড়িতে ভির করছেন। ন্যায্য দামে ষাঁড়টি বিক্রি করতে পারলে তার খামার করার স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব হবে। গরু লালন-পালন সম্পর্কে হামিদা আক্তার জানান, পরিবারের সদস্যের মতোই তার অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের গরুগুলো বড় হচ্ছে। গোয়াল ঘরে দুটি সিলিং ফ্যান ও মশারি রয়েছে। নিয়মিত খাবারের তালিকায় খর, ভুষি, কাঁচাঘাস, মাল্টা, পেয়ারা, কলা, মিষ্টি কুমড়া ও মিষ্টি আলু রয়েছে।

রোগ জীবাণুর হাত থেকে বাঁচতে প্রতিদিন সাবান-শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করানো হয়। মানিকের পেছনে দৈনিক খাবার লাগছে ১৭ কেজি গমের ভুষি, ৪ কেজি ছোলা, ২ কেজি খুদের ভাত, আধা কেজি সরিষার খৈল। এছাড়া দৈনিক তাকে খাওয়ানো হচ্ছে নানা জাতের পাকা কলা। বর্তমানে মানিকের ওজন ৪৫ মন অর্থাৎ ১৮০০ কেজি বলে দাবি করেন হামিদা।

তিনি জানান, পাঁচ বছর আগে তার বাড়িতে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গাভি থেকে মানিক ও রতন নামে দুটি ষাঁড় বাছুর জন্ম নেয়। গেল বছর কোরবানির হাটে ওই ষাঁড় দুটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন তিনি। গত বছরই মানিকের ওজন ছিল ৩৫ মন এবং রতনের ওজন ছিল ৩৪ মন। দাম চেয়েছিলেন মানিকের ১৪ এবং রতনের ১৩ লাখ টাকা।

পাইকাররা বাড়িতে এসে মানিকের দাম বলেছিলেন ৯ লাখ টাকা। কিন্তু বাকিতে চাওয়ায় মানিককে আর বিক্রি করা হয়নি। পরে মানিক ও রতনকে ঢাকার গাবতলী হাটে নেওয়া হয়। করোনার কারণে হাটে নিয়েও সুবিধা হয়নি। মাত্র ৪ লাখ টাকায় রতনকে বিক্রি করা হলেও মানিককে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। হামিদা আরও জানান, তিনি বাড়ি থেকেই ষাঁড় বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। বাড়িতে এসে যদি কোন ক্রেতা ন্যায্য দাম দেন- সেক্ষেত্রে নিজ খরচে মানিককে ক্রেতার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নেবেন।

এক প্রশ্নের উত্তরে হামিদা আক্তার জানান, তিনি চাকুরির জন্য পড়ালেখা করছেন না। তিনি একজন বড় গরুর খামারী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। এ বছর ভালো দামে মানিককে বিক্রি করতে পারলে তার স্বপ্নের খামারটি নির্মাণ করবেন। ওই খামারে লালন-পালন করবেন ভালো জাতের সব গরু।

হামিদা আক্তারের মা রিনা বেগম জানান, তার মেয়েদের জন্মের আগে থেকেই ওদের বাবা গরু লালন-পালন করতেন, যা দেখে হামিদাও গরু লালন-পালনে আগ্রহী হয়েছে। লাউহাটি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বুদ্দু জানান, হামিদা আক্তার একজন কৃষক বাবার মেয়ে ও কলেজ ছাত্রী এবং একজন ভালো উদ্যোক্তা। তিনি বেশ কিছুদিন যাবৎ গরুও লালন-পালন করছেন। তার ছোট খামারে এবার ৪৫ মন ওজনের একটি ষাঁড় গরু হয়েছে। দরিদ্র পরিবারের ওই মেয়ের ষাঁড়টি ভালো দামে বিক্রি হোক।

লাউহাটি ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন মোহাম্মদ খান জানান, উদ্যোক্তা হামিদার গরু লালন-পালনকালে তিনি কারও কাছে সাহায্য-সহযোগিতা চাননি। তিনি বড় ধরণের গরুর খামার করতে যদি সহযোগিতা চান- অবশ্যই করা হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. বাহাউদ্দিন সারোয়ার রিজভী জানান, সম্ভববত জেলায় হামিদার ষাঁড়টিই সবচেয়ে বড়। প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে (অনলাইন হাট) তার ষাঁড়টির ছবি, ওজন ও দাম উল্লেখ করে বিক্রির জন্য প্রচারণা চালানো হবে।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

ঈদের ছুটি শেষে দর্শনা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু

ঈদের ছুটি শেষে দর্শনা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে টানা ৯ দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার (৫ এপ্রিল) থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর দিয়ে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের ম্যানেজার মির্জা কামরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) থেকে দর্শনা বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ছুটি শেষ হওয়ায় পরদিন শনিবার সকাল থেকে আবারও পণ্য পরিবহন শুরু হয়।

দর্শনা বন্দরের সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট রফিকুল ইসলাম বলেন,  ৫ আগস্টের পর থেকে বন্দর দিয়ে  ভারত থেকে মালামাল আমদানি কমে গেছে। আশা করি এবার আগের মতো সচল হয়ে উঠবে বন্দরটি।

এদিকে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু ছিল দর্শনা বন্দরে। পাসপোর্টধারী যাত্রীরা ভারত-বাংলাদেশ গমনাগমন করেছে। দর্শনার বন্দর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন  ইনচার্জ রমজান আলী জানান, বছরে ৩৬৫ দিনই ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চলমান থাকে। আসলে ছুটি বলে কিছু নেই ইমিগ্রেশনে।

কিছু সদস্য ছুটিতে থাকলেও যাত্রীদের যাতায়াতে কোনো ধরনের বিঘ্ন ঘটেনি এবার ঈদে। দর্শনা বন্দরের কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন,  ঈদের ছুটির পর বন্দরের কোয়ারান্টাইন  কার্যালয় খোলা হয়েছে।  ভারত থেকে আমদানি করা মালামাল সংগনিরোধের সার্টিফাই করে ছাড় দেয়া হচ্ছে।

দর্শনা কাস্টমস শুল্ক স্টেশনেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার আব্দুস সাত্তার বলেন, ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষ।  ভারত।থেকে আমদানি করা পণ্যের যথাযথ শুল্তায়ন করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের গেদে বন্দর হয়ে কেবলমাত্র রেলপথে মালামাল  আমদানি হয়। দর্শনা বন্দর দিয়ে সড়ক পথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হওয়ার প্রকল্পটি চলমান রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ

নওগাঁয় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে নওগাঁর সর্বস্তরের মানুষ ও সমাবেশ করেছে বিভিন্ন দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন। সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ অন্তত ১০টি সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।

এসময় সমাবেশগুলো থেকে ইসরাইলি পণ্য বয়কটের ঘোষণা দেওয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নওগাঁ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা শহিদ ফাহমিন চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি কলেজ চত্বর প্রদক্ষিণ করে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

পরে শিক্ষার্থীরা সেখানে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’ ‘নেতানিয়াহুর দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’ ‘স্টপ জেনোসাইড’সহ নানা স্লোগান দিতে থাকে। শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিতে একাত্মতা ঘোষণা করে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরাও অংশগ্রহণ করেন।

নওগাঁয় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

এদিকে বেলা ১২টার দিকে নওগাঁ মেডিকেল কলেজের সামনে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এছাড়াও যোহরের নামাজ শেষে শহরের মডেল মসজিদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জামায়াতে ইসলামী। পরে শহরের মুক্তির মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মিছিলোত্তর সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও নওগাঁ জেলা জামায়াতের আমির খ.ম আব্দুর রাকিব, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মহিউদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য, নওগাঁ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এ্যাড: আ.স.ম সায়েম, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক নাসির উদ্দীন, নওগাঁ সদর উপজেলা আমির মাও. মোনায়েম হোসাইন, পৌরসভা আমির মাও. শফিকুল ইসলাম, রানীনগর উপজেলা আমির ডা. আনজির হোসেন, পৌর জামায়াতের নায়েবে আমির হাফেজ মাও. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

লাঠিপেটা না করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ, রাষ্ট্রপতি পদক পাচ্ছেন সেই পুলিশ কনস্টেবল

পুলিশ কনস্টেবল রিয়াদ হোসেন। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

সচিবালয়ের সামনে আন্দোলনকারীদের আঘাত না করেই ছাত্রভঙ্গ করে আলোচনায় আসা পুলিশ কনস্টেবল রিয়াদ হোসেনকে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত আছেন। আন্দোলন দমনে বুদ্ধিদীপ্ত পুলিশিং কৌশল প্রয়োগ করায় রিয়াদকে এই পদক দেওয়া হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সহকারী সচিব তৌফিক আহমেদের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশে গত ২৭ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তৌফিক আহমেদ এতে সই করেন। যা সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকাশ করে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘২০২৫ সালে নাগরিকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে জনশৃঙ্খলা রক্ষায় অভিনব বুদ্ধিদীপ্ত পুলিশিং কৌশলের স্বীকৃতি হিসেবে পুলিশ সদস্য রিয়াদ হোসেনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা)’ প্রদান করা হলো। প্রজ্ঞাপনে তারিখ থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে।’

অতীতে বাংলাদেশ পুলিশ পদক-বিপিএম এবং রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক-পিপিএম পদক পুলিশ সপ্তাহে পুলিশ সদস্যদের পরিয়ে দেওয়া হতো। রিয়াদের সময়ে এবার তা ভিন্নভাবে দেওয়া হলো।

লাঠিপেটা না করে বরং লাঠিপেটার অভিনয় করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে দেখা যায় একজন পুলিশ সদস্যকে। সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর প্রশংসায় ভাসেন রিয়াদ হোসেন।

বর্তমানে রিয়াদ হোসেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত আছেন।

উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ের সামনে আন্দোলনকারীরা রাস্তা দখল করে রেখেছিলেন। এতে সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া উত্তেজনা মুহূর্তে রূপ নিতে পারে সংঘর্ষে। কিন্তু পুলিশ সদস্য রিয়াদ বন্দুক তোলেননি, ব্যাটনও চালাননি কারও গায়ে। তার হাতে লাঠি ছিল, কিন্তু সেই লাঠির আঘাত করেছেন শূন্যে-রাস্তার ওপর, বৈদ্যুতিক খুঁটিতে। যেন জানিয়ে দিচ্ছিলেন-আপনারা চলে যান, আমার দায়িত্ব আছে, কিন্তু আপনাদের প্রতি সম্মানও আছে।

এই সম্মান আর মানবিক কৌশলের এক ঝলক দৃশ্য হয়ে ধরা দেয় সেই ঘটনার ভিডিওতে, যা অল্প সময়েই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। শত শত মানুষ ভিডিওটি শেয়ার করে বলেন-এই রকম পুলিশই তো দরকার আমাদের সমাজে! সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক, বিশ্লেষক-সবাই অভিভূত হয়ে পড়েন এক পুলিশ সদস্যের এমন সংযমী, সংবেদনশীল আচরণে।

এমন অভিনব কৌশল আর দায়িত্বশীলতার স্বীকৃতি এসেছে কিছুটা দেরিতে হলেও, এসেছে সগৌরবে। রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) পেয়েছেন রিয়াদ হোসেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঈদের ছুটি শেষে দর্শনা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
নওগাঁয় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ
লাঠিপেটা না করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ, রাষ্ট্রপতি পদক পাচ্ছেন সেই পুলিশ কনস্টেবল
ইন্ডিয়ান আইডলের শিরোপা জিতলেন কলকাতার মানসী ঘোষ
প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেলেন বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী
নতুন শুল্ক প্রস্তাব স্থগিত করতে ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টার চিঠি
ঢাকায় মার্কিন নাগরিকদের জন্য চলাচলে সতর্কতা জারি
ইসরায়েলি বর্বরতা ও গণহত্যার নিন্দা জানালো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অন্নপূর্ণা–১ জয় করলেন বাবর আলী
বৈশাখে যারা ইলিশ কিনে খাবেন তারা আইনের লঙ্ঘন করবেন: উপদেষ্টা ফরিদা
ঢাকা-রংপুর ৪ লেন প্রকল্পে পলাশবাড়ীতে এক জমি দুইবার বিক্রি, গাইবান্ধা ডিসি অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ১৫ কোটি টাকার অধিক লুটপাটের চেষ্টা
ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানোয় ভারতে বিদ্যুৎ বিভাগের 'মুসলিম কর্মী' বরখাস্ত
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বেনাপোল ও শার্শায় বিক্ষোভ মিছিল
গাজার কর্মসূচি নিয়ে হুমকি, চাকরি হারালেন ড্যাফোডিলের সেই শিক্ষিকা
নওগাঁয় নিজ বাড়ি থেকে ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার
ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার আইসিসিতে পাঠানোর কথা ভাবছে সরকার: প্রেস সচিব
ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সারাদেশে চলছে ‘নো ওয়ার্ক নো ক্লাস’ কর্মসূচি
যুদ্ধের মাঝে ট্রাম্পের সাথে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটলেন নেতানিয়াহু
রাজশাহীতে ট্রাক-বাসের সংঘর্ষে নিহত তিন, আহত অর্ধশত