গাজী ভাই হচ্ছেন এক ও অদ্বিতীয় গীতিকবি: সাবিনা ইয়াসমিন
কিংবদন্তি গীতিকবি গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুর শোকে ভারী হয়ে উঠেছে দেশের সংগীতাঙ্গন। বাংলা গানের এই মহিরুহের মৃত্যুতে শোকে স্তদ্ধ গানের মানুষেরা।
তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগঘন কণ্ঠে বাংলা গানের জীবন্ত কিংবদন্তি শিল্পী গানের পাখি সাবিনা ইয়াসমিন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘গাজী মাজহারুল আনোয়ারের সঙ্গে আমার স্মৃতির কথা বলে শেষ করা যাবে না। ৫০ বছরের স্মৃতি আমাদের। তার লেখা গান আমি প্রথম কোন বছর গেয়েছিলাম তা মনে নেই। তবে ১৯৬৭সালে ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’ গেয়েছিলাম। তার আগে কয়েকটা ছবিতে গেয়েছি উনার লেখা কিন্তু এগুলো আমার মনে নাই। শেষ এক বছর আগেও উনার লেখা একটি গান করেছিলাম। গাজী ভাই হচ্ছেন এক ও অদ্বিতীয় গীতিকবি। উনার মতো গীতিকবি বাংলাদেশে কোনোদিন জন্ম নেবেন কি না তা আমার জানা নেই। এটা অপূরণীয় একটা ক্ষতি হয়ে গেলো আমাদের জন্য, যেটা আসলে বলে বোঝানো যাবে না।’
সাবিনা ইয়াসমিন আরও বলেন, ‘উনি তো ২০হাজারের মতো গান লিখেছেন। তারমধ্যে ৬-৭হাজার গান আমিই গেয়েছি। আমার গাওয়া ১৬, ১৭ হাজার গানের মধ্যে ৬,৭হাজার গান গাজী ভাইয়েরই লেখা। তার লেখা সবচেয়ে বেশি গান আমি গেয়েছি। গাজী ভাই কিছুদিন আগে যে বইটি লিখেছেন সেখানেও এ কথা বলেছেন। সত্য সাহা, গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও আমি। এই তিনজনের একত্রে করা কাজগুলো অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়েছে।
তার বিশেষ কথা আলাদাভাবে মনে পড়ছে না। গাজী ভাইয়ের সবকিছুই মনে পড়ছে। ১৫/২০দিন আগে আলম খান ভাইয়ের স্মরণসভায় আমাদের দেখা হয়েছিল সেটাও মনে পড়ছে। সেদিন অনেক কথা হলো অনেক গল্প হলো সেটাও মনে পড়ছে। গাজী ভাইয়ের ছবিতে আমাকে অভিনয় করতে হয়েছে সেটাও মনে পড়ছে। আমাকে কীভাবে একরকম জোর করেই অভিনয় করালেন তিনি, সেটাও মনে পড়ছে আজ। উনার পরিবারের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। গাজী ভাইয়ের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। তার জন্য অনেক দোয়া, যোগ করেন তিনি।
এএম/এমএমএ/