শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনায় জেমসের উন্মুক্ত কনসার্ট, থাকছেন অন্যরাও

ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আয়োজন করা হয়েছে কনসার্ট ‘রিবিল্ডিং দ্য নেশন’। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পুরোনো বাণিজ্য মেলা মাঠ, আগারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হবে এই ওপেন এয়ার কনসার্ট।

কনসার্টটি আয়োজন করা হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চেতনাকে সামনে রেখে, যেখানে দেশের বিভিন্ন শিল্পী ও ব্যান্ড সংগীত পরিবেশন করবেন।

এই কনসার্টে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে গান পরিবেশন করবেন জনপ্রিয় নগর বাউল জেমস। তার সঙ্গে আরও পারফর্ম করবেন ব্যান্ড চিরকুট, আর্টসেল, সোনার বাংলা সার্কাস, বেঙ্গল সিম্ফনি, বাংলা ফাইভ, ক্রিপটিক ফেইট, কুঁড়েঘর, কাকতাল, এবং সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ানসহ আরও অনেকেই।

কনসার্টের বিস্তারিত জানাতে বুধবার আয়োজকরা একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সেখানে তারা জানান, কয়েক লাখ দর্শক এই কনসার্ট উপভোগ করতে পারবেন। আয়োজকদের মতে, এটি দেশের অন্যতম বৃহৎ ওপেন এয়ার কনসার্ট হতে যাচ্ছে, যেখানে নিরাপদভাবে একসঙ্গে হাজার হাজার মানুষ গান শোনার সুযোগ পাবেন।

রাদমান হোসেন অনুপ, আয়োজক দলের একজন সদস্য, বলেন, “এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এই কনসার্টের মাধ্যমে আমরা আবারও সকলকে একত্রিত করতে চাই, যেমনটি জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে হয়েছিল। এটি শুধুমাত্র একটি কনসার্ট নয়, এটি স্বাধীনতা এবং পরিবর্তনের চেতনা পুনর্জাগরণের একটি বড় পদক্ষেপ।”

কনসার্টটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং ইতিমধ্যেই সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।

Header Ad
Header Ad

মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি

ছবি: সংগৃহীত

কনকাক্যাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপে স্পোর্টিং ক্যানসাস সিটি ও ইন্টার মায়ামির ম্যাচে আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে শাস্তির মুখে পড়েছেন ম্যাচ রেফারি মার্কো আন্তোনিও অরটিজ নাভা। তার অপরাধ— খেলা শেষে লিওনেল মেসির কাছে অটোগ্রাফ চেয়েছিলেন এই মেক্সিকান রেফারি।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) কনকাক্যাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের ওপেনিং রাউন্ডের প্রথম লেগে মেসির একমাত্র গোলে স্পোর্টিং ক্যানসাস সিটির বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জয় পায় ইন্টার মায়ামি। ম্যাচ শেষে আর্জেন্টাইন তারকার কাছে পরিবারের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন একজন সদস্যের জন্য জার্সি ও অটোগ্রাফের অনুরোধ করেন রেফারি অরটিজ নাভা। পরে ড্রেসিংরুমে গিয়ে রেফারির অনুরোধ রক্ষা করেন মেসি।

তবে রেফারির এমন আচরণ ভালোভাবে নেয়নি কনকাক্যাফ কর্তৃপক্ষ। ম্যাচ অফিসিয়ালদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে শাস্তি দিয়েছে টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ।

এক বিবৃতিতে কনকাক্যাফ জানায়, "স্পোর্টিং ক্যানসাস সিটি ও ইন্টার মায়ামির ম্যাচ শেষে রেফারি মার্কো আন্তোনিও অরটিজ নাভা ও লিওনেল মেসির মধ্যে অটোগ্রাফ সংক্রান্ত ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত। তদন্তে দেখা গেছে, রেফারি পরিবারের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন একজন সদস্যের জন্য অটোগ্রাফ চেয়েছিলেন। তবে ম্যাচ অফিসিয়ালদের জন্য নির্ধারিত আচরণবিধি ও প্রটোকলের সঙ্গে এটি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।"

কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, "রেফারি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন, ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এবং শাস্তি মেনে নিয়েছেন।"

তবে কনকাক্যাফ কর্তৃপক্ষ ঠিক কী ধরনের শাস্তি দিয়েছে, তা প্রকাশ করেনি।

Header Ad
Header Ad

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা

ছবি: সংগৃহীত

২১ ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর বেনাপোলের শূন্যরেখা এলাকায় বসতো দুই বাংলার মানুষের মিলন মেলা। সেখানে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে সকাল থেকে দুই দেশের হাজারো মানুষ একসঙ্গে শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করতেন। আবেগ ও ভালোবাসায় ভাষাপ্রেমীরা ভুলে যেতেন সীমান্ত রেখার অস্তিত্ব।

তবে এবারের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবসে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সেই চিত্র দেখা যায়নি। দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের শীতলতার কারণে এবার শূন্যরেখায় যৌথভাবে একুশের কোনো অনুষ্ঠান হয়নি। অন্যান্য বছর দুই দেশের সরকারি প্রতিনিধি ও মন্ত্রীরা একে অপরের দেশে গিয়ে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করলেও এবার তা সম্ভব হয়নি।

বেনাপোলের সরগম সংগীত একাডেমির সভাপতি মোস্তাফিজ জোহা সেলিম জানান, প্রথম থেকেই দুই দেশের সাংস্কৃতিক কর্মীরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে এটি রাজনৈতিক দলীয়করণের শিকার হয়। তিনি বলেন, "এবছর থেকে আমরা আবারও সরগম সংগীত একাডেমির পক্ষ থেকে ভাষা শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠান শুরু করেছি। সীমিত পরিসরে হলেও চেকপোস্ট এলাকায় কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি।"

শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন বলেন, "দেশে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে। যার ফলে এবার বেনাপোল চেকপোস্ট নো-ম্যানস ল্যান্ডে একুশের মিলন মেলা হয়নি। তবে আমরা আমাদের মতো করে বেনাপোলে ভাষা শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠান করেছি। আগামী বছর রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় মিলন মেলা আয়োজনের আশা করছি।"

Header Ad
Header Ad

মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম বলে মন্তব্য করেছেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও ভাষাভিত্তিক জাতিসত্তা এবং রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের ভিত রচিত হয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা’—এই আন্দোলন মূলত বাঙালির মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য শুরু হলেও এর মূল চেতনা ছিল স্বাধিকার প্রতিষ্ঠা করা। এটি বাংলার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির আন্দোলন ছিল। তাই বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি শুধু বেদনার স্মৃতি নয়, বরং এক অবিনাশী প্রেরণা—অন্যায়, অবিচার ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মাতৃভাষার জন্য জীবনদানের এমন ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল জনগোষ্ঠীর মধ্যে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার প্রেরণা ছড়িয়ে দিতে ২০০১ সালের ১৫ মার্চ ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এটি বিশ্বের সব মাতৃভাষার সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও গবেষণার জন্য কাজ করছে।

তিনি বলেন, মাতৃভাষা শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং যে কোনো নৃগোষ্ঠীর ইতিহাস, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির বাহক। মানুষ যত ভাষাই শিখুক না কেন, তার মাতৃভাষার সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক অটুট থাকে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, নতুন ভাষা শিখলেই মাতৃভাষা দুর্বল হয়ে পড়বে—এ ধারণার কোনো ভিত্তি নেই। অনেক দেশেই নাগরিকেরা সাবলীলভাবে একাধিক ভাষায় কথা বলেন। স্কুলেও ছাত্রছাত্রীদের নতুন ভাষা শেখানো হয়, যা তাদের জন্য উপকারী।

তিনি আরও বলেন, ‘যে দেশের প্রযুক্তি পৃথিবীতে প্রাধান্য অর্জন করবে, সেই দেশের ভাষাও গুরুত্ব পাবে। যে দেশ নেতৃত্ব দেবে, তার ভাষার প্রতি আগ্রহ বাড়বে। তাই প্রযুক্তি, জ্ঞান ও সংস্কৃতির বিকাশের মাধ্যমে ভাষার গুরুত্বও বাড়াতে হবে।’

মাতৃভাষা দিবসে সব মাতৃভাষা সংরক্ষণের অঙ্গীকার করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এর পেছনে আবেগের কারণ তো আছেই, পাশাপাশি রয়েছে বড় স্বার্থের বিষয়। ভবিষ্যতে কোনো অজ্ঞাত নামহীন মাতৃভাষা হয়তো পৃথিবী বদলে দেবে। তাই সব ভাষার সংরক্ষণ জরুরি।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম
ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ
বিয়ের ছবি ভাইরাল, বললেন শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ
বাংলা ভাষায় মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন সৌদি রাষ্ট্রদূত
বিমানবন্দর থেকে ৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
স্বামীর বন্ধু পরিচয়ে পদ্মার চরে নিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩
১ মার্চ রোজা শুরু হলে ৩৩ বছর পর ঘটতে পারে এক বিরল ঘটনা
ফ্যাসিবাদ যতোই ফিরে আসার চেষ্টা করুক, প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না: জামায়াত আমির
এফবিআই প্রধান হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ প্যাটেল
ভেঙে গেল চাহাল-ধনশ্রীর সংসার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত উন্মুক্ত কনসার্ট স্থগিত
জনগণের পক্ষের কোনো রাজনীতিবিদ কখনও পালায় না: রিজভী
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগবে না, কারণ আমি এসে গেছি: ট্রাম্প