রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সত্যিকারের কন্ঠ

ভাষাটির নামের অর্থ হলো এই-সত্যিকারের কন্ঠ। যে ভাষায় কথা বলতে পারেন মোটে দুজন মানুষ। তারা পরস্পরের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিলেন। ফলে ভাষাটির চর্চা আর হবে না বলে ভয়ে মোবাইলের বিজ্ঞাপনে তাদের নিয়ে আসা হলো। এরপর হলো অভিধান। তারা সরকারিভাবে ভাষাটি শেখালেন। কিভাবে ‘আইয়াপা’ ভাষাকে মেক্সিকোতে বাঁচিয়ে রাখা হলো সে গল্প


তাদের ভাষাটি ১ হাজার বছরের পুরোনো। ভাষাটিতে অনর্গল কথা বলতে পারেন, সবকিছু বুঝতে ও বোঝাতে পারেন এমন মানুষ বিশ্বে তারা দুজন। একজনের বয়স এখন ৮৬, নাম তার মানুয়েল সেগোভিয়া। অন্যজনের নাম ইসিগ্রো বেলাফকেফ। তার বয়স হলো ৮০। দুজনেই ‘আরিয়াপা’ নামের একটি নীচু অঞ্চলের গ্রামটির বয়স্ক নাগরিক। মেক্সিকোর দক্ষিণের তাবাসকো অঙ্গরাজ্যে তাদের এই জন্মস্থান। তাদের ভাষাটিকে বলা হয় সংক্ষেপে ‘আইয়াপা’, তারা ‘আইয়াপানেকো’ জাতি। এই ভাষা থেকে তাদের আদিবাসী জনগোষ্ঠীটির জন্ম। ভাষাটি মেক্সিকোতে আছে। এই দুজনের মাধ্যমেই বেঁচেছে। ভাষাটি নিয়ে সামান্যতম আগ্রহও নেই দেখে, ভাষাবিজ্ঞানীরা এক দশক ধরে কাজ করেছেন ভাষায় একটি অভিধান তৈরিতে। সেই কাজের শুরু ১৯৯৮ সালে। ২০০৮ সালে মেক্সিকো সরকার অনন্য উদ্যোগ নিলেন ইসিগ্রো বেলাফকেফকে বেতন দেওয়া শুরু করে। আইয়াপানেকোর শিশুদের তিনি ভাষাটি শেখানো শুরু করলেন। তার ছেলে ও চারজন শিশুকে ভাষাটি শেখাতে লাগলেন। তারপরও ২০১৪ সাল পর্যন্ত আর কোনো ভাষাভাষী ছিল না, কেউ ভালোভাবে কথা বলতে পারতেন না। এর আগে স্প্যানিশদের উপনিবেশ ছিলেন তারা, তাদের ভাষাও। শুরু থেকে একের পর এক যুদ্ধ, বিপ্লব, দুর্ভিক্ষ ও বন্যায় আক্রান্ত হয়ে একে, একে মারা গিয়েছেন তাদের মানুষরা। অনেকে ভাষা ও দেশ বদল করেছেন। ফলে দুই মানুষের কথা বলার ভাষাটি অন্য আরো অনেক আদিবাসী ভাষার মতো হারিয়ে যেতে চলেছে। তবে তারা একে, অন্যের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করেছেন ও কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন সবাইকে চমকে গিয়ে।

এই দুজন মানুষকে নিয়ে তো উত্তেজনার অভাব নেই। তাদের মধ্যে বিবাদ কি নিয়ে হয়েছে, সেটি ভালোভাবে কেউ জানেন না। একটি প্রাচীন ভাষার কেন দুজন বন্ধু কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন, সেটি ভাষাতাত্বিক অধ্যাপকদের হতাশ করে দিয়েছে। তাদের সামান্য কথা বলায় রাজি করতে পারেননি তাদের কেউ। ২০১৪ সালে সংবাদমাধ্যমগুলো আইয়াপেনেকো ভাষা ও এই আদিবাসী গোষ্ঠীর বেদনাবিধুর গল্পটি প্রকাশ করতে শুরু করেছে। একটি অত্যন্ত বিপন্ন ভাষা, আছে সে তাবাসকো নামের মেক্সিকোর একটি অঙ্গরাজ্যে, তাদের আদি বাসস্থান আইয়াপেনেকো গ্রামে, তারা ভুলে যাওয়া কিছু বিবাদের ফলে একে অন্যের সঙ্গে আলাপ করা বা কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন। ভাষাটিকে নিয়ে কাজ করতে ও একে শেষ দুজন মানুষের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখতে অনেক ভাষাবিজ্ঞানী ছুটে গিয়েছেন আদিবাসী এই পুরুষদের কাছে। একজন হলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাতাত্বিক নৃতত্ববিদ ড্যানিয়েল সাসলাক। তিনি তাদের আইয়াপানেকো ভাষার একটি ডিকশনারি তৈরি করতে দুজনের সঙ্গে অনেক কাজ করেছেন। বলেছেন, ‘তাদের দুজনের মধ্যে অনেক মৌলিক মিল নেই। সেগোভিয়ার আমার মনে হয়েছে, সামান্য খোঁচানোর স্বভাব আছে আর বেলাফোকের হলেন সুখ, দু:খ যেকোনোকিছুতেই উদাসীন একজন ব্যক্তি। তিনি খুব কমই বাড়ি থেকে বেরুতে ভালোবাসেন। একেবারে ঘরকুনো স্বভাবের মানুষ। তাকেই খোঁচান সেগোভিয়া।’

তাদের এই গ্রন্থাভিধানটি দুজনের ভাষাটি চলে যাবার আগেই ধরে রাখার একটি তুমুল গতিশীল প্রকল্প। প্রকল্পের প্রধানকে দুই মানুষ কথা বলেছেন তাদের ভাষা নিয়ে। সেগোভিয়া জানিয়েছেন, ‘যখন আমি একটি ছোট্ট বালক ছিলাম, সবাই আমাদের আইয়াপা ভাষায় কথা বলতেন। একটু, একটু করে আমার মাতৃভাষাটি অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে। এখন মনে হয়, আমার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে এটিও মারা যাবে।’ তবে তিনি তার ভাষার শেষ মানুষ বেলাফকেরের সঙ্গে কোনো প্রকাশ্য শত্রুতার কথা অস্বীকার করেছেন। বরং বলেছেন, আইয়াপানেকো ভাষাটিকে এক দশক আগে পর্যন্ত কথা বলে চর্চা করার অভ্যাসটি ধরে রেখেছিলেন দুজনে মিলে। এখনও তিনি ভাষাটিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন তার ছেলের সঙ্গে কথা বলে। তার ছেলের বৌ-তিনিও তাকে বুঝতে পারেন; তার সঙ্গে আদিবাসী মানুষটি তার ভাষায় কথা বলেন। তবে ছেলে ও ছেলের বৌ কথা বলে সামান্য কটির বেশি শব্দ উচ্চারণ করতে পারেন না পূর্বপুরুষের।

এই ভাষায় অনর্গল আরেকজন মাত্র বেলাফকেফ তখন আর কোনো মানুষের সঙ্গে নিজের মাতৃভাষায় নিয়মিত কথা বলতে রাজি নন। এই খবরটি প্রকাশিত হয়েছে ২০১১ সালে। এরপর থেকে তাদের নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। অথচ তারা দুজনে বাস করেন একে অন্যের থেকে ৫শ ফিট দূরের বাড়িতে। মৌখিক বিনিময় করতে কেন অস্বীকার করেছেন সেটিও ভালোভাবে জানা সম্ভব হয়নি। তবে যারা তাদের চেনেন, বলেছেন, কোনোদিনও একে অন্যের সঙ্গ পছন্দ করেননি বিশ্বের একটিমাত্র ভাষায় কথা বলা মোটে দুজন পুরুষ।

আগে থেকে তাদের ভাষা নিয়ে তো অনেকে গবেষণা করছেন। তাদের নিয়ে কাজ করা ড্যানিয়েল সাসলাক জানিয়েছেন, “আইয়াপানেকো নামের আদিবাসীদের কাছে পরিচিত ভাষাটির মাধ্যমে শত, শত বছরের দ্বীপ-আইয়াপানেকো, একটি ভাষাভিত্তিক দ্বীপ ছিল সবসময়। এই ভাষার চারপাশে এখানে ছিল শক্তিশালী আদিবাসী ভাষাগুলো। তবে আইয়াপানেকো ভাষাটির মৃত্যুর কারণ অন্যরকম। ২০ শতকের মাঝামাঝিতে প্রধান ও দখলদার ভাষা স্প্যানিশে লেখাপড়ার ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর অন্য মুখের ভাষাগুলো এই অঞ্চলের আদি মানুষদের কাছ থেকে দ্রুত হারিয়ে যেতে লাগলো। শক্তিশালী ভাষা আইয়াপানেকোর মৃত্যু খবর স্প্যানিশে শিক্ষাব্যবস্থা চালু হওয়ার পর শুরু হয়ে গেল। লিখিতভাবে তাদের আর কোনো বর্ণমালা তৈরি করা হলো না। ভাষাটিকে উন্নত করার কোনো কাজও করলেন না স্পেনের রাজা ও রাণী এবং মেক্সিকোর সরকার। তবে কয়েকটি দশক শিশুদের আদিবাসী ভাষায় কথা বলা নিষিদ্ধ করে ভাষাটিকে শেষ করে দেওয়া হলো। পরিবারগুলোতে মুখের ভাষা হিসেবে বেঁচে থাকলো আইয়াপানেকো। তবে শেষ রক্ষা হলো না। শহরায়ন ও অভিবাসনের কবলে পড়লো ভাষায়টি। এগুলোর শুরু হলো ১৯৭০’র দশকে। ফলে যে মূল মানুষগুলো গ্রামে একে অন্যের সঙ্গে কথা বলে ভাষাটিকে ধরে রেখেছিলেন, তারাও উচ্ছেদ হয়ে গেলেন। তাদের বাঁধনগুলো ভেঙে যেতে লাগলো।”

আরিয়াপা ভাষা নিয়ে কাজ করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরেকজন ভাষাতাত্বিক জনাথন রেঙ্গল বলেছেন, ‘আরিয়াপা ভাষাটি আরিয়াপানেকো এলাকার ভাষা। আছে তাবাসকো অঙ্গরাজ্যে। ৬শ বছরের পুরোনো ভাষাটি। আরো ব্যাপকভাবে বিস্তৃত ও রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী ভাষা হয়ে দাঁড়ালো পরে মায়া, আজটেক ভাষা। ফলে ধীরে ধীরে একটি আঞ্চলিক ও এলাকাভিত্তিক ভাষা হয়ে গেল। তারা এই অঞ্চলে আগে কলম্বিয়ানদের অধীনে ছিলেন। তারপর এলো স্প্যানিশ ভাষা। ফলে দুর্বলতম হয়ে গেল। এরপর মেক্সিকোতে স্প্যানিশ ভাষায় আবিশ্যিকভাবে লেখাপড়ার নিয়ম চালু হওয়ার পর তাদের ভাষাটি শতবষ আগ থেকে হারিয়ে যেতে শুরু করেছে। মেক্সিকো গ্রহণযোগ্য ভাষা হিসেবে বিদ্যালয়গুলোতে সরকারিভাবে স্প্যানিশ শেখানো শুরু করলো। তারপর তেলের খনি পাওয়া গেল বলে নতুন অধিবাসীরা আসতে শুরু করলেন আইয়াপানেকোতে। ফলে ধীরে, ধীরে আইয়াপোনেকোর স্থানীয় ভাষাটির সঙ্গে মানুষের সংযোগ আরো কমে যেতে লাগলো।’

তাদের ভাষাটিকে নিয়ে গবেষণা করতে, করতে সাসলাক বলেছেন, ‘একটি দু:খের গল্প এগুলো। তবে আপনি সত্যিই জেনে খুশি হবেন, কীভাবে একে চারপাশ থেকে উঁচুতে ধরে রাখা হয়েছিল।’ তিনি আরো জানিয়েছেন, ‘এই মেক্সিকোতে মোট ৬৮টি আদিবাসী ভাষা আছে। এই ভাষাগুলো আবার ৩শ ৬৪টি উপভাষাতে রূপান্তরিত হয়েছে। সামান্য যে কটি আদিবাসী মেক্সিকানদের ভাষা আছে, সেগুলোও হারিয়ে যাবার বিপদ মোকাবেলা করছে। তবে তাদের সবার মধ্যে সবচেয়ে বিপদে আছে আইয়াপানেকো উপজাতিদের ভাষাটি। বাইরের মানুষদের আরোপ করা তাদের এই আইয়াপানেকো নামটিও।’

এই আদিবাসী ভাষায় সবশেষ পুরোপুরি কথা বলতে পারা দুজন-মানুয়েল সেগোভিয়া ও ইসিগ্রো বেলাফকেফ জানালেন, তাদের মাতৃভাষার আসল নাম ‘নুমতে ওতে’। তার অথ হলো, ‘সত্যিকারের কন্ঠ।’ তারা এই ভাষাটির বিভিন্ন রূপান্তরে কথা বলতে পারেন, সেগুলোর বিস্তারিত আলোচনা করতে অস্বীকার করেছেন দুজনে মিলে। কেননা, তাদের সম্পক ভালো নয়। ২০১১ সালে তাদের এই ভাষার অভিধানটি বেরুনোর কথা ছিল। সেখানে তাদের মাধ্যমে ভাষাটির ভাষান্তরগুলোও থাকবে বলা হয়েছে। ‘দি আইয়াপানেকো ডিশনারি’ তৈরি করতে করতে পেরেছেন ড্যানিয়েল সাসলাক।

আরো আশার কথা, মেক্সিকোতে সরকারিভাবে ‘দি ন্যাশনাল ইনডিজেনাস ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউট’ আছে। তারাও শেষবারের মতো উদ্যোগ নিয়েছেন, দুজন শেষ ভাষাভাষীর মাধ্যমে ক্লাসগুলো নিয়ে তাদের জ্ঞানকে স্থানীয়দের মধ্যে যারা এই ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন, তাদের কাছে পৌঁছানোর। ভাষাটিকে নিয়ে এর আগের উদ্যোগগুলো অথ বরাদ্দের অভাবে ও অনুৎসাহে বিপযন্ত হয়ে গিয়েছে। তবে অভিযোগ করে সেগোভিয়া জানালেন, ‘আমি নিজে পেন্সিল ও আমার নোটবুকগুলো নিয়ে এসেছিলাম। ক্লাসগুলো লোকে লোকারণ্য আকারে শুরু হয়েছিল এবং এরপর লোকেরা আসা বন্ধ করে দিয়েছেন।’

সাসলাক বলেছেন, ‘ভাষাটি বিশেষ দিক থেকে ধনী’, সেটিকে তিনি বলেছেন, “ইঙ্গিতের দিক থেকে। তারা এগুলো পেয়েছেন তাদের চারপাশের প্রকৃতি থেকে। সেগুলো থেকে উদ্দীপ্ত হয়ে তারা এই ইঙ্গিতপূণ আচরণগুলো করতে, করতে সেগুলোকে ভাষার অপরিহায অংশ হিসেবে নিয়ে এসেছে। তাদের এই ইঙ্গিত পূণ আচরণগুলো ভাষার শব্দেও আছে, যেমন ‘কোলো-গোলো-নাই।’ এর মানে হলো, ‘টাকির মতো গরগর করে।’ টাকি হলো এক জাতের মুরগি।”

২০১৪ সাল থেকে তারা কথা বলা শুরু করেছেন। এর পেছনে আছে দারুণ একটি ব্যবসায়িক কৌশল। জামান টেলিকম বহুজাতিক ও বিরাট কম্পানি ভোডাফোনের সাহায্যে তাদের ভাষাটিকে নিরাপদ ও রক্ষা করতে দুজনের মধ্যে কথা বলার একটি বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হলো। ভোডাফোন তাদের আবার কথা বলতে রাজি করাতে পেরেছিল। ভোডাফোনের জন্য মেক্সিকোতে ও নানা দেশে বিজ্ঞাপনটি তৈরি করেছে বিজ্ঞাপন এজেন্সি ইয়ং ভন ম্যাট। তারা সিদ্ধান্ত নিলেন, দুজনের ফাটল পূরণ করে তাদের যুদ্ধটি মেটাবেন ও ভাষাটিকে বাঁচাবেন। তারা একে, অন্যের সঙ্গে মোবাইলে আলাপ করছেন এই বিজ্ঞাপন প্রচারণা চালিয়েছে মোবাইল কম্পানিটি। এই বিশেষ প্রচারণার নাম দিয়েছিলেন তারা ‘ভোডাফোন ফাস্টস’। বিজ্ঞাপনটি দেখানো শুরু হলো ২০১৪ সালেই। এরপর ইয়ং ভন ম্যাটের মাধ্যমে একটি প্রচারাভিযানেও পৌঁছালো শেষ ভাষাভাষী দুজনের কাজ। লোকেরা অনলাইন থেকে তাদের ভাষাটির শব্দগুলোকে নিজেদের ভাষায় গ্রহণ করতে লাগলেন, যেগুলো এখন মৃত। তাদের দুজনকে নিয়ে ভোডাফোন একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। আইয়াপেনেকো ভাষা নিয়ে তৈরি। এখন অবশ্য ইন্টারনেটে পাওয়া যায় না। আগে তাতে প্রবেশ করে দর্শনাথী ও ভাষাটি নিয়ে আগ্রহী এবং ভাষা চর্চাকারীরা ভাষাটির বিভিন্ন শব্দগুলোকে গ্রহণ ও শিখতে পারতেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যবহার করা লাইক ও শেয়ারের মতো শব্দগুলোর আইয়াপেনেকোতে উচ্চারণ জানতে ও গ্রহণ করতে পারতেন। তাতে ভিডিও ছিল। তাদের নামে একটি স্কুল গড়ে দিয়েছেন মোবাইল কম্পানি। সেখানে তারা শিশুদের নিজেদের মাতৃভাষা শেখান। তৈরি হয়েছে সরকারিভাবে বই।


ড্যানিয়েল সাসলাক কেন তারা এই বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছেন জানার জন্য দুজনের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তারা বলেছেন, আমাদের সত্যিকারের গল্পে বিজ্ঞাপন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির কোনো আগ্রহ ছিল না। বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনের জন্য তারা তাদের টাকা দিয়েছেন বলে কাজ করেছেন দুজনে। একটি বিদ্যালয় ভবনের গায়েও তাদের ছবি একে বিজ্ঞাপন করেছেন তারা।


এই ভাষাটি নিয়ে পড়ালেখা করেছেন ভাষাতাত্বিক জনাথন রেঙ্গল। তিনি এই উদ্যোগের বিপক্ষে। জানিয়েছেন, ‘ভুল বিষয়গুলোকে প্রচার করবে না এই বিজ্ঞাপনগুলো, অন্য ভাষাগুলোকে রক্ষা করার ক্ষেত্রেও কঠিন সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। বলেছেন, আপিয়াপানেকো প্রবাদগুলো তৈরি করতে লাখ, লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। এই কাজগুলো তাদের জন্য যাদের এই ভাষা বা কোনো ভাষার প্রতিই কোনো আগ্রহ নেই।’


এরপরের উদ্যোগ তাদের নিয়ে হয়েছে একটি এক রুমের শ্রেণীকক্ষ। কক্ষটি তাদের নামে রাখা ও নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে ২০১৪ সাল থেকে এই পুরোনো দুই বন্ধু তাদের প্রাচীন ভাষাটি শিশু কিশোরদের শিখিয়েছেন। তবে এত সব উদ্যোগের ফলে এখন এই ভাষাটির মোট ১৬ জন কথা বলার মতো মানুষ আছেন। এই তথ্যটি জানিয়েছেন সাসলাক ও রেঙ্গল।

তবে নিয়মিতভাবে অবশ্য কেউই ভাষাটিকে বাড়িতে ব্যবহার করতে শিখছেন না। যারা এই ভাষা শিখছেন, তারা সবাই নিরাপদে বাঁচিয়ে রাখতে চেষ্টা করছেন। শহরের অনেক তরুণকে এখন এই ভাষাটি শেখানো শুরু হয়েছে। বিভিন্ন ধরণের উৎসবে আইয়াপানোকোর ভাষাটিকে উচ্চারণ প্রতিযোগিতা হিসেবে রাখা হচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোনির্য়া অঙ্গরাজ্যের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাতাত্বিক অধ্যাপক জেমস ফক্সও বিমানে উড়ে গিয়েছেন তাবাসকো অঙ্গরাজ্যে তাদের কাছে এই ভাষার একটি অভিধান তৈরি করতে।

ভাষাটির মধ্যে অনন্য সৌন্দর্য আছে বলে জানালেন রেঙ্গল, “যেমন তাদের একটি শব্দ আছে, স্প্যানিশে উচ্চারণ করতে হয় ‘চুকেমবুনিয়ে’। মানে হলো, ‘বজ্রদেবতার বাড়িটি’। এভাবেই তারা ‘মেঘকে’ ডাকেন। খুব কাব্যিকভাবে।”

(ইন্টারনেট থেকে অনুবাদ)

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি