রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পর্যটক বরণে প্রস্তুত দুটি পাতা একটি কুঁড়ির সিলেট

অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ খ্যাত সিলেট। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত এই প্রাচীন জনপদ পাহাড়-টিলা, চা-বাগান, দেশের একমাত্র সোয়াম ফরেস্ট, হাওর, বনজ, খনিজ ও মৎস্য সম্পদে ভরপুর এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মণ্ডিত। সিলেটকে এজন্যই বলা হয় প্রকৃতিকন্যা। জৈন্তিয়া পাহাড়ের অপরূপ দৃশ্য, প্রকৃতিকন্যা জাফলং, বিছানাকান্দির মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য, ভোলাগঞ্জের সারি সারি সাদা পাথরের স্তুপ আর দেশের একমাত্র রূপওয়ে স্টেশন পর্যটকদের টেনে আনে বারবার। ঘুরে দেখতে পারেন এই অপরূপ শহর। শহরের নাম সিলেট। নান্দনিক এই সিলেটের আরও এক নাম পূণ্যভূমি। ওলি-আউলিয়া ও অসংখ্য মহাপুরুষের পাদস্পর্শে ধন্য পবিত্র নগরী এই সিলেট। জেলার পর্যটন ও দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে রয়েছে- মালনীছড়া চা-বাগান, হজরত শাহজালাল (র.) দরগাহ শরিফ, ঐতিহাসিক ক্বিন ব্রিজ, আলী আমজদের ঘড়ি।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও সিলেটে রয়েছে অনেক ঐতিহাসিক ও প্রসিদ্ধ স্থান। সিলেটে বসবাসকারি বিভিন্ন আদিবাসীদের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতি। চা-বাগান, পাহাড়, ঝর্ণা সব মিলিয়ে নানা বৈচিত্রের সম্ভার এই সিলেট দেশের অন্যতম পর্যটন নগর। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে সিলেট বিভাগের ৪ জেলার প্রায় শতাধিক পর্যটন স্পট পর্যটক বরণে এখন প্রস্তুত। প্রতি বছরের মতো আসছে ঈদেও এসব স্পটে পর্যটক-দর্শনার্থীদের ঢল নামবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে মনকে সতেজ করে তুলতে ভ্রমণ-পিপাসুদের জন্য সিলেটের পর্যটন স্পটগুলোকে সাজানো হয়েছে নানা সাজে। তবে আবাসিক হোটেল, মোটেল, রেস্ট হাউস, গেস্ট হাউস এবং বিভিন্ন বাংলোর ব্যবসায়ীরা মনে করছেন এবারের পর্যটকদের ভিড় থাকবে বেশি। কারণ গেল দু’বছর করোনার প্রভাবে পর্যটকদের পদচারণা ছিল না। এবার অবশ্য আশানুরূপ পর্যটক পাওয়া যাবে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। ফলে পর্যটন স্পটগুলোর সবকটি আবাসিক হোটেল, রিসোর্ট সেজেছে বর্ণিল সাজে। এদিকে পর্যটকদের সুরক্ষা ও পর্যটকদের ভ্রমণ আনন্দঘন করতে কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসন, থানা ও ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। এ ছাড়া প্রতিটি পর্যটন স্পটসমূহে পুলিশি টহল বাড়িয়ে নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

হোটেলগুলোতে অগ্রিম বুকিং

ঈদকে ঘিরে সিলেট শহরের আবাসিক হোটেলগুলোতে পর্যটকেরা অগ্রিম বুকিং করতে শুরু করছেন। ঈদের ছুটিতে হোটেলগুলোতে পর্যটকদের সমাগম ভালো হবে বলে আশা করছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। জেলার হোটেল, মোটেল ও পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী ২ মে থেকে ৮ মে পর্যন্ত শহরের হোটেলগুলোর অর্ধেকের বেশি কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। এ ছাড়া এখনো পর্যায়ক্রমে অনেকেই বুকিং করছেন। বেশির ভাগ পর্যটকেরাই ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে আসবেন।

নগরের আম্বরখানা এলাকার ব্রিটানিয়া হোটেলের ব্যবস্থাপক (বিপণন) কাওসার খান বলেন, এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশের বেশি কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। এখনো অনেকে যোগাযোগ করে অগ্রিম বুকিং করছেন। আবার অনেকে টিকিট নিশ্চিত না হওয়ায় একটু সময় নিচ্ছেন। যাঁরা অগ্রিম বুকিং করছেন, তাঁদের বেশির ভাগই সরকারি ও বিভিন্ন বেসরকারি চাকরিজীবী। ঈদের ছুটিতে সব কক্ষই পরিপূর্ণ থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সিলেটের একটি আবাসিক হোটেলে অগ্রিম বুকিং করেছেন বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা এ কে আজাদ বলেন, এবার ঈদের ছুটি কিছুটা লম্বা। এই সুযোগে পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে সিলেটে ঘুরে বেড়ানোর পরিকল্পনা করে রেখেছি। সবকিছু ঠিক থাকলে ৪ মে সিলেটে পৌঁছে হোটেলে উঠব।

সিলেট হোটেল-মোটেল রেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমাত নুরী বলেন, সিলেট শহরকেন্দ্রিক হোটেল-মোটেলগুলোর অবস্থা ভালো। ঈদের ছুটিতে পর্যটকেরা সিলেট ঘুরে দেখার জন্য অগ্রিম বুকিং করে রাখছেন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় এবার হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা গত দুই বছরের ক্ষতি কাটিয়ে উঠবেন বলে আশা করছেন তিনি।

প্রস্তুত কোম্পানীগঞ্জের সাদা পাথর

সাদা পাথর,পাহাড়, নদী ও ছোট ছোট ছড়া নিয়ে অবস্থিত সিলেটের সীমান্তবর্তী জনপদ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা। রয়েছে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর, উৎমা ছড়া ও তুরং ছড়া পর্যটন কেন্দ্র। পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পর্যটকদের বরণ করতে প্রস্তুত পর্যটন কেন্দ্র সাদা পাথরসহ উৎমা ও তুরং ছড়া পর্যটন কেন্দ্র। সিলেটের ‌‌‘হোয়াইট স্টোন’ খ্যাত সাদা পাথর দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক বরণে প্রস্তুত রয়েছে হোটেল, রিসোর্ট ও রেস্তোরাঁসহ সকল পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীরা। সাদা পাথরের আশপাশে ভালো মানের হোটেল তেমন না থাকলেও রয়েছে একটি রিসোর্ট ও আবাসিক হোটেল।

সাদা পাথর রিসোর্টের জিএম সাইফুল ইসলাম জানান, ঈদের আগেই ৮০% অগ্রীম বুকিং হয়ে গেছে ঈদ পরবর্তী তিন- চার দিনের জন্য।

তবে একটানা ৯ দিনের ছুটিতে অসখ্য পর্যটকদের আগমন ঘটবে বলে জানান রেস্তোরাঁ ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। ঈদের লম্বা ছুটিতে ভ্রমন পিপাসুরা যান্ত্রিক শহর এবং দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে একটু ক্লান্তি দুর করতে ছুটে আসবে সবুজে ঘরা পাহাড় ও মেঘালয়ের শীতল পানির ছোয়া পেতে সাদা পাথরে। আর পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
সাদা পাথর পর্যটনে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় সহজেই আসা যায়। কিন্তু উৎমা ছড়া ও তুরং ছড়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ ও দূরে হওয়ায় যাতায়াত করা কঠিন। তবে চাইলে ভাড়া চালিত মোটরসাইকেল দিয়ে যাওয়া যায়।

সাদা পাথর পর্যটন নৌকা ঘাট ইজারাদার কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি তাওহিদ আহমদ জানান, সাদা পাথর পর্যটন নৌকা ঘাট ইজারাদার পক্ষ থেকে পর্যটকদের সুবিধার্থে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে প্রায় দেড় শতাধিক নৌকা রয়েছে, যেগুলো পর্যটকদের আনন্দ ভ্রমণে বাহক হিসেবে কাজ করবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল তাই এ বছর ঈদ পরবর্তী সময়ে পর্যটকদের বেশ সমাগম হবে বলে আশা করছেন সাদা পাথর পর্যটন নৌকা ঘাট ইজারাদার কর্তৃপক্ষ।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং জানান,পর্যটকদের নিরাপত্তাসহ সকল কিছু বিবেচনা করেই এবার ঈদ পরবর্তী লম্বা ছুটিতে আগত ভ্রমণ পিপাষুদের সুবিধার্থে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক পুলিশ ও বিজিবি’র পাশাপাশি সেচ্ছাসেবক, লাইফগার্ড থাকবে। নৌকার ভাড়া যাতে না বাড়ায় সতর্ক করা হয়েছে। প্রায় ১৫০ টি নৌকা রেডি আছে, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় লাল নিশান থাকবে। পর্যটকদের কেউ হয়রানি করলে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পর্যটকদের বরণে প্রস্তুত কমলগঞ্জ

পর্যটকদের বরণ করতে প্রস্তুত প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ। সবুজে ঘেরা চা–বাগান দেখতে প্রতিবছরই ঈদের ছুটিতে চায়ের রাজধানী কমলগঞ্জে ভিড় জমান পর্যটকেরা। তবে এবারের চিত্রও ভিন্ন নয়। ঈদের ছুটিতে ঘুরে বেড়াতে অনেকেই বেছে নিয়েছেন কমলগঞ্জকে। এর মধ্যে পর্যটন নগরীর শহরের বাইরের হোটেল–রিসোর্টগুলোর ৮০ ভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। মৌলভীবাজার জেলার সর্বাধিক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে কমলগঞ্জ উপজেলায়।

পর্যটন ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনাময় এই উপজেলায় ২০টিরও বেশি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। জীব বৈচিত্র্যে ভরপুর কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, নয়নাভিরাম মাধবপুর লেক, হামহাম জলপ্রভাত, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্যের বাহক বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ, পদ্ম ছড়া লেক, বণ্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য রাজকান্দি বন, শমসেরনগর বিমানবন্দর, প্রাচীন ঐতিহ্যের বাহক লক্ষীনারায়ন দিঘী, ২০০ বছরের প্রচীন ছয়চিরী দিঘী, শমসেরনগর বাগীছড়া লেক, আলীনগর পদ্মলেক, মাগুরছড়া পরিত্যক্ত গ্যাসফিল্ড, অপরূপ শোভামন্ডিত উচু নিচু পাহাড়বেস্টিত সারিবদ্ধ চা বাগানসহ বাংলাদেশের বৃহৎ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মণিপুরী সম্প্রদায়ের নিরাপদ আবাসস্থল এ উপজেলায়। এছাড়া প্রকৃতির পূজারী খাসিয়া নৃ-গোষ্ঠীসহ গারো, সাঁওতাল, মুসলিম মণিপুরী, টিপরা ও গারোদের নিরাপদ আবাসস্থলও রয়েছে এই উপজেলায়। লেক আর পাহাড়ের মিতালী, সাথে ঝর্ণা কমলগঞ্জের এসব প্রাকৃতিক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে প্রতিবছর ঈদের টানা ছুটিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসে হাজার হাজার পর্যটক।

উপজেলার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তার জীবনধারা ও সংস্কৃতিসহ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এ জনপদে অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোর সাথে সদ্য আবিস্কৃত নতুন সংযোজন ফিকল জলধারা যে কোনো পর্যটকের দৃষ্টি কেড়ে নেবে। তাই তো পবিত্র ঈদুল আযহায় এসব আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট পর্যটকদের বরণ করতে প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমি কমলগঞ্জের বন্যপ্রাণীর নিরাপদ

আবাসস্থল লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে দর্শণীয় ও আকর্ষণীয়। বাংলাদেশের সাতটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ও দশটি জাতীয় উদ্যানের মধ্যে লাউয়াছড়া অন্যতম। এই বনের পরিচিতি শুধু দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় এটি আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত একটি পর্যটন কেন্দ্র। জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে সুন্দরবনের পরেই লাউয়াছড়ার অবস্থান। চিরহরিৎ এ বনাঞ্চল বিলুপ্তপ্রায় উল্লুকেরকের নিরাপদ আবাসস্থল। এছাড়াও নানা ধরনের দুর্লভ প্রাণী, কীটপতঙ্গ আর গাছপালার জন্য এ অরণ্য বিখ্যাত।

১৯৯৬ সালে পশ্চিম ভানুগাছ সংরক্ষিত এই বনের প্রায় ১২৫০ হেক্টর এলাকাকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এ উপজেলায় পাহাড়ি উঁচুনিচু টিলার উপর সবুজ চা বাগানবেষ্টিত, জাতীয় ফুল দুর্লভ বেগুনি শাপলার আধিপত্য আপনাকে আনন্দের বাড়তি মাত্রা যুক্ত করবে পদ্মকন্যা মাধবপুর লেক। কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর চা বাগানে নয়নাভিরাম মনোরম দৃশ্য মাধবপুর লেক ভ্রমণ পিপাষু মানুষের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান ও তার পাশেই পদ্মছড়া লেক। মাধবপুর লেকের দৃশ্য উপভোগ করে বেরিয়ে এসে একই রাস্তায় প্রায় ১০ কি.মি. যাওয়ার পরই বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ। চাইলেই ঘুরে আসতে পারেন সেখান থেকে। কমলগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে রাজকান্দি বন রেঞ্জের কুরমা বনবিট এলাকার প্রায় ১০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে দৃষ্টিনন্দন হামহাম জলপ্রপাত। স্থানীয় পাহাড়ি অধিবাসীরা এ জলপ্রপাতের ধ্বনিকে হামহাম বলে। এ বনের ভেতরেই রয়েছে সম্প্রতি আবিস্কৃত ফিকল ঝরনা। বনের কুরমা খাসিয়া পুঞ্জির পাশেই দৃষ্টি নন্দন এ ঝরনার অবস্থান। সেখানে সরাসরি যানবাহন নিয়ে পৌঁছার ব্যবস্থা নেই। বাসে এবং সিএনজি যোগে কুরমা চেকপোস্ট যাওয়ার পর বাকি পথ হেঁটে যেতে হয় হামহাম জলপ্রপাত ও ফিকল ঝরনায়। কুরমা চেকপোস্ট থেকে হামহাম যাওয়ার পথে ত্রিপুরা আদিবাসী পল্লী ও দুর্গম পাহাড়ি এলাকা তৈলংবাড়ী কলাবন বস্তি পাবেন। হামহাম জলপ্রপাতে ভ্রমণ করতে পুরো একদিনের প্রয়োজন।

এছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর সময়ে গড়ে ওঠা একটি বিশালাকার বিমানবন্দর রয়েছে শমশেরনগরে। বর্তমানে এখানে রিক্রুট ট্রেনিং স্কুল করায় প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত হলেও এ এলাকা সংলগ্ন স্থানেই রয়েছে মুক্তিযুদ্ধকালীন একটি বধ্যভূমি। এ উপজেলার আরেকটি আকর্ষণীয় স্পট হচ্ছে ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী দূর্গম পাহাড়ি এলাকা ডবলছড়া খাসিয়াপল্লী। যদি ডবলছড়া খাসিয়াপল্লী যেতে পাহাড়ি উঁচু-নিচু প্রায় ১২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাড়ি দিতে হয়।

তবে পথিমধ্যে শমশেরনগর চা বাগানের দুটি প্রাকৃতিক হ্রদ, একটি গলফ মাঠ ও ক্যামেলিয়া ডানকান হাসপাতাল যে কোনো পর্যটকের নজর কাড়বে। ডবলছড়া খাসিয়া পল্লীতে ‘আড়াইশ’ ফুট উপরের হেডম্যান বা মন্ত্রীর বাংলোটি দেখতে খুবই সুন্দর। এ ছাড়াও ভ্রমণের জন্য রয়েছে- কমলগঞ্জে পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের নীরব সাক্ষী বধ্যভূমি, ব্রিটিশদের শোষণের প্রতীক তিলকপুর নীলকুটি, ঘটনাবহুল মাগুরছড়া গ্যাসফিল্ড, মণিপুরী, টিপরা, খাসিয়া, গারোসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আবাসভূমি।

কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়াদৌস হাসান বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় সকলের পাশে আছে তবে ঈদকে সামনে রেখে পর্যটকেরা যেন নির্বিঘ্নে ঘুরাফেরা করে বাড়ি ফিরতে পারেন সেই ব্যাপারে মাথায় রেখে কাজ করছে।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, পর্যটকদের জন্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ সহযোগীতা থাকবে যাতে নির্বিঘ্নে সবাই মিলে আনন্দ উপভোগ করতে পারবে।

 

 

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি