মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বয়স ২২ হলেও মাওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সংকট প্রবল

মাওলানা ভাসানীর নামে তার টাঙ্গাইলের সন্তোষে আছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ‘মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’। ১৯৯৯ সালে তৈরি হলেও এখনো আবাসনের তীব্র সমস্যা পোহাতে হয় ছাত্র, ছাত্রীদের। তারা পড়ালেখা করতে পারেন না। বাড়ি থেকে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা করে এনে চলেন। অথচ প্রায় সবাই নিম্মমধ্যবিত্ত ও নিম্মবিত্তের সন্তান। ক্যাম্পাসটি ঘুরে, উপাচার্য ও অধ্যাপকদের সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন ঢাকাপ্রকাশ ২৪.কমের প্রতিনিধি ও ছাত্র রাসেল চৌধুরী

মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নামে তার টাঙ্গাইলের সন্তোষে একটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির। ‘মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’। ২২ বছর পরেও ছাত্র, ছাত্রীদের আবাসের সংকট কাটাতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়টি। এখন এই নামকরা ক্যাম্পাসে পড়ালেখা করছেন প্রায় সাড়ে ৫ হাজার ছাত্র, ছাত্রী। ক্যাম্পাস ঘুরে জানা গিয়েছে, তাদের বেশিরভাগই মধ্যবিত্ত ও নিম্মমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। মেধা ও যোগ্যতায় ভর্তি হয়েছেন এখানে। তবে এই অভাবী ছেলেমেয়েরা বলেছেন, প্রথম বর্ষ থেকে তাদের থাকা, খাওয়ার চরম সংকট থাকে। পাঁচ বছর পর পাশ করে ফেললেও আবেদন করা হলের সিট পান না। মেয়েদের সংকট আরো তীব্র। তাদের বাবা, মাও চরম উদ্বিগ্নতায় ভোগেন, মেয়ে কোথায় থাকে? কীভাবে থাকে? নিরাপদে থাকে তো? তার কোনো অসুবিধা হয় না তো? এই অভাব ও অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রায় সব ছাত্রীর মা-বাবার, তাদের নিজেদের। ছেলেদের জন্য মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে তিনটি ও মেয়েদের জন্য আছে দুটি হল। তবে সেগুলোতে সিটের সংখ্যা খুব কম রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ছাত্র, ছাত্রী বেড়েছে এখানে, সিট সেভাবে বাড়েনি। ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার চোখেই পড়ছে অনেক বছর ধরে, আবাসনের দারুণ অভাব।
বেশিরভাগ ছাত্র, ছাত্রীই সন্তোষ, কাগমারি, পাল পাড়া, বেবিটেক্সি স্ট্যান্ড, শান্তিকুঞ্জ মোড় ও শহরে মেস এবং বাসা ভাড়া নিয়ে কয়েকজন মিলে থাকছেন বিশ্ববিদ্যালয় চালু হওয়ার পর থেকে। এই বাসাগুলোর এবং তাদের সিটগুলোর ভাড়া অনেক বেশি। এক কথায় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, ছাত্রীদের সরকারী ফিতে হলে থাকা হয় না, সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও। এমন নয় যে তাদের জায়গার অভাব আছে বা সরকারের বরাদ্দ আনা যায় না। বেশি টাকা খরচ করে থাকতে গিয়ে, খেতে হচ্ছে বলে তারা মা-বাবার গালাগাল শোনেন, খারাপ পরিবেশে থাকেন। লেখাপড়ার মান ভালো হয় না। ভবিষ্যত অন্ধকার থাকে। খরচ মেটাতে গিয়ে অনেকে টিউশনি করেন বলে পড়ালেখার মান ভালো হয় না। তাদের এখানে টিউশনি তেমন নেই, কম টাকা পান। কিন্ত চলতে তো হবে?
কদিন আগেই ভর্তি হলেন ২০২০-’২১ শিক্ষাবর্ষের নতুন ছাত্র, ছাত্রীরা। এই দিনই তাদের অভিভাবকরা জেনে গিয়েছেন, এখানে বিশ্ববিদালয় থাকলেও আবাসনের তীব্র অভাব আছে। শায়লা খানম নামের একজন ছাত্রীর সঙ্গে আসা অভিভাবক বলেছেন, ‘আমরা এই ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট হয়েছি। তবে মেয়েকে বাইরে রাখতে হলে এই পরিবেশের কী দাম? হোস্টেলে বা মেসে থাকলে সে কী খাবে? কীভাবে থাকবে? লেখাপড়ার পরিবেশ পাবে? ভালো ফলাফল ও মানুষ হয়ে বেরুতে পারবে?’
এই বিষয়ে অনেক সিনিয়র ও জুনিয়র ছাত্র, ছাত্রীর সঙ্গে আলাপ করেছেন এই প্রতিবেদক রাসেল চৌধুরী। তারা বলেছেন, ‘আমাদের অনেকের পরিবার খুব গরিব। ফলে দ্রুত আমাদের জন্য হলের ব্যবস্থা করতে হবে।’ প্রথম বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ মামুন জানিয়েছেন, ‘আমরা এখানে নতুন পরিবেশে ভর্তি হয়েছি, চারপাশের অপরিচিতদের ভালোভাবে চিনিও না। আমাদের কারো কোনো আত্মীয়, পরিজন এখানে থাকেন না। টাঙ্গাইলে টিউশনি বা অন্য কোনো কাজের সুযোগ ছাত্র, ছাত্রীদের জন্য নেই। যারা টিউশনি করেন অনেকটা জোর করে নেন। ফলে বাসা থেকে আমাকে মাসে, মাসে এতগুলো টাকা কীভাবে দেবেন এই দু:শ্চিন্তায় পড়ালেখায় মন বসে না। দ্রুত হলে সিট পেলে ভালোভাবে পড়ালেখা করতে পারবো। কী করবো বুঝতেও পারছি না।’
তার ঠিক চার বছরের সিনিয়র প্রান্ত রায়। চতুথ বর্ষের এই ছাত্রটি বলেছেন, ‘আমি তো এখনো হলে উঠতে পারিনি। ওরা কীভাবে পারবে? প্রতিটি মাসে ছয় থেকে সাত হাজার টাকা করে প্রথম বর্ষ থেকে দিয়ে চলেছি থাকা ও খাওয়ার জন্য। এত টাকা যোগাড় করতে খুব কষ্ট হয়।’ তিনি জানলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এখানেও হলে থাকতে মাসে ১৫শ টাকা লাগে। হলে থাকতে ও দুই বেলা-দুপুর এবং রাতের খাবার খেতে তাদের খরচ সামান্য হয়। তিনি বলেছেন, হলে প্রতিদিনের খাবার খরচ ৫০ টাকা। ফলে গড়ে ৫ হাজার টাকা বাঁচবে সিট পেলে। এই আশায় তিনি এখনো পড়ালেখা প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও সিটের জন্য হণ্যে হয়ে ঘুরছেন।
তাদের সবার খুব মন খারাপ হয়, পরিবারের হাল ধরতে এগিয়ে না এসে বা সামান্য টাকা মা-বাবার হাতে তুলে দিতে না পেরে টাকা চেয়ে আনতে হয়। টাকার জন্য মা, বাবার সঙ্গে ঝগড়া করতে হয়। এই সমস্যাগুলো জানার পরেও শিক্ষকরা কেন সমাধানে নামছেন না? মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সিমন মিয়া বলেছেন, ‘এখনো আমরা প্রথম বর্ষে আবেদনের পর এখনো তিন বছরে সিট পাইনি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী সুবিধার ছিঁটেফোটাও লাভ করতে পারি না। আমার মতো এমন শত, শত ছাত্র, ছাত্রী আছেন। শিক্ষকরা আমাদের মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে বলেন। কীভাবে উঠবো? আমরা আবাসন সমস্যার সমাধান অনেক বছর ধরে চেয়ে আসছি। কিন্তু হচ্ছে না। কেন?’
শিক্ষকরা জানিয়েছেন, একটি ভর্তি হওয়া সেশনের ছাত্র-ছাত্রীরা পাশ করে না যাওয়া পর্যন্ত মানে অন্তত পাঁচ বছর আগে আবাসনের সংকট কাটাতে পারবেন না। এই বিষয়ে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট এবং হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন, ‘আসলে আমাদের হলগুলোর সবগুলো মিলিয়ে পর্যাপ্ত আবাসনের ব্যবস্থা নেই। সিট নেই বলে ছেলে, মেয়েরা হলে থাকতে পারে না। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ আমরা সব অধ্যাপকরা হলের সংকট কাটানোর জন্য কাজ করে চলেছি। আগামী পাঁচ থেকে সাত বছর পর মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোনো সিটের সংকট থাকবে না। সব ছাত্র, ছাত্রী হলে সিট পাবে। তাতে নতুন ছাত্র, ছাত্রীরা র‌্যাগিংয়ের শিকার হবে না। কোনো অপসংস্কৃতির চচাও থাকবে না।’ তিনি আরো জানালেন, ‘হলে থাকার ব্যবস্থা করতে পারলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। রোধ করতে পারবে।’
অধ্যাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলামের কাছ থেকে জানা গেল, হলে থাকতে না পেরে ছাত্র, ছাত্রীরা অপসংস্কৃতির শিকার হচ্ছেন। তাদের মধ্যে বাজে র‌্যাগিংয়ের চর্চা চলছে। মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন তৈরি হচ্ছে শেখ রাসেল হল। এই হলের প্রভোষ্ট হিসেবে এর মধ্যে দায়িত্ব পেয়েছেন ক্রিমিনোলজি ও পুলিশ সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ইশতিয়াক আহমেদ তালুকদার। স্যার বলেছেন, ‘আগামী মাসের শেষ দিন মানে ৩০ মে, ২০২২ তারিখে আমাদের হলটির কাজ শেষ হবে। ফলে অন্তত ছয়শ ছেলে থাকতে পারবে। তাতেও আমাদের আবাসন সমস্যার কিছুটা লাঘব হবে। তাদের জীবনগুলো বদলে যাবে।’ তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা নবাগতদের এবং জুনিয়রদের আবাসনের ব্যবস্থা এখানে করব। তারাও যেন সিট পায়, সেটি আমি গুরুত্ব দিয়ে দেখবো। অন্তত ৩০ জনকে আবাসনের সুবিধায় এনে আমি হলের কাজ শুরু করবো।’
আরেকটি হল তৈরি হচ্ছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল। এই প্রতিবেদক হলটি ঘুরে দেখেছেন। পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় হল হচ্ছে এটি। হলটিও এই বছরের মাঝামাঝিতে তৈরি হয়ে যাবে, জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তারা বলেছেন, এখানে অন্তত ১ হাজার ছাত্রীর থাকার ব্যবস্থা হবে। ফলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসিক সংকটের অনেকটা দূর হবে।
নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক সংকট নিয়ে ছাত্র ও সাংবাদিক রাসেল চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেছেন ভিসি স্যার। অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন বলেছেন, ‘২০২২ সালের জুনের মধ্যে আমাদের শেখ রাসেল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের কাজ আমি শেষ করব বলে কাজ করছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থান সংকটও আছে। তারপরও আমি আরো দুটি হল তৈরি করতে কাজ করবো।’ তারা জানিয়েছেন, ‘এর ফলে আগামী এক কী দুই বছরের মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক সংকটের তীব্রতা কাটবে, ভালোভাবে থাকতে পারবে ছাত্র, ছাত্রীরা। তারা থাকলে শিক্ষকদেরও থাকার ব্যবস্থা হবে প্রভোস্ট, হাউজ টিউটর হিসেবে। তখন ছাত্র, ছাত্রীদের প্রায় সবাইকে আবাসনের সুবিধা প্রদান করা যাবে। প্রশাসন কাজ করে চলেছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টির পরিবেশ, ছাত্রছাত্রীদের জীবনের মান বাড়বে। তাদের কম দামে ভালো খাবারের ব্যবস্থাও করতে পারবেন শিক্ষকরা। তাদের পড়ালেখা ও ফলাফল অনেক ভালো হবে।’
ওএস।

Header Ad
Header Ad

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

নকশাবহির্ভূত রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এতে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় কিছু আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের অভ্যন্তরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদিত নকশায় না থাকলেও বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ (রেস্টুরেন্ট) পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ভবনের ছাদে অবৈধভাবে রুফটপ রেস্তোরাঁ পরিচালিত হচ্ছে, যা জনজীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ পরিচালনা করায় এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও সম্পদহানির ঘটনা ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে অনেক অবৈধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনৈতিক উপায়ে করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে।

ডিএসসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্পদ ও জানমালের ঝুঁকি এড়াতে নকশাবহির্ভূত সব রেস্তোরাঁ এবং ভবনের ছাদে স্থাপিত রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল ঘোষণা করা হলো। বাতিল করা লাইসেন্স দিয়ে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘যেসব রেস্তোরাঁ সঠিক তথ্য না দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। তবে ভবনের অনুমোদন কিন্তু বাতিল করা হয়নি। ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সশরীর উপস্থিত হয়ে আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত দিলে সেগুলো সচল করা হবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি রেস্তোরাঁকে আলাদা করে চিঠি পাঠাব।’

ডিএসসিসির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। তিনি বলেন, কোনো প্রকার আলোচনা না করেই ডিএসসিসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের ওপর জুলুম চলছে। ব্যবসাগুলো এক দিনে গড়ে ওঠেনি। রাজউকের পাস করা ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ নেই বললেই চলে। বিগত সরকারের সময় এই জটিলতা নিরসনে একটা টাস্কফোর্স করা হয়েছিল। সেই টাস্কফোর্সের দুটি বৈঠক হয়েছিল। তারপর তো সরকার বদল হয়ে গেল।

ইমরান হাসান বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে এখন যদি ডিএসসিসি অভিযানে নামে, তাহলে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতি হলে আমাদের রেস্তোরাঁ বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’

গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর রেস্তোরাঁর অনুমোদন ও অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি সামনে আসে। ওই ভবনে আটটি রেস্তোরাঁ ছিল, তবে ভবনটিতে রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠার কোনো অনুমোদন ছিল না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চার বছর আগে দেশের রেস্তোরাঁ খাত নিয়ে একটি জরিপ করে। সেই জরিপের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে মোট হোটেল ও রেস্তোরাঁ ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৪টি, যা ২০০৯-১০ অর্থবছরের চেয়ে ৫৮ শতাংশ বেশি। সরকারি সংস্থার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮৫২টি। বাকি সব ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন।

রেস্তোরাঁ ব্যবসা করতে চাইলে একজন বিনিয়োগকারীকে সরকারের সাতটি সংস্থার অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিতে হয়। রেস্তোরাঁর জন্য প্রথমে নিবন্ধন ও পরে লাইসেন্স নিতে হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ২০২৪ সালের মার্চ মাসের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের সব সংস্থার প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিয়ে ঢাকায় রেস্তোরাঁ ব্যবসা করছে মাত্র ১৩৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে ১২৮টি রেস্তোরাঁ।

Header Ad
Header Ad

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বান। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ ও জনগণের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব কমিয়ে এনে মানুষের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “স্বৈরাচারী শাসনের অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জনরোষের মুখে পড়েছেন।” পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে নিজেদের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের পরামর্শ দেন তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ সদস্যদের আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো

নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। ছবি: সংগৃহীত

বারবার নিলাম ডেকেও এস আলম গ্রুপের বন্ধকী সম্পত্তির কোনো ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছে না দেশের ব্যাংকগুলো। ফলে ঋণ আদায়ে এখন বাধ্য হয়ে অর্থ ঋণ আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছে তারা। এতে পুরো প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত ও জটিল হয়ে পড়েছে।

চট্টগ্রামভিত্তিক এই শিল্পগোষ্ঠী ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, জনতা ব্যাংক ১০,৭০০ কোটি টাকার বিপরীতে ছয়বার নিলাম ডেকেও কোনো সাড়া পায়নি। একইভাবে ইসলামী ব্যাংকও সাত দফা নিলাম আয়োজন করেও ব্যর্থ হয়েছে, যার মধ্যে আইডিয়াল ফ্লাওয়ার মিলসের ১,১০০ কোটি টাকার ঋণ সংক্রান্ত নিলামও অন্তর্ভুক্ত।

সাম্প্রতিক সময়ে এস আলম গ্রুপের একাধিক স্টিল মিল, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জমি নিলামে তোলা হলেও দরপত্র জমা পড়েনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আইনি প্রক্রিয়া পূরণের জন্যই তারা এসব নিলাম ডাকছেন, যদিও আগ্রহী ক্রেতার দেখা মিলছে না। অনেকেই এই বিষয়টিকে ভয় পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন তারা।

অভিযোগ রয়েছে, এস আলম গ্রুপ সরাসরি ও পরোক্ষভাবে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যার বড় একটি অংশ বিদেশে পাচার হয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে গ্রুপটির নিয়ন্ত্রণ জব্দ করে।

বর্তমানে এস আলম গ্রুপের ওপর কেন্দ্রীয়ভাবে তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে ১৪ সদস্যের বিশেষ লিগ্যাল টিম। একই সঙ্গে তাদের জব্দকৃত শেয়ার বিক্রির জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল
দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি
ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন,পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি পাকিস্তানের
কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত মার্ক কার্নি
নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য