শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের গপ্প

লেখা ও ছবি : মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্ব-শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর'। চুয়েটের অনন্য গৌরব। তাদের ক্যাম্পাসের ভেতরে। প্রায় ৪.৭ একর জমিতে উপর ৫০ হাজার বর্গফুট আয়তনের। ১০ তলাবিশিষ্ট একটি ইনকিউবেশন ভবন ও ৩৬ হাজার বর্গফুটের ৬ তলা একটি মাল্টিপারপাস প্রশিক্ষণ ভবন আছে। ইনকিউবেশন ভবনে রয়েছে-স্টার্টআপ জোন, আইডিয়া ও ইনোভেশন জোন, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিক জোন, ব্রেইন-স্ট্রর্মিং জোন, ই-লাইব্রেরি, ডাটা সেন্টার, রিসার্চ ল্যাব, বঙ্গবন্ধু কর্ণার, এক্সিবিশন বা প্রদর্শনী সেন্টার, ভিডিও কনফারেন্স কক্ষ, সভাকক্ষ প্রভৃতি।
উদ্যোক্তা ও গবেষকদের সুবিধার্থে একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ল্যাব, একটি মেশিন লার্নিং ল্যাব, একটি বিগ ডাটা ল্যাব, অপটিক্যাল ফাইবার ব্যাক বোন, একটি সাব-স্টেশন ও সোলার প্যানেল রয়েছে।
ব্যাংক ও আইটি ফার্মের জন্য আলাদা কর্ণার, অত্যাধুনিক সাইবার ক্যাফে, ফুড কোর্ট, ক্যাফেটেরিয়া, রিক্রিয়েশন জোন, মেকার স্পেস, ডিসপ্লে জোন, প্রেস বা মিডিয়া কাভারেজ জোন, নিজস্ব পার্কিং সুবিধা প্রভৃতি আছে।
মাল্টিপারপাস প্রশিক্ষণ ভবনে ২৫০ জনের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন সুসজ্জিত অডিটোরিয়াম আছে। ৩০ জনের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন আলাদা ৮টি কম্পিউটার ল্যাব কাম সেমিনার কক্ষ রয়েছে।
২০ হাজার বর্গফুট আয়তনের ৪ তলার আলাদা নারী ও পুরুষ আবাসিক ডরমিটরি ভবন হয়েছে। প্রতিটিতে ৪০টি কক্ষ রয়েছে।
দুুটি মিনি সুপার কম্পিউটার সম্বলিত অত্যাধুনিক গবেষণা ল্যাব শীঘ্রই স্থাপিত হবে।
এই আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের প্রধান লক্ষ্য, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সফল উদ্যোক্তা তৈরি করা। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমকে উৎসাহিত করা। ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতাকে আরো সম্মৃদ্ধ করতে চান তারা। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের সুযোগ আরো অবারিত করবেন। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের আয় প্রত্যাশিত মাত্রা অর্জন করবে। এসব কারণে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) চালু হয়েছে এই ইনকিউবেটর।
‘শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ নির্মাণ করেছে। প্রায় ১১৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরি করবে। ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ নির্মাণে ইনকিউবেটর অসাধারণ ভূমিকা রাখবে।
ওএস।
