সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫ | ২৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

অক্সফোর্ড মিশনারিদের গীর্জার গল্প

বরিশালে আছে এই এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম গীর্জা। মোটে একতলা তবে আজকের পাঁচতলার সমান। বেথেলহেম থেকে সংগ্রহ করা একটি ক্রুশ আছে। আছে স্কুল, অনাথালয় ও চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রসহ অনেক কিছু। দেখে এসে লিখেছেন ও ছবি তুলেছেন ইমরুল কায়েস

ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, ছাত্রী মিশনারীরা তাদের মা-বাবা, ভাই-বোন, সহপাঠী, শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সবার দানে পরিচালনা করেন দাতব্য কর্মগুলো। তাদের গীর্জাগুলোর নাম অক্সফোড মিশন চার্চ। তারা ১৬ শতকে ব্রিটেনের খৃষ্ট ধর্মীয় বিপ্লবের অনুসারী একটি উপদল। ব্রিটিশ রীতিতে ২০০১ সালের হিসেবে বিশ্বের মোট ১শ ১০ কোটি মানুষ ধর্ম পালন করেন। বাংলাদেশ ও ভারতে তাদের কার্যক্রম আছে। বরিশাল শহরের বগুড়া রোডের ধারে অক্সফোর্ড মিশন চার্চ। চার্চ মানে গীর্জা। দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ও বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়। গীর্জাটি এদেশের সবচেয়ে সুন্দর প্রার্থনাকেন্দ্র। ধর্মপ্রাণ খৃস্টানদের ১২টি গুরুত্বপূর্ণ দিবসের অন্যতম ১২ জানুয়ারি। বোধদয় দিবস হিসেবেও খ্যাত ‘এপিফানি’। এই দিবসগুলোকে ঘিরে যে গীর্জাগুলো তৈরি হয়েছে, সেগুলো আলাদা নামে পরিচিত। এটি যেমন এপিফানিক গীর্জা বা এপিফানি গীর্জা। বরিশালের মানুষ ‘লাল গীর্জা’ নামেও চেনেন। পুরোটাই লাল রঙে ঢাকা। ব্রিটেনের ‘দি অক্সফোর্ড মিশন’ এই বছর প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তাদের ১৪০তম বার্ষিকী উদযাপন করছে। বরিশালে তাদের ১২৫তম আর খৃষ্ট সেবিকা সংঘের ৫০ বছর। ভারতের কলকাতার কাছের বেহালা এলাকাতে তাদের সেন্ট জোসেফ প্রাইমারি স্কুলে ছেলেদের আনাথালয় আছে। একটি চোখের হাসপাতাল, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। তাদের বিদ্যালয়গুলো ইংরেজি মাধ্যম। বরিশালে তারা বোর্ডিং স্কুল, খৃস্টান ছাত্রদের ছাত্রাবাস, সেন্ট অ্যান’স মেডিক্যাল সেন্টার, এতিমখানা ও প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা করেন। ১৯৭০ সালে স্বাধীনতার আগের বছর বরিশালের জোবারপুর গ্রামে মিশন সেবিকা সংঘটি প্রতিষ্ঠা করেন। খৃস্টান সেবিকা সংঘ পরিচালনা ও তত্বাবধান করে ছেলে ও মেয়েদের হোস্টেল এবং ছোট শিশুদের একটি খেলাকেন্দ্র।
দেখতে দারুণ অক্সফোর্ড মিশন চার্চ। এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগেও ভালোভাবে টিকে থাকতে পারে। নকশাকার মাদার এডিথ নামে পরিচিত এডিথ ল্যাংরিজ। মোট ৯৫ বছর বেঁচে ছিলেন তিনি। একজন মিশনারি বসতি স্থাপন কর্মী। ব্রিটিশ ভারতে কাজ করেছেন। তিনি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও প্রথম সুপিরিয়র হিসেবে কাজ করেছেন সিস্টারহুড অব এপিফানিতে। জন্মেছিলেন লন্ডনের মার্লেবোর্নে। ১৮৬৪ সালে। এডিথ কুইন্স কলেজে পড়ালেখা করেছেন। সেখানে গণিতে তিনি সবার সেরা হয়েছেন। এরপর যখর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডি মার্গারেট হল নামের কলেজে ভর্তি হলেন, বলে ফেললেন, এখন আর গণিত পড়তে আমার ভালো লাগে না। ফলে ছয় সপ্তাহের কেবল মুখস্ত করতে হবে এমন একটি কোর্স নিলেন লাতিন, যাতে এই ভাষার ক্লাসিকগুলো পড়তে পারেন। তিনি একটি শিক্ষাবৃত্তিতে পুরস্কৃত হয়েছিলেন এবং ১৯৮৫ সাল থেকে লাতিন ভাষায় পড়ালেখা শুরু করলেন। ১৮৮৮ সালে তিনি দ্বিতীয় শ্রেণীতে অনার্স পাশ করলেন। চাকরি করেছেন সহকারী ওয়ার্ডেন হিসেবে। ছিলেন লেডি মার্গারেট হলের ছাত্রী হোস্টেলের তত্বাবধায়ক। তবে তিনি একজন মিশনারী বা সেবিকা হতে চেয়েছিলেন। সিস্টার এডিথ ল্যাংরিজকে বরিশালের এপিফানির প্রধান নির্বাচন করা হলো। তাদের সবাইকে বরিশাল আকর্ষণ করেছিল নানা কারণে। ফলে এখানে এপিফানি ব্রাদারহুড তৈরি হলো ১৮৯৫ সালে। আজও তার অনিন্দ্য স্থাপনাটির বুকে লেখা আছে-স্থপতি মাদার এডিথ ল্যাংরিজ। এই ব্রাদারহুডের প্রধান ফাদার ই.এল, স্টং নিমার্ণ কাজ ও সমাপ্তি দেখাশোনা করেছেন, যাতে নিঁখুত হয়, সেই তত্বাবধান করেছেন। সম্পন্ন করে দিয়েছেন ১৯০৭ সালে। প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করেছেন ফ্রেডরিক ডগলাস। মোট ৩৫ একর জমির ওপর তৈরি এই গীর্জা এলাকার ভেতরে আছে চারদিকে বড় দালান ও পাম গাছের সারি।
এত সুন্দর ও বৈশিষ্ট্যময় গীজা আর চোখে পড়ে না এখানে। পূর্ব থেকে পশ্চিমে কাঠামোটি। নীচ থেকে ওপরে ৪২ মিটার আর চওড়ায় ২২ মিটার। গীর্জার ভেতরে পূর্ব-দক্ষিণ দিকে ঘন্টাঘর। পরে তৈরি তবে আসলের অনুসরণে। পশ্চিম দিকে আলাদা একটি ছাদ ঢাকা করিডোর বানানো হয়েছে পরে জীবনের নিরাপত্তার জন্য। এখনো সুদৃশ্য ও দৃঢ় নিয়মিত যত্নে। খালি চোখে গীর্জার কোনো বদল ঘটেনি মিশনারী ফাদার, ব্রাদার ও সিস্টারদের ভালোবাসায়। তারা জানিয়েছেন, অক্সফোড মিশন চার্চের সব নিমার্ণ উপকরণই বাংলাদেশ থেকে নেওয়া। মাটি কেটে সেগুলোকে পুড়িয়ে লাল শক্ত মাটি এর ইট। কাঠ, সিমেন্ট, রডও এখানে পাওয়া। নিমার্ণ করেছেন এই দেশের মানুষরাই। ভেতরে চারটি বেদী আছে। সেগুলোর মার্বেল পাথরগুলো ভারত থেকে মিশনারিদের মাধ্যমে আনা। মোট ৪০টি খিলানের ওপর দাঁড়িয়ে আছে অক্সফোড মিশন চার্চ। ১৯৬০, ১৯৭০ ও পরের ঘূর্ণিঝড়গুলোতেও উপকূলীয় এই নদীময় বিভাগে গীর্জাটির তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। ভেতরে ঢুকলে সবুজ ঘাসের কার্পেটে মোড়া মাঠ, ১৩টি পুকুর, অক্সফোর্ড মিশন প্রাইমারি ও হাই স্কুল, হাসপাতাল, গ্রন্থাগার, ছাত্র-ছাত্রী হোস্টেল, ফুল ও ঔষধি গাছের বাগান আছে। মূল গীর্জার ভেতরে বিশাল প্রার্থনা গৃহ আছে। আজও সবার মন টানে প্রবলভাবে বিশাল ও নান্দিক বলে। এটি বিরাট। প্রায় ৫০ ফিট। তিন দিকে দরজা। চারদিক থেকে বারান্দা ও বেরুনোর পথ। ছাদে কাঠ আছে নিয়মানুসারে। ফ্লোরটি টাইলস ও কাঠে মোড়া। জেরুসালেমের বেথেলহেমে প্রভু যীশুর জন্মস্থান থেকে সংগ্রহ করা বিরাট একটি ক্রুশ এখানে গীর্জার প্রধান আকর্ষণ। শান্ত-সিগ্ধ যাজক, যাজিকাদের এই ভুবন সারি, সারি পাম গাছের ছায়ায়। বিরাট এক দীঘির পাশে ফাদারস হাউস। তার জলে প্রতিবিম্ব হয়। আছে মাদারস হাউস। অক্সফোর্ড মিশনারিদের গীর্জার প্রার্থনার ঘন্টাটিই এশিয়ার সবচেয়ে বড় ঘন্টা। প্রতিদিন সাতবার বাজে। ঘণ্টার নিচেই চার্চের ছোট্ট অফিস। অক্সফোর্ড মিশনকে সাহায্য করতে ও জানতে-http://www.oxford-mission.org/home/index.html.
ওএস।

Header Ad
Header Ad

ঈদের ছুটি শেষে দর্শনা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু

ঈদের ছুটি শেষে দর্শনা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে টানা ৯ দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার (৫ এপ্রিল) থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর দিয়ে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের ম্যানেজার মির্জা কামরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) থেকে দর্শনা বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ছুটি শেষ হওয়ায় পরদিন শনিবার সকাল থেকে আবারও পণ্য পরিবহন শুরু হয়।

দর্শনা বন্দরের সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট রফিকুল ইসলাম বলেন,  ৫ আগস্টের পর থেকে বন্দর দিয়ে  ভারত থেকে মালামাল আমদানি কমে গেছে। আশা করি এবার আগের মতো সচল হয়ে উঠবে বন্দরটি।

এদিকে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু ছিল দর্শনা বন্দরে। পাসপোর্টধারী যাত্রীরা ভারত-বাংলাদেশ গমনাগমন করেছে। দর্শনার বন্দর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন  ইনচার্জ রমজান আলী জানান, বছরে ৩৬৫ দিনই ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চলমান থাকে। আসলে ছুটি বলে কিছু নেই ইমিগ্রেশনে।

কিছু সদস্য ছুটিতে থাকলেও যাত্রীদের যাতায়াতে কোনো ধরনের বিঘ্ন ঘটেনি এবার ঈদে। দর্শনা বন্দরের কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন,  ঈদের ছুটির পর বন্দরের কোয়ারান্টাইন  কার্যালয় খোলা হয়েছে।  ভারত থেকে আমদানি করা মালামাল সংগনিরোধের সার্টিফাই করে ছাড় দেয়া হচ্ছে।

দর্শনা কাস্টমস শুল্ক স্টেশনেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার আব্দুস সাত্তার বলেন, ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষ।  ভারত।থেকে আমদানি করা পণ্যের যথাযথ শুল্তায়ন করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের গেদে বন্দর হয়ে কেবলমাত্র রেলপথে মালামাল  আমদানি হয়। দর্শনা বন্দর দিয়ে সড়ক পথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হওয়ার প্রকল্পটি চলমান রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ

নওগাঁয় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নওগাঁর সর্বস্তরের মানুষ ও বিভিন্ন দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল সমাবেশ করেছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ অন্তত ১০টি সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।

এসময় সমাবেশগুলো থেকে ইসরাইলি পণ্য বয়কটের ঘোষণা দেওয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নওগাঁ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা শহিদ ফাহমিন চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি কলেজ চত্বর প্রদক্ষিণ করে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

পরে শিক্ষার্থীরা সেখানে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’ ‘নেতানিয়াহুর দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’ ‘স্টপ জেনোসাইড’সহ নানা স্লোগান দিতে থাকে। শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিতে একাত্মতা ঘোষণা করে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরাও অংশগ্রহণ করেন।

নওগাঁয় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

এদিকে বেলা ১২টার দিকে নওগাঁ মেডিকেল কলেজের সামনে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এছাড়াও যোহরের নামাজ শেষে শহরের মডেল মসজিদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জামায়াতে ইসলামী। পরে শহরের মুক্তির মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মিছিলোত্তর সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও নওগাঁ জেলা জামায়াতের আমির খ.ম আব্দুর রাকিব, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মহিউদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য, নওগাঁ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এ্যাড: আ.স.ম সায়েম, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক নাসির উদ্দীন, নওগাঁ সদর উপজেলা আমির মাও. মোনায়েম হোসাইন, পৌরসভা আমির মাও. শফিকুল ইসলাম, রানীনগর উপজেলা আমির ডা. আনজির হোসেন, পৌর জামায়াতের নায়েবে আমির হাফেজ মাও. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

লাঠিপেটা না করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ, রাষ্ট্রপতি পদক পাচ্ছেন সেই পুলিশ কনস্টেবল

পুলিশ কনস্টেবল রিয়াদ হোসেন। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

সচিবালয়ের সামনে আন্দোলনকারীদের আঘাত না করেই ছাত্রভঙ্গ করে আলোচনায় আসা পুলিশ কনস্টেবল রিয়াদ হোসেনকে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত আছেন। আন্দোলন দমনে বুদ্ধিদীপ্ত পুলিশিং কৌশল প্রয়োগ করায় রিয়াদকে এই পদক দেওয়া হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সহকারী সচিব তৌফিক আহমেদের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশে গত ২৭ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তৌফিক আহমেদ এতে সই করেন। যা সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকাশ করে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘২০২৫ সালে নাগরিকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে জনশৃঙ্খলা রক্ষায় অভিনব বুদ্ধিদীপ্ত পুলিশিং কৌশলের স্বীকৃতি হিসেবে পুলিশ সদস্য রিয়াদ হোসেনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা)’ প্রদান করা হলো। প্রজ্ঞাপনে তারিখ থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে।’

অতীতে বাংলাদেশ পুলিশ পদক-বিপিএম এবং রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক-পিপিএম পদক পুলিশ সপ্তাহে পুলিশ সদস্যদের পরিয়ে দেওয়া হতো। রিয়াদের সময়ে এবার তা ভিন্নভাবে দেওয়া হলো।

লাঠিপেটা না করে বরং লাঠিপেটার অভিনয় করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে দেখা যায় একজন পুলিশ সদস্যকে। সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর প্রশংসায় ভাসেন রিয়াদ হোসেন।

বর্তমানে রিয়াদ হোসেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত আছেন।

উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ের সামনে আন্দোলনকারীরা রাস্তা দখল করে রেখেছিলেন। এতে সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া উত্তেজনা মুহূর্তে রূপ নিতে পারে সংঘর্ষে। কিন্তু পুলিশ সদস্য রিয়াদ বন্দুক তোলেননি, ব্যাটনও চালাননি কারও গায়ে। তার হাতে লাঠি ছিল, কিন্তু সেই লাঠির আঘাত করেছেন শূন্যে-রাস্তার ওপর, বৈদ্যুতিক খুঁটিতে। যেন জানিয়ে দিচ্ছিলেন-আপনারা চলে যান, আমার দায়িত্ব আছে, কিন্তু আপনাদের প্রতি সম্মানও আছে।

এই সম্মান আর মানবিক কৌশলের এক ঝলক দৃশ্য হয়ে ধরা দেয় সেই ঘটনার ভিডিওতে, যা অল্প সময়েই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। শত শত মানুষ ভিডিওটি শেয়ার করে বলেন-এই রকম পুলিশই তো দরকার আমাদের সমাজে! সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক, বিশ্লেষক-সবাই অভিভূত হয়ে পড়েন এক পুলিশ সদস্যের এমন সংযমী, সংবেদনশীল আচরণে।

এমন অভিনব কৌশল আর দায়িত্বশীলতার স্বীকৃতি এসেছে কিছুটা দেরিতে হলেও, এসেছে সগৌরবে। রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) পেয়েছেন রিয়াদ হোসেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঈদের ছুটি শেষে দর্শনা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
নওগাঁয় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ
লাঠিপেটা না করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ, রাষ্ট্রপতি পদক পাচ্ছেন সেই পুলিশ কনস্টেবল
ইন্ডিয়ান আইডলের শিরোপা জিতলেন কলকাতার মানসী ঘোষ
প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেলেন বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী
নতুন শুল্ক প্রস্তাব স্থগিত করতে ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টার চিঠি
ঢাকায় মার্কিন নাগরিকদের জন্য চলাচলে সতর্কতা জারি
ইসরায়েলি বর্বরতা ও গণহত্যার নিন্দা জানালো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অন্নপূর্ণা–১ জয় করলেন বাবর আলী
বৈশাখে যারা ইলিশ কিনে খাবেন তারা আইনের লঙ্ঘন করবেন: উপদেষ্টা ফরিদা
ঢাকা-রংপুর ৪ লেন প্রকল্পে পলাশবাড়ীতে এক জমি দুইবার বিক্রি, গাইবান্ধা ডিসি অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ১৫ কোটি টাকার অধিক লুটপাটের চেষ্টা
ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানোয় ভারতে বিদ্যুৎ বিভাগের 'মুসলিম কর্মী' বরখাস্ত
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বেনাপোল ও শার্শায় বিক্ষোভ মিছিল
গাজার কর্মসূচি নিয়ে হুমকি, চাকরি হারালেন ড্যাফোডিলের সেই শিক্ষিকা
নওগাঁয় নিজ বাড়ি থেকে ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার
ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার আইসিসিতে পাঠানোর কথা ভাবছে সরকার: প্রেস সচিব
ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সারাদেশে চলছে ‘নো ওয়ার্ক নো ক্লাস’ কর্মসূচি
যুদ্ধের মাঝে ট্রাম্পের সাথে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটলেন নেতানিয়াহু
রাজশাহীতে ট্রাক-বাসের সংঘর্ষে নিহত তিন, আহত অর্ধশত