মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

আর বাজবে না তার ড্রাম...

বিশ্বকে বদলে দেওয়া, সর্বকালের সেরাদের অন্যতম ড্রামার টেইলর হকিন্স আর নেই। তিনি মার্কিন রক ব্যান্ড দি ফো ফাইটার্সের ড্রামার ছিলেন। খুব ভালো গাইতেন। তার জীবনের গল্প...

টেইলর হকিন্সের পুরো নাম অলিভার টেইলর হকিন্স। ১৯৭২ সালে জন্মেছেন আমেরিকার টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ফোর্ট ওর্থে। বেড়ে উঠেছেন ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লাগুনা বিচে। ক্যালিফোনিয়ার অরেঞ্জ কাউন্টির একটি ছোট্ট শহরে, সাগরের ধারে। ছোটবেলায় দক্ষিণ ক্যালিফোনিয়ান একটি ছোট ব্যান্ড সিলভিয়াতে গান ও বাজানো শুরু করেন। এরপর ড্রামারের বিখ্যাত ক্যারিয়ারটি শুরু করেন। প্রথম কাজ করেছেন কানাডিয়ান গায়ক স্যাস জর্ডানের ড্রামার হিসেবে। তারপর চলে আসেন ‘দি এলানেস মোরিস্যাট’ ব্যান্ড দলে। ১৯৯০’র দশকের মাঝামাঝিতে গিয়ে টানা দুটি বছর ড্রামার হিসেবে বাজালেন, গাইলেন টেইলর হকিন্স। তারপর ‘দি ফো ফাইটাস’-এ।

তার ড্রাম বাজানোর ভালোবাসা তৈরি হয়েছে ও অনুকরণ করতেন ছোটবেলায় জেইন’স অ্যাডিকশন নামের মার্কিন রক ব্যান্ডের ড্রামার স্টিফেন পারকিনসকে। তিনি এখনো বেঁচে আছেন। গুরুর কথা বলেছেন টেইলর হকিন্স এভাবে-‘আমার ড্রামগুলো তার মতো করে বসাতাম। পুরো কাজকর্মের সবই তার মতো ছিল। এখনো তার অনুকরণ সেভাবে করি। নিজের স্টাইল আমার বাজানো ও গানে আছে। তবে তার মতো করে শব্দ বানাই না। আমি আমার মতো করে শব্দ করি। তবে আমার জন্য তিনি বিরাট বড় একজন অনুপ্রেরণা।’

২০১৯ সালে এপিকে হকিন্স বলেছেন, তার ড্রামিং জীবনের শুরু দিকে আরো অনুপ্রেরণা ছিলেন ‘দি পুলিশ’ ব্যান্ডের ড্রামার স্টুয়ার্ট কোপল্যান্ড, ‘কুইন’র রজার টেইলর ও ফিলিপ কলিন্স। ফিলিপ কলিন্স ‘দি জেনেসিস’ ব্যান্ডের ড্রামার। তার সম্পর্কে বলেছেন, ‘তিনি আমার সবসময়ের প্রিয় ড্রামারদের একজন। আপনি জানেন, তিনি যে একজন বিখ্যাত ড্রমার ছিলেন লোকেরা তা ভুলে গিয়েছে এবং সেই সঙ্গে এও ভুলেছে, সোয়েটার পরা একজন ভালো মানুষ ছিলেন।’

১৯৯৭ সালে তিনি চলে এলেন মার্কিন রক ব্যান্ড ‘দি ফো ফাইটার্স’-এ। ১৯৯৪ সালে দলটি প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠাতা ডেইভ গ্রোল। এর আগে মার্কিন ব্যান্ডদল নির্ভানাতে, ড্রামার ছিলেন। তিনি একজন বিশ্বখ্যাত গায়ক, নিজের প্রজন্মের সেরা ড্রামারদের অন্যতম। তার নির্ভানা দলের প্রধান ও লিড সিঙ্গার কার্ট কোবেনের আত্মহত্যার পর দলটি ভেঙে গেল। এরপর নতুন দল ‘দি ফো ফাইটার্স’ গড়ে তোলেন। তিনি প্রধান ভোকালদের, গিটারবাদককে তার নতুন দলে নিয়ে নিলেন। তিন বছর পর ১৯৯৭ সালে হকিন্স যোগ দিলেন।

তার ও গ্রলের একটি শোতে শোর পেছনের অংশে আলাপ। গ্রলের নতুন ব্যান্ড দলটি তখন কদিনের মধ্যে একটি নতুন কাজ শুরু করবে। তাদের ড্রামার উইলিয়াম গোল্ডস্মিথ দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তাকে দলে আসতে অনুরোধ করলেন প্রধান। এর আগে থেকেই হকিন্স ফো ফাইটার্সের খুব ভক্ত। দ্রুতই এই প্রস্তাব গ্রহণ করলেন। ‘দি এলানেস মোরিস্যাট’ ব্যান্ড দল থেকে ট্যুরগুলোর ড্রামার হিসেবে দলে আসলেন।

তিনি ১৯৯৭ সালে ‘দি কালার অ্যান্ড দি শেপ’ নামের অ্যালবামটি তৈরি করার কদিন পরে যোগ দিলেন। তাদের আলাপ সম্পর্কে টেইলর হকিন্স বলেছেন, ‘এই কথা বলতে আমার ভয় লাগছে না যে, আমাদের দুজনকে বদলে দেওয়া সেই প্রথম সাক্ষাৎটি প্রথম দর্শনে ভালোবাসার মতো ছিল। আমরা গানের ও সুরের জোড়া যারা এখনো জ্বলে চলছে।’ তার সম্পর্কে নিজের ‘দি স্টেরিটেলার’ বইতে গ্রল লিখেছেন, ‘এরপর থেকে আমরা থামানো যায় না একটি জোড়াতে পরিণত হয়ে গেলাম। যেকোনো ধরণের সাধনা ও অভিযানে আমরা নিজেদের খুঁজে পাই।’

১৯৯৭ সালে এসে টেইলর হকিন্স দলের সবচেয়ে বিখ্যাত গান ‘এভারলং’র ভিডিওতে কাজ করলেন। তবে গানটি রিলিজের সময়ও দলে যোগদানের জন্য অপেক্ষা করছেন। আরো কিছু কাজ বাকি। এরপর থেকে টানা দুটি দশক তিনি তাদের সঙ্গে বাজিয়ে চলেছেন। এখানে তিনি তার ভীতিকর ও চমকপ্রদ কাজ করেছেন। এমন একটি দলের ড্রামার ছিলেন, যেটি রক ব্যান্ডের ইতিহাসে সর্বকালের সবচেয়ে ভালো ড্রামারদের তৈরি একটি দল। তারা সবচেয়ে ভালো বাজানো মানুষদের অন্যতম। তিনি বলেছেন, ‘প্রথমে আমি সামান্য ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তবে সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছি।’

২০১৪ সালে অ্যান্ডারসন কুপারের সঙ্গে ৬০ মিনিট নামের একটি সাক্ষাৎকারে গ্রল বলেছেন তার ব্যান্ডে হকিন্সের প্রভাব নিয়ে, ‘আপনার দলে যখন টেইলর হকিন্সের মতো একজন ড্রামার থাকবেন, আমরা কেউই কোনো অপরিহার্য কারণ বাদে তাকে হারাবো না। কেননা আমার দলে আছেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ড্রামার। সে আমার চেয়েও টেকনিক্যালি উন্নত মানসিকতার।’ সেই একই সাক্ষাৎকারে টেইলর বলেছেন এই ব্যান্ডে তাকে জায়গা করে নিতে তার কিছু সময় লেগেছে। তবে দলের প্রধান ও বিখ্যাত ড্রামার তার জন্য জায়গাটিকে কোনোদিনও কঠিন করে তোলেননি।

তিনি তার সুরে প্রথম ভালোবাসা ব্রিটিশ ব্যান্ড দি কুইনের প্রতি আবেগের কথাও জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘আমি রজার টেইলর হতে চেয়েছিলাম ও যেতে চেয়েছিলাম কুইনে। তাদের একজন হতে চেয়েছি আমি টেইলর হকিন্স।’ নিজের সম্পর্কে বলেছেন, ‘১০ বছর বয়স থেকে আমি স্টেডিয়ামগুলোতে ড্রাম বাজাচ্ছি।’

তাদের ব্যান্ডদল দি ফো ফাইটাস রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেমে ২০২১ সালে জায়গা পেয়েছে। আগের বছর তাদের নির্বাচিত হবার যোগ্যতা অর্জন করতে হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘যেকোনো সময়ে বা মূহূর্তে, যেকোনো ক্ষণে আপনি কোনোকিছু যোগ করতে গিয়ে নার্ভাস হয়ে যেতে পারেন। তবে কেউই ডেইভ গ্রলের চেয়ে ভালো বাজাতে পারেন না। এই দর্শনটি তার নিজের হাতের মধ্যে আছে।’ দুজন একত্রে কাজ করেছেন তাদের ব্যান্ডের কনসার্টগুলো। তখন হকিন্স ভোকাল হিসেবে ব্যান্ডে গেয়েছেন। ভক্তরা তার মৃত্যুর খবর প্রদানের সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে কুইনের ‘সামবডি টু লাভ’ গানটি গাইছেন-ভিডিও ক্লিপ সংযুক্ত করেছেন।

তিনি রোগাক্রান্ত ছিলেন। ২০০১ সালে লন্ডন সফরের সময়ে টেইলর হকিন্স হেরোইন মাত্রাতিরিক্ত খেয়ে দুটি সপ্তাহ কোমাতে ছিলেন। এই নিয়ে ২০১৮ সালে বলেছেন, ‘আমার জীবনকে পরিবতন করে দেওয়া একটি আসল মূহুর্ত ছিল।’ তার মৃত্যুতে কলম্বিয়ার মার্কিন দূতাবাস শোক প্রকাশ করেছে। তাদের আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছেন এই ড্রামারের পরিবার, বন্ধু ও ভক্তদের জন্য।

এই ব্যান্ড দলে প্রতিষ্ঠাতা ও সামনের সারির প্রথম ব্যক্তি ডেইভ গ্রলের পর ফো ফাইটার্সের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সদস্য ছিলেন তিনি। গ্রলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারগুলো প্রদান করতেন। ব্যান্ডের ভিডিওগুলোতে খুব ভালোভাবে তার কাজ ও অংশগ্রহণ আছে। দলের সম্প্রতি প্রকাশিত ভৌতিক-কৌতুকের ছবি ‘স্টুডিও ৬৬৬’-এ অংশ নিয়েছেন। তিনি তাদের ব্যান্ডের সবচেয়ে ভালো অ্যালবাম ‘ওয়ান বাই ওয়ান’, ‘অন ইউর অনার’-এ কাজ করেছেন। তার একক গানগুলোর মধ্যে আছে ‘মাই হিরো’ ও ‘বেস্ট অব ইউ’। দলে শুরু থেকে একশর বেশি কনসার্টে তার অনন্যতা, অতিমানবের মতো পারফরমেন্সগুলো দেখিয়েছেন তিনি।

তাদের লাইভ শোগুলোতে অনেকবার গ্রলকে ড্রামের পেছনে চলে যেতে দেখা গিয়েছে ও তখন নিজের প্রিয়, কুইনের অ্যালবামের শিরোনাম ‘সামবডি টু লাভ’ গানটি গেয়ে শ্রোতা, দশর্কদের মাত করেছেন টেইলর হকিন্স। চিলিতে ২০২১ সালের ১৮ মার্চ এই গানের আগে বলেছেন, ‘দি ফো ফাইটার্সের লিড সিঙ্গার হবার সবচেয়ে ভালো সুযোগটি আসে এই একটি গানে, যেটি গাই আমি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ড্রামার।’ তার গলায় গানটি বিশ্বজুড়ে নন্দিত হয়েছে।

তিনি সহ-প্রকল্প হিসেবে ‘হকিন্স অ্যান্ড দি কোয়াটাইল রাইডাস’-এ কাজ করেছেন। এই ব্যান্ডে ২০০৬ সালে তারা ‘গেট দি মানি’ নামের একটি অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন।
দলের প্রধান গ্রল তার ‘দি স্টেরিটেলার’ নামের বইতে হকিন্সকে আরেক মায়ের ঘরে জন্ম নেওয়া তার ‘ভাই’ বলে উল্লেখ করেছেন। আরো লিখেছেন, ‘আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু, সে এমন একজন মানুষ যার জন্য আমি বুলেট খেতে রাজি।’ তার মৃত্যুর পর দলের প্রধান জানিয়েছেন, ‘আমার একজন প্রিয় শয্যাসঙ্গীর মৃত্যুর হলো।’

তার স্ত্রী অ্যালিসন ও তিনটি সন্তান বেঁচে আছে। তিনি ২০০৫ সালে বিয়ে করেছেন। তাদের কিশোর সন্তানেরা বেঁচে আছে। তাদের নাম হলো অলিভারে শেইন হকিন্স, এভারলি হকিন্স ও এনাবেল হকিন্স। তারা ক্যালিফোর্নিার হিডেন হিলসে বাস করতেন।

তিনি ২০০৫ সালে তার দীর্ঘদিনের এই বান্ধবীকে বিয়ে করেন। স্ত্রী তার ব্যক্তিগত জীবনে কেবল বিরাট ভূমিকা পালন করেননি, তাকে একজন রক স্টার হিসেবে বিকশিত হতে অবদান রেখেছেন। তবে একটি সাক্ষাৎকারে এই গায়ক হিসেবে নাম কামানো তারকা ড্রামার বলেছেন, কোনোদিন বিয়ে করবেন বলে ভাবেননি তিনি এবং মোটে ২৫ বছর বয়সেই তার সন্তান থাকবে কল্পনাতে ছিল না। অলিভার তাদের ছেলে, বাকিরা মেয়ে। একটি বড় শহরের ধারের বাড়িতে বাবা ও স্বামী হিসেবে তার জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি তার ‘গেট দি মানি’ নামের অ্যালবামটি প্রকাশ করেছেন। একটি গান আছে ‘মিডল চাইল্ড’। এটি বাবা মেয়ে অ্যানাবেলের জন্য লিখেছেন। প্রথমে তিনি তার বড় সন্তানের জন্য লিখতে চেয়েছেন, তবে তার জন্য গানের ঠিক লাইনগুলো খুঁজে পাননি তখন।

Header Ad
Header Ad

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

নকশাবহির্ভূত রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এতে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় কিছু আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের অভ্যন্তরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদিত নকশায় না থাকলেও বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ (রেস্টুরেন্ট) পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ভবনের ছাদে অবৈধভাবে রুফটপ রেস্তোরাঁ পরিচালিত হচ্ছে, যা জনজীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ পরিচালনা করায় এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও সম্পদহানির ঘটনা ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে অনেক অবৈধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনৈতিক উপায়ে করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে।

ডিএসসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্পদ ও জানমালের ঝুঁকি এড়াতে নকশাবহির্ভূত সব রেস্তোরাঁ এবং ভবনের ছাদে স্থাপিত রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল ঘোষণা করা হলো। বাতিল করা লাইসেন্স দিয়ে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘যেসব রেস্তোরাঁ সঠিক তথ্য না দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। তবে ভবনের অনুমোদন কিন্তু বাতিল করা হয়নি। ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সশরীর উপস্থিত হয়ে আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত দিলে সেগুলো সচল করা হবে।’

বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি। ছবি: সংগৃহীত

অপর এক প্রশ্নের জবাবে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি রেস্তোরাঁকে আলাদা করে চিঠি পাঠাব।’

ডিএসসিসির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। তিনি বলেন, কোনো প্রকার আলোচনা না করেই ডিএসসিসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের ওপর জুলুম চলছে। ব্যবসাগুলো এক দিনে গড়ে ওঠেনি। রাজউকের পাস করা ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ নেই বললেই চলে। বিগত সরকারের সময় এই জটিলতা নিরসনে একটা টাস্কফোর্স করা হয়েছিল। সেই টাস্কফোর্সের দুটি বৈঠক হয়েছিল। তারপর তো সরকার বদল হয়ে গেল।

ইমরান হাসান বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে এখন যদি ডিএসসিসি অভিযানে নামে, তাহলে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতি হলে আমাদের রেস্তোরাঁ বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’

গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর রেস্তোরাঁর অনুমোদন ও অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি সামনে আসে। ওই ভবনে আটটি রেস্তোরাঁ ছিল, তবে ভবনটিতে রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠার কোনো অনুমোদন ছিল না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চার বছর আগে দেশের রেস্তোরাঁ খাত নিয়ে একটি জরিপ করে। সেই জরিপের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে মোট হোটেল ও রেস্তোরাঁ ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৪টি, যা ২০০৯-১০ অর্থবছরের চেয়ে ৫৮ শতাংশ বেশি। সরকারি সংস্থার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮৫২টি। বাকি সব ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন।

রেস্তোরাঁ ব্যবসা করতে চাইলে একজন বিনিয়োগকারীকে সরকারের সাতটি সংস্থার অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিতে হয়। রেস্তোরাঁর জন্য প্রথমে নিবন্ধন ও পরে লাইসেন্স নিতে হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ২০২৪ সালের মার্চ মাসের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের সব সংস্থার প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিয়ে ঢাকায় রেস্তোরাঁ ব্যবসা করছে মাত্র ১৩৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে ১২৮টি রেস্তোরাঁ।

Header Ad
Header Ad

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বান। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ ও জনগণের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব কমিয়ে এনে মানুষের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “স্বৈরাচারী শাসনের অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জনরোষের মুখে পড়েছেন।” পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে নিজেদের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের পরামর্শ দেন তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ সদস্যদের আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো

নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। ছবি: সংগৃহীত

বারবার নিলাম ডেকেও এস আলম গ্রুপের বন্ধকী সম্পত্তির কোনো ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছে না দেশের ব্যাংকগুলো। ফলে ঋণ আদায়ে এখন বাধ্য হয়ে অর্থ ঋণ আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছে তারা। এতে পুরো প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত ও জটিল হয়ে পড়েছে।

চট্টগ্রামভিত্তিক এই শিল্পগোষ্ঠী ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, জনতা ব্যাংক ১০,৭০০ কোটি টাকার বিপরীতে ছয়বার নিলাম ডেকেও কোনো সাড়া পায়নি। একইভাবে ইসলামী ব্যাংকও সাত দফা নিলাম আয়োজন করেও ব্যর্থ হয়েছে, যার মধ্যে আইডিয়াল ফ্লাওয়ার মিলসের ১,১০০ কোটি টাকার ঋণ সংক্রান্ত নিলামও অন্তর্ভুক্ত।

সাম্প্রতিক সময়ে এস আলম গ্রুপের একাধিক স্টিল মিল, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জমি নিলামে তোলা হলেও দরপত্র জমা পড়েনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আইনি প্রক্রিয়া পূরণের জন্যই তারা এসব নিলাম ডাকছেন, যদিও আগ্রহী ক্রেতার দেখা মিলছে না। অনেকেই এই বিষয়টিকে ভয় পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন তারা।

অভিযোগ রয়েছে, এস আলম গ্রুপ সরাসরি ও পরোক্ষভাবে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যার বড় একটি অংশ বিদেশে পাচার হয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে গ্রুপটির নিয়ন্ত্রণ জব্দ করে।

বর্তমানে এস আলম গ্রুপের ওপর কেন্দ্রীয়ভাবে তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে ১৪ সদস্যের বিশেষ লিগ্যাল টিম। একই সঙ্গে তাদের জব্দকৃত শেয়ার বিক্রির জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল
দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি
ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন,পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি পাকিস্তানের
কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত মার্ক কার্নি
নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য