মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সত্যিকারের কন্ঠ

ভাষাটির নামের অর্থ হলো এই-সত্যিকারের কন্ঠ। যে ভাষায় কথা বলতে পারেন মোটে দুজন মানুষ। তারা পরস্পরের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিলেন। ফলে ভাষাটির চর্চা আর হবে না বলে ভয়ে মোবাইলের বিজ্ঞাপনে তাদের নিয়ে আসা হলো। এরপর হলো অভিধান। তারা সরকারিভাবে ভাষাটি শেখালেন। কিভাবে ‘আইয়াপা’ ভাষাকে মেক্সিকোতে বাঁচিয়ে রাখা হলো সে গল্প


তাদের ভাষাটি ১ হাজার বছরের পুরোনো। ভাষাটিতে অনর্গল কথা বলতে পারেন, সবকিছু বুঝতে ও বোঝাতে পারেন এমন মানুষ বিশ্বে তারা দুজন। একজনের বয়স এখন ৮৬, নাম তার মানুয়েল সেগোভিয়া। অন্যজনের নাম ইসিগ্রো বেলাফকেফ। তার বয়স হলো ৮০। দুজনেই ‘আরিয়াপা’ নামের একটি নীচু অঞ্চলের গ্রামটির বয়স্ক নাগরিক। মেক্সিকোর দক্ষিণের তাবাসকো অঙ্গরাজ্যে তাদের এই জন্মস্থান। তাদের ভাষাটিকে বলা হয় সংক্ষেপে ‘আইয়াপা’, তারা ‘আইয়াপানেকো’ জাতি। এই ভাষা থেকে তাদের আদিবাসী জনগোষ্ঠীটির জন্ম। ভাষাটি মেক্সিকোতে আছে। এই দুজনের মাধ্যমেই বেঁচেছে। ভাষাটি নিয়ে সামান্যতম আগ্রহও নেই দেখে, ভাষাবিজ্ঞানীরা এক দশক ধরে কাজ করেছেন ভাষায় একটি অভিধান তৈরিতে। সেই কাজের শুরু ১৯৯৮ সালে। ২০০৮ সালে মেক্সিকো সরকার অনন্য উদ্যোগ নিলেন ইসিগ্রো বেলাফকেফকে বেতন দেওয়া শুরু করে। আইয়াপানেকোর শিশুদের তিনি ভাষাটি শেখানো শুরু করলেন। তার ছেলে ও চারজন শিশুকে ভাষাটি শেখাতে লাগলেন। তারপরও ২০১৪ সাল পর্যন্ত আর কোনো ভাষাভাষী ছিল না, কেউ ভালোভাবে কথা বলতে পারতেন না। এর আগে স্প্যানিশদের উপনিবেশ ছিলেন তারা, তাদের ভাষাও। শুরু থেকে একের পর এক যুদ্ধ, বিপ্লব, দুর্ভিক্ষ ও বন্যায় আক্রান্ত হয়ে একে, একে মারা গিয়েছেন তাদের মানুষরা। অনেকে ভাষা ও দেশ বদল করেছেন। ফলে দুই মানুষের কথা বলার ভাষাটি অন্য আরো অনেক আদিবাসী ভাষার মতো হারিয়ে যেতে চলেছে। তবে তারা একে, অন্যের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করেছেন ও কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন সবাইকে চমকে গিয়ে।

এই দুজন মানুষকে নিয়ে তো উত্তেজনার অভাব নেই। তাদের মধ্যে বিবাদ কি নিয়ে হয়েছে, সেটি ভালোভাবে কেউ জানেন না। একটি প্রাচীন ভাষার কেন দুজন বন্ধু কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন, সেটি ভাষাতাত্বিক অধ্যাপকদের হতাশ করে দিয়েছে। তাদের সামান্য কথা বলায় রাজি করতে পারেননি তাদের কেউ। ২০১৪ সালে সংবাদমাধ্যমগুলো আইয়াপেনেকো ভাষা ও এই আদিবাসী গোষ্ঠীর বেদনাবিধুর গল্পটি প্রকাশ করতে শুরু করেছে। একটি অত্যন্ত বিপন্ন ভাষা, আছে সে তাবাসকো নামের মেক্সিকোর একটি অঙ্গরাজ্যে, তাদের আদি বাসস্থান আইয়াপেনেকো গ্রামে, তারা ভুলে যাওয়া কিছু বিবাদের ফলে একে অন্যের সঙ্গে আলাপ করা বা কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন। ভাষাটিকে নিয়ে কাজ করতে ও একে শেষ দুজন মানুষের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখতে অনেক ভাষাবিজ্ঞানী ছুটে গিয়েছেন আদিবাসী এই পুরুষদের কাছে। একজন হলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাতাত্বিক নৃতত্ববিদ ড্যানিয়েল সাসলাক। তিনি তাদের আইয়াপানেকো ভাষার একটি ডিকশনারি তৈরি করতে দুজনের সঙ্গে অনেক কাজ করেছেন। বলেছেন, ‘তাদের দুজনের মধ্যে অনেক মৌলিক মিল নেই। সেগোভিয়ার আমার মনে হয়েছে, সামান্য খোঁচানোর স্বভাব আছে আর বেলাফোকের হলেন সুখ, দু:খ যেকোনোকিছুতেই উদাসীন একজন ব্যক্তি। তিনি খুব কমই বাড়ি থেকে বেরুতে ভালোবাসেন। একেবারে ঘরকুনো স্বভাবের মানুষ। তাকেই খোঁচান সেগোভিয়া।’

তাদের এই গ্রন্থাভিধানটি দুজনের ভাষাটি চলে যাবার আগেই ধরে রাখার একটি তুমুল গতিশীল প্রকল্প। প্রকল্পের প্রধানকে দুই মানুষ কথা বলেছেন তাদের ভাষা নিয়ে। সেগোভিয়া জানিয়েছেন, ‘যখন আমি একটি ছোট্ট বালক ছিলাম, সবাই আমাদের আইয়াপা ভাষায় কথা বলতেন। একটু, একটু করে আমার মাতৃভাষাটি অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে। এখন মনে হয়, আমার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে এটিও মারা যাবে।’ তবে তিনি তার ভাষার শেষ মানুষ বেলাফকেরের সঙ্গে কোনো প্রকাশ্য শত্রুতার কথা অস্বীকার করেছেন। বরং বলেছেন, আইয়াপানেকো ভাষাটিকে এক দশক আগে পর্যন্ত কথা বলে চর্চা করার অভ্যাসটি ধরে রেখেছিলেন দুজনে মিলে। এখনও তিনি ভাষাটিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন তার ছেলের সঙ্গে কথা বলে। তার ছেলের বৌ-তিনিও তাকে বুঝতে পারেন; তার সঙ্গে আদিবাসী মানুষটি তার ভাষায় কথা বলেন। তবে ছেলে ও ছেলের বৌ কথা বলে সামান্য কটির বেশি শব্দ উচ্চারণ করতে পারেন না পূর্বপুরুষের।

এই ভাষায় অনর্গল আরেকজন মাত্র বেলাফকেফ তখন আর কোনো মানুষের সঙ্গে নিজের মাতৃভাষায় নিয়মিত কথা বলতে রাজি নন। এই খবরটি প্রকাশিত হয়েছে ২০১১ সালে। এরপর থেকে তাদের নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। অথচ তারা দুজনে বাস করেন একে অন্যের থেকে ৫শ ফিট দূরের বাড়িতে। মৌখিক বিনিময় করতে কেন অস্বীকার করেছেন সেটিও ভালোভাবে জানা সম্ভব হয়নি। তবে যারা তাদের চেনেন, বলেছেন, কোনোদিনও একে অন্যের সঙ্গ পছন্দ করেননি বিশ্বের একটিমাত্র ভাষায় কথা বলা মোটে দুজন পুরুষ।

আগে থেকে তাদের ভাষা নিয়ে তো অনেকে গবেষণা করছেন। তাদের নিয়ে কাজ করা ড্যানিয়েল সাসলাক জানিয়েছেন, “আইয়াপানেকো নামের আদিবাসীদের কাছে পরিচিত ভাষাটির মাধ্যমে শত, শত বছরের দ্বীপ-আইয়াপানেকো, একটি ভাষাভিত্তিক দ্বীপ ছিল সবসময়। এই ভাষার চারপাশে এখানে ছিল শক্তিশালী আদিবাসী ভাষাগুলো। তবে আইয়াপানেকো ভাষাটির মৃত্যুর কারণ অন্যরকম। ২০ শতকের মাঝামাঝিতে প্রধান ও দখলদার ভাষা স্প্যানিশে লেখাপড়ার ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর অন্য মুখের ভাষাগুলো এই অঞ্চলের আদি মানুষদের কাছ থেকে দ্রুত হারিয়ে যেতে লাগলো। শক্তিশালী ভাষা আইয়াপানেকোর মৃত্যু খবর স্প্যানিশে শিক্ষাব্যবস্থা চালু হওয়ার পর শুরু হয়ে গেল। লিখিতভাবে তাদের আর কোনো বর্ণমালা তৈরি করা হলো না। ভাষাটিকে উন্নত করার কোনো কাজও করলেন না স্পেনের রাজা ও রাণী এবং মেক্সিকোর সরকার। তবে কয়েকটি দশক শিশুদের আদিবাসী ভাষায় কথা বলা নিষিদ্ধ করে ভাষাটিকে শেষ করে দেওয়া হলো। পরিবারগুলোতে মুখের ভাষা হিসেবে বেঁচে থাকলো আইয়াপানেকো। তবে শেষ রক্ষা হলো না। শহরায়ন ও অভিবাসনের কবলে পড়লো ভাষায়টি। এগুলোর শুরু হলো ১৯৭০’র দশকে। ফলে যে মূল মানুষগুলো গ্রামে একে অন্যের সঙ্গে কথা বলে ভাষাটিকে ধরে রেখেছিলেন, তারাও উচ্ছেদ হয়ে গেলেন। তাদের বাঁধনগুলো ভেঙে যেতে লাগলো।”

আরিয়াপা ভাষা নিয়ে কাজ করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরেকজন ভাষাতাত্বিক জনাথন রেঙ্গল বলেছেন, ‘আরিয়াপা ভাষাটি আরিয়াপানেকো এলাকার ভাষা। আছে তাবাসকো অঙ্গরাজ্যে। ৬শ বছরের পুরোনো ভাষাটি। আরো ব্যাপকভাবে বিস্তৃত ও রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী ভাষা হয়ে দাঁড়ালো পরে মায়া, আজটেক ভাষা। ফলে ধীরে ধীরে একটি আঞ্চলিক ও এলাকাভিত্তিক ভাষা হয়ে গেল। তারা এই অঞ্চলে আগে কলম্বিয়ানদের অধীনে ছিলেন। তারপর এলো স্প্যানিশ ভাষা। ফলে দুর্বলতম হয়ে গেল। এরপর মেক্সিকোতে স্প্যানিশ ভাষায় আবিশ্যিকভাবে লেখাপড়ার নিয়ম চালু হওয়ার পর তাদের ভাষাটি শতবষ আগ থেকে হারিয়ে যেতে শুরু করেছে। মেক্সিকো গ্রহণযোগ্য ভাষা হিসেবে বিদ্যালয়গুলোতে সরকারিভাবে স্প্যানিশ শেখানো শুরু করলো। তারপর তেলের খনি পাওয়া গেল বলে নতুন অধিবাসীরা আসতে শুরু করলেন আইয়াপানেকোতে। ফলে ধীরে, ধীরে আইয়াপোনেকোর স্থানীয় ভাষাটির সঙ্গে মানুষের সংযোগ আরো কমে যেতে লাগলো।’

তাদের ভাষাটিকে নিয়ে গবেষণা করতে, করতে সাসলাক বলেছেন, ‘একটি দু:খের গল্প এগুলো। তবে আপনি সত্যিই জেনে খুশি হবেন, কীভাবে একে চারপাশ থেকে উঁচুতে ধরে রাখা হয়েছিল।’ তিনি আরো জানিয়েছেন, ‘এই মেক্সিকোতে মোট ৬৮টি আদিবাসী ভাষা আছে। এই ভাষাগুলো আবার ৩শ ৬৪টি উপভাষাতে রূপান্তরিত হয়েছে। সামান্য যে কটি আদিবাসী মেক্সিকানদের ভাষা আছে, সেগুলোও হারিয়ে যাবার বিপদ মোকাবেলা করছে। তবে তাদের সবার মধ্যে সবচেয়ে বিপদে আছে আইয়াপানেকো উপজাতিদের ভাষাটি। বাইরের মানুষদের আরোপ করা তাদের এই আইয়াপানেকো নামটিও।’

এই আদিবাসী ভাষায় সবশেষ পুরোপুরি কথা বলতে পারা দুজন-মানুয়েল সেগোভিয়া ও ইসিগ্রো বেলাফকেফ জানালেন, তাদের মাতৃভাষার আসল নাম ‘নুমতে ওতে’। তার অথ হলো, ‘সত্যিকারের কন্ঠ।’ তারা এই ভাষাটির বিভিন্ন রূপান্তরে কথা বলতে পারেন, সেগুলোর বিস্তারিত আলোচনা করতে অস্বীকার করেছেন দুজনে মিলে। কেননা, তাদের সম্পক ভালো নয়। ২০১১ সালে তাদের এই ভাষার অভিধানটি বেরুনোর কথা ছিল। সেখানে তাদের মাধ্যমে ভাষাটির ভাষান্তরগুলোও থাকবে বলা হয়েছে। ‘দি আইয়াপানেকো ডিশনারি’ তৈরি করতে করতে পেরেছেন ড্যানিয়েল সাসলাক।

আরো আশার কথা, মেক্সিকোতে সরকারিভাবে ‘দি ন্যাশনাল ইনডিজেনাস ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউট’ আছে। তারাও শেষবারের মতো উদ্যোগ নিয়েছেন, দুজন শেষ ভাষাভাষীর মাধ্যমে ক্লাসগুলো নিয়ে তাদের জ্ঞানকে স্থানীয়দের মধ্যে যারা এই ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন, তাদের কাছে পৌঁছানোর। ভাষাটিকে নিয়ে এর আগের উদ্যোগগুলো অথ বরাদ্দের অভাবে ও অনুৎসাহে বিপযন্ত হয়ে গিয়েছে। তবে অভিযোগ করে সেগোভিয়া জানালেন, ‘আমি নিজে পেন্সিল ও আমার নোটবুকগুলো নিয়ে এসেছিলাম। ক্লাসগুলো লোকে লোকারণ্য আকারে শুরু হয়েছিল এবং এরপর লোকেরা আসা বন্ধ করে দিয়েছেন।’

সাসলাক বলেছেন, ‘ভাষাটি বিশেষ দিক থেকে ধনী’, সেটিকে তিনি বলেছেন, “ইঙ্গিতের দিক থেকে। তারা এগুলো পেয়েছেন তাদের চারপাশের প্রকৃতি থেকে। সেগুলো থেকে উদ্দীপ্ত হয়ে তারা এই ইঙ্গিতপূণ আচরণগুলো করতে, করতে সেগুলোকে ভাষার অপরিহায অংশ হিসেবে নিয়ে এসেছে। তাদের এই ইঙ্গিত পূণ আচরণগুলো ভাষার শব্দেও আছে, যেমন ‘কোলো-গোলো-নাই।’ এর মানে হলো, ‘টাকির মতো গরগর করে।’ টাকি হলো এক জাতের মুরগি।”

২০১৪ সাল থেকে তারা কথা বলা শুরু করেছেন। এর পেছনে আছে দারুণ একটি ব্যবসায়িক কৌশল। জামান টেলিকম বহুজাতিক ও বিরাট কম্পানি ভোডাফোনের সাহায্যে তাদের ভাষাটিকে নিরাপদ ও রক্ষা করতে দুজনের মধ্যে কথা বলার একটি বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হলো। ভোডাফোন তাদের আবার কথা বলতে রাজি করাতে পেরেছিল। ভোডাফোনের জন্য মেক্সিকোতে ও নানা দেশে বিজ্ঞাপনটি তৈরি করেছে বিজ্ঞাপন এজেন্সি ইয়ং ভন ম্যাট। তারা সিদ্ধান্ত নিলেন, দুজনের ফাটল পূরণ করে তাদের যুদ্ধটি মেটাবেন ও ভাষাটিকে বাঁচাবেন। তারা একে, অন্যের সঙ্গে মোবাইলে আলাপ করছেন এই বিজ্ঞাপন প্রচারণা চালিয়েছে মোবাইল কম্পানিটি। এই বিশেষ প্রচারণার নাম দিয়েছিলেন তারা ‘ভোডাফোন ফাস্টস’। বিজ্ঞাপনটি দেখানো শুরু হলো ২০১৪ সালেই। এরপর ইয়ং ভন ম্যাটের মাধ্যমে একটি প্রচারাভিযানেও পৌঁছালো শেষ ভাষাভাষী দুজনের কাজ। লোকেরা অনলাইন থেকে তাদের ভাষাটির শব্দগুলোকে নিজেদের ভাষায় গ্রহণ করতে লাগলেন, যেগুলো এখন মৃত। তাদের দুজনকে নিয়ে ভোডাফোন একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। আইয়াপেনেকো ভাষা নিয়ে তৈরি। এখন অবশ্য ইন্টারনেটে পাওয়া যায় না। আগে তাতে প্রবেশ করে দর্শনাথী ও ভাষাটি নিয়ে আগ্রহী এবং ভাষা চর্চাকারীরা ভাষাটির বিভিন্ন শব্দগুলোকে গ্রহণ ও শিখতে পারতেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যবহার করা লাইক ও শেয়ারের মতো শব্দগুলোর আইয়াপেনেকোতে উচ্চারণ জানতে ও গ্রহণ করতে পারতেন। তাতে ভিডিও ছিল। তাদের নামে একটি স্কুল গড়ে দিয়েছেন মোবাইল কম্পানি। সেখানে তারা শিশুদের নিজেদের মাতৃভাষা শেখান। তৈরি হয়েছে সরকারিভাবে বই।


ড্যানিয়েল সাসলাক কেন তারা এই বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছেন জানার জন্য দুজনের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তারা বলেছেন, আমাদের সত্যিকারের গল্পে বিজ্ঞাপন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির কোনো আগ্রহ ছিল না। বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনের জন্য তারা তাদের টাকা দিয়েছেন বলে কাজ করেছেন দুজনে। একটি বিদ্যালয় ভবনের গায়েও তাদের ছবি একে বিজ্ঞাপন করেছেন তারা।


এই ভাষাটি নিয়ে পড়ালেখা করেছেন ভাষাতাত্বিক জনাথন রেঙ্গল। তিনি এই উদ্যোগের বিপক্ষে। জানিয়েছেন, ‘ভুল বিষয়গুলোকে প্রচার করবে না এই বিজ্ঞাপনগুলো, অন্য ভাষাগুলোকে রক্ষা করার ক্ষেত্রেও কঠিন সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। বলেছেন, আপিয়াপানেকো প্রবাদগুলো তৈরি করতে লাখ, লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। এই কাজগুলো তাদের জন্য যাদের এই ভাষা বা কোনো ভাষার প্রতিই কোনো আগ্রহ নেই।’


এরপরের উদ্যোগ তাদের নিয়ে হয়েছে একটি এক রুমের শ্রেণীকক্ষ। কক্ষটি তাদের নামে রাখা ও নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে ২০১৪ সাল থেকে এই পুরোনো দুই বন্ধু তাদের প্রাচীন ভাষাটি শিশু কিশোরদের শিখিয়েছেন। তবে এত সব উদ্যোগের ফলে এখন এই ভাষাটির মোট ১৬ জন কথা বলার মতো মানুষ আছেন। এই তথ্যটি জানিয়েছেন সাসলাক ও রেঙ্গল।

তবে নিয়মিতভাবে অবশ্য কেউই ভাষাটিকে বাড়িতে ব্যবহার করতে শিখছেন না। যারা এই ভাষা শিখছেন, তারা সবাই নিরাপদে বাঁচিয়ে রাখতে চেষ্টা করছেন। শহরের অনেক তরুণকে এখন এই ভাষাটি শেখানো শুরু হয়েছে। বিভিন্ন ধরণের উৎসবে আইয়াপানোকোর ভাষাটিকে উচ্চারণ প্রতিযোগিতা হিসেবে রাখা হচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোনির্য়া অঙ্গরাজ্যের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাতাত্বিক অধ্যাপক জেমস ফক্সও বিমানে উড়ে গিয়েছেন তাবাসকো অঙ্গরাজ্যে তাদের কাছে এই ভাষার একটি অভিধান তৈরি করতে।

ভাষাটির মধ্যে অনন্য সৌন্দর্য আছে বলে জানালেন রেঙ্গল, “যেমন তাদের একটি শব্দ আছে, স্প্যানিশে উচ্চারণ করতে হয় ‘চুকেমবুনিয়ে’। মানে হলো, ‘বজ্রদেবতার বাড়িটি’। এভাবেই তারা ‘মেঘকে’ ডাকেন। খুব কাব্যিকভাবে।”

(ইন্টারনেট থেকে অনুবাদ)

Header Ad
Header Ad

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

নকশাবহির্ভূত রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এতে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় কিছু আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের অভ্যন্তরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদিত নকশায় না থাকলেও বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ (রেস্টুরেন্ট) পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ভবনের ছাদে অবৈধভাবে রুফটপ রেস্তোরাঁ পরিচালিত হচ্ছে, যা জনজীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ পরিচালনা করায় এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও সম্পদহানির ঘটনা ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে অনেক অবৈধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনৈতিক উপায়ে করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে।

ডিএসসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্পদ ও জানমালের ঝুঁকি এড়াতে নকশাবহির্ভূত সব রেস্তোরাঁ এবং ভবনের ছাদে স্থাপিত রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল ঘোষণা করা হলো। বাতিল করা লাইসেন্স দিয়ে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘যেসব রেস্তোরাঁ সঠিক তথ্য না দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। তবে ভবনের অনুমোদন কিন্তু বাতিল করা হয়নি। ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সশরীর উপস্থিত হয়ে আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত দিলে সেগুলো সচল করা হবে।’

বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি। ছবি: সংগৃহীত

অপর এক প্রশ্নের জবাবে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি রেস্তোরাঁকে আলাদা করে চিঠি পাঠাব।’

ডিএসসিসির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। তিনি বলেন, কোনো প্রকার আলোচনা না করেই ডিএসসিসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের ওপর জুলুম চলছে। ব্যবসাগুলো এক দিনে গড়ে ওঠেনি। রাজউকের পাস করা ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ নেই বললেই চলে। বিগত সরকারের সময় এই জটিলতা নিরসনে একটা টাস্কফোর্স করা হয়েছিল। সেই টাস্কফোর্সের দুটি বৈঠক হয়েছিল। তারপর তো সরকার বদল হয়ে গেল।

ইমরান হাসান বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে এখন যদি ডিএসসিসি অভিযানে নামে, তাহলে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতি হলে আমাদের রেস্তোরাঁ বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’

গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর রেস্তোরাঁর অনুমোদন ও অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি সামনে আসে। ওই ভবনে আটটি রেস্তোরাঁ ছিল, তবে ভবনটিতে রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠার কোনো অনুমোদন ছিল না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চার বছর আগে দেশের রেস্তোরাঁ খাত নিয়ে একটি জরিপ করে। সেই জরিপের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে মোট হোটেল ও রেস্তোরাঁ ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৪টি, যা ২০০৯-১০ অর্থবছরের চেয়ে ৫৮ শতাংশ বেশি। সরকারি সংস্থার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮৫২টি। বাকি সব ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন।

রেস্তোরাঁ ব্যবসা করতে চাইলে একজন বিনিয়োগকারীকে সরকারের সাতটি সংস্থার অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিতে হয়। রেস্তোরাঁর জন্য প্রথমে নিবন্ধন ও পরে লাইসেন্স নিতে হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ২০২৪ সালের মার্চ মাসের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের সব সংস্থার প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিয়ে ঢাকায় রেস্তোরাঁ ব্যবসা করছে মাত্র ১৩৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে ১২৮টি রেস্তোরাঁ।

Header Ad
Header Ad

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বান। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ ও জনগণের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব কমিয়ে এনে মানুষের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “স্বৈরাচারী শাসনের অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জনরোষের মুখে পড়েছেন।” পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে নিজেদের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের পরামর্শ দেন তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ সদস্যদের আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো

নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। ছবি: সংগৃহীত

বারবার নিলাম ডেকেও এস আলম গ্রুপের বন্ধকী সম্পত্তির কোনো ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছে না দেশের ব্যাংকগুলো। ফলে ঋণ আদায়ে এখন বাধ্য হয়ে অর্থ ঋণ আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছে তারা। এতে পুরো প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত ও জটিল হয়ে পড়েছে।

চট্টগ্রামভিত্তিক এই শিল্পগোষ্ঠী ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, জনতা ব্যাংক ১০,৭০০ কোটি টাকার বিপরীতে ছয়বার নিলাম ডেকেও কোনো সাড়া পায়নি। একইভাবে ইসলামী ব্যাংকও সাত দফা নিলাম আয়োজন করেও ব্যর্থ হয়েছে, যার মধ্যে আইডিয়াল ফ্লাওয়ার মিলসের ১,১০০ কোটি টাকার ঋণ সংক্রান্ত নিলামও অন্তর্ভুক্ত।

সাম্প্রতিক সময়ে এস আলম গ্রুপের একাধিক স্টিল মিল, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জমি নিলামে তোলা হলেও দরপত্র জমা পড়েনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আইনি প্রক্রিয়া পূরণের জন্যই তারা এসব নিলাম ডাকছেন, যদিও আগ্রহী ক্রেতার দেখা মিলছে না। অনেকেই এই বিষয়টিকে ভয় পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন তারা।

অভিযোগ রয়েছে, এস আলম গ্রুপ সরাসরি ও পরোক্ষভাবে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যার বড় একটি অংশ বিদেশে পাচার হয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে গ্রুপটির নিয়ন্ত্রণ জব্দ করে।

বর্তমানে এস আলম গ্রুপের ওপর কেন্দ্রীয়ভাবে তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে ১৪ সদস্যের বিশেষ লিগ্যাল টিম। একই সঙ্গে তাদের জব্দকৃত শেয়ার বিক্রির জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল
দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি
ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন,পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি পাকিস্তানের
কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত মার্ক কার্নি
নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য